বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ০২

বাবা – কিরে অফিস থেকে চলে আসলি?

তারা – বাবা আমার ভাল লাগছেনা।
আমি একটু রেস্ট নিব।

বাবা – আচ্ছা আচ্ছা
যা রুমে যা।

কি হল আবার কে জানে।
নাকি ডিল হয়ে গেছে দেখে ছুটি দিয়ে
দিয়েছে।
হতেই পারে।

পরের দিন – কিরে
অফিস যাবিনা।

তারা- না বাবা যাব না।
আমার ভাল লাগছেনা।

বাবা – কি হয়েছে বলবি?
কাল কে ভাল মত খাওয়া দাওয়া অ করিস নি
কি হল বলতো।

তারা ; না বাবা কিছুনা।

বাবা -আচ্ছা
মেঘ কে ফোন দিব।

তারা- না না না দিবানা।
অই জল্লাদ কে ফোন দিবানা।

বাবা – আচ্ছা আচ্ছা।
২ দিন তারা নিজেকে রুমে
বন্ধ করে রেখেছে

নিশ্চয় কিছু হয়েছে।

ফোন হাতে নিলাম মেঘ কে ফোন দেওয়ার
জন্য দেখি মেঘ ফোন দিয়েছে।

হ্যালো!

মেঘ – আসসালামু আলাইকুম স্যার।
কেমন আছেন।

বাবা – আমি ভাল কিন্তু মেঘ তারার কি কিছু
হয়েছে।

মেঘ -স্যার কিছু হয়নি।
আপনি তারাকে পাঠিয়ে দিন।

আচ্ছা তুমি একটু হল্ড এ থাক।

তারা মামনি মেঘ ফোন দিয়েছে তোকে
অফিস যেতে বলেছে।

তারা – উনাকে বলে দেও আমি যাবনা।
হুহ

বাবা – মেঘ বাবা…..

মেঘ – স্যার আমি শুনেছি।
স্যার if u don’t mind আমি আপনার বাসায়
আসতে পারি?

বাবা – আরে এতে জিজ্ঞেস করার কি আছে।
এসে পরো।

মেঘ – স্যার তারাকে আগেই কিছু বলবেন না।

বাবা – কেনো?

মেঘ – আমি এসে বলছি।

বাবা – তারা মা দেখতো কে এসেছে।

তারা – উফ এখন এই সকালে কে আসলো
বিরক্ত।
চোখ কপালে উঠল দরজা খুলে।
আপনি? ?

মেঘ – হুম সরো ভিতরে ঢুকতে দিবানা।

তারা – না দিবনা।
ভাগেন।

বলেই দরজা লাগিয়ে দিচ্ছিলাম।

মেঘ – কোন মত দরজা খুলে ঘরে গেলাম।

বাবা – আরে মেঘ এসে গেছ।
কি যেন বলবে বলছিলে।
তারা যা কফি নিয়ে আয়তো মেঘের জন্য।

তারা – পারবনা।

বাবা – তারা এটা তো তোমাকে আমি
শিক্ষা দেইনি।
যাও।

তারা – যাচ্ছি।
কফি খাবে তাইনা
দাড়াও খাওয়াচ্ছি।

নিন আপনার কফি।
বাবা তোমার চা।

বাবা – যা শুনলাম তাতে তারার দোষ আছে
সেটা দেখাই যাচ্ছে।
তোমার কোন দোষ নেই বাবা।
আমার মেয়েটা এমন ই।

মেঘ – স্যারের কথা শুনতে শুনতে কফি মুখে
দিলাম।
আল্লাহ কফি এমন ঝাল কেন? ?
ফেলতেও পারছিনা আর গিলতেও পারছিনা।
স্যারের সামনে কিছু বলতেও পারছিনা।
কস্ট করে ২-৩ ঢোক খেয়ে রেখে দিলাম।

তারা – উনার চোখ দেখে বুঝা যাচ্ছে উনার
অবস্থা কাহিল।
আমি হাসি ঠেকাতে পারছিনা।
দাত দিয়ে ঠোট কামোড় দিয়ে ধরে আছি
যাতে হাসি আটকে থাকে।

মেঘ – তারা কাজ টা ভাল করলেনা।
স্যার আসি তারা যদি চায় অকে পাঠিয়ে
দিবেন।

বাবা – অ এখনি তোমার সাথে যাবে।

তারা – কিন্তু বাবা!

বাবা – কিন্তু পারান্তু পরে হবে রেডি হয়ে
আসো যাও।

তারা – দুর

রেডি হয়ে উনার গাড়ির কাছে যেতেইই
মেঘ-গাড়ির সাথে ওকে ধরে বসলাম।

তারা- কি করেন ব্যথা লাগে।
মেঘ-ব্যথা কি দেখবে অপেক্ষা কর

গাড়ি তে-
তারা-
উনি ১টা কথাও বললেন না।

আমি মনের সুখে ফোন দেখতে দেখতে অফিস
আসলাম।

হিয়া – কিরে আমি তো ভাবলাম তোর সাথে
আর দেখাই হবেনা।

তারা – মেজিক টা কি করে হলরে।

হিয়া – আমরা অইখান থেকে বের হওয়ার পর
উনারা স্যারের কাছে ফোন দেয়।
পরে আমরা ডিল সাইন করতে গেলে
অইখানের এম,ডি তোর কিথা জিজ্ঞাস করে।
আর বলে তুই অদের কাছে যেয়ে ডিল এর
ব্যপারর সব বলেছিস।
বাস স্যার এর ররাগ ককমে আর অফিস এসে
তোকে ২ দিন না দেখে আংকেল কে ফোন দেয়।
তারপর দেখলাম বেরিয়ে গেল।
এখন বুঝলাম তোকে আনতে গিয়েছিল।

মেঘ – উফ উফ ঝালে আমি শেষ অই তারার
একদিন কি আমার ১০ দিন।
আল্লাহ এটা কি বানাইছিলা তুমি।
মেয়ে না আর কিছু।

দাড়াও দেখাচ্ছি মজা।

তারা! তারা!

তারা- জি।টেবিল এর উপর লাল ১ টা শরবত দেখলাম।
মেঘ – এটা খাও
তারা-লাগবেনা
।মেঘ – আমি বলছি খাও।
তারা-১ ঢোক খেয়ে আমি শেষ।থুঃথুঃ এটা কি ?এত ঝাল।
মেঘ – পুরা খাবা।
তারা- মাথা খারাপ নাকি।
মেঘ- না হলে তমার বাবাকে সব বলে দিব।
তারা-১বারে গিলে ফেললাম। নাকের পানি চোখের পানি ১
হয়ে গেল।
মেঘ- তারার চোখের পানি মুছে দিলাম।এবার বুঝলে ঝাল কি
জিনিস।
।তারা- চলে আসলাম।আসলেইকাজ টা ঠিক করিনি।

মেঘ – তারা!

তারা : আবার ডাকে কেন রে।
হুহ

জি বলেন।

মেঘ – এই ফাইল গুলা নেও।

তারা – এত গুলা ফাইল।

মেঘ – হ্যা কাল কে সকালে আমি আসার
আগে যেন এই ফাইল গুলা আমার টেবিল এ
থাকে।
আমি যেন রুমে ঢুকে দেখতে পাই।

তারা – wht the hell! r u serious? ?
.
megh – mind ur language.
im ur boss. don’t forget that.
okey?
.
tara – sorry বললাম দাতে দাত রেখে।

অ আল্লাহ এটা কিভাবে সম্ভব।

কিন্তু আল্লাহ বাচাও আমারে।

রাত ১ টা।আল্লাহ দেখতে দেখতে
রাত ২ টা ।
তারপর ৩টা।
যাক কাজ শেষ।
ফোন এ এলাম দিয়ে রাখলাম।
৩-৪ টা টেবিলঘড়ি তেও।

এলামের আওয়াজে ঘুম ভাংল রেডি হয়ে
তাড়াতাড়ি অফিসে গেলাম।

অফিসে কেউ আসেনি।
টেবিল এর উপর ফাইল গুলা রেখে পিছন
ঘুরলাম।
আল্লাহ আল্লাহ! বাচাও বাচাও।

মেঘ – এই মেয়ে চিল্লাচ্ছো কেন।

তারা – অহ আপনি আমি ভাবলাম ভুত।
মেঘ – what rubbish!
.
যাক বলতে হচ্ছে আমি আসার আগেই ফাইল
রেখেছ।

তারার দিকে এগিয়ে ওর ২পাশে হাত রাখলাম।
মাথা নিচু করল। ১ আংগুল দিয়ে মুখটা উচু করলাম রাতে ঘুমাইনি
দেখে বুঝা যাচ্ছে।আচ্ছা
যাও এখন।
তারা – স্যারের রুম থেকে বের হলাম

আমাকে দেখে হিয়ার হাত থেকে কফি পরে
গেল।
এক জন চেয়ারে বস্তে যেয়ে নিচে পরে
গেল।

একজন হা হয়ে আছে।
আমি বুঝতে পেরেছি জিবনের প্রথম টাইমে
অফিসে এসেছি তাই।
আমি হাসতে হাসতে desk এ যেয়ে বসলাম।

হিয়া – কিরে আমি ঠিক দেখছি।

তারা – জি হ্যা।
মুখ বন্ধ কর মশা যাবে।

হেহেহে।

হিয়া – আমার মনে হচ্ছে সপ্ন দেখছি

তারা – জি না ম্যাম।
উফফ খুব মাথা ধরেছে রে।

হিয়া – চল কফি খেয়ে আসি।

তারা – চল
কফি নিয়ে ২ জন হাসাহাসি করছিলাম।
এক পর্যায় হিয়া দিল ধাক্কা আমাকে আর
কফি যেয়ে পরল।

মেঘ – তারারারা! ( চিতকার দিয়ে)

তারা – সরি সরি।
পাশে তাকিয়ে দেখি হিয়া ভাগছে।
শালি দোষ অর আর ফাস্লাম আমি /

মেঘ : u idiot.
.
tara – sorry sir.
extremely sorry.
.
megh – sorry my foot.

হিয়া – দেখলাম স্যার তারাকে টানতে
টানতে উনার কেবিন এ নিয়ে গেলেন।

মেঘ – কোট খুলছিলাম।

তারা – আল্লাহ মাবুদ আপনি কোট খুলছেন
কেন?
.
চলবে
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *