বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 50
আবির অনেক ক্ষন ধরে দাঁড়িয়ে আছে দরজার কাছে সব কিছু শুনেই নিজে হাসতে হাসতে শেষ ভাবতে থাকে এমন এলিয়েন বউ জুটেছে যে কোথায় কি বলবে সে জ্ঞানটা পর্যন্ত এখনও হয় নাই,,,
দাদিমাঃ তিথি আমার নাতির কি হাল হবে আমি ভাবি,,(চিন্তা ভাব নিয়ে)
আরিশাঃ কেন দাদিমা ভাইয়ের কি হবে আবার?
তিথিঃ হ্যাঁ তাই তো অই বজ্জাত হিটলারের কি হবে আবার,,,
দাদিমাঃ না তুমি তো যে ক্রিকেট ফুটবল টিম বানানোর প্লেন বানাচ্ছো বেচারা আমি নাতি টা,,,
তিশা হেসে উঠে আর আরিশা ও,,,
তিথিঃ দাদিমা আমি তো ৪৫ টা বাচ্চার প্লেন করছি কিন্তু তোমার আদরের নাতনি তো ৫০ টা প্লেন করে বসে আছে তো,,,
আরিশা তিশাঃ হেএএএএএএ,,,
দাদিমাঃ কিইই? ওহ আল্লাহ আমার আবির টা এতো ফাস্ট ভাবি নাই তো,,,,
তিথিঃ হু,,
আবির হুট করে রুমে এসে বলে উঠে
আবিরঃ তিথি পাগল নাকি তুমি??? দাদিমা পুরো মিথ্যা আমি কখনো এমন বলি নাই,,
দাদিমাঃ বুজি বুজি সব বুজি বুজলি,,আমার চুল গুলো বাতাসে তো আর সাদা হয় নাই যে বুজি না,,,
তিশা আরিশা তো হাসতে হাসতে শেষ,,,আবির তো বেচারা দাদিকে বুজাতে ব্যস্ত যে সে নির্দোষ,,, আর তিথি
তিথিঃ দাদি সত্যি উনি বলছে,,,এই মিস্টার হিটলার আপনি মিথ্যা কেন বলছেন হুম,,এক তো আমাকে বাচ্চা দিচ্ছেন না উপরে
সবাই তো ভুঁত দেওয়ার মত তাকিয়ে আছে তিথির দিকে,,,আবির তো মনে হয় আকাশ থেকে পড়ছে তিথির এমন কথা শুনে,,,আর দাদিমা তো পানির গ্লাস্টা নিয়ে খেতে লাগে
আরিশাঃ তিশা রে এই ভাবির কি মাথা গেছে?
তিশাঃ তার মাথা ঠিক কখন ছিলো যে আজ যাবে?
আরিশাঃ সেটায়,,,,
আবির তিথির হাত ধরে টেনে বাহিরে নিয়ে আসে জানে এখানে আর অল্প সময় থাকলে তার এই বিপদ,,, আবির তিথিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে রুমে,,
তিথিঃ আরে আপনি আমাকে কই নিচ্ছেন অইখানে সবাই আছে কথা তো বলতে দেন ভালো করে
আবিরঃ তোমাকে যদি আর এক সেকেন্ড অইখানে রাখতে দিতাম তাহলে তুমি আমার ইজ্জতের ফালুদা বানিয়ে দিতে তাই না?
তিথিঃ গাজের ফালতু আমি ভালো বানাতে পারি আচ্ছা একদিন ইজ্জতের ফালুদা বানিয়ে দেখবো কেমন টেস্ট,,
আবির তিথির দিকে রাগী লুক দিয়ে তাকায় তিথি তার মুখে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করে যায় চেহারা এমন ভাবে বানায় যে সে কিছু জানে না,,,সে মাসুম বাচ্চা
আবিরঃ (আল্লাহ আমাকে কি বউ দিলে যে আমার ইজ্জতের ফালুদা বানাতে একটু ভাবে না?উফফফ)
আবির তিথিকে রুমে রুমে ধমক দিয়ে বলে
আবিরঃ এই তোমার কি আক্কেল জ্ঞান জীবনে হবে না???
তিথিঃ আমার তো এতো জ্ঞান যে আমাদের এলাকার মানুষ আমার কাছ থেকে ধার নিতে আসতো,,,
আবিরঃ চুপ একদম,,,ফাজিল মেয়ে মুখ খুললেই কষাই থাপ্পড় দিমু আস্তা একটা বেয়াদব মেয়ে,,,
তিথি আবিরের ধমকে কিছু টা ভয় পেয়ে যায়,,,চুপসে বসে আছে
আবিরঃ আর কিসের বাচ্চা চাই তোমার হুম??
তিথিঃ,,,,,,,
আবিরঃ বোবা নাকি উত্তর দাও??
তিথিঃ হু হু (চোখ দিয়ে ইশারা করে)
আবিরঃ উফফ আল্লাহ ওকে হাত সরাও মুখ থেকে এইবার বলো,,,
তিথিঃ আপনি জানেন চুপ থাকলে আমার মনে হয় আমার মুখে পোঁকা কিলবিল করছে,,
আবিরঃইয়াক তিথি প্লিজ চুপ,,,আল্লাহ কেন যে মুখ খুলতে বলছি খুলছে তো খুলছে খুলেই এমন ফালতু বকবক যে বমি আসছে,,,
তিথিঃ প্রেগন্যান্ট আমি হওয়ার কথা আপনি হলেন নাকি?
আবিরঃ হোয়াট??????
তিথিঃ না মানে বমি তো তখন করে যখন কেউ প্রেগন্যান্ট হয়?
আবিরঃ আল্লাহ প্লিজ আমার বউয়ের মাথায় গোবর গুলো সরিয়ে কিছু টা বুদ্ধি জ্ঞান তো দাও প্লিজ,,,
তিথিঃ আ,,মি কি করলাম???
আবিরঃ এক টা চড় লাগাবো আর কথা বললে ফাজিল,,,,
খালামনি এসে আবির তিথিকে ডাকতে আসে,,,
খালামনিঃ এই আবির তুই এখানে কি করছিস হ্যাঁ অইদিকে তোকে আমান তারা খুজছে,,
খালামনি দেখে তিথি কিছু টা চুপ করে আছে,,আর আবির কিছু টা রাগান্বিত ভাব নিয়ে আছে,,,,
খালামনিঃ তিথি আজ তো তোমার দায়িত্ব অনেক তাড়াতাড়ি যাও
আবিরঃ আচ্ছা আমি যাচ্ছি
আবির এই বলেই চলে যায়,,,তিথি ও খালামনির সাথে বের হয়ে যায়,,,
এইদিকে,,,
তিশা আর আমানের রুম সাজানো শেষ,,, আকাশ আবির মেঘ নেহাল আমানকে ঘিরে ধরে বলে
মেঘঃ কাল কিন্তু পার্টি দিবি বলে দিলাম,,,
আকাশঃ হ্যাঁ ভাই বড় করে পার্টি না দিলে তোর বাচ্চা গুলো রে আমরা সবাই বলবো তার বাপ কিপটা,,,,
আবিরঃ দেখ আমান ট্রিট ভালো জায়গায় দিবি,,,
আমানঃ আবির তুইও???
আবিরঃ দেখ ট্রিট এর বেলায় আমরা সবাই এক সাথে এখানে এতো শকড হওয়ার কিছু নাউ তো তাড়াতাড়ি দিয়ে দিস,,,,,
তিথি আর বাকি মেয়েরা এসে বলে
তিথিঃ সবাই তাড়াতাড়ি যান তো কাজ আছে আমাদের
আবিরঃ তোমাদের আবার কিসের কাজ,,,
তিথিঃ আপনি বুজবেন না,,তিশাকে এনে এখানে রেখে যাবো আরো কিছু কাজ আছে যান তো
সবাই বের হয়ে যায়,,,তিথি আর বাকি মেয়েরা এসে তিশাকে রুমে বসিয়ে দেয়,,কিছু ক্ষন পর আমান আসে তিতি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বলে
তিথিঃ তাড়াতাড়ি ১০হাজার বের করো,,,
আমানঃ কিসের টাকা?
তিথিঃ এখন যদি টাকা না দাও তাহলে ভিতরে যেতে দিবো না,,আর ভিতরে না গেলে কি হবে ভেবে দেখিও হুম,,,,
আমানঃ তিথি তুমি আজ ও কি ডাকাতি করবা???
তিথিঃ কালকের টা আলাদা আর আজকের টা আলাদা,,, তুমি যদি এখন টাকা না দাও তাহলে এন্ট্রি বন্ধ আর আমি তিশার সাথে ঘুমাবো ভাবো এখন কি করবা???,
আমান কিছু টা ভাবে উঁকি মেরে দেখে তিশা মুচকি হাসছে,,,আমান আর কি করবে শেষ মেষ তিথিকে ৮ হাজার টাকা দিয়ে বলে
আমানঃ এখন এইটুকু আছে বাকি টাকা কাল দিবো,,,
তিথিঃ বাকির নাম ফাকি,,,এখন না দিলে যেতে দিবো না হুম,,
আমান আবিরকে কল করে আনায়,,
আবিরঃ কি রে আবার কি হলো?
আমানঃ কি এক বউ তোর আমাকে খালি ডাকাতি করে,,,,ভাই আমি শেষ সত্যি ফকির হয়ে যাবো,,,,
আবিরঃ তিথি এমন কেন করো হ্যাঁ
তিথিঃ এই আপনি কথা বলবেন না তো আজ আমাদের অধিকার আছে বিদায় চাইছি হুম,,,,
আবির আর কিছু বলে না,,নিজের পকেট থেকে টাকা বের করে দেয়,,,
তিথিঃ আমান সাহেব যেতে পারেন আপনি,,
তিথি আর বাকিরা চলে আসে তারা এইভাবে এট্যাক করে আরিশা আহাদের উপর সেম তাদের থেকে ও টাকা নিয়ে নেয়,,,
আমান দরজা লাগিয়ে দিয়ে তিথির পাশে বসে কপালে চুমু দিয়ে বলে
আমানঃ স্বপ্ন গুলো সত্যি হলো আসলেই,,
আমান তিশাকে জড়িয়ে ধরে তাদের নতুন জীবনে পাড়ি দেয়,,,
অইদিকে,,,
আহাদ রুমে রসে দেখে আরিশা বসে আছে আরিশার পাশে এসে বসে তার হাতটি ধরে বলে
আহাদঃ অনেক ভালোবাসি আরু অনেক বেশি,,,
আরিশাঃ আমিও যে অনেক টা ভালোবাসি তোমায়,,,
আহাদ আরিশার হাতে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরে,,,তারা তাদের নতুন জীবন শুরু করে,,,,ভালোবাসার রাঙ্গে আজ দুইজন ও,,,,
এইদিকে,,,
তিথি আজ ভাবে আবির তিথিকে হয়তো বকবে তাই তাড়াতাড়ি শুয়ে যেতে লাগে আবির এসে হাজির,,,
আবিরঃ কি ব্যাপার ঘুমাচ্ছো কি?
তিথিঃ কই না তো আমি তো সাতার কাটতে যাচ্ছি জানেন না,,,
আবিরঃ আরে বাহা তাই নাকি?
তিথিঃ হু,,
আবিরঃ আচ্ছা চলো,,,
তিথিঃ কোথায়?
আবিরঃ বাহিরে যাবো আমরা,,
তিথিঃ এতো রাতে???
আবিরঃ হুম কেন ভয় লাগছে বুজি???
তিথিঃ জ্বি না তিথি ভয় পাওয়ার মেয়ে না ওকে,,,
আবিরঃ হ্যাঁ সেটা তো তো জানি যে তিথি আসলে কি,
তিথিঃ কি???
আবিরঃ কই কি যাবে কি তুমি নাকি না???
তিথিঃ ওকে
আবির আর তিথি বের হয়ে যায় বাড়ি থেকে,,গাড়িতে উঠতে চোখ পড়ে মায়রার,,মায়রা বারান্দা থেকে তাকিয়ে আছে যে আবির তিথি এতো রাতে বাহিরে যাচ্ছে,,,
মায়রাঃ যা আনন্দ করার আজ করে নাও তিথি কারণ কাল থেকে তো আর তা করতে পারবে না,,,তোমার যে আজ শেষ রাত আবিরের সাথে,,,আই হেট ইউ তিথি,অনেক ঘৃনা করি তোমাকে তোমার জন্য শুধু আমার আবির আমার দিকে ঠিক করে পর্যন্ত তাকায় না,,,এই শাস্তি তুমি আজ নয় কাল পাবে বেবি,,,
এইদিকে,,,
আবির তিথিকে সাগর পাড়ে নিয়ে আসে,,রাতে সমুদ্রের ঢেউ আসলে এতো সুন্দর লাগছে যে বলার বাহিরে,,,চাঁদের আলোতে যেন মুহূর্ত টা আরো বেশি সুন্দর হয়ে যায়,,,তিথি তো মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে আর আবির তিথির মুখের হাসির দিকে,,কেন জানি আবিরের এখন ভালো লাগে তিথির এমন হাসি মাখা মুখ দেখতে,,
আবির আর তিথি এক পাশে বসে,,তিথির হাতটি ধরে বসে আবির,,তিথিও সে সুযোগ নেয় আজ ইচ্ছে করে আবিরের ঘাড়ে মাথা রেখে বলে
তিথিঃ শুকরিয়া
আবিরঃ কেন?
তিথিঃ এতো সুন্দর মুহূর্ত গুলো উপহার দেওয়ার জন্য,,,,
আবিরঃ হুম
তিথিঃ আচ্ছা হঠাৎ কেন নিয়ে আসলেন এখানে?
আবিরঃ ভালো লেগেছে তাই,,খুব ইচ্ছে করছে এখানে কিছু মুহূর্ত কাটানোর তোমার সাথে তাই,,,
কথাটা যে তিথির মনে গেঁথে যায়,,,তার খুশি কাকে বলে যে আবির এখন বাহানা খুজে শুধু তিথির সাথে সময় কাটাতে,,,
তারা দুইজন এইদিকে গল্প করতে থাকে,,
আজ তিনটা কাফেল এর জীবনে যেন নতুন করে শুরু হওয়া,,,আমান তিশা,আরিশা আহাদ নতুন জীবনে পায় দেয় আর আবির তার ফিলিংস গুলো বুজতে পারে ধীরে ধীরে যে তিথি ছাড়া সে অসম্পূর্ণ এখন,,,,
সকালে,,
আরিশা আহাদের বুকে ঘুম,,আহাদের গালে লিপস্টিকের দাগ রয়ে যায়,,আহাদের ঘুম ভেঙ্গে দেখে তার বুকে আরিশা,,,কি মিষ্টি দেখতে লাগছে ঘুমান্ত আরুকে আহাদের কাছে,,চুল গুলো সরিয়ে কপালে চুমু দিয়ে বলে
আহাদঃ আমার ঘুম পরীকে যে অনেক মায়াবী লাগছে,,,
আরিশা ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আহাদের দিকে তাকিয়ে লজ্জা পায়,,লজ্জায় মুখটা আহাদের বুকে আবার লুকিয়ে ফেলে,,
আহাদঃ বাহা আমার বউ এতো লজ্জা পায়,,,যাক লজ্জা মাখা মুখে কিন্তু তোমাকে আরো বেশি কিউট লাগে,,,বাই দ্যা ওয়ে ভাবতেছি আমার বউকে আদর করবো
আরিশা আহাদের বুকে কয়েকটা কিল ঘুষি দিয়ে বলে
আরিশাঃ চুপ থাকো তো ফাজিল একটা,,
দুইজন দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া করতে থাকে,,,
এইদিকে,,
তিশাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে আমান,,,দরজায় নক পড়ছে সে কখন থেকে তার খবর ও নাই তাদের,,অনেক ক্ষন পর যখন ঘুম ভাঙ্গে তিশা উঠতে লাগে কিন্তু পারছে না আমানের জন্য
তিশাঃ এই ছাড়বা কি?
আমানঃ না আজ তো নয়,,রাতে তো তেমন কিছুই হলো না যে এখন ছাড়বো,,,
তিশাঃ পাগল নাকি তুমি হুম,,,সত্যি দরজায় কেউ নক করছে ছাড়ো প্লিজ আর যেতে দাও,,
আমানঃ যেতে দিলে পরে হাতে আসবে না তুমি
তিশাঃ চুপ ফাজিল এখন ছাড়ো,,না হলে পরে আবার
আমানঃ ওকে রাতে কিন্তু ছাড়বো না হুম,,,
আমান তিশাকে ছেড়ে দেয় তিশা কাপড় ঠিক করে দরজা খুলে দেখে খাদিজা,,
খাদিজাঃ তিশা ভাবি তাড়াতাড়ি নিচে আসতে কইছে খালাম্মা নাস্তার লাই,,
তিশাঃ আচ্ছা যাও আসছি,,,
তিশা ফ্রেশ হতে চলে যায় ওয়াশরুমে ফ্রেশ হয়ে এসে নিচে আসে নাস্তা করতে সবার সাথে,,,আরিশা আহাদ ও ফ্রেশ হয়ে আসে,,,আবির সে কখন থেকে বসে আছে নাস্তার টেবিলে,,
আমানঃ কি ব্যাপার আজ তুই এতো তাড়াতাড়ি আসলি যে?
আবিরঃ তাড়াতাড়ি আসি নাই সঠিক সময়ে আসছি দিনের ১১ টা বাজে আর কত তাড়াতাড়ি আসতাম হুম,,,
সবাই হেসে উঠে তিথি তার শাশুড়ি মায়ের সাথে নাস্তা এনে টেবিলে রাখে,,সবাই নাস্তা করে নেয়,,
নাস্তা করার পর সবাই অনেক ক্ষন আড্ডা দেয়,,,
এইভাবে দিনটা পাড় হয়ে যায়,,,আজ কাকতালীয় ভাবে আরিশা তিথি সেম কালারের শাড়ি পড়ে মেহেরুন কালারের,,বেশ লাগছে আজ দুইজনকেই,,,
সন্ধ্যায় দাদিমা তিশা আর আরিশাকে ডেকে জিজ্ঞেস করে
দাদিমাঃ বাসর কেমন গেলো হুম,,,
দুইজনে যা লজ্জা পায়,,,
দাদিমাঃ লজ্জা পাওয়ার কি আছে হুম আমি তো,, আচ্ছা আরু তুই বল
আরিশাঃ দাদিমা তুমি ও না,,,
আরিশা লজ্জায় অইখান থেকে চলে আসে,,,,
এইদিকে,,,
মায়রা একটা প্লেন করে সে প্লেন অনুযায়ী তার হাতে একটা গিফট এর প্যাকেট,,,সে নেহালকে ডেকে আনে,,নেহালের হাতে হাত রেখে বলে
মায়রাঃ তুমি আমাকে কত ইম্পর্টেন্ট দাও আর আমি তোমাকে কত ইগনোর করি তাই না নেহাল??
নেহাল তো খুশিতে শেষ হাত যেন কাঁপছে তার,,
নেহালঃ না না ও কিছু না,,,
মায়রাঃ একটা হেল্প করবা কি???
নেহালঃ কি বলো সব কিছু করতে রাজি,,,
মায়রাঃ না না সব কিছু না শুধু এই গিফট টা তিথিকে দিলেই হবে,,আসলে আবির তিথির বিয়েটা হুট করে হইছে যে আমি তাদের কিছু দেই নাই,,,
নেহালঃ তুমি নিজে দিলে তো হয়,,,
মায়রাঃ না মানে আমি যদি দেই তাহলে তিথি নিবে না তিথি আমাকে একদম পছন্দ করে না,,আর আমি মন থেকে চাই এই গিফট তিথি পাক,,,তুমি যদি আমার সামান্য টুকু হেল্প করতে আর কি,,,
নেহালঃ ওকে কি করতে হবে বলো?
মায়রাঃ এইটা গিয়ে তিথিকে দিবে আর হ্যাঁ আমার নাম নিও না পরে সে যদি ফেলে দেয়,,,
নেহালঃ ওকে,,
মায়রাঃ তুমি দিয়ে আসো কাল তোমার সাথে আমি ডেটে যাবো যদি তুমি চাও আর কি,,,
নেহাল তো খুশিতে লাফাচ্ছে এই শুনেই,,মুখে এক রাশ হাসি নিয়ে বলে
নেহালঃ আমি এখনই দিয়ে আসছি ওয়েট,,,
নেহাল দৌড়ে চলে যায় আর মায়রা মুচকি হাসতে থাকে,,
নেহাল তিথিকে দেখে যে তিথি তার শাশুড়ির সাথে কথা বলছে যেতে লাগে যে আরিশা সামনে আসে,,,আবার তাকিয়ে দেখে তিথি চলে গেছে কিছু টা বিরক্তি ভাব নিয়ে বলে
নেহালঃ শিট,,,
আরিশাঃ কি হলো নেহাল ভাইয়া?
নেহালঃ না মানে কিছু না এই গিফট টা দিতে আসছি,,,
নেহাল আর কিছু বলতে যাবে আকাশ এসেই নেহালকে টেনে নিয়ে যেতে লাগে নেহাল আরিশাকে গিফট টা দিয়ে যে কিছু বলবে এর আগেই আকাশ টেনে নিয়ে যায়,,,
আরিশা ভাবে তার বিয়ের গিফট হয়তো নেহাল তাকে দিতে এসেছে,,,মুচকি হেসে গিফট টা খুলে দেখে একটা গলার রকেট সাথে ছোট একটা চিরকুট,,,চিরকুট খুলেই দেখে
,,,,চিরকুট,,,,
হে প্রিয় অপেক্ষা করছি তোমার জন্য ছাদে তাড়াতাড়ি আসো কাউকে কিছু না বলেই ছোট একটা সারপ্রাইজ আছে,,,
আরিশা মুচকি হেসে ভাবে আহাদ হয়তো নেহালকে দিয়ে এই গিফট ফাটিয়েছে তার জন্য আর সারপ্রাইজ দিবে,,,
আরিশাঃ এই আহাদটা ও না একদম পাগল,,,,
আরিশা যেতে লাগে যে তিশা বের হয়ে এসে আরিশাকে বলে
তিশাঃ অই একা কেন ফেলে আসলে হুম জানো দাদিমা কত প্রশ্ন যে করেছে লজ্জায় যেন আমি শেষ
আরিশাঃ হাহা তাই নাকি,,আমি তো সে জন্য তাড়াতাড়ি এসে গেছি,,,
তিশাঃ হুম,,আচ্ছা আমার রুমে আসো কিছু দেখাবো,,,
আরিশাঃ তিশা তুমি যাও আমি আসছি একটু কাজ আছে,,,
তিশাঃ কই যাও??
আরিশাঃ এই তো আসছি কিছু ক্ষনে যাও তুমি
তিশাঃ ওকে,,,
আরিশা সুন্দর করে লুকিয়ে ছাদে উঠতে থাকে,,পিছন থেকে মায়রা দেখে যে মেহেরুন কালারের শাড়ি পড়া তিথি ছাদে উঠছে,,সে ভাবে তিথি,,
আরিশা ছাদে গিয়ে দেখে পুরো ছাদ যেন আজ অন্ধকার,,,একটু ও আলো নাই ভেবেছে কত লাইট থাকবে আরো কত কি,,,কিন্তু কিছু নেই,,,
আরিশাঃ আহাদ কই তুমি???
আরিশা অনেক ক্ষন ধরে খুজছে আহাদকে কিন্তু পাচ্ছে না,,,পিছনে ফিরতে যাবেই তখনই তার মাথায় অনেক জোরে একটা রট দিয়ে বাড়ি মারে মায়রা,,,আরিশা মাথায় হাত দিয়ে চিৎকার দিয়ে উঠে
আরিশাঃ আয়ায়ায়া,,
মাথায় আঘাত করেই তাকে ধাক্কা দেওয়া হয় ছাদ থেকে নিচে মুখ না দেখেই,,,আরিশাকে এতো জোরে ধাক্কা যে সোজা নিচে পড়ে যায় আরিশা,,রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে নিচে,,,,
মায়রা মুচকি হেসে বলে উঠে
মায়রাঃ তিথি তুমি আর আমার ও আবিরের মাঝে আর কখনো থাকবে না,,তোমার কাহিনী আজকে শেষ এখানেই,,,,
মায়রার মুখে ছিলো এক জিতে যাওয়ার খুশি,,সে ভাবে আজ সে তিথিকে শেষ করে দিয়েছে কিন্তু তিথির জায়গায় যে সে আরিশাকে মেরেছে সে খেয়াল টুকু তার নাই,,,এইদিকে আরিশার রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে বাগানের উপর সাইটে যেখানে কেউ তেমন আসা যাওয়া ও করে না,,,,
আহাদের মনটা কেমন যেন করছে আজ কেন জানি মনে হচ্ছে কিছু হবে,,,
এইদিকে আবিরের মায়ের বুকটা কেঁপে উঠছে,,,খুব অস্তির লাগছে তার,,,তিথিকে বলে উঠে
আবিরের মাঃ আরিশা কোথাও ওকে দেখছি না যে?
তিথিঃ আমি তো জানি না মা,,আচ্ছা খুজে দেখি
মায়ের মনটা যে খুব অস্তির হয়ে আছে,,,কেন জানি বুকটা হাহাকার করছে তার কারণ টা শুধু অজানা,,,,
চলবে,,,,,