ভালোবাসা এমনও হয় Season 2 !! Part- 13
তরীঃ 😞আব্বুর উনাকে পছন্দ হয়েছে
মেঘঃ তো?
তরীঃ আব্বু চাইছে বিয়েটা দিয়ে দিতে।।বাকি সবাই ও রাজি
মেঘঃ তো!!!!
তরীঃ 😞
মেঘঃ আই ওয়ান্ট ইউর এনসার।।সবাই রাজি মানে কি তুই ও রাজি??
তরীঃ আমি জানি নাহ কিছু।।যদি সবাই চায় তাহলে
মেঘঃ তাহলে!!!!
তরীঃ আমি নিষেধ কিভাবে করি😞
মেঘঃ ওহহহ।।গ্রেট তাহলে আরকি।।বিয়ে তো তাহলে ঠিক হয়েই গেল।।আমি কিন্তু তোর বিয়ে তে পেট পুরে খাবো হুম
তরীঃ তুমি রাজি এই বিয়েতে 🥺
মেঘঃ ওমা রাজি কেন হবো নাহ।।সবাই রাজি তো আমি কেন রাজি হবো নাহ।।আর ইনফেক্ট আদ্রও এতো ভালো ছেলে তাহলে রাজি নাহ থাকার কোন কারন ও তো দেখছি নাহ।
তরীঃ হুম তাই তো😞(মনে মনে- ভেবেছিলাম তুমি হয়তো শুনলে খুব রাগ করবে।হয়তো বলবে যে “তুই শুধু আমার আর কাউকে বিয়ে করতে পারবি নাহ”।বাট আমি ভুল ছিলাম।।আমাকে তো ভালোই বাসী নাহ আমারর বিয়ে হলেই বা তোমার আর কি আসে যাবে😢)
মেঘঃ তো কাল কলেজ যাচ্ছিস তো
তরীঃ হুম
মেঘঃ ওকে(বলেই মেঘ বেরিয়ে গেল তরীর রুম থেকে)
তরী মেঘের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে কেঁদে দিলো।
তরীঃ একটাবার যদি বলতে ভালোবাসি তাহলে হয়তো আজ আমরা সাথে থাকতাম।।। তুমি তো আমায় ভালোবাসো নাহ কিন্তু আমি🥺😥
হঠাৎ নেশা তরীকে ডাকতে এসে তরীকে কাঁদতে দেখে অবাক হলো।
নেশাঃ তরী কাঁদছো কেন????
তরী গিয়ে তার মা কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।।নেশা আরেক দফা অবাক হলো।
তরীর পিঠে হাত বুলিয়ে
নেশাঃ প্লিজ আমাকে বলো মামনি।।কি হয়েছে তোমাকে কি কেউ কিছু বলেছে
তরীঃ আম্মু তোমাকে একটা কথা বলতে চাই প্লিজ আমাকে ভুল বুঝো নাহ
নেশাঃ কি কথা তরী??
তরীঃ আগে বলো তুমি আমাকে ভুল বুঝবে নাহ।।আমি কথা দিচ্ছি তোমাদের অমতে কিছু করবো নাহ।।
নেশাঃ বাট কথাটি কি তরী
নেশাঃ আমি মেঘ ভাইয়াকে ভালোবাসি
নেশা বড় বড় চোখে তাকালো তরীর দিকে
তরীঃ আমি এই বিয়েটা করতে চাই নাহ আম্মু।।আমি ভাইয়া কে খুব ভালোবাসি।।প্লিজ আমাকে এই বিয়েটা করতে বলো নাহ।।
নেশাঃ বাট এইসব কিভাবে?? আর কখন থেকে
তরীঃ 🥺🤕😭😭
নেশাঃ তরী প্লিজ আমায় সব কিছু খুলে বল আগে।।আমরা ইন্ডিয়া থেকে আসলাম মাত্র কয়েকদিন হলো এর মধ্যে তোদের মাঝে এতোকিছু হয়ে গেল!!!!
তরীঃ আমি ছোট থেকে ভাইয়াকে পছন্দ করতাম🤕।।বাট এখন আই রিয়েলাইজ দেট আই লাভ হিম
নেশাঃ আর মেঘ
তরীঃ 😞
নেশাঃ আমি কিছু জিজ্ঞাসা করছি তরী।।মেঘ ও কি তোমায়???
তরী মাথা নাড়িয়ে নাহ বললো।।কারন মেঘ যে তরীকে পছন্দ করে তা তো কখনো মেঘ বলেনি বরং সে তো উল্টো বর্ষার সাথে
তরীঃ উনি উনার কলেজের কাউকে লাইক করে হয়তো😞
নেশাঃ মমেঘ কি জানে তুই ওকে……
তরীঃ নাহ আম্মু আমি কখনো উনাকে কিছু বলিনি।।কারন উনি তো আমাকে পছন্দ করে নাহ।।বাট আমি যে ভাইয়াকে ভুলতে পারছি নাহ আম্মু।।এখন তুমি বলো আমার কি করা উচিত🥺😞
নেশা কিছু বললো নাহ চুপচাপ রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে ঢুকে গেল।।
তরী নেশার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ফুফিয়ে কেঁদে দিলো।
তরীঃ তুমি ও আমায় ভুল বুঝলে আম্মু।।এই জন্যই আমি মেঘকেও বলতে চাইনাহ।।যদি উনাকে আমার মনের কথা বলি হয়তো উনিও আমাকে ভুল বুঝবে😭
।
।
।
এইদিকে
মেঘঃ তোকে আমার হতেই হবে রে বৃষ্টি তা by hook or by crook।বাট আজ শুধু তোর মনের কথাটা জানতে চেয়েছিলাম।।ভেবেছিলাম ধীরে ধীরে হয়তো আমাকে ভালোবাসতে শুরু করেছিস বাট আই ওয়াস রং। যদি তুই আমাকে ভালোই বাসতি তাহলে এই বিয়ে তে রাজিই হতি নাহ।।বাট তুই তো খুশি খুশি রাজি হয়ে গেলি।।বাট কি করবো বল আমার ভালোবাসা এতোটা ও মহান নয় যে তুই আরেকজনের সাথে সুখে ঘর করবি আর আমি দুর থেকে কষ্ট পাবো।।সেই ছোট থেকে তোকে নিজের করবো বলে স্বপ্ন দেখছি তা কিভাবে পুরন নাহ করি।।এই বিয়ে তো আমি ভেঙেই ছাড়বো।।বাট তারপর।। তোর কি একটু ও শাস্তি পাওয়া উচিত নাহ।।অব্যশই পাবি।।আমাকে ছেড়ে অন্য কাউকে নিয়ে সংসার করার স্বপ্ন দেখার শাস্তি অবশ্যই পাবি
(দুইজনই দুইজনরে পরিক্ষা করতে গিয়ে উল্টো ভুল বুঝে বসে আছে😪)
হঠাৎ আদ্রর গলা পেয়ে মেঘ ঘুরে দাড়ালো।
মেঘঃ তুই এখানে কি করছিস🤨
আদ্রঃ কেন ব্রিজে হাটতে বুঝি তোর একারই মন চায়? আমাদের মন চায় নাহ বুঝি(বাঁকা হেসে)আর তুই তো জানিস তোর যা মনে চায় আমারও তাই মনে চায়।।আমাদের মাঝে তো এক অদ্ভুত মিল আছে তাই নাহ😉
মেঘ কিছু নাহ বলে যেতে নিলো
আদ্রঃ শুনেছি তরীকে নাকি কেউ দেখতে এসেছে
মেঘ ঘুরে দাড়ালো
আদ্রঃ আর সে নাকি তরীকে বিয়ে করবে
মেঘঃ আমি জানি সেটা তুই
আদ্রঃ ওহহ তা ও জেনে গেছিস।। ভালো ভালো।।খুব ভালো।।আচ্ছা শোন আমাদের বিয়ে তে কিন্তু তোর অনেক দায়িত্ব বুঝলি।
মেঘঃ আগে বিয়েটা হোক
আদ্রঃ আরে হবে কি ধরে নে হয়ে গেছে।।
মেঘঃ 😅😅ওকে ধরে নিলাম বৃষ্টির বিয়ে হয়ে গেছে।।বাট তোর সাথে মানতে পারলাম নাহ।
আদ্রঃ কেন রে
মেঘঃ বিকজ তরী ইজ মাই।।তোর এই আসল রুপ যদি সবার সামনে তুলে ধরি তোর মনে হয় ওরা তোর সাথে তরীর বিয়ে দিতে রাজি হবে
আদ্রঃ উফফ মেঘ বোকার মতো কথা বলিস নাহ।।তোকে আগে প্রুভ করতে হবে যে আমি এতো কিছু করেছি।।আর তাছাড়াও প্রেম ভালোবাসায় এতোটুকু জায়ের😉
মেঘঃ প্রেম ভালোবাসা?? লাইক সিরিয়াসলি। এই দুইটা জিনিসের মানে বুঝিস
আদ্রঃ 😅 মেঘ তুই ও নাহ।।নাহ বলতেই সব বুঝে যাস।।তোর সাথে একটু ও মিথ্যা বলা যায় নাহ।।বাট একটা কথা বলি এটা কোন মুভি নাহ যে ভিলেন ২০ জন গুন্ডা সাথে নিয়ে আসবে আর নায়িক একাই সবাইকে মেরে ভর্তা করে দেবে।।তোর আর তরীর গল্পে ভিলেন অনেক পাওয়ারফুল।। আর তাছাড়াও আমাকে কি ভিলেন বলা চলে🤔🤔।।দেখ নিয়ম অনুযায়ী যে নায়িকাকে পায় সেই নায়ক তো আমি যদি তরীকে পাই তো আমি নায়ক।।আর তুই ভিলেন😂।।তো ভিলেন বাবু কি কি প্লেন করছো আমাকে ধ্বংস করার জন্য হুম!!
মেঘঃ তোর অতীত 🙃
আদ্রঃ মমানেহ😕
মেঘঃ আরে ভয় পেলি নাকি।।যাস্ট এতোটুকু শুনেই।।পুরোটা তো এখনো শুনিস ই নি।।ভাবছি যখন পুরোটা শুনবি তখন তোর কি হবে
আদ্রঃ কককিসের ককথা ববলছিস ততুই
মেঘঃ কিছুই নাহ।।এমনি বললাম।।বাট যদি তরীর দিকে হাত বারানোর চেষ্টা করিস তাহলে সব এক্সপোজ করতে বাধ্য হবো মি.আবি বাবু😎
বলেই মেঘ সেখান থেকে বেরিয়ে গেল।
আদ্রঃ হাত তো বারিয়ে ফেলেছি মেঘ।।আর সেই হাত ধ্বংস নাহ করে ফিরবে নাহ।।তুই যাই করিস নাহ কেন।।তাদের ধ্বংস নিশ্চিত।
।
।
।
এইদিকে
নীড় রুমে এসে দেখলো নেশা চুপচাপ বসে কি যেন ভাবছে।
নীড়ঃ কি হলো নেশা বসে আছো কেন??
নেশাঃ তোমাকে একটা কথা বলার ছিলো নীড়
নীড়ঃ কি কথা (নেশার পাশে বসে)
নেশাঃ তরী মেঘকে পছন্দ করে
নীড়ঃ হোয়াট(অবাক হয়ে)
নেশাঃ এখন তুমি বলো কি করা উচিত আমাদের??
নীড়ঃ বাট মেঘে বা তরীর বিহেভে তো কখনো মনে হয়নি যে ওরা একে অন্যকে
নেশাঃ আসলে ঘটনা টা সেটা নাহ।।তরী লাইক করে বাট মেঘ নাহ।।
নীড়ঃ বুঝলাম নাহ!!!
নেশাঃ আসলে তরী লাভস মেঘ।।বাট মেঘ লাভস সামওয়ান আদার।।তরী সেই মেয়েকে অনেক বারই মেঘের সাথে দেখেছে।
নীড়ঃ তো এখন?
নেশাঃ আমি জানি নাহ নীড়।।ও যে আমার মতোই কাজটা করলো।।কিন্তু আমার কাছে তো আপনি ছিলেন তাই আমি নতুন করে সব শুরু করতে পেরেছি।।বাট আদ্র কি ওইরকম হবে🥺
নীড়ঃ নেশা প্লিজ তুমি শান্ত হও।। (নেশাকে জড়িয়ে ধরে)।।দেখো আই থিংক আদ্র আমার থেকে ও বেশি ভালো হবে।।দেখো ও তরীকে খুব ভালোবাসে তার প্রমাণ তো আমরা কয়েকবারই পেয়েছি।।নিজের জীবন বাজি রেখে তরীকে কয়েকবার বাঁচিয়েছে।।আর যদি জানতাম মেঘ ও তরীকে ভালোবাসে তাহলে না হয় কিছু একটা করা যেত।।তুমি তো বলছো মেঘ অন্যকাউকে ভালোবাসে।।তাহলে মেঘকে এই ব্যাপারে জোর করা যায় নাহ।।আর আমি চাই নাহ আমার প্রিন্সেস কে এমন কারো সাথে বিয়ে দিতে যে আমার প্রিন্সেস কে ভালোবাসে নাহ।।
নেশাঃ বাট তরী কি মেনে নিতে পারবে এইসব
নীড়ঃ প্রিন্সেস তো তোমার মেয়ে তাই নাহ।।আর ও তোমার থেকেও স্ট্রং।।সো আই থিংক ও পারবে
নেশাঃ বাট…
নীড়ঃ আর কোন বাট পাট নেই।।তুমি শান্ত থাকো।।আমি সব কিছু হ্যান্ডেল করবো আর অবশ্যই সেটা করবো যেটাতে তরী ভালো থাকবে।।এখন আমার বেগম সাহেবা স্টপ ক্রায়িং।। নাহ হলে কিন্তু বেগম সাহেবার হাজবেন্ড কিন্তু খুব রাগ করবে।(নেশার চোখের পানি মুছে দিয়ে)
নেশাঃ জীবনে পেরেছেন রাগ করতে(বলতেই মুচকি হেসি দিলো। সাথে সাথে চোখ দিয়ে আবার এক ফোঁটা পানি বের হলো)
নীড়ঃ উফফ নেশা এখন কিন্তু মাইর দিবো।।রাগ করিনি বলে যে রাগ করতে পারি নাহ এটা ভাবলে কিন্তু ভুল হবে হুম(আবার মুছে দিলো)
নেশা চোখ বন্ধ নীড়কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।।নীড় ও ধরলো।
নেশাঃ তো দিন।।সব সময় তো ভালোবাসাই দিলেন।।এখন নাহ হয় মাইর ও খেয়ে দেখি
নীড়ঃ তাই নাকি।।তাহলে দেই(বলেই নেশার ঘাড়ে জোরে একটা কামড় দিয়ে দিলো)
নেশাঃ আহহ।।নীড় কি করলেন এটা(নীড়ের থেকে ছাড়িয়ে)
নীড়ঃ কেন মারলাম
নেশাঃ উফ এইটা কে মাইর বলে নাকি।।রাক্ষস একটা (ঘাড় ঘসতে ঘসতে চলে যাচ্ছিলো নীড় কোমড় ধরে টেনে নিজের কাছে টেনে আনলো।।তারপর কামড়ের জায়গায় কয়েকটা কিস করে)
নীড়ঃ রাক্ষস হয় আর ভুত হই।।যাই হই নাহ কেন তোমারই তো হুম
।
।
।
চলবে