আদর- আচ্ছা আচ্ছা।
দে গিটার দে।
।
রাদ-( কিছু বিদেশি দের সাথে মিটিং
করছিলাম এক রেস্টুরেন্ট এ।
হঠাত গিটার এর শব্দ পেলাম।
ভালই লাগছিল হঠাত সেই সুর টা কিন্ত সেটা
কেউ গিটারে বাজাচ্ছে।
হঠাত এক মেয়ের গানের গলা ভেসে এল।
তাহলে সেই মেয়েটাই কি এখানে আছে? ?)
guys please excuse me.
I’ll be back. one mnt please.
বলে উঠে গেলাম মেয়েকে খুঁজতে।
।
আদর- আমি গান গাচ্ছিলাম।
আর চারদিকে মানুষ ভিড় করে ফেলেছে।
।
রাদ- ওইদিকে এত মানুষ কেন? ? তাহলে কি
ওইখানেই? ??
দ্রুত গেলাম ভিড়ে র মাঝে ঢুকার চেস্টা
করছিলাম।
।
আদর- হঠাত করে চোখ গেল সস্যার এর দিকে।
ওমা উনি এইখানে? ? খাইসেরে আমাকে যদি
দেখে তাইলে আমার চাকরি শেষ।
বলবে পায়ে ব্যথা নাই কিন্তু আমি অফিসে
যাইনি।
আর এইখানে আড্ডা দিচ্ছি।
হইছে। আমি উঠেই দৌড়।
।
সবাই অবাক হল।
এই মেয়ে এইভাবে ভাগল কেন? ??
।
রাদ- আচ্ছা এইখান এ যে এক টা মেয়ে গান
গাচ্ছিল!!…
।
অজানা- মেয়েটা হঠাত গান
থামিয়ে চলে গেল।
কি জানি কি হইছে.( আসলে
আদর ই হচ্ছে সেই মেয়ে যাকে রাদ এতদিন
ধরে খুঁজছে। )
।
রাদ- damn.আজ ও । আআজ ও পেতে পেতে পেলাম না।
উফফ।
।
আদর- স্যার হঠাত কোথা থেকে আসল?? দুর।
দ্রুত বাসায় যাই।
।
রাদ- হাটতে যেয়ে খেলাম ধাক্কা। আদর
তুমি? ?
।
আদর- ইইইই( এটা কোনো কাজ হল??) ইয়ে
স্যার আসলে।
।
রাদ- আসলে???
।
আদর- পায়ের ব্যথায়া এখন একটু কমেছে তাই
আম্মু কে নিয়ে এসেছিলাম।
।
রাদ- ওহহ তাই।
চল আনটি র সাথে দেখা করে আসি।
।
আদর- ইয়ে আম্মু ত চলে গেছে।
।
রাদ- আর তুমি কি করছ? ?
।
আদর- ইয়ে মানে …..
।ও আমি ফোন রেখে গিয়েছিলাম ভুলে তাই
নিতে এসেছি।
।
রাদ- ফোন পেয়েছ?
।
আদর- হ্যা হ্যা।
।
রাদ- ও তাহলে চল।
।
আদর- কই স্যার।
।
রাদ- চলই ত।
।
gentleman she is ador.
my P.A.
আদর- স্যার মিটিং করছে আর আমি দাড়িয়ে
আছি পাশে।
।
রাদ- মিটিং শেষ হল।
আমি ওদের নিয়ে বেরিয়ে গেলাম।
আদর- আরে একি আমাকে রেখেই চলে গেল??
আমার দিকে তাকাল ও না।
কি আজব।
।
চলে আসছিলাম হঠাত দেখি টেবিল এ ফাইল।
।
ফাইল নিয়ে দিলাম দোড়।
স্যার!!! স্যার!!
যাহ চলে গেলো???
।
ফাইল নিয়ে আমিও বাসায় গেলাম।
।
নিরব – কিরে তুই এটা কি করলি? ?
।
কেয়া-ধরে তোকে ধলাই দিতে ইচ্ছে করছে।
।
আদর- চুপ কর তোরা।
ভাগছি কি সাধে।
আমার জম আসছিল ওইখানে।
তাই ত ভাগছি।
।
কেয়া- মানে? ?
।
আদর- স্যার চলে আসছিল
ওইখানে মিটিং হচ্ছিল তার।
বুঝলি
।
নিরব- ও আচ্ছা।
।
বাসায়-
রাদ-
উফফ ফাইল টা গেল কই? ??সারা
রুম পুরো খুজে পেলাম না।
।
আদর- আচ্ছা স্যার কে একবার ইনফোর্ম করে
দেই।
টেনশন করতে পারে।
কাল ত অফ ডে না হলে কাল ত ফাইল টা
দিয়ে দেওয়া যেত।
।যাক ফোন করি।
।
রাদ- এই trouble maker ফোন করছে কেন? ?
হ্যা বল ( ফোনে).
।
আদর- স্যার আপনার ফাইল টা….
।
রাদ- ওইটা তোমার কাছে।
তাহলে তখন আমাকে দেও নি কেন?? u idiot.
.
আদর- excuse me. একে ত ভালো কর তার উপর
কথা শুনো।
ফাইল আপনি রেখে গিয়েছিলেন।
আমি নিয়ে সেটা আপনার কাছে
গিয়েছিলাম।
তার আগেই আপনি চলে গেছেন।
সেটা কি আমার দোষ??
।
রাদ- ( তাই ত আমি ই ত ভুল করেছি) ওকে ওকে
কাল কে ফাইল য়া নিয়ে আসো।
।
আদর- কাল ত অফ ডে।
।
রাদ- কাল কে ফাইল টা আমার লাগবে।
সো বাসায় দিয়ে যাবা।
।
আদর- বাসায়! “!””
।
রাদ- কি সমস্যা? ?
।
আদর- আমি কি চিনি নাকি।
।
রাদ- address মেসেজ করে দিচ্ছি।
১০ টায় এসে দিয়ে যাবা।
।
আদর- কিন্তু স্যার।হ্যালো হ্যালো! !
যাহ ফোন কেটে দিল? ?
angry bird একটা।
আমার কথাও শেষ করতে দিল না।
পাজি একটা।
।
সকালে-
আম্মু- কিরে কোথায় যাচ্ছিস।
।
আদর- যাই দেখি কোথায় যাওয়া যায়।
দু চোখ যেদিকে যায় সেখানেই যাব।
।
আম্মু- মারব একটা।
।
আদর- কাজ আছে একটু।
আম্মু- আচ্ছা তাড়াতাড়ি আসিস।
।
আদর- স্যার এর বাড়ির সামনে আসলাম।
।
দাড়োয়ান – জি কাকে চাই??
।
আদর- আমি আদর।রাদ স্যার এর অফিস এ কাজ
করি।
ফাইল নিয়ে এসেছি।
।
দাড়োয়ান- ওহ আসুন।
।
আদর- সাইকেল থেকে নেমে সাইকেল নিয়ে
হাটতে হাটতে ভেতরে গেলাম।
এত বড় এরিয়া বলে বুঝানো যাবেনা।
দু পাশে ফুলের বাগান।
তার মাঝে পানির ফুয়াড়া।
৫-৬ জন মালি কাজ করছে।
বাড়ির সামনে ৫-৬ জন লোক দাড়িয়ে আছে
কালো কোট পরে।
আমি সামনে যেতেই ২ জন পথ আগলে দাড়াল।
আদর- আমি ভয় পেয়ে গেলাম।
।
গার্ড – ম্যাম ভেতরে যাওয়ার আগে আপনাকে
চেক করতে হবে।
।
আদর- মানে কি? ?
তারপর চেকিং মেশিন দিয়ে চেক করল। আমি
ভেতরে গেলাম।
ভেতরে গিয়েই মাথাই নস্ট।
এত বড় হল রুম আর এত সুন্দর করে সাজানো সব
কিছু কি বলব।
।
রিমি- ম্যাম। আপনি কি আদর? ?
।
আদর- yes.
রিমি- স্যার ব্যস্ত আছে আপনি ফাইল রেখে
যেতে পারেন।
।
আদর- ওহ ওকে।
( angry bird দেখি ছুটি র দিনেও কাজ করে।
এত কাজ করে বেচে আছে কিভাবে? ?)
।
রিমি- ম্যাম কিছু ভাবছেন? ?
।
আদর- না।
পিঠের থেকে ব্যাগ নামিয়ে ফাইল বের করে
মেয়েটার হাতে দিলাম।
।মেয়েটা ফাইল নিয়ে চলে গেল।
আমি বেরিয়ে যেতে নিচ্ছিলাম।
হঠাত কারো চিতকার শুনতে পেলাম।
আমি দৌড়ে বের হলাম দেখার জন্য।
।
গার্ড – ম্যাম আপনি ওইদিকে যেতে পারবেন
না।
সরি
।
আদর- ( কিছু ত গড়বড় আছে।
ওইখানে যাওয়া মানা কেন???)
আচ্ছা ঠিক আছে।
।
আমি আবার বাড়ির ভেতর প্রবেশ করলাম।”
পিছনের দিকে একটা জানালা পেয়ে
গেলাম ।
সেটা দিয়ে বের হলাম।
আস্তে আস্তে বাড়ির পিছন দিকে যেতে
লাগলাম।
আর যা দেখলাম তাতে আমার অবস্থা
খারাপ।
চলবে,,,,,,
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!