ভালোবাসা এমনও হয় Season 2 !! Part- 10
তরীঃ ছিইইইই🤢🤢।।ব্লাক কফি ছিলো এটা ইয়াক🤢
মেঘ আর হাসি কন্ট্রোল করতে পারলো নাহ
মেঘঃ😂😂😂
তরীঃ শয়তান ছেলে সব আমাকে শায়েস্তা করার ধান্দা তাই নাহ😤😤দাড়া তুই।।তোর ফুচকা আজ তোকেই খাওয়াবো। (বলেই মেঘকে জোর করে ধরে ফুচকা খাইয়ে দিতে লাগলো।মেঘ তো ভো দৌড়। পিছন পিছন তরী ও দৌড়।।)
তরীঃ আজ তোর হাড্ডি গুড়া করবো শয়তান ছেলে।।একবার হাতে পাই(দৌড়াতে দৌড়াতে)
মেঘঃ তোর মতো টুনটুনি মেয়ে আমাকে ধরতে ও পারবি নাহ (বলেই হাসতে লাগলো)
মেঘ রেস্টুরেন্ট এর টেবিলের এইপাশ থেকে ওইপাশ এ যাচ্ছে আর তরী তার পিছন পিছন।।সবাই হা করে তাদের কান্ড দেখছে।।দুইজন মিলে রেস্টুরেন্ট কে ময়দান বানিয়ে দিয়েছে যে।।
ম্যানেজার এসে তাদের থামালো।দুইজনেরই হুস আসলো।।চারপাশে য়াকিয়ে দেখলো রেস্টুরেন্টে যতো লোক আছে তারা হা করে দেখছে তাদের।
তাদের দিকে তাকিয়ে নিজেদের দিকে তাকাতেই ফিক করে হেসে দিলো মেঘ আর তরী।
মেঘঃ আর দৌড়ানো লাগবে নাহ।।গিয়ে বস।
তরী গিয়ে চুপচাপ বসে পড়লো।।মেঘ ও পাশে বসলো।
একটু পর ওয়েটার এসে আইসক্রিম দিয়ে গেল
তরীঃ 🙄
মেঘঃ ভেবেছিলাম ঝাল খাওয়ার পর আইসক্রিম দিয়ে ঠান্ডা করবো।তুই যে উল্টো আমার উপরই হামলা করবি তা কে জানতো😶
তরীঃ 😆😆😅
মেঘঃ এখন আইসক্রিম টা খেয়ে আমাকে উদ্ধার করুন।। বাড়িতে ফিরতে হবে। অনেক দেরি হয়ে গেছে।
তরীঃ তুমি খাবে নাহ
মেঘঃ নো মেম।।আপনিই খান।
তরী চুপচাপ দুই চামচ খেয়ে মেঘের দিজে চামচ ধরলো
মেঘঃ 🤨
তরীঃ নাহ খেলে খাবো নাহ
মেঘঃ তাই নাকি।।তাহলে নাই খাও😁
তরীঃ কি সেল্ফিস তুমি।।আমি নাহ খেলে বুঝি এরা রাগ করবে নাহ
মেঘঃ কারা?
তরীঃ এই যে আইসক্রিম গুলা।।আর তুমি বলছো নাহ খেতে। ভাবলাম আমি যদি বলি তুমি নাহ খেলে আমি খাবো নাহ বললে তুমি খেয়ে নিবে আর উল্টো তুমি বলছো খাওয়া লাগবে নাহ।।ধুর খাবোই নাহ।।(বলেই উঠে যেতে চাইলো মেঘ হাত টেনে বসিয়ে দিলো)
মেঘঃ তুই কি বড় হবি নাহ নাকি 😅চুপচাপ বসে এটা ফিনিশ কর
তরী কিছু নাহ বলে গাল ফুলিয়ে বসে আছে
মেঘঃ কি হলো আবার।।দেখ ফুচকা গুলো তো খেলি নাহ এটা তো খা
তরী তবুও কিছু বললো নাহ।।
মেঘ হেসে নিজে বাটি থেকে রক চামচ খেয়ে নিলো
মেঘঃ নে খেয়েছি।।এইবার হয়েছে।।
তরীঃ হুম (আইসক্রিমের বাটি টা হাতে নিতে গিয়ে)
মেঘঃ আমি খাইয়ে দেই
তরী আহ্লাদী চোখে তাকালো
মেঘ বাটি টা হাতে নিয়ে তরীকে খাইয়ে দিতে লাগলো।নাট তরী একটু ও মজা পাচ্ছে নাহ।।কারন এতো কিছুর মধ্যে আইসক্রিম প্রায় গলেই গেছে।।তবুও মেঘ খাইয়ে দিচ্ছে বলে চুপচাপ খেয়ে নিলো।
এইভাবেই দিন কাটতে লাগলো।।মেঘ প্রতিদিন তরীকে কলেজে নিয়ে যায় আর কলেজ থেকে নিয়ে আসে।।এর মাঝে আদ্র প্যাচ লাগায় বাট মেঘ সামলে নেয়।
একদিন
তরীর ক্লাস শেষ বাট মেঘের লেট হবে।তাই তরীকে গাড়িতে লক করে রেখে গেছে।কারন যেইদিনের মতো যদি তরী আবার আদ্রর সাথে চলে যায়।।আর সেই রিস্ক নিতে চায় নাহ মেঘ।
।
মেঘ মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করছিলো।হঠাৎ এক বিকট শব্দ শুনতে পেল সবাউ।দৌড়ে ক্লাস রেখে সবাই বাইরে গেল।কলেজ ক্যাম্পাসের পাশে পার্কিং এড়িয়া তে তাকাতেই সবায় ভয়ে শিউরে উঠলো।।পার্কিং এড়িয়া তে আগুন জ্বলছে দাউ দাউ করে।সবাই কলেজের ভিতরে থেকে বাইরে এলো।।ফায়ার সার্ভিস কে ফোন করা হলো আগুন নিভানোর জন্য।।।ফায়ার সার্ভিস এসে তাদের কাজে লেগে গেল।হঠাৎ মেঘের মনে পরলো যে তরী গাড়িতে।।সব কিছু ছেড়েছুড়ে পার্কিং এড়িয়ে তে ঢুকতে যাবে রোহান আটকালো।
রোহানঃ কি করছিস তুই।।ওখানে কোথায় যাচ্ছিস
মেঘঃ ররোহান বৃষ্টি গাড়িতে।।
রোহানঃ আরে হয়তো আগুন দেখে বাইরে বেরিয়া গেছে এতোক্ষণে
মেঘঃ ও বের হতে পারবে নাহ।। আমি গাড়ি বাইরে দিয়ে লক করে গিয়েছিলান।।যাতে ও বের হতে নাহ পারে।নিশ্চয়ই ও ভিতরে আটকে গেছে।।আমাকে যেতে হবে(রোহানের থেকে ছুটিয়ে)
রোহানঃ আরে পাগল হয়ে গেছিস তুই।।তুই এতো আগুনের ভিতরে কিভাবে যাবি।
মেঘঃ তো আমি কি এখানে বসে বসে দেখবো
রোহানঃ তুই ওয়েট কর।। আমি ফায়ার সার্ভিসের লোকদের বলছি(বলেই তার ফ্রেন্ডদের ইশারা করলো মেঘকে ধরে রাখার জন্য।।কারিন তার একার পক্ষে মেঘকে ধরে রাখা সম্ভব নাহ।
মেঘঃ দেখ তোরা কেউ বুঝতে পারছিস নাহ।।বৃষ্টি হয়তো আমাকে ডাকছে।।আমাকে প্লিজ যেতে দে।(বলেই ফুফিয়ে কেঁদে উঠে)
সবাই অবাক হয়ে দেখছে মেঘের এই অবস্থা কারন এই মেঘ তাদের কাছে অচেনা।।
একটুপর রোহান এলো
রোহানঃ ডোন্ট ওয়ারি মেঘ।।তরীকে ভিতরে যে গাড়িগুলো ছিলো সেগুলোর ভিতরে পাওয়া যায়নি
মেঘঃ তাহলে
রোহানঃ হয়তো বাইরে বেরিয়ে গেছে।।চল খুঁজে দেখি।
মেঘ আর রোহান খুঁজতে যাবে তখনই শুনতে পেক ফায়ার সার্ভিসের লোকরা বলাবলি করছে গাড়িয়ে বোম ফিট করা ছিলো।।হয়তো তাই ব্লাস্ট করেছে।
কথাটা শুনে মেঘের মনটা ধক করে উঠল
মেঘঃ আচ্ছা কোন গাড়িটা ব্লাস্ট হয়েছে যানা গেছে
রোহানঃ আরে তুই আবার গাড়ি নিয়ে পড়লি কেন
লোকটিঃ তাতো বুঝা যায়নি কোন গাড়ি টা ব্লাস্ট হয়েছে কারম পুড়ো গাড়িটাই জ্বলে গেছে।।বাট বাক গাড়ি গুলো ওতোটা ক্ষতি হয়নি।।তাই অন্য গাড়ি গুলা আইডেন্টিফাই করলেই বুঝা যাবে কোন গাড়িটা ব্লাস্ট হয়েছে।।বাট যতোদূর মনে হয় সামনের গাড়িটাই ব্লাস্ট হয়ে আগুন লাগে।।যার কারন পিছনে থাকা গাড়িগুলো বেশি ক্ষতি হয়নি।
কথাটা শুনেই মেঘ স্থীর হয়ে গেল।।কারন তার যতোদূর মনে আছে তরীকে লক করার সময় তার গাড়িই সামনে ছিলো।।
ইতিমধ্যে আগুন নিভানো হয়ে গেছে।।বেশি ছড়াতে পারেনি আগুনটা কারন কলেজ প্রায় ছুটি হয়ে গেছিলো তাই পার্কিং প্রায় ফাঁকা ছিলো।।আগুন নিভানোর পরই মেঘ ভিতরে ঢুকে গেল।।যে গাড়িগুলো অক্ষত আছে সব গুলা চেক করলো বাট নিজের গাড়িটা পেল নাহ।
তারপর যাদের যাদের গাড়ি ছিলো তারা এসে দেখলো সবার গাড়িই পাওয়া গেছে।শুধু মেঘের টা ছাড়া।।তাই সবাই ভাবছে মেঘের গাড়িটাই ব্লাস্ট হয়েছে।।।
এইদিকে আগুন লাগার কথা শুনে নীড় আর ইশান ছুটে আসে কলেজে।।এসেই দেখে মেঘ হাটু গেড়ে বসে ধ্বংসবাশেষ গাড়ির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।।এইভাবে মেঘকে দেখেই নীড় আর ইশান দৌড়ে তার কাছে গেল।।
নীড়ঃ মেঘ তরী কোথায়।।মেঘ(মেঘকে ঝাকি দিয়ে)
মেঘ কোন জবাব দিলো নাহ
ইশানঃ এই মেঘ কথা বলছিস নাহ কেন।(হঠাৎ ইশান রোহানকে দেখলো)
ইশানঃ রোহান মেঘ এর কি হয়েছে আর তরী কোথায়
রোহানঃ আসলে…😔
ইশানঃ কি হয়েছে বলো
রোহানঃ আসলে তরী গাড়িতে ছিলো।।আর ওই গাড়িটাই ব্লাস্ট হয়েছে
কথাটা শুনে নীড় ও একটু পিছিয়ে গেল।।ধাক্কাটা খুব জোরেই লেগেছে।।।
মেঘঃ আমি বাঁচাতে পারলাম নাহ বৃষ্টি তোমায়।।অন্যের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে আমি নিজেই তোমার ক্ষতি করে ফেললাম।।(কেঁদে দিয়ে)
আল্লাহ সকাল ৭ টায় কলেজে ভর্তি হইতে ঢাকা আসছি।।এখন কলেজে বইসা বইসা গল্প লিখতাছি।।কেউ ছোট বললে খবর আছে😒