বস বয়ফ্রেন্ড Season 2 ! পর্ব- ১১
লেট হয়ে যাচ্ছে।
।
তারা : জি।
।
অফিসে :
।
ইরা : তারা কি খবর তোর
।
তারা ; কিসের খবর।
।
ইরা : অই মেয়ে বাসায় যায় নি? ?
।?
।তারা : অর নাম ইমু। স্যারের বন্ধু।না আসেনি।
।
ইরা : কাজ শেষ এ চল আজ শপিং করব।
।
তারা : তোর এত শপিং করতে মন চায়?
।
ইরা : হুম।
।
মেঘ : তারা আমি বাইরে যাচ্ছি।
লেট হলে গাড়ি পাঠায় দিব। বাসায় চলে যেও।
।
ইরা : আহ কি মহাব্বাত।
।
তারা : চুপ করতো।
।
ইরা : তারা চল না যাই। এখন।
।
তারা : আচ্ছা চল।
।
ড্রাইভার : ম্যাম স্যার গাড়ি পাঠিয়েছে চলুন।
।
তারা : হ্যা। যাব।
তার আগে আমাদের মার্কেট এ নিয়ে চল।
।
ইরা : এইখানে থামান।
।
তারা : শপিং শেষ হল।
চল ice-cream খাব।
।
ইরা : তুই খাওয়াবি।
।
তারা : আচ্ছা চলতো।
।
ইরা : কিরে এটা কাল কের অই মেয়েটা কি যেন নাম
ইমু না? ?
তারা : ঘুড়ে কই কই?
।
হ্যা তাই তো সাথে কে দেখা যাচ্ছেনা
।
ভাল মত তাকালাম।
কিরে ইরা সস্যার এর মত লাগছেনা??
।
ইরা : হ্যা তাই তো।
দেখ দেখ স্যারের হাত ধরছে।
।
তারা : (রাগ হয়ে ) ধরছে ধরুক তুই চল। আমার ভাল
লাগছেনা।
।
তারা : বিল দিতে গেলাম।
পাশে তাকিয়ে দেখি স্যার ও বিল দিচ্ছে।
।
মেঘ : এই বিল টা।(
ওমা একি তারা! !??)
।
তারা : একবার উনার দিকে তাকালাম আরেকবার ইমুর
দিকে।
।
চলে আসছিলাম।
।
মেঘ : তারা তারা দাড়াও।
।
তারা : তাড়াতাড়ি হাটছিলাম।
।
মেঘ : তারার হাত ধরে হাপাতে হাপাতে।
আরে এত জোড়ে কেউ হাটে??
কি করছিলে এখানে।
হাত ছাড়িয়ে।
তাতে আপনার কি?
।
আপনি আপনার কাজ করুন।
।
মেঘ : চুপ। চুপ করে দাড়াও।
।
ইরা ; তারা আমি চললাম।
স্যার বাই।
।
তারা : ইরা দাড়া।
হাতে টান অনুভব করলাম। উনি হাত ধরে আছে।
।
মেঘ : ড্রাইভার তুমি ইমু কে ওর বাসায় দিয়ে
আসো।
।
তারা তুমি আমার গাড়িতে আসো।
।
তারা : না যাব না।
।
মেঘ : চুপ একদম চুপ।
।
ইমু তুই যা।
।
গাড়িতে উঠ তারা।
।
তারা : উঠে বসলাম
।
একটা কথাও বললাম্ না।
।
মেঘ : চুপ কেন এতো
।
কনো কথাই বলল না।
।
বাসার সামনে আসতেই নেমে চলে গেল।
।
বেপার কি হল।
রাগ হইছে নাকি?
।
কিন্তু রাগ হবে কেন /
।
তাহলে ও কি আমাকে? ?
।হতেই পারে।
।
মেঘ : তারার রুমে গেলাম। ও বারান্দা তে। রাতের
খাবার খাবেনা /
।
তারা : না পেট ভড়া।
।
মেঘ : কিন্তু আমার ক্ষুদা লেগেছে।
।
তারা : কেনো? ? অইখানে কিছু খান নি?
।হাহ।
।
মেঘ : তারার কাছে এগিয়ে ২হাত দিয়ে অর কোমড়
জরিয়ে ধরে বলিলাম কিছু জলার গন্ধ পাচ্ছি মনে
হচ্ছে।
।
তারা : ছাড়ানোর চেস্টা করে – আমি পাচ্ছি না তো।
।
মেঘ : সত্তি?
তারা: হুম( মুখ ঘুড়িয়ে)
।
মেঘ : ভুল হল মনে হয়।
।
তারা : পায়ে দিলাম পাড়া – জি ভুল হচ্ছে।
।
মেঘ : আল্লাহ! পা শেষ আমার।
।
অর হাত টা ধরে টান দিয়ে নিজের দিকে আনলাম।
আমি অর পিছন দিকে দাড়িয়ে অকে জড়িয়ে ধরলাম।
।
তারা : কি হচ্ছে কি?
।
মেঘ : যে কাজ টা করলে ওটার শাস্তি না নিয়েই
চলে যাচ্ছ?
।
তারা : কি শাস্তি।
।
মেঘ : আমি অর ঘাড় থেকে চুল গুলা সরিয়ে দিলাম
এক পাশে।
ঘাড়ে একটা চুমু দিলাম আলতো করে।
।
তারা : চোখ বন্ধ করে ফেললাম। তার হাত টা শক্ত
করে ধড়লাম।
।
মেঘ : তারা! /
।
তারা : হুম।
।
মেঘ : ভাবলাম ভালিবাসি কথাটা বলে দেই।
কিন্তু ফোন আসল।
।
মেঘ : হ্যালো।
কথা বলতে বলতে চলে আসলাম।
।
তারা : কি যেন বলতে চাইলেন। না বলেই তো
চলে গেলেন।
।
একটু পর আবার আসলেন।
মেঘ : তারা পরশু মিটিং আছে। মনে রেখ। বলেই
চলে আসলাম।
তারা : আমি ভাবলাম কি আর হল কি?
।
অফিসে :
।
মেঘ : তারা ফাইল টা একটু চেক করতো।
।
তারা ; হুম।
।
মেঘ : তারা শুন এই ফাইল টা একটু এগিয়ে দেও
তো।
।
তারা : ফাইল টা এগিয়ে দিলাম।
।
মেঘ : ফাইল টা নেওয়ার আগে অর হাতে ১ টা চুমু
দিলাম।
।
তারা : কি হল এটা?
।
মেঘ : কিছুই না।
।
ইমু : কিরে আমাকে তো ভুলেই গেছিস।
।
মেঘ : না তা কি আর হয়।
তারা : আমি বাইরে যাচ্ছি।
ইমু কে দেখে সামান্য হাসি দিয়ে বেড়িয়ে
গেলাম।
।
ইমু : কিরে কি হচ্ছিল/
।
মেঘ : কি হচ্ছিল?
।
ইমু : আমি কিন্তু দেখেছি।কত দুর এগিয়েছ।
।
মেঘ : আগাতে আর পারলাম কই।
ভয় লাগে।
।
ইমু ; কিহ। ভয় আর তুই??
।
মেঘ : যে রাগ জানিস তো না।
।
ইমু : বল না গল্প শুনি।
।
মেঘ :অন্য একদিন
।
ইমু: চল বাইরে যাই ।
বসে গল্প করতে করতে শুনব।
।
মেঘ : ইমু আমার হাত ধরে টানতে টানতে রুম
থেকে বের করল।
।
তারা : আমি তো প্রায় বেহুশ এটা দেখে।
।
ইরা : অই কিরে তুই আমাকে কিলাচ্ছিস কেন।
পিছন দিকে ঘুড়ে দেখি ও আচ্ছা এই কাহিনি।
।
তারারারা।
।
তারা : কি কি।
।
ইরা : তোর কি হইছে রে।
এই যে বলিস সস্যার কে পছন্দ করিস্না। আবার ইমু
কে ও তার পাশে তোর সহ্য হয় না।
কাহিনি কি? .
।
তারা : চুপ করতো। কিছুইনা।
।
মেঘ : তুই এমন গলা ধরে বসে আছিস কেন। ছাড়
তো।
।
ইমু : আরে দুর। এত ভয় কেন তোর।?
।
তুই দিন দিন ভিতু হয়ে যাচ্ছিস।
।
মেঘ : প্রেমে পড় তারপর বুঝবি।
।
ইমু : কত আসল আর গেল।
।
তারা : তাদের পিছন পিছন গেলাম।
এ মা একি। এই মেয়ের লজ্জা নাই নাকি উনার গলা
ধরে বসে আসে কেন।
।
ইরা : অই তুমি কি দেখিস এইভাবে?
।
তারা : চুপ চুপ।
দেখ অই মেয়ের কান্ড।
।
ইরা : ছি ছি।
তুই সামনে যা।
।
তারা : না না।
।
ইরা : দিলাম ধাক্কা।
।
তারা : পড়ে যাওয়া কন মতে সামলে দাড়ালাম।
।
মেঘ : অরে আল্লাহ।
তারা! !!
।
অই ছাড় ছাড় আমাকে।
।
ইমু : কি হইছে রে।
তারাকে দেখে ছেড়ে দিলাম।
।
তারা : চলে আসলাম।
মুখ ভাড় করে।
।
মেঘ : তোর জন্য কিছু যদি হয় রে তারপর দেখিস।
।
ইমু : কিচ্ছু হবেনা। যা বলতে আসছিলাম কাল ফিরে
যাচ্ছি।
।
ভাল থাকিস। আর মেয়েটাকে ভাল রাখিস।
আর রাগ টাগ কম করিস।
তোর রাগ সম্পকে আমার ধারনা আছে।
গেলাম রে।
মেঘ : চল তোকে এয়ারপোর্ট দিয়ে আসি।
।
ইমু : চল।?
মেঘ : ইরা তারা কই।
।
।
ইরা : ও তো চলে গেল।
আচ্ছা ঠিক আছে।
।
তারা : রুমে এসে আয়নার সামনে- হুহ আমি কি সুন্দর
না? ?
।
আমিও কি কম সুন্দর নাকি? ?
।
হাহ।
ঘরে এক রকম বাইরে এক রকম।
এটা কেমন কথা।
খাটাশ একটা।
।
মেঘ : দরজার সামনে দাড়িয়ে- অর কথা শুনে আমার
খুব হাসি পাচ্ছিল।
।
কে খাটাশ?
।
তারা : আপনি আবার কে।
বলেই ঘুড়ে দাড়িয়ে দাত দিয়ে জিভ কাটলাম।
।
মেঘ : অর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম তাই নাকি।
।
তারা : না মানে। না না তা না ( মিন মিন করে)
।
মেঘ : জোরে বল শুনিনা।
তারা : আপনি আবার কেন এগিয়ে আসছেন।
।
মেঘ : একেবারে তারার কাছে যেয়ে দাড়ালাম।
।
তারা তুমি আমার কাধ পর্যন্ত ।
।
তারা : তারা মুখ উচু করে তাতে কি হুহ।
অন্য দিকে তাকালাম।
।
মেঘ : রোমান্স করতে মজা হবে।
।
তারা : কি … কি … কি বললেন।
।
মেঘ : না মানে খাট মেয়েদের কোলে তুলে
রোমান্স করার মজাই আলাদা। আর তাছাড়া উচু করে চুমু
দেওয়াতেও
।
তারা : চুপ চুপ চুপ করুন।
।
কয়টা প্রেম করছেন হ্যা??
।
মেঘ : ১০-১২ টা তো হবেই।
।
তারা : কিহ? ?
।হা করে থাকলাম।
।
মেঘ : মুখ বন্ধ করে দিয়ে হেহেহে।
।
তারা : হাসেন কেন? ?
।
মেঘ : নাহ কিছুনা।চলে আসলাম।
।
এখন সারারাত অ মেবি আমার প্রেমের কথা ভেবে
ঘুম হারাম করবে।
।
তারা : ১০- ১২ টা আল্লাহ কয় কি? ?
।
চলবে
.বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!