ভালোবাসা এমনও হয় Season 2 !! Part- 09
তরী ক্লাস শেষ হয়ে গেছে।বাট মেঘের একটা ক্লাস বাকি আছে।।তাই তরীকে অপেক্ষা করতে বলে মেঘ ক্লাসে চলে গেল। তরী গাড়ির দরজা খুলে সিটে বসে বাইরের দিকে পা বের করে বসে মোবাইল এ গেমস খেলতে লাগলো।।
তখন আদ্র এসে পাশে দাড়ায়।।আদ্র কে দেখে তরী মুখ উঠিয়ে তাকায়
আদ্রঃ হেই তরী কেমন আছো?
তরীঃ ভালো আপনি
আদ্রঃ আমি ও ভালো।তা এখানে কি করছো?
তরীঃ আসলে মেঘ ভাইয়ার ক্লাস আছে তাই আমাকে ওয়েট করতে বলেছে।।আপনার ক্লাস নেই
আদ্রঃ আমি তো অন্য সেজশনের তাই আমার এখন ক্লাস নেই
তরীঃ ওহহ(বলেই আবার খেয়াল মনোযোগ দিলো)
আদ্রঃ আচ্ছা চলো আমরা কোথায় হেটে আসি
তরীঃ মানে??
আদ্রঃ মেঘের আসতে তো একটু লেট হবে।।একা একা বোর হবে।।।।চলো আমরা বরং একটু সামনের দিকে হেটে আসি
তরীঃ নাহ ভাইয়া ইটস ওকে।।আমি এখানেই ঠিক আছি
আদ্রঃ তুমি কি আমাকে ভয় পাচ্ছো??তোমার কি মনে হচ্ছে আমি তোমাকে কিডনাপ করবো🙄
তরীঃ নাহ নাহ কি বলছেন এসব।।আপনাকে কেন ভয় পাবো।।আপনিই তো আমার জীবন বাঁচালেন কাল।।আপনি না থাকলে কাল কি যে হতো।।😑😑
আদ্রঃ তাহলে এখন আমার সাথে যেতে চাইছো নাহ কেন।।শুধু সামনের একটুই যাবো।।তারপর মেঘ আসলে ফিরে এসো
তরীঃ বাট
আদ্রঃ আচ্ছা যাস্ট ফুচকার দোকান পর্যন্ত চলো।।ফুচকা খেয়ে চলে এসো
তরীঃ কিন্তু ভাইয়া কলেজের বাইরে যেতে নাহ করেছে
আদ্রঃ মেঘ আসার আগেই ফিরে আসবো।।আর আর রাস্তার পাশেই তো।।যাবো আর আসবো।
তরীঃ ওকে চলুন
তরী আদ্রর সাথে কলেজের গেইটের বাইরে ফুচকা খেতে গেল।।.প্রায় পাশেই।।রাস্তার এপাশে কলেজ আর ওপাশে ফুচকার দোকান।।
তরী বরাবরই ফুচকা পাগলি।ইন্ডিয়া তে ফ্রেন্ডদের সাথে কম্পিটিশন লাগিয়ে ৪-৫ প্লেট খেয়ে ফেলতো।
তাই লোভ সামলাতে পারলো নাহ।।এক প্লেট খেয়ে আরেক পকেট অর্ডার দিলো।
আদ্রঃ বাহ তুমি তো দেখি ভালো ফুচকা খেতে পারো।।
তরী তাকিয়ে হেসে দিলো
আদ্রঃ তরী
তরীঃ হ্যা??
আদ্রঃ ইউর লিপস(আঙুল দিয়ে ইশারা করে)
তরীঃ কেন কি হয়েছে?(ঠোঁট মুছে)
আদ্রঃ লাল হয়ে গেছ
তরীঃ আসলে ফুচকা গুলো খুব জাল ছি……
বলার আগেই কেউ তরীর হাত ধরে টান দিয়ে নিজের দিকে ঘুরলো
তরী হা করে তাকিয়ে আছে কারন লোকটা আর কেউ নাহ মেঘ।।তাও রাগি চোখে।।
।
আসলে ক্লাস শেষ করে মেঘ বেরিয়ে দেখে তরী গাড়িতে নেই।।তারউপর নিজের ফোনটাও মেঘের গাড়িতেই রেখে এসেছে।।যার কারনে মেঘ অনেক ভয় পেয়ে গেছিলো।।আর তরীকে রাস্তায় ফুচকা খেতে দেখে শান্তি পেলেও রাগ উঠে গেল।।কারন মেঘ তরীকে বলেছিলো কলেজ থেকে তাকে ছাড়া একা নাহ বেরোতে।।
তারপর দুর থেকে দেখলো আদ্রর সাথে ফুচকা খাচ্ছে যা দেখে আরো রাগ বেরে গেল।।আবার দেখলো আদ্র তরীর ঠোঁটের দিকে ইশারা করে কি যেন বলছে।।তা দেখে মেঘের মাথা আউট অফ কন্ট্রোল হয়ে গেছে।কি বলেছে তা শুনেনি।।বাট আদ্র কেন তরীর ঠোঁটের দিকে তা নিয়ে রেগে আগুন হয়ে আছে
।
মেঘঃ লেটস গো😡
বলেই তরীর হাত ধরে টেনে নিয়ে গাড়ির সামনে দাড়ালো।
আদ্র তাদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসলো।।এটাই তো চেয়েছিলো আদ্র।।তার সাথে তরীকে দেখলে মেঘ যে রেগে যাবে তার জন্যই তো তার এতো প্লেন
আদ্রঃ যাও মেঘ বাবু যাও।।সব রাগ গিয়ে তরীর উপর দেখাও।।তাহলেই তো তোমাদের আলাদা করতে সুবিধা হবে
।
।
এইদিকে
মেঘ তরীকে নিয়ে গাড়িতে বসে চুপচাপ হয়ে আছে।।নাহ গাড়ি চালাচ্ছে আর নাহ কিছু বলছে।।তরী ও ভয়ে কিছু বলছে নাহ।।
কিছুক্ষণ পর মেঘই মুখ খুললো
মেঘঃ কেন গিয়েছিলে ওখানে(গম্ভীর গলায়)
তরীঃ আসলে আদ্র ভাইয়া অনেক বার বলছিলো তাই আমি মানে আমি রাজি
মেঘঃ (চেচিয়ে) ও অনেকবার বলেছে তার দাম আছে আর আমি যে বলেছি তার কোন দাম নেই😤
তরী ভয় পেয়ে গেলো।।
তরীঃ দদদাম থথাকবে ননহা কেন।।আসলে উনি বলছিলো যাবে আর আসবে।।তাই আমিও রাজি হয়ে গেছিলাম
মেঘঃ আর আমি যে একা কলেজ থেকে বের হতে নাহ করলাম ওটা
তরীঃ আমি একা কই ছিলাম।।আদ্র ভাইয়া তো ছিলো
মেঘঃ তু😤(বলতে গিয়ে নিজেকে শান্ত করলো)(মাথা ঠান্ডা করে)যদি ও তোমার ক্ষতি করে দিত
তরীঃ উনিই তো আমাকে কাল বাচালেন উনি কেন আমার ক্ষতি করতে যাবে।🙄
তরীর এই কথা শুনে মেঘ কিছু বলতে গিয়ে ও থেমে গেল।।
দীর্ঘশ্বাস নিয়ে গাড়ি চালানো শুরু করলো।তরী ও আর কথা বাড়ালো নাহ।
মেঘঃ কাল থেকে যেন এমনটা নাহ দেখি।।শুধু আমার সাথে বাইরে যাবে।।আর কারো সাথে নাহ।।(ড্রাইভ করতে করতে)
তরীঃ ককেন?
মেঘ তরীকে একটা লুক দিয়ে আবার গাড়ি চালানোতে মনোযোগ দিলো।
যার অর্থ এই গাড়ি চালাচ্ছি বলে থাপ্পড় দিলাম নাহ তোমার গালে।
তরী চুপ হয়ে গেল আবার।।
মেঘঃ ওই সময় আদ্র তোমার লিপস এর দিকে কি ইশারা করছিলো??
তরীঃ 🙄😳😳
মেঘঃ এমন লুক দেয়ার কারন কি
তরীঃ তুমি এটা ও খেয়াল করেছো🤔
মেঘঃ হু।।যা জিজ্ঞাসা করেছি তার উত্তর দাও
তরী খেয়াল করলো অনেক্ষন ধরেই মেঘ তাকে তুমি করে বলছে।
তরীঃ ব্যাপার টা কি হলো।।ভাইয়া কি সত্যি আমাকে তুমি করে বলছে নাকি আবার সকালের কিস এর মতো স্বপ্ন দেখছি🙄(ভেবেই তরী হাতে একটা চিমটি দিলো।।বাট নিজের হাতে নাহ।।steering এর উপর রাখা মেঘের হাতের উপর তাও আবার অনেক জোরে।
মেঘঃ হোয়াট আর ইউ ডুয়িং (বলেই জোরে ব্রেক মারলো)
তরীঃ 😶😶😶
মেঘঃ বাচ্চা মেয়েদের মিতো চিমটি দিচ্ছিস কেন
তরীঃ ওহহ থেংক গড।।তারমানে আমি এতোক্ষণ স্বপ্নই দেখছিলাম
মেঘঃ মানে🤨কি বলতে চাইছিস
তরীঃ আরে এতোক্ষন নাহ তোমাকে তুমি বলতে শুনেছি।।
মেঘঃ বুঝলাম নাহ🤔
তরীঃ উফফ।।আরে দেখো তুমি কি আমার জন্মের পর থেকে কখনো তুমি বলেছো।।সব সময় তো তুই করেই বলছো।।বাট আজ খালি মনে হচ্ছে তুমি আমাকে তুমি করে বলছো।।তাই চিমটি দিয়ে দেখলাম সত্যি কিনা।
মেঘঃ তো কি দেখলি চিমটি দিয়ে
তরীঃ অবশ্যই স্বপ্ন দেখছিলাম।।কারন দেখো তুমি তো আমাকে তুই করেই বলছো এখন
মেঘঃ 😬😬😬😬
তরীঃ কি হলো আমি কি ভুল বললাম🙄
মেঘঃ নাহ বইন তুই ভুল কেন বলবি।।এখন চুপ থাক আমাকে ড্রাইভ করতে দে
তরীঃ 😒
মেঘঃ ওয়েট তোকে কি যেন জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমি🤔🤔
তরীঃ 🙄
মেঘঃ ইয়াহ রিমেম্বার।। তোর লিপস এর দিকে আদ্র কি দেখাচ্ছিলো
তরীঃআসলে ফুচকা গুলো অনেক ঝাল ছিলো তাই ঠোঁট লাল হয়ে গেছিলো।।ওইটাই বলছিলো ভাইয়া
মেঘঃ ফুচকা খেলে ঠোঁট লাল হয়ে যায়🙄
তরীঃ ঝাল ছিলো তাই
মেঘঃ তো খেতে কে বলেছিলো এতো স্পাইসি ছিলো যখন।।😠
তরীঃ আরে ফুচকা তো ঝালই খায়😒।
মেঘঃ 😒🤢
তরীঃ এমন রিয়েকশন দেয়ার কারন কি
মেঘঃ একে তো রাস্তার পাশের নোংরা পরিবেশে বানায়।।তারউপর এতো ঝাল।।অসুস্থ হলে পরে মজা বুঝবি
তরীঃ এগুলো খেলে কেউ অসুস্থ হয় নাহ ওকে।।আর খেতে অনেক টেস্টি হুহ😒
মেঘঃ 🤮🤮
তরীঃ 😳😕।।তুমি কি ফুচকা খাওনি কখনো
মেঘঃ ছি।।এইসব কে খায়🤮
তরীঃ হায় হায় তুমি এখনো ফুচকা খাওনি।।কি বলে তুমি কি বাংলাদেশ এ থাকো🙄
মেঘঃ ফুচকা খাওয়ার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কি
তরীঃ অবশ্যই সম্পর্ক আছে।।বাংলাদেশের এমন কোন মানুষ নেই যারা ফুচকা খায়নি
মেঘঃ তা কেন
তরীঃ এটা খেতেই হয় তাই
মেঘঃ কেন খেতেই হয়
তরীঃ উফফ তোমাকে বুঝানোই বেকার। বাদ দাও।।বাড়ি যাবো।।ক্ষুধা লেগেছে।।ফুচকা গুলো ও তো খেতে দিলে নাহ😒
মেঘঃ এক প্লেট তো খেয়ে ফেললে গপাগপ দেখলাম
তরীঃ এক প্লেটে পেটের কোনা ও ভরে নি।।হুহ
মেঘঃ ওকে তো চলো আজ তোমাকে ফুচকা খাওয়াই
তরীঃ সত্যি তাহলে গাড়ি বেক করুন
মেঘঃ গাড়ি বেক করবো কেন
তরীঃ তো ফুচকা খাওয়াবেন নাহ
মেঘঃ হ্যা বাট সামনে একটা রেস্টুরেন্ট আছে ওইখান থেকে।।এই নোংরা পরিবেশে ফুচকা খাওয়া যাবে৷ নাহ।।
তরীঃ (মনে মনে) যেখানে খুশি নিয়ে যাক।।খাওয়ানো টা হলো কথা😋😋।
মেঘ তরীকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে এ গেল।
তরীঃ আচ্ছা এখানে কি ফুচকা পাওয়া যাবে
মেঘঃ জি ম্যাডাম পাওয়া যাবে।।
তরীঃ তো অর্ডার করুন
মেঘঃ ওয়েট আমি অর্ডার করে আসছি
তরীঃ যাওয়ার দরকার কি এখান থেকেই(তরীর কথা নাহ শুনেই মেঘ চলে গেল)।।আড়ে আড়ে চলে গেল
।
একটুপর মেঘ এসে চেয়ারে বসলো।
মেঘঃ কি হলো আবার মুখ ফুলিয়ে বসে আছিস কেন?
তরীঃ কিছু নাহ।।ফুচকা কোথায়
মেঘঃ আসতে বাবা ওয়েট কর।।একটু টাইম তো দে রাক্ষসী 😒
তরীঃ 😏😏😏
।
একটু পর ওয়েটার ফুচকা নিয়ে আসলো।আর মেঘকে একটা কফি দিয়ে গেল।
তরী হা করে তাকিয়ে আছে মেঘের দিকে।।কারন এক প্লেট টা মিনিমাম ১০ প্লেট ফুচকা দিয়ে গেছে লোকেরা প্রতেকটায় ২০ টা করে।তরী বড়বড় করে মেঘেএ দিয়ে তাকিয়ে আছে।
মেঘঃ কি হলো শুরু কর(কফি হাতে নিতে নিতে)
তরীঃ এত্তোগুলা কে খাবে😕😟
মেঘঃ কেন তুই 😎
তরীঃ মানে কি পাগল হয়ে গেছো তুমি।।এত্তোগুলা কিভাবে খাবো
মেঘঃ কেন যেভাবে আদ্রর সামনে খাচ্ছিলি সেভাবে
তরীঃ বাট এত্তোগুলা😵
মেঘঃ কেন কম পরলো বুঝি
তরীঃ 😳😳
মেঘঃ স্টার্ট কর।।আজ এগুলো সব ফিনিশ নাহ করে তুই উঠতে পারবি নাহ।।এটাই তোর পানিশমেন্ট
তরীঃ কিসের পানিশমেন্ট
মেঘঃ এই যে আমাকে নাহ বলে কলেজ থেকে বেরিয়ে ফুচকা খেতে গিয়েছিস।।এটার পানিশমেন্ট।। তোকে গাড়িতে নাহ দেখতে পেয়ে কতোটা ভয় পেয়ে গেছিলাম জানিস।আর তুই কিনা এইসব ষ্টুপিড খাবার খাচ্ছিস(নাক ফুলিয়ে) তাই ভাবলাম বকা বকি নাহ করে ফুচকা দিয়েই পানিশমেন্ট দেই
তরী বিরবির করে কিছু বলে দিলো
মেঘঃ আমাকে বকতে বলিনি।।এগুলো ফিনিশ করতে বলেছি।।নাহ খাওয়া পর্যন্ত কিন্তু বাড়ি যাওয়া যাবে নাহ
তরী ঠোঁট উল্টিয়ে গোলগোল চোখে মেঘের দিকে তাকালো।।যাতে মেঘের একটু মায়া হয় তার উপর।
তরীর ফেস দেখে মেঘ হেসে দিলো।
মেঘঃ আমার দিকে বাচ্চাদের মতো তাকাতে বলিনি।।চুপচাপ এগুলা খা।।তোর এই বাচ্চা ফেস দেখে আমার মায়া লাগবে নাহ😎
তরীঃ মেঘকে একশো টা গালি দিতে দিতে খাওয়ার জন্য প্রথম প্লেট থেকে একটা ফুচকা নিয়ে মুখে পুরে নিলো।
মুখে দিয়েই চোখ বড় বড় করে আবার মেঘের দিকে তাকালো
মেঘঃ হোয়াট?
কোন মতো মুখের টা গিলে মেঘের দিকে আবার তাকালো
তরীঃ এতো ঝাল কেউ খায়।।মুখ পুড়ে যাবে আমার🥵🥵এই ওয়েটার কে বলুন এগুলো পাল্টে দিতে
মেঘঃ পাল্টাবে কেন।।আমিই বলেছি ঝাল দিতে।।তখন তো আদ্রর সাথে ভালোই ঝাল খাচ্ছিলি।।তো এখন খেতে প্রবলেম কি😁
তরীঃ তাই বলে এতো ঝাল(অবাক হয়ে)
মেঘঃ আরে কিছু হবে নাহ।।আর বেশি ঝাল হলেই তো ঠোঁট বেশি লাল হবে।।আমিও দেখি ঠোঁট লাল হয়ে গেল তোকে কেমন দেখতে লাগে(বলেই জোর করে তরীর মুখে আরেকটা ফুচকা ঢুকিয়ে দিলো)
তরী নাহ পেরেই গিলে নিলো।পানি খেতে যাবে দেখে পানি ও অর্ডার দেয়নি মেঘ।তরী ভালোই বুঝতে পারলো সব তাকে জালানোর জন্য।
রাগে কটমট করতে করতে মেঘের দিকে তাকালো
মেঘঃ বাহ তোর তক পুরো ফেসই লাল হয়ে গেছে।।নট বেট
তরীঃ 😡😡(রাগি চোখে মেঘের হাতের কফিটা নিয়ে নিলো)
মেঘঃ আরে এটা আমার কফি
তরীঃ তো আমার বাপের কি(বলেই কফিটা মুখে নিলো)
দেয়ার সাথে সাথেই পুরুত করে ফেলে দিলো।।কারন কফিটা ছিলো ব্লাক কফি।।আর মেঘ ভালো করেই জানতো পানি নাহ পেলে মেঘের কফির উপর হামলা করবে তরী।। তাই আরো এক্সট্রা কফি এড করতে বলেছে মেঘ।
তরীঃ ছিইইইই🤢🤢।।ব্লাক কফি ছিলো এটা ইয়াক🤢
মেঘ আর হাসি কন্ট্রোল করতে পারলো নাহ
মেঘঃ😂😂😂
।
।
চলবে