বস বয়ফ্রেন্ড Season-4

বস বয়ফ্রেন্ড Season-4 ! পর্ব- ৬

রাদ- গিটার টা নিয়ে বসলাম।
এত কাজের মাঝে ত আমি সেই সুর টা ভুলেই
গিয়েছিলাম।
চোখ বন্ধ করে বাজানোর চেস্টা করলাম।
হচ্ছে না কিছুতেই।তাই খুব বিরক্ত লাগছে

পরেরদিন-

রাদ- অফিসে গেলাম।
সবাই আছে কিন্তু আদর কই? ? already এখন 9:02
am.
আদর- অফিসে এসে টেবিল এ বসার আগেই
জল্লাদ এর ডাক ( এখন জংলি থেকে তার
নাম দিয়েছি mister জল্লাদ)

জি স্যার।

আদর- 9:03. am.
রাদ- অফিস টাইম কয়টায়? ?

আদর- মাথা নিচু করে ৯ টায়।
কিন্তু স্যার মাত্র ৩ মিনিট ই ত লেট হয়েছি।
রাদ- ৩ মিনিট হক আর ১মিনিট । লেট ত লেট
ই।

আদর- ( মারিফালা কেউ। আল্লাহ দরি
ফালাও না কেন??? )

সরি স্যার।
আর হবেনা।

রাদ-
im giving u first and last warning.
remember that.
.
আদর- yes sir.
sorry again.
আহিল- স্যার s&D company র mr.dennial এর
পি.এ সোফি এসেছে আপনার সাথে দেখা
করতে।

রাদ- ওকে পাঠিয়ে দেও।

সোফি- স্যার আপনার সাথে কথা ছিল।

রাদ- how can i hlp u.
আদর তুমি এখন যাও।

আদর- জল্লাদ একটা ৩ মিনিট লেট কোনো
লেট হল।
আজাইরা।
এনা- কি হয়েছে । কি বিড় বিড় করছ??

আদর- তোমরা এই জল্লাদ এর সাথে কাজ
কিভাবে করো বলত।

এনা- কিছু করার নেই।

আদর- আমার ফোন এসেছে তোমার সাথে
পরে কথা বলছি।( ফোনে)
হ্যা নিরব বল।
:
আরে কি বলিস এইসব।
তুই জানিস না এখন আসা আমার পক্ষে সম্ভব
না।
তুই না জেনে কাজ টা করলি কিভাবে বলত।
এখন কি করে আসব??তুই আমাকে না বলে নাম
দিলি কেন? ??
আচ্ছা আমি দেখছি কি করা যায়।
আচ্ছা আমি কিন্তু বেশি ক্ষন থাকতে পারব
না।( কিছু জিনিস এইখানে উহ্য আছে। আস্তে
আস্তে জানতে পারবেন।
সব এখনি বলে দিলে কিভাবে হবে।)

আদর- উফফ এটা ত ভেজাল হয়ে গেল।
স্যার এর রুমে যেয়ে দেখি ছুটি দেয় কিনা।
রুমে যাওয়া র আগেই দেখি স্যার বের হল।
আহিল কে ডেকে কি যেন বলে ওই টাক মাথা
মানে ড্যানি কে নিয়ে চলে
গেল।
আদর – আহিল স্যার।
স্যার কোথায় গেল ওই সোফির সাথে।

আহিল- স্যার কিছু ক্লিয়ার করে বলেনি
আমাকে।

আদর- স্যার আপনার কাছে একটা রিকোয়েস্ট
ছিল।

আহিল- হ্যা বল।

আদর- স্যার আমার আর্জেন্টলি বাইরে যেতে
হবে।
একটা কাজ আছে।
আমি বেশি টাইম লাগাবোনা
যাব আর আসব।
প্লিজ স্যার।
যেতে দিন।
আর রাদ স্যার ও ত এখন নেই।

আহিল- বেশি টাইম নিবে না ত।

আদর- না। না।

আহিল- ওকে যাও।

আদর- থাক্স।
বলে বেরিয়ে এলাম।
সাইকেল নিয়ে সোজা নিরব এর বলা ঠিকানা
তে চলে গেলাম।

কাজ শেষ করে বের হয়ে
অফিসের দিকে ছুটলাম।
আল্লাহ আল্লাহ করছি যাতে স্যার এর আগে
অফিসে যেতে পারি।

ভাবতে ভাবতে সাইকেল চালাচ্ছিলাম।
হঠাত করে সামনে দেখি রেড সিগনাল।
আমি সাইকেল থামাতে থামাতেই সামনের
গাড়ি র সাথে খেলাম ধাক্কা।
আর পরে গেলাম।
হাতে খুব ব্যথা পেলাম।
হাত ছিলেও গেল অনেক খানি
ছোট বেলা থেকেই কাটা ছিলা রক্ত আমার
খুব ভয় লাগে।
রক্ত দেখেই আমার অবস্থা টাইট।

ড্যানি- এই কে রে ধাক্কা দিল।
সামনে নে যেয়ে দেখি আরে আদর ম্যাম।
আপনি? ??
ওরে আপনার ত অনেক খানি কেটে গেছে।

রাদ- আদর!! এখন! ! অফিস টাইমে ও এইখানে??
গাড়ি থেকে নামলাম।
সামনে যেয়ে দেখি হাত অনেক খানি কেটে
গেছে।

আদর- ( যেখানে বাঘের ভয় সেখানেইই
সন্ধ্যা হয়।
কথা টা একেবারে যে সত্যি সেটা এখন
বুঝলাম।
)
আমি মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছি।

রাদ- তোমার হাত ত অনেক খানি কেটে
গেছে।
গাড়ি তে বসো।

আদর- না স্যার লাগবেনা।

রাদ- আমি বলছিত গাড়ি তে বসতে।

আদর- জি।

রাদ- ড্যানি ওর সাইকেল টা নিয়ে আসো।

ড্যানি- yes sir.

রাদ- ড্রাইভার first aid box টা দেও।
আমি ওর হাতে স্যাভলন লাগাতেই…

আদর- আম্মুউউউউউউউ!!!!!

রাদ- shut up.আমার কানে তালা লেগে
গেলো।

তুমি কি বাচ্চা? ? এত টুকু জ্বলা সহ্য করতে
পারো না? ?

আদর- sorry sir.আসলে ছোট বেলা থেকে……

রাদ- কথা শেষ করার আগেই বললাম- এখন আর
ছোট নেই।
কথা বলতে বলতে ব্যান্ডস করে দিলাম।

গাড়ি অফিস এর সামনে থামল।

রাদ- গাড়ি থেকে নামলাম।

আদর- আমি স্যার এর পিছন পিছন গেলাম।
স্যার লিফট এ ঢুকে দাড়িয়ে আছে।

রাদ- এখন কি লিফট এ ঢুকার জন্য invitation
card দিতে হবে? ?

আদর- না স্যার।
লিফট এ ঢুকলাম।
( উনাকে চিনা খুব মুসকিল হয়ে দাড়িয়েছে।
এত রাগি তাও আমার হেল্প ও করল।)

রাদ- অফিসে ঢুকলাম।
আদর come to my cabin.
.
আদর- স্যার এর পিছে পিছে কেবিন এ
গেলাম।

আহিল- খাইছেরে।
আদর স্যার এর সাথে কিভাবে? ?
আজ ওর ও জব যাবে সাথে আমার ও।

রাদ- can u explain me what were u doing
outside in office time??
.
আদর-( কি বলি এখন! !???
)
মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছি।

রাদ- speak out!!!
.
আদর- হঠাত হাতের ঘড়ি র দিকে চোখ
গেলো।
১:৩০pm .মানে এখন ত lunch time.
স্যার আসলে এখন ত lunch time.
তাই ভাবলাম বাইরে যাই।

রাদ- তা ওই খানে! !!”??

আদর- আসলে স্যার ওইখানের রেস্টুরেন্ট এর
খাবারের হেব্বি টেস্ট তাই আরকি….

রাদ- ওকে ওকে।
যাও।
আর হ্যা কফি পাঠিয়ে দিও অন্য কাউকে
দিয়ে।

আদর- জি।
উফফ যাক আল্লাহ বাঁচালে।

আহিল- কি ব্যপার স্যার কিছু বলেনি???
আমি ত ভাবলাম তোমার সাথে সাথে আমার
চাকরি ও গেলো বুঝি।

আদর- আরে দুর।
কি যে বলেন না স্যার।
চাকরি গেলে আমার টা যেত আপনার টা যেত
কেন? ?
আপনি কি ভাবছেন আপনি যে আমাকে
যেতে দিছেন সেটা আমি বলে দিতাম? ?

আহিল- না তা না।
তাও আরকি। ….. আচ্ছা স্যার কে ম্যানেজ
করলে কি করে।

আদর- এখন ত লাঞ্চ টাইম চলছে।
সেটা দিয়েই ম্যানেজ করেছি।

স্যার ত আর জানেনা আমি আগে
গিয়েছিলাম।

আহিল- যাক আল্লাহ বাঁচাইছে।

আদর- ও আল্লাহ কথায় কথায় স্যারর এর কফির
কথা ত ভুলেই গিয়েছিলাম।
কফি নিয়ে গেলাম।
স্যার আসব??

রাদ- ফাইল থেকে চোখ উঠিয়ে ওর দিকে
তাকালাম।
এখন এর আসার টাইম হয়েছে তাইনা।
দারাও মজা দেখাচ্ছি।
হ্যা আসো।

আদর- স্যার আপনার কফি।

রাদ- স্টোর রুমে যাও দেখো গত মাসের
বাজেট এর একটা ফাইল আছে ওই টা আনো।

আদর- জি স্যার।

রাদ- ( যাও যাও। দেখি এত ফাইল এর মাঝে
কি করে ওইটা পাও।আর পাবেই বা কি করে
ফাইল ত আমার কাছে।)

আদর- ও মা এত গুলা সেল্ফ আর এত ফাইল এর
মধ্যে ওইটা পাবো কি করে???

রাদ- সি,সি ক্যামেরা তে দেখছি বেচারি
ফাইল খুজে খুজে হয়রান।
আদর- আজব কাহিনি ফাইল টা গেল কই।
উপরের দিকে চেক করতে হবে।
মই বেয়ে উপরে উঠলাম।
রাদ- হঠাত ওর পায়ের দিকে চোখ গেল।
ফাইল খুজতে খুঁজতে ওর হুশ ই নাই।
মেয়েত এখনি পরবে।আমি স্টোর রুমে যাওয়ার
জন্য যেই দাড়া হলাম…

আদর- পা টা পিছলে গেল আম্মুউউউ

মনে হল কেউ ধরে ফেলেছে।
আমি এক চোখ খুললাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *