সেলিব্রেটি স্বামী

সেলিব্রেটি স্বামী 2 !! Season- 02 !! Part- 02

ভার্সিটির ভেতরে আসলাম আমি।এদিকে ওদিকে ছুটে বেড়াচ্ছি।আমায় ধরতে এসে উনার গার্ডগুলো একাধারে যার তার সাথে ধাক্কা খেতে লাগলেন।আমি ছুটতে লাগলাম।ধীর গতিতে ভীরের মধ্যে মিশে গেলাম আমি।উনি এগিয়ে এসে ভার্সিটির গেইটে পা রাখলেন।মুহূর্তে চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ এলো আমার কানে।তাকিয়ে দেখলাম আমি সবাই ছুটে যাচ্ছেন উনার কাছে।উনাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে এলো সবাই ভার্সিটির মাঠের মাঝখানে।কেউ উনাকে টেনে টেনে সেলফি তুলছে তো কেউ উনার কানের কাছে অটোগ্রাফ বলে চিৎকার দিয়ে চলেছে।ব্যাপারটা উনার গার্ডগুলো দেখে এগিয়ে গেলেন।ভীর ভাট্টা ঠেলে ঠুলে উনার কাছে গিয়ে পৌঁছালেন তারা।উনাকে ভীরের মধ্যে থেকে বের করে নিয়ে আসলেন।উনার অবস্থা এখন নাজেহাল।একজন উনার সামনে একটা পানির বোতল এনে ধরলেন।উনি বোতলটা হাতে নিয়ে মুখ খুলে সম্পূর্ণ পানিটুকু মাথায় ঢেলে দিলেন।তারপর অগ্নী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দাঁত কটমট করে বললেন,
-কোথায় ওই মেয়ে? ওকে আমার চাই! এক্ষুণি চাই!
মুহূর্তে চোখ ঘুরিয়ে ভীরের মধ্যে উনার চোখ এসে আটকে পরলো আমার দিকে।উনি সয়তানি হাসি দিয়ে ইশারায় উনার গার্ডদের আমায় দেখিয়ে বললেন,
-মেয়েটাকে নিয়ে আসো।
গার্ডগুলো আমাকে এসে ধরতে যাবে আমি চিৎকার করে সবাইকে থামিয়ে দিলাম।উনার কাছে নিজেই এগিয়ে গেলাম।উনাকে বললাম,
-কেন এমন করছেন আপনি? বললাম তো ভুল হয়েছে আমার।আমি তো মানুষ।কোনো ফেরেস্তা না।ভুল তো হতেই পারে।প্লিজ ক্ষমা করে দিন।
উনি হেসে উঠলেন। মনে হলো আমার কথায় কোনো পাত্তা দিলেন না।আমি কিছু বুঝে উঠতে যাবো তার আগে আচমকা আমার হাতটা ধরে বসলেন উনি। রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন,
-আমার ফিল্মের হিরোইন হবে তুমি।একবার যখন বলে দিয়েছি তখন এটাই ফাইনাল।হিরোইনের মুখ পুড়িয়েছো না তুমি? এখন এটাই তোমার শাস্তি।
আমাকে টানলেন উনি।টানতে টানতে মেকাপম্যানদের সামনে নিয়ে এসে বললেন,
-নাও সাজিয়ে দাও একে।
উনার ব্যাবহারে আমি স্তব্ধ হয়ে আছি।আমার মাথায় কিচ্ছু আসছে না।মেকাপম্যানরা আমার দিকে আগাতে লাগলেন।আমি অসহায় দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকিয়ে বললাম,
-প্লিজ এমন করবেন না আমার পর্দা নস্ট হবে।
উনি সয়তানি হাসি দিয়ে বললেন,
-সেটাই হবে তোমার উচিৎ শিক্ষা।
এখান থেকে পালাবার আর কোনো উপায় আমি পেলাম না।কি করবো সেটাও বুঝে উঠতে পারছি না।আমার কেন যেন সত্যি এবার রাগ হতে লাগলো উনার উপর।রাগ ধরে রাখতে না পেরে উনার হাসিমাখা মুখটায় কষিয়ে দিলাম এক চড় লাগিয়ে।উনার গালে চড় মারতেই সকলে স্তব্ধ।পরিস্থিতি থমকে আছে।আর উনি গালে হাত দিয়ে এদিকে ওদিকে তাকালেন।মুহূর্তে উনার ফোনে টুংটাং মেসেজের শব্দ বেজে উঠলো। উনি মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখতেই চোখদুটো বড়বড় হয়ে গেলো।রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে।একে একে আসেপাশে সকলের ফোনে মেসেজের শব্দ বেজে উঠলো। সকলে উনার আর আমার দিকে তাকাচ্ছে। এখন কি হবে সেটা বোঝার জন্য। উনি আচমকা এক ধাক্কায় আমাকে নিচে ফেলে দিলেন।আমার পেটে পা উঠিয়ে জুতার নিচ অংশটুকু দিয়ে চেপে ধরলেন।মোবাইলটা আমার সামনে ধরে একটা ভিডিও দেখালেন।যেইটাতে দেখাচ্ছে আমি উনাকে চড় মেরেছি।আমি উঠার চেস্টা করছি আর উনি আরও শক্ত করে চেপে ধরছেন পা দিয়ে আমার পেটে।রাগি মেজাজে বললেন আমাকে,
-তোর সাহশ হয় কি করে? আমি সুপারস্টার আহান খান। আজ পর্যন্ত কেউ আমার মুখের উপরে আঙুল উঠিয়ে কথা বলবার ভুল করে নি আর চড় মেরেছিস তুই আমার গালে?
আমার পেটের উপরে উঠে দাড়ালেন উনি।আমি চিৎকার করে উঠলাম।উনাকে বললাম আমার ভুল হয়েছে।প্লিজ জেতে দিন আমায়।আসেপাশে চোখ যেতে খেয়াল করলাম সকলে দাঁত বের করে হাসছেন।আমি উনার পা ধরে বসলাম।আস্তে করে বললাম, খুব কস্ট হচ্ছে আমার প্লিজ নামুন।উনি দু’পায়ের ভার একসাথে ছেড়ে দিলেন আমার উপর।লাফিয়ে নেমে দাড়িয়ে সয়তানি হাসি হেসে বললেন কেউ এক গ্লাস ফুটন্ত গরম পানি এনে দাও আমায়।এর হাতটাই আজ আমি গরম পানিতে চুবিয়ে ছাড়বো।এতো বড় সাহস দুই টাকার মেয়ে হয়ে আমাকে চড় মেরেছে।একে আমি নাকে খর দেওয়াবো, আমার জুতা মাথায় দিয়ে হাটাবো।তারপরও আমার শান্তি হবে কিনা জানি না।
চলবে,,,,,,