বস বয়ফ্রেন্ড Season-4

বস বয়ফ্রেন্ড Season-4 ! পর্ব-১২

আমি আবার বাড়ির ভেতর প্রবেশ করলাম।
পিছনের দিকে একটা জানালা পেয়ে
গেলাম ।
সেটা দিয়ে বের হলাম।
আস্তে আস্তে বাড়ির পিছন দিকে যেতে
লাগলাম।
আর যা দেখলাম তাতে আমার অবস্থা
খারাপ।
রাদ স্যার এর গার্ড রা কয়েক জন ছেলে কে
ধরে হকি স্টিক দিয়ে পিটাচ্ছে ইচ্ছা মত।

তারপর স্যার বসা থেকে উঠে কি কি যেন
বলে গান দিয়ে সব গুলাকে সুট করে দিল পর
পর আর তা দেখে আমি চিতকার দিয়েই
মাটিতে পরে গেলাম।

রাদ- হঠাত চিতকার শুনে আমি পাশে
তাকালাম।
আরে ‘ আদর’!!???
ড্যানি লাশ গুলার ব্যবস্থা কর।
গান টেবিল এ রেখে আদর এর কাছে গেলাম।

আদর- আস্তে আস্তে চোখ খুললাম।
হঠাত সেই দৃশ্য চোখ ভেসে উঠল।
আমি পাফ দিয়ে উঠে বসলাম।

রাদ- কানে ব্লুটুথ লাগিয়ে কথা বলতে বলতে
রুমে প্রবেশ করলাম।

আদর- ( আই হাই আমার খবর আছে। যদি
আমাকেও গুলি মেরে দেয়? ?)
স্যার স্যার আমি কিছু দেখিনি।
আমি কিছু জানিনা।
আমাকে যেতে দিন।

রাদ- relax.

আদর- আ….আ…..আমাকে মা…..মারবেন না।
আমি কাউকে কিছু বলবনা।

রাদ- ( উফফ এ ত এখনও শক এ আছে দেখছি)
আদর relax.(ওর দিকে এগিয়ে গিয়ে)
আদর- আমার কাছে আসবেন না।
(পিছাতে পিছাতে)

রাদ- আদর তুমি ভয় পেয়েছ বুঝেছি।
বাট শান’ত হউ।

আদর- উনি এগিয়ে আসছিলেন।
আমি পিছাতে পিছাতে দেওয়ালে ঠেকলাম।

রাদ- ওর সামনে যেয়ে দাড়াতেই আদর
আমাকে ধাক্কা দিল।

আদর- বিছানা থেকে কুশন, বালিশ যা
পাচ্ছিলাম ছুড়ে মারছিলাম।

রাদ- কোনোমত সেগুলা ঠেকিয়ে ওকে শক্ত
করে ধরলাম।
হাত দু টা শক্ত করে ধরে ওর পিঠে
ঠেকালাম।

আদর- আমি কিন্তু চিতকার করব।

রাদ- তাতে কি হবে? ?

আদর- এএএএএএএএএ।

রাদ- উফফ।shut up.
just shut up.stupid.
.
আদর- আমি আরো জোরে কাদা শুরু করলাম।
এএএএএএ এএএএএ।

রাদ- আমি জোরে করে ওকে ধমক দিলাম।
এবার ও চুপ হয়ে গেল।
তুমি আসলেই বাচ্চা ই আছো এখনও।

আদর- আমি মাথা নিচু করে রেখেছি।
আমার হাত দুটা এত শক্ত করে ধরে রেখেছে
যে আমি খুব ব্যথা পাচ্ছি।
কিন্তু ভয়ে কিছু বলতে পারছি না।

ড্যানি- স্যার কাজ কম্পলিট।
রাদ- হাত দিয়ে ইশারা দিলাম ড্যানিকে
চলে যেতে।

আদর- ( হায় হায় কি কাজ কম্পলিট! আমাকেও
শেষ করে দিবে নাকি? আমি যা করছি তার
সাথে আগে। কত ঝগড়া করছি।
আল্লাহ )

রাদ- হুম যা বলছিলাম।

আদর- স্যার স্যার সরি।
আমি আপনার সব কথা শুনব, কোনো দিন ও আর
ঝগড়া করব না।
আপনি বললে এই দেশ ছেড়ে ও চলে যাব।
কিন্তু আমার কিছু করবেন না প্লিজ।
আমার কিছু হলে আমার মা য়ের কি হবে।
আমি ছাড়া আমার মায়ের কেউ নেই স্যার।

রাদ- ওর কথা শুনে আমার খুব হাসি পাচ্ছিল।
তাও হাসলাম না।

হয়েছে তোমার বলা? ??

আদর- জি স্যার।

রাদ- আমার উউপর ওইদিন যারা হামলা
করেছিল ওরা হচ্ছে তারা।
আর তাই ওদের মেরেছি।
এটা ১ম নয়।
এর আগেও এমন হয়েছে অনেক বার।
তাই সব সময় আমার কাছে লাইসেন্স করা গান
থাকে।
কিন্তু আমি সব সময় কেরি করিনা।
বুঝলে।

আদর- ওহ আচ্ছা এই কথা।
(আর আমি কি ভাবলাম।) স্যার এবার
আআমাকে ছাড়ুন।
হাতে ব্যথা লাগছে।

রাদ- ওহ সরি।

আদর- উনি বেরিয়ে গেলেন।
আমিও পিছু পিছু গেলাম।
পরে বাসায় আসলাম।

আম্মু- কিরে বললি যে যাব আর আসব।
আর এই সময় হল আসার? ?

আদর- দেরি হয়ে গেল একটু।

আম্মু – কিরে তোর দু হাত এমন লাল হয়ে আছে
কেন? ?.

আদর- না না কিছুনা।
রুমে গেলাম।
শাওয়ার এর নিচে দাড়িয়ে হাত দু টা
দেখছিলাম।
রক্ত জমে গেছে হাতে।
রাতে ঘুমাতেই পারছিলাম না।
শুধু এই পাশ আর ওইপাশ হচ্ছিলাম।
চোখ বন্ধ করলেই রাদ এর মুখ টা ভেসে উঠছে।
তখন কত কাছে ছিলেন উনি আমার।
অনেক টা কাছে।
তার প্রতি টা নি:শ্বাস আমি অনুভব করতে
পারছিলাম।
তার হার্টবিট শুনতে পারছিলাম।
তার চোখ, হাসি যেন আমি ভুলতে পারছিনা।
কি হচ্ছে আমার

তার কথা কেনো বার বার মনে পরছে।
রাদ- মিস মরিচিকা তোমাকে আমি খুজে
বের করবই।গিটার নিয়ে বারান্দা তে বসে
ছিলাম।
আর গান গাইছিলাম।

সকালে-
আদর- ড্রেস বের করার জন্য আলমারি খুলেই
স্যার এর জেকেট টা দেখতে পেলাম।
উনি ফেলে দিতে বললেও আমি ওটা নিজের
কাছে রেখে দিয়েছিলাম।
রেডি হয়ে অফিসে গেলাম।দেখি সবাই ফুল
হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে।

আরে এনা সবার হাতে ফুল কেন? ?

এনা- আরে স্যার অফিসে জয়েন করার পর
এটা স্যার এর ১ম জন্মদিন।

আদর- কিহ? ? আরে আমি ত জানিনা।
সবার হাতে ফুল আর আমার হাত খালি!!!!

ইমু- স্যার এসে গেছে।

আদর- পিছনে ঘুড়লাম।
উনাকে দেখেই আমার বুক ধুক ধুক করা শুরু
করে দিল।
তার উপর আজ ত তাকে সেই লাগছে।
লং ব্লাক কোট সাথে ব্লাক শার্ট, ব্লাক
প্যান্ট।
ব্লাক সান গ্লাস।
উফফ মার ডালা।

রাদ- সবাই আমাকে জন্মদিন এর শুভেচ্ছা
জানালো। ফুল দিল।ফুল নিয়ে
আমি কেবিন এ চলে এলাম।

ইমু- কি ব্যপার ব্যাগ এ কি খুজছ? ?
আদর
– এই ত পেয়েছি।

ইমু- কিটকেট??

আদর- হুম।
এটা দিয়ে স্যার কে উইশ করব।

এনা- r u serious? ?
.
আদর- yes.
.
may i come in sir.
.
raad- hum.
আদর- টেবিল এ চকলেট রেখে happy birth day
বলে চলে এলাম।

রাদ- টেবিল এ চেয়ে দেখি চকলেট।
আমি রাগ হব না অবাক হব বুঝতে পারছিনা।

চকলেট টা নিয়ে এক কামড় যেই দিয়েছি..

আদর- আসব বলে যেই দরজা খুলেছি দেখি
স্যার চকলেট এ কামড় দিয়ে আছে।

আমি হাসি দিলাম।

রাদ- চকলেট দ্রুত সরিয়ে …. হ্যা আসো।

আদর- স্যার ফাইল টা।

রাদ- রেখে যাও।

আদর- আমি মনে মনে খুশি হলাম।

রাদ- হাসছ কেন??

আদর- না কিছুনা স্যার।
বাইরে চলে এলাম।
কাজ করতে করতে হঠাত দেখি সবাই দাড়িয়ে
গেল।
।আমিও দাড়া হলাম।
এনা কি হইছে।?

এনা- ওই দেখ বড় স্যার আসছে।
রাদ স্যার এর ড্যাড।

আদর- ও আচ্ছা।

ড্যাড- happy birth day. my son.
রাদ- what a surprise dad.
.
ড্যাড- আমার ছেলের জন্মদিন আর আমি আসব
না? ??

রাদ- থ্যক্স।

ড্যাড- ladies and gentleman…
আমার ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে সন্ধায়
পার্টির আয়োজন করেছি।
u all must come.
আদর- আজ সবাইকে বড় স্যার তাড়াতাড়ি ছুটি
দিয়ে দিল।

বাসায়-
আম্মু- কিরে তুই সারা ঘরের কি অবস্থা
করেছিস? ?

আদর- দেখোনা আম্মু কিচ্ছু পাচ্ছিনা পড়ার
জন্য।

আম্মু- হ্যা!!?? কি বলিস তুই? ? এত কিছু
থাকতেও কিছু পাচ্ছিস না।

তুই কি ঠিক আছিস? ?

আদর- উফফ আজ স্যার এর জন্মদিন।
সেখানে পরার মত কিছু পাচ্ছিনা।

আম্মু- তা পাবা কেন? ?
মেয়ে দের পরার মত জীবনে কিছু কিনছিস??
সারাদিন ত শার্ট প্যান্ট পরে ঘুরিস।

আদর- উফফ না বকে বল কি করব??
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *