রাগী বস – পর্ব- ০৮
…
সিনহা:বেশ কয়েক মাস হয়ে গেছে মা আমায় ছেড়ে চলে গেছে।বড্ড একা হয়ে গেছি আমি।এই বাড়িতে একাই থাকি।বাড়ি থেকে অফিস, অফিস থেকে বাড়ি এইভাবে চলছে আমার দিন।স্যার মাঝে মাঝে আমার বাড়ি আসে এই নিয়ে প্রতিবেশীরা বেশ কানাঘুষা করে,বাজে ইঙ্গিতে কথা বলে,আমি চাই না আমার জন্য স্যার কে কেউ কিছু বলুক।আমি কে তার আপন তো কেউ না মায়ের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতেই স্যার আমার জন্য এতো কিছু করছে কিন্তু সমাজ এগুলো মেনে নেয় না,ভ্রু-কুচকে তাকায় এগুলো স্যার কে আমি কিভাবে বোঝায়।উনিতো কাউকে তোয়াক্কা করে না কিন্তু সমাজ বলেও একটা জিনিষ আছে যেটা আমায় মানতেই হবে।মানতে বাধ্য আমরা।আমরা কেউ সমাজের বাহিরের না।সমাজের তৈরী করা নিয়ম গুলো আমাদের যথাযথভাবে পালন করতে হবে।নিজের ডেস্কে বসে আনমনে এইসব ভাবছি।
.
সিফাত:এই মেয়েটা বসে বসে কি ভাবছে এতো,স্বাভাবিক হতে এখনো পারলো না।নিজের চেহেরার কি অবস্থা করেছে।না এভাবে ওকে আর দেখা যায় না,ওকে আগের মতো করতে হবে,তারজন্য আমাকেও আগের মতো কঠোর হতে হবে।
.
সিফাত:সিনহা,,ফাইল গুলো কমপ্লিট হয়েছে?
.
সিনহা:এই তো স্যার হয়ে গেছে প্রায়,আর কয়েকটা আছে।
.
সিফাত:এখনো কমপ্লিট হয়নি কেন,তোমাকে তো অনেকক্ষন আগে দিয়েছিলাম এতো সময় কেন লাগে।এতো অমনোযোগী কেন তুমি? (রেগে গিয়ে)
.
সিনহা:সরি স্যার,,!
.
সিফাত:সরি বললে সব মাফ হয়ে যায় নাকি?
.
সিনহা:তাহলে এখন কি করতে হবে স্যার?
.
সিফাত:মুখে মুখে কথা বলছো তুমি আবার(আরো রেগে গিয়ে) ওর দিকে এগোতে লাগলাম।
.
সিনহা:না না স্যার আমি শুধু বলছিলাম এখন কি করতে হবে,ও মাগো স্যার এদিকে এমন এগোচ্ছে কেন,যে রাগী লুক নিয়ে আসছে আল্লাহ জানে আজ আমায় কাঁচায় খেয়ে নিবে।
.
সিফাত:এখন কি করবে সেটা কি আমায় বলতে হবে?আরেকটু এগিয়ে যেতেই সিনহা ওর হাত আমার বুকে দিয়ে আটকালো।
.
সিনহা:স স্যার বললে ভালো হতো,আর আপনি এতো কাছে আসবেন না স্যার দুরেই থাকুন দেখুন আমার হার্টবিট কেমন বেড়ে গেছে,আমি যদি এখন হার্ট এট্যাক করি তাহলে সবাই আপনাকে খুনি বলবে।
.
সিফাত:সেট আপ সিনহা,কি ভুল ভাল বকছো,পাগল হয়ে গেছো তুমি?
.
সিনহা:না স্যার এখনো হয়নি তবে আরেকটু সময় আপনি এমন থাকলে হয়ে যাবো।
.
সিফাত:তাই না বলে ওর কোমড় টা টান দিয়ে ওকে নিজের সাথে মিশালাম।আস্তে আস্তে ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে কি হলো পাগল পাগল লাগছে কি এখন?
.
সিনহা:স্যারের আমায় একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়েছে,ওনি কানের কাছে ফিসফিসিয়ে কথা বলছে,আর ওনার নিঃশ্বাস আমার ঘাড়ে এসে পড়ছে।আমার হার্টবিট আরো দ্বিগুন বেড়ে গেছে।মনে হয় এইবার আমি মরেই যাবো।উনি কাছে আসলে আমার এমন হয় কেন।আমার অনেক ভয় করছে।
.
সিফাত:সিনহার হার্টবিট দ্রুত গতিতে চলছে আমি অনুভব করতে পারছি,ওর দিকে তাকালাম ভয়ে ওর চোখ আর ঠোটদুটো কাঁপছে।ওর কাপা ঠোট দুটো আমায় আকর্ষন করছে খুব,কেমন জানি ঘোড় লাগছে।আমি সিনহার কাছাকাছি আসলে এমন কেন হয় আমার।আমি আমার ঠোঁটদুটো এগুতো লাগলাম সিনহার ঠোঁটের দিকে।
.
সিনহা:উনি আমার ঠোটের দিকে এভাবে এগিয়ে আসছে কেন উনি কি করতে চাইছেন আল্লাহ বাচাও আমায়।
.
সিফাত:ওর ঠোটে মাত্র ঠোট মিলাবো তখনি দিলো একটা চিল্লানি,কানের পর্দা মেনে হয় ফেটে গেলো,আমি ঘোড়ের মধ্যে থেকে বাস্তবে ফিরলাম,কি করতে যাচ্ছিলাম আমি,ধুরর ও কি ভাবলো এখন, আর এমন করে চেল্লালো যে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।
.
সিনহা:স্যার নিজের ঠোট আমার ঠোটের অনেক কাছে নিয়ে আসছে আমি ভয়ে আমি চিল্লানি দিয়ে উঠলাম স্যার স্যার থামেন একটা কথা বলবো?
.
সিফাত:উফ কানের ১২ টা বাজিয়ে দিছে এতো জোরে কেউ চিল্লায়,বলো কি বলবে?
.
সিনহা:সরি স্যার,বলছিলাম যে লাঞ্চ করবেন না,লাঞ্চ টাইম তো পেরিয়ে যাচ্ছে আমার তো পেটে ইদুর দৌড়ানি দিচ্ছে।
.
সিফাত:তো লাঞ্চ করো তোমায় ধরে রেখেছে কে,আজাইরা।
.
সিনহা:স্যার আপনিতো আমায় ধরে রেখেছেন।
.
সিফাত:মানে?
.
সিনহা:আসলে স্যার আপনি যদি সামনে থেকে না সরে এভাবে দাড়িয়ে থাকেন তাহলে আমি যাবো কিভাবে?
.
সিফাত:ওহ,ওকে সরে গেলাম।
.
সিনহা:স্যার সরতেই আমি দিলাম দৌড়,এক দৌড়ে ক্যান্টিনের টেবিলে বসে হাফাতে লাগলাম।
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!