বস বয়ফ্রেন্ড Season-4

বস বয়ফ্রেন্ড Season-4 ! পর্ব- ১০

আদর- সকালে আড়মোড়া ভেংগে ঘুম থেকে
উঠলাম।
উফফ আজ এত শীত শীত লাগছে কেন? ?
বারান্দাতে গেলাম।
ওমা স্নো পরছে।
হাত বারিয়ে স্নো ধরছিলাম।

আম্মু- স্নো না ধরে অফিস যাবি কিভাবে
সেটার চিন্তা কর।

আদর- ছাতা নিয়ে।
রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম।
একটা টেক্সি ও পাচ্ছিনা।
আর যা আছে তাতে মানুষ আছে।
উফফ এখন হেটে হেটেই যেতে হবে।
হাটতে লাগলাম।কিছুদুর যেতেই রাস্তায় রেড
সিগনাল পরল, দাড়িয়ে আছি রাস্তায়।

রাদ- গাড়ি তে বসে ইমেইল গুলা চেক
করছিলাম।
বাইরে স্নো পরছে।
গাড়ি র গ্লাস টা লাগানোর জন্য জানালার
দিকে তাকালাম দেখি একটা মেয়ে নিজের
ছাতা অন্য জন কে ধরিয়ে দিয়ে নিজে স্নোর
মধ্যে দাড়িয়ে আছে।

আদর- স্টেলা তুমি ছাতা ছাড়া কেন বের
হয়েছ নেও ছাতা নিয়ে বাড়ি যাও।
মম চিন্তা করছে ।
তাড়াতাড়ি যাও।

রাদ- মেয়েটা পিছনে ঘুরতেই দেখি আরে এ ত
আদর।
বাহ অন্য কে ছাতা দিয়ে এখন নিজে ভিজছে
বাহ ভাল ত।
ভিজুক আমার কি।?

অফিসে-
আদর- হাচি দিতে দিতে শেষ।

ইমু- কি বেপার এত হাচি দিচ্ছ কেন? ?.
ঠান্ডা লেগেছে? ?

আদর- তাই ত মনে হচ্ছে।

আচ্ছা যাই স্যার কে ফাইল দিয়ে আসি।

may i came in sir বলেই হাচি দিলাম।

রাদ- u may.
আদর- রুমে ঢুকেই আরো ৩-৪ বার হাচি দিলাম।

স্যার এই ফাইল টা।

রাদ- হুম।
রাখো।

আদর- ননস্টপ হাচি দিতেই আছি।

রাদ- ( এর মধ্যে ঠান্ডা ও লেগে গেছে? ??
বাহ।)

নিজের চিন্তা না করে আরেকজন এর চিন্তা
করলে এমন ই হয়।

আদর- কি বললেন? ?

রাদ- না কিছুনা।

আদর- আজ সারাদিন হাচি দিতে দিতেই
শেষ।
রাদ – সি.সি ক্যামেরা তে দেখলাম শুধু ওকে
হাচি দিতেই।
সারাদিন হাচি দিতে দিতেই ওর শেষ ।
আমার যা রাগ হচ্ছিল।
নিজের ভালো ত পাগল ও বুঝে।
আর ও ???
অফিস শেষ এ-
আদর- আজ সারাদিন ও স্নো পরা ত কমেই নি
এখন আরো বেড়ে গেছে।
রাস্তাঘাট প্রায় খালি।
আর কতক্ষন দাড়িয়ে থাকব এইভাবে? ?

রাদ- অফিস থেকে বের হয়ে গাড়ি তে
উঠলাম।

আদর- স্যার এর গাড়ি মনে হচ্ছে।
হুম কোনো ফন্দি এটে তার গাড়ি তে উঠার
ব্যবস্থা করতে হবে।

রাদ- u idiot. এত জোরে কেউ গাড়ি ব্রেক
করে।
এত জোরে ব্রেক কষেছে যে হাত থেকে
ফোন ত পরেছেই আমি সামনের সিটের সাথে
বারি খেয়েছি।

ড্রাইভার – কি করব স্যার সামনে হঠাত কেউ
এসে পরল।
গাড়ি র নিচেই পরল নাকি কে জানে।

রাদ- what rubbish. গাড়ি থেকে নামলাম।
আধারে এক জন কে দেখলাম।দেখে মনে
হচ্ছে
মেয়ে।
সামনে গিয়ে বসলাম।
মেয়েটা পা ধরে কাঁদছে।

r u ok mam?
.
আদর- ( মনে মনে যাক কাজ হয়েছে)
এ এ এ এ আমার পা।। !!!! এ এ এ এ পা ভেংগে
গেল মনে হয়।

রাদ- আদরের গলা না।আমি হাত দিয়ে মুখ উঁচু
করলাম।
তুমি! !!!!”

আদর- স্যার আপনি ?? এএটা আআপনার
গাড়ি ?? এ এএ আমার পা ত শেষ ।

রাদ- ওকে জাস্ট সাট আপ।
কোথায় লেগেছে দেখি।
পায়ে হাত দেওয়ার আগেই ও চিতকার দিয়ে
উঠল।

উফফ চুপ করো।
হাত ধরে ওকে তুললাম।

আদর- স্যার হাটতে পারছিনা ত।

রাদ- উফফ।
troubled maker.
কোলে তুলে নিলাম।

আদর- আমিও মনের সুখে উনার গলা জরিয়ে
ধরে রাখলাম।
রাদ- গাড়ি তে বসিয়ে দিলাম।
পরে আমি উঠলাম।
ড্রাইভার আদরের বাসায় যাও।

আদর- থ্যক্স স্যার।
so sweet of u.

রাদ- ওর দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকালাম।

আদর- আমি মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে জানালার দিকে
তাকালাম।

পাশে তাকিয়ে দেখি উনি কাজ করছেন।
এত কি কাজ করে।
হুর পাশে সুন্দরি এক্টা মেয়ে বসে আছে আর
উনি কাজ করছেন।
পারেন ও হুহ।

ড্রাইভার গাড়ি থামাল আদরের বাসার
সামনে।

রাদ- নামো।

আদর- (ওই উল্লুক কি ভুলে গেছে আমার পায়ে
ব্যথা? ??) ইয়ে মানে স্যার…..

রাদ- হ্যা বুঝেছি।
ড্রাইভার ওর হেল্প করো গাড়ি থেকে
নামতে।

আদর- ( ইয়া আল্লাহ এ কি মানুষ? ?? শয়তান
একটা।)
ড্রাইভার – ম্যাম নামুন।

আদর- হাত ধরে নামলাম।
ড্রাইভার – আমি আপনাকে দিয়ে আসি চলুন
আমাকে ধরে ধরে।

আদর- শয়তান পাজি ভাবলাম কই কোলে তুলে
দিয়ে আসবে আর হল কি? ??
উফফ আমি হাটতে পারছিনা, কিভাবে যাব।

রাদ- তাহলে এইখানে বসে থাকো।
ড্রাইভার গাড়ি তে বলে আসো।

ড্রাইভার – কিন্তু স্যার? ? ম্যাম এর কি হবে।

রাদ- ওর টা ও বুঝবে।

আদর- ( তাই নাকি?? ঠিক আছে আমিও কম না।
দিয়ে ত আপনাকেই আসতে হবে।)
আমি রাস্তায় বসে পরলাম।

রাদ- wht the heck. ?তুমি এইখানে বসে পরলে
যে ( গাড়ি থেকে নেমে)

আদর- আপনি ই ত বললেন।

রাদ- ওকে বসে থাকো।
ড্রাইভার গাড়ি চালাও।

আদর- আরে এ কি সত্যি ই চলে যাবে নাকি? ?
এখন কি হবে।
।দুর।
কস্ট করে কনো মতে উঠলাম।পায়ে আসলে
আমি সত্যি ই ব্যথা পেয়েছি নাটক করতে
যেয়ে।
কিছুদুর যেতেই –

রাদ- ড্রাইভার গাড়ি ব্যাক করো।
উফফ এই মেয়েটাও না।!!!
গাড়ি থেকে নামলাম।
দেখলাম ওর হাটতে খুব কস্ট হচ্ছে।

আদর- এই এই কে কে।
আরে এ ত স্যার।
হঠাত না বলে কোলে তুলে নিয়েছে তাই
আমি ভয় পেয়ে গেছি।
রাদ- কি হল আমার দিকে চেয়ে আছো
কেন? ? কলিং বেল বাজাও।

আদর- ও হ্যা।
বেল বাজালাম।

আম্মু- উফফ নিশ্চয়ই আদর এসেছে।
ও ছাড়া এইভাবে কেউ বেল বাজায়না।
আরে খুলছি দাড়া।
দরজা খুলে আমি হা হয়ে গেলাম।
কি দেখছি আমি।
আমার মেয়ে! !” কারো কোলে।

আদর- এটা আমার আম্মু।
কি হল সোরো ভেতরে আসতে দেও।

রাদ- ভেতরে গিয়ে ওকে সোফায় নামালাম।
আদর- আসলে আমার পায়ে ব্যথা বলেই স্যার
আমাকে সাহায্য করলেন।

আম্মু- ও তোর অফিসের স্যার।
বসো বাবা।

রাদ- no no it’s ok.আমি এখন যাবো।
গাড়ি বাইরে দাড়িয়ে আছে।

আম্মু- ওকে । আবার এসো।

রাদ- পায়ের ব্যথা কমলে কাল কে এসো না
হলে আসার দরকার নেই।
পরের দিন-
আদর- ঘুম ভাংল কেয়ার ফোনে।

কেয়া- ( ফোনে) আদর সন্ধ্যা তে ফ্রি আছিস
আজ? ?

আদর- কেন রে? ?

কেয়া- ও মা তোর মনে নেই আজ নিরবের
জন্মদিন।

আদর – ও হ্যা তাই ত।
আমার ত মনেই ছিল না।
তোরা কি প্লান করেছিস? ?

কেয়া- সন্ধ্যায় ত আজ নিরব খাওয়াবে।

আদর- ওকে আমি আসব।
পায়ের ব্যথার কথা মনেই নেই কারন ব্যথাটা
কমে গেছে।
মা রাতে গরম সেক দিল আর কি কি যেন করল
এখন ব্যথা নেই বললেই চলে।
স্যার ত বলেইছিল আজ না যেতে।
যাক ভালই হল।

সন্ধ্যায়-
নিরব- তোরা যা চাবি তাই খাওয়াব কিন্তু
শর্ত হচ্ছে আদর কে গান গাইতে হবে।

আদর- ওই না না আজ না।

নিরব- তাহলে আমি কাওকে কিছু খাওয়াব
না।

কেয়া,আবির,দিয়া- ওই গান গা না।
তোর জন্য আমাদের ও খাওয়া হবেনা।
প্লিজ গা।

আদর- আচ্ছা আচ্ছা।
দে গিটার দে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *