বস বয়ফ্রেন্ড Season-4

বস বয়ফ্রেন্ড Season-4 ! পর্ব-১৩

আদর- উফফ না বকে বল কি করব??

আম্মু- নে ধর।

আদর- এটা কোথায় পেলে? ?

আম্মু- কিনেছি আর কই পাব? ? ওই দিন
মার্কেট করতে গিয়েছিলাম।
তখন তোর জন্য কিনেছি।

আদর- thnk u thnk u .
রেডি হয়ে স্যার এর বাসায় এলাম।
ইমু-
বাহ খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে ত।
আহিল- ও মাই গড।
আদর এটা তুমি? ? তোমাকে ত চিনাই
যাচ্ছেনা।
looking so gorgeous.
আদর- thnk u sir.
এনা- ওয়াও গাউন টা খুব সুন্দর লাগছে।

আদর- আচ্ছা স্যার কই।

ইমু- ওই যে। কি handsome লাগছে স্যারকে।

আদর- আমি তাকালাম।
আসলেই খুব সুন্দর লাগছে।
শার্ট এর কলার টা উঁচু করে রেখে ছে।
এতে তাকে আরো সুন্দর লাগছে।

কেক কাটা শেষ হল।
লাইট ডিম হয়ে গেল।
সবাই সবার মত ইনজয় করছে।

কেঊ কেঊ সফট মিউজিক এ ডান্স করছে।

হঠাত চোখ গেল স্যার এর দিকে।
উনার সাথে এই মেয়েটা কে? ?

ইমু- কিরে কিরে আদর গপাগপ ২-৩ টা ড্রিংক
গিলে ফেলল।

আদর- ইয়াক এত তিতা কেন।

এনা- তিতা হবেনা মদ ত এমন ই।

আদর- মাথা কেমন ঝিন ঝিম করছে।
আচ্ছা স্যার এর সাথে ওই মেয়েটা কে।
যে স্যার এর সাথে হেসে কথা বলছে।

এনা- কই দেখি।
ও আরে ও ত…

আদর- যেই হক।
ও আমার স্যার এর সাথে কি করে।

ইমু – তোমার স্যার! !!???? কাহিনি কি।

আদর- এই ওয়েটার এই দিকে আসো।

এনা- ওই তুমি আবার ড্রিংক করবা নাকি।

আদর- একটা ড্রিংকক এর গ্লাস হাতে নিয়ে
খানিক টা দুলতে দুলতে স্যার এর কাছে
গিয়ে ইচ্ছে করেই মেয়েটার উপর ড্রিংক টা
ফেলে দিলাম।

মেয়েটা- o shit.
hey.
কি করলা এটা।

আদর- উপ্স সরি।
আমি দেখিনি।

রাদ- চেঞ্জ করে আয়।
যা।

মেয়ে- হুম।

রাদ- আদর কে নিজের দিকে ঘুরিয়ে – কি
করলে এটা।আর তুমি এমন….. তুমি কি ড্রিংক
করেছ? ??

আদর- এই একটু আরকি।

রাদ- সোজা হয়ে দাড়াতেই পারছ না আর
বলছ একটু? ?
চল আমার সাথে।
ওকে উপরে আমার রুমে নিয়ে গেলাম।

ইমু- আদর আজ ত তুমি শেষ।

রাদ- নিজের রুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে
দিলাম।

এই মেয়ে ত সোজা হয়েই দাড়াতে পারছেনা।

আদর- দাড়া হয়ে থাকতে পারছিনা।
পরে যেতে নিচ্ছি বার বার।
রাদ- ও পরে যেতে নিচ্ছে আর আমি হাত ধরে
বার বার সোজা করছি।
এই মেয়ে তুমি আসলেই trouble maker. drink
করেছ কেন? ?

আদর- আমি জানতাম না ত।

রাদ- খাওয়ার আগে কি খাচ্ছ দেখে
খাওনি।??

আদর – এএএএএএ।
আপনি আমাকে বকছেন? ???

রাদ- shut up.
থামো।

আদর- আমি তার কলার চেপে ধরলাম।

রাদ- এই কি করছ।

আদর- তার আগে আপনি আমাকে একটা কথা
বলুন।

রাদ- কি।

আদর- ওই মেয়েটা আপনার কি লাগে হ্যা??
ওর সাথে হেসে কথা বলছিলেন কেন? ??

রাদ- জোরে করে ধাক্কা দিতেই ও পড়ে
যেতে নিচ্ছিল আমি ওকে ধরতে যেয়েই দু
জনেই পরলাম বিছানার উপর।
আমি উঠে যেতে নিচ্ছিলাম।

আদর- উনার কলার আবার চেপে ধরলাম।
এই আমার কথার উত্তর দিন আগে।
ওই মেয়েটা কে??

রাদ- তুমি জেনে কি করবে??

আদর- এই এই দেখুন আমার রাগ উঠা বেন না
কিন্তু বলে দিচ্ছি।
রাদ- তাই নাকি? ? আগে ছাড়ো আমাকে।
আদর- না ছাড়ব না।
আপনি অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথা
বলবেন
না।

রাদ- কেন? ?

আদর- আপনি শুধু আ…আমা…. আম….

রাদ- আদর!!! আদর!!!
যাহ বেহুশ হয়ে গেছে।
আমি তাকিয়ে আছি ওর দিকে।
একদম বাচ্চা বাচ্চা লাগছে।
চুল গুলা মুখ থেকে সরিয়ে দিলাম।
চশমা টা খুলে দিলাম।
উঠে ওকে কোলে নিয়ে ভাল ভাবে শুইয়ে
দিলাম।
পরে নিচে এলাম।

এনা- কিরে স্যার আসল আদর কই? ??

রাদ – এনা।
এনা- জি স্যার।

রাদ- আদর উপরে আছে।
তুমি আজ ওর কাছেই থাকো।
আর কথাটা ওর মা কে জানিয়ে দেও।

এনা- জি স্যার।
আমি উপরে গেলাম

সকালে-
আদর- ঘুম ভেংগে।
ও মা মাথাটা এমন ধরে আছে।
উফফ কি ব্যথা।

এনা- মাথা তোমার ধরবে না ত কার ধরবে।
আদর- আরে আমি তোমার বাসায় এলাম কি
করে।

এনা- আমার বাসা না।

আদর- তাহলে আমার বাসায় তুমি? ?

এনা- আজ্ঞে না।
এটা স্যার এর বাসা।

আদর- আমার কিছু মনে পরছেনা কেন? ?
এনা- সব বললাম
আদর- কিইইইইইইই!!!!”????
আমি আমি এটা করেছি? ??
।।এনা- জি।

আর ওই মেয়ে কে জানো? ?

আদর- কে??
এনা- স্যার এর বোন। রোদেলা ম্যাম।
আদর- ইইইইইইইইই।
আল্লাহ দড়ি ফালাও।
উঠে যাই।

রোদেলা- কি ব্যপার ভাই? ?

রাদ- কি ব্যপার??

রোদেলা- মেয়েটা কেরে??

রাদ- অফিসের।

রোদেলা- ওরে বাবা তাই নাকি? ?
তাই এত যত্ন করে নিজের ঘরে রেখেছ? ?

রাদ- উফফ বেশি বুঝিস না।

রোদেলা- ভাই মেয়ে টা কিন্তু আমার খুব
পছন্দ হয়েছে।
চশমার জন্য আরও কিউট লাগে।

রাদ- চুপ কর।
( আমি যাকে খুজছি তাকে ত পাচ্ছিনা।)

রোদেলা- পাশে ফিরেই আদর কে দেখতে
পেলাম।
আরে কিছু বলবে।

আদর- হ্যা আসলে I’m sorry.
রোদেলা- don’t be.
its okey.
তোমরা কথা বল।
আমি আসছি।

আদর- রোদেলা চলে গেল আমি স্যার এর
দিকে তাকালাম।
দু হাত দু প্যান্ট এর পকেটে দিয়ে আমার
দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে…. এখন ই
মনে হচ্ছে চিবিয়ে খাবে।
সরি স্যার।

রাদ- ওর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম।

আদর- আমি নিচে তাকিয়ে ছিলাম।উনার পা
দেখে বুঝলাম
উনি আমার দিকে এগিয়ে আসছেন।
আমি পিছিয়ে যাচ্ছি।
জামায় পা লেগে পরে যাচ্ছিলাম।

রাদ- খপ করে ওকে ধরলাম।চোখ বন্ধ করে
আছে ভয়ে।
চশমা ছাড়া ওকে ভালই দেখাচ্ছে।
আদর- উনি আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর
আমার লাগছে লজ্জা।

রাদ – আদর কে দাড়া করালাম।
আদর মাথা নিচু করে দারিয়ে আছে।

আদর- স্যার এর অনেক কাছে দারিয়ে আছি ।
স্যার কিছু বলছেনা।
ভাবলাম চলে যাই।সরতেই চুল এ টান খেলাম।”
ও মা’

রাদ- কি হল।
চেয়ে দেখি ওর চুল আমার গেঞ্জি তে
আটকে গেছে।
দারাও আমি ছাড়িয়ে দিচ্ছি।

আদর- আমি চেয়ে আছি তার দিকে।
( কি হচ্ছে আমার। হঠাত করে কেন এই
জল্লাদ কে ভালো লাগতে শুরু করল। ?? )

রোদেলা- ছোট করে কাশি দিলাম।
রাদ, আদর দু জনেই সরর দাড়া হল।

রাদ- কিছু বলবি? ?

রোদেলা- হুম।
ড্যাড ডাকছে।

রাদ- হুম।
যা আসছি।

আদর- আমি রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম।
সোজা উপরে

এনা- চল এখন যাওয়া যাক।
আদর- হুম
আমি আর এনা নিচে নেমে এলাম।

রোদেলা- এদিক ওদিক কি খুজছ??

আদর- কই কিছু না ত।

রোদেলা- তাই? ?

আদর- হ্যা।
আচ্ছা আসি।বাই।

বাসায় যেয়ে মা এর অজস্র প্রশ্নের উত্তর
দিয়ে অফিস এলাম।

এনা- এই যে মিস।
আজ চশমা পরনি যে।

আদর- ওটা মেবি স্যার এর বাসায় রেখে
আসছি।

এনা- স্যার এর কথা মনে হল ” আমার স্যার! ”
এটার কাহিনি কি? ?

আদর- ( হায় হায়।
কি কি যে বলেছি আর কে জানে)

না এর আবার কি কাহিনি হবে।
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *