বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 39
আবির লাইটটা অফ করেই তিথির মাথা টা নিজের বুকে টেনে নেয় তারপর ঘুমিয়ে যায় তিথিকে জড়িয়ে ধরে,,,,,
দুইজনেই ক্লান্ত থাকায় অনেক ক্ষন ঘুমায়,,,
আবিরের বুকে তিথি ঘুমিয়ে আছে অনেক শান্তিতে,,,,ভালোবাসার মানুষের বুকে ঘুমিয়ে থাকতে যে শান্তি তা হয়তো অনেক কিছু তে নাই,,,তিথির কাছে এখন আবিরের বুকে ঘুমানো ছাড়া মনে হয় কিছু নাই,,,আর আবির ও তিথিকে বুকে না নিয়ে ঘুমায় না তার ও যে অভ্যাস হয়ে যায় তিথির মাথা তার বুকে রাখতে তিথির চুলের ঘ্রাণ নিতে,,,,
তিথি চোখ খুলেই প্রতি দিনের মত নিজেকে আবিরের বুকে দেখে,,, এইটা প্রতি দিন এর এখন নিয়ম হয়ে যায়,,,আবিরের বুকে তিথি আরামে ঘুমানো আর আবির ও তিথিকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানো যেন নিত্য দিনের কাহিনী,,,,,
ঘুম ঘুম ভাবে আবিরের দিকে তাকায়,,,,মুচকি হেসে আবিরের গালে হাত রেখে দেখছে,৷ আবিরের প্রতি ভালো লাগা আরো বেশি কাজ করছে,,,,
তিথিঃ আপনার এই খোচা খোচা দাড়ি আমার বেশ ভালো লাগে,,,আপনার অই রাগী চেহারা এতো কিউট যে লাগে বলার বাহিরে,,,আপনি যখন হাসেন তখন তো আমার মনে আকাশে বাতাসে গান চলে,,,,
তিথি সে কখন থেকে আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে আর নিজের ফিলিংস গুলো বলছে,,,, আবিরের ঘুম ভাঙ্গে চোখ খুলেই দেখে তিথি তাকিয়ে আছে তার দিকে,,,
ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে বলে
আবিরঃ কি ব্যাপার তাকিয়ে আছো যে?
তিথিঃ আমি তাকাবো না তো কে তাকাবে হুম,,, আপনার এক মাত্র বউ বলে কথা,,
আবিরঃ আমি কি বলছি কেউ তাকাবে,,,
তিথিঃ হু,,,আপনার গাল
আবিরঃ কি হইছে গালে?
তিথিঃ গাল লাল হয়ে আছে,,,,
আবিরঃ কই জানি না তো দাঁড়াও দেখি,,,
আবির তিথিকে সরিয়ে উঠে আয়নার সামনে যায়,,,আয়নায় তাকায় দেখে লাল হয়ে আছে,,তিথির দিকে ভ্রু কুচকে বলে
আবিরঃ আপনার লিপস্টিক এর দাগ এইসব,,,,
তিথিঃ আমার লিপস্টিক কিভাবে আপনার গালে যাবে হুম??আমি কি আপনাকে কিস করেছি যে লিপস্টিক এর দাগ লাগবে,,,
তিথি এমন উত্তর পেয়ে আবির অবাক,,,
আবিরঃ মুখে কিছু বাজে না তাই না,,,
তিথিঃ কেন??আপনি যদি কিস করতে পারেন আমি বলতে পারবো না,,,
আবিরঃ আমি কখন করলাম,,,,,
তিথিঃ কেন ভুলে গেলেন আমি যখন ঘুমাই ছিলাম আপনি কিস করলেন,,,
আবির তিথির কথা শুনে বেক্কল হয়ে যায়,,,,
আবিরঃ পাগল হইছে যে কেউ জানে???
তিথিঃ আপনি জানলে হবে শুধু হুম,,,,
আবির আর কিছু না বলেই তাড়াতাড়ি ওয়াশরুমে চলে যায়,,জানে তিথির সাথে কথায় সে পারবে না,,,,তিথিকে একটা বললে সে তিথি হাজার টা শুনাই দিবে,,,
এইদিকে তিথি বিছানায় পা বটে বসে আছে গালে হাত দিয়ে আর ভাবছে,,,মায়রার কি করা যায়
তিথিঃ এই মায়রা টায়রাকে আমি যত ক্ষন না লাইনে আনছি আমি শান্তি পাচ্ছি না,,,হেতির সাহস কত বড় যে সবার সামনে আমাকে থাপ্পড় মারে এই থাপ্পড় এর বদলে যত ক্ষন না কষাই থাপ্পড় দিচ্ছি আমিও তিথি না হুম,,,
তিথি মনোযগো দিয়ে ভাবতে থাকে কিভাবে মায়রাকে সাইজ করবে,,,আবির ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখে তিথি এখনও কি যেন ভাবছে,,,,,তেমন পাত্তা না দিয়ে যেতে লাগে তিথি সামনে গিয়ে দাঁড়ায় হুট করে,,
আবিরঃ জি ব্যাপার হুট করে সামনে দাঁড়ালে,,,,
তিথিঃ কথা আছে,,,
আবিরঃ কি?
তিথিঃ কই যান??
আবিরঃ কই আবার নিচে যাই নাস্তা করতে হবে তো,,,,
তিথিঃ আমাকে ফেলে যাবেন?
আবিরঃ আচ্ছা তাড়াতাড়ি আসো তাইলে,,,
তিথিঃ আপনি যাবেন না কিন্তু হুম,,
আবিরঃ ওকে,,,,
আবির বসে পড়ে তিথি তাড়াতাড়ি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে,,, তিথি তার ওড়না ঠিক করে আবিরের সামনে দাঁড়িয়ে বলে
তিথিঃ তাড়াতাড়ি দেন,,,
আবিরঃ কি দিতাম?
তিথিঃ বা রে আমার কিস দিবেন আর কি,,,,
আবিরঃ মানে???
তিথিঃ প্রতি দিন সকালে আপনি তো আমার কপালে কিস করেন ভুলে গেলেন হুম,,,,
আবিরঃ তিথি লেট হচ্ছে চলো,,,,
তিথিঃ না আগে আমার কিস দিবেন তারপর,,,
তিথি আবিরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে আবিরকে যেতে দিচ্ছে না,,,,আবির তিথির দিকে তাকিয়ে বুজে যে আজ তিথি জিস ছাড়া নিজে ও যাবে না নিচে আবিরকে ও যেতে দিবে না,,,
তিথিঃ তাড়াতাড়ি দেন,,,
আবির আর কিছু না ভেবেই তিথির গালে দুই হাত রেখে নিজের কাছে টেনে নেয় আর কপালে আলতো করে চুমু দেয়,,,,তিথি তার চোখ দুটি বন্ধ করে ফিল করে কিস,,,,,,
আজ আবিরের কাছে এই মুহূর্ত টা কেন জানি বেশ ভালো লাগছে,,,,তিথির কপালে চুমু দেওয়াতে তিথি তো বেশ খুশি,,,,আবিরকে হালকা জড়িয়ে ধরে আবির কিছু বলে না,,,
কয়েক মিনিট পর তিথি আবিরকে বলে
তিথিঃ আপনার বুকে যখনই মাথা রাখি খুব শান্তি পাই,,,,
আবির চুপ করে আছে,,,,,
তিথিঃ জানেন আমার সব চেয়ে শান্তির জায়গা হচ্ছে আপনার বুক৷
আবির কথাটা শুনেই চুপ করে আছে,,তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে তিথির মুখে এক রাশ হাসি যা আবিরের মুখে এনে দেয়,,,আবিরের হাসির কারন এখন তিথির মুখের হাসি হয়ে যায় তা আবির ঠিক বুজতে পারে,,,
তিথিঃ আচ্ছা চলুন নাস্তা করে নেই,,,
আবির আর তিথি নিচে নামে নাস্তা করতে,,,নাস্তার টেবিলে গিয়ে দেখে আহাদ আরিশা আমান তিশা শুধু বসে আছে,,,তিথি আবিরের পাশে বসতে যাবে এর আগেই মায়রা গিয়ে বসে হুট করে কত থেকে এসেই,,,মায়রা আবিরের পাশে বসছে দেখেই তিথির প্রচুর রাগ উঠে যায়,,,,,
মায়রা আবিরকে বলে
মায়রাঃ গুড মর্নিং বেবী,,,,,
আবিরঃ গুড মর্নিং,,,,
তিথি রেগে আগুন পারছে না হাতের কাছে যে ছুরি আছে অইটা দিয়ে মায়রাকে খুন করতে,,,,
আবির তেমন কিছু না বলে পরটা নিয়েই খেতে লাগে,,,মায়রা আবিরকে এই দিচ্ছে সে দিচ্ছে যা দেখে তিথির রাগ লাগে যা কেউ না বুজলে ও তিশা আরিশা আমান আহাদ ওরা ঠিক বুজে,,,,,
তিশাঃ তিথি তোমার সাথে কথা ছিলো আমার,,,,
আরিশাঃ হ্যাঁ ভাবি আমার ও কিছু বলার ছিলো,,,,,
তিথিঃ হুম,,,,
তিথি শুধু তাকিয়ে আছে মায়রার দিকে,,,
মায়রা কফি কাফটা নিয়েই খেতে লাগে,,আবার আবিরের হাতে হাত রেখে,,,,তিথি চামচ মুখে নিয়ে কিছু ক্ষন ভাবে তারপর একটা চামচ নিচে ফেলে দেয়,,,,
তিশাঃ আমি তুলে দিচ্ছি
তিথিঃ না আমি তুলতেছি তুমি খাই,,,
চামচ নেওয়ার বাহানা করে টেবিলের নিচে আবিরের পা দেখে কই আছে,,,চামচ নিয়ে বসে তারপর নিজের পা টা একটু আবিরের পায়ের দিকে দেয়,,,,এই দিকে মায়রা আবিরের হাত ধরে আছে কফি অন্য হাতে,,,,তিথি সবার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দেয় তারপর আবিরের পায়ের মধ্যে এতো জোরে লাথি মারে যে আবির লাফ দিয়ে উঠে পড়ে
আবিরঃ আউচ,,,,,,
আবিরের লাফিয়ে উঠার সাথে সাথে মায়রার হাত আবিরের হাত থেকে সরে যায় আর মায়রার হাতের কফিটা তার নিজের গায়েই পড়ে যায়,,,
মায়রাঃ উফফফফফ,,,,
মায়রার কাপড় টা নষ্ট হয়ে যায়,,,পুরো কফি মায়রার কাপড়ে পড়ে,,,বাকিরা ঠিক বুজেছে তিথি ইচ্ছে করে করেছে,মায়রা খুব রেগে যায় রাগী ভাব নিয়ে বলে
মায়রাঃ আমি চেঞ্চ করে আসি,,,
মায়রা চলে যায়,,,তিথি আবিরের কাছে এসে বসে,,,,
তিথিঃ আপনার বউ কে???
আবিরঃ পায়ে লাথি কেন দিলে?
তিথিঃ প্রশ্ন আগে আমি করেছি,,,,
আবিরঃ তুমি,,,এখন বলো লাথি কেন দিলে,,,,
তিথিঃ অই মেয়ে যদি আপনার হাত ধরে প্রমেস আপনার পা আমি কেটে ফেলবো হুম,,,,আজ লাথি দিয়েছি কাল আপনার পা কেটে হাতে ধরাই দিবো যদি নেক্সট টাইম অই মেয়ে আপনার হাত ধরে হুম,,,
তিথি এই বলে হনহনিয়ে চলে যায়,,,আবির বেক্কল এর মত তাকিয়ে আছে,,,,
আবিরঃ মানে কি??এই মেয়ে কি পাগল কি সব বলে,,,
তিশা আমান কে নিয়ে বাগানে যায়,,,
তিশাঃ এইসব এর মানে কি আমান??
আমানঃ কি সব এর???
তিশাঃ এই মায়রা আসলে কে???কেন কাল তুমি বাঁচালে আর আবির ভাই কেন অই মেয়েকে এতো ইম্পর্টেন্ট দিচ্ছে সত্যি বলবে আমাকে,,,,,
আমানঃ তিশা এই মেয়ে কত বড় সাইকো আইডিয়া নাই তোমার,,,,সে আবিরের লাইফে কত বড় অভিশাপ তা আমি জানি শুধু,,,
তিশাঃ মানে?
আমানঃ ওর নাম মায়রা আহমেদ,,,,,নাম করা ব্যবসায়ি মিস্টার রেওয়াজ আহমেদ এর এক মাত্র মেয়ে,,,,লন্ডনে আমরা এক সাথে পড়াশোনা করছি,,,সে আবিরকে পছন্দ করে আসলে পছন্দ না ভালোবাসে,,,,আবির তাকে কখনো অই চোখে দেখে নাই,,,আবিরের সাথে কোনো মেয়ে কথা বললে পর্যন্ত অই মেয়েকে সে মেরে ভার্সিটি থেকে বের করে দিতো,,,তার পুরো কেরিয়ার নষ্ট করে দিতো শুধু আবিরের সাথে কথা বলার জন্য,,,,ভয়ে কেউ আবিরের দিকে তাকাতো না,,,,ভুল কর্মে যদি আবির কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতো তাহলে নিজের হাত কাটতো আত্নহত্যা করার চেস্টা করতো,,,, এইসব ছিলো রেগুলার
তিশাঃ আর আবির ভাই কিছু বলতো না??
আমানঃ আবির বিরক্তি হয়ে যায় এইসবে,,,দেশে চলে আসবো আমরা দুইজন এইসব দেখেই,,,অই সাইকোকে জানাই নাই কিন্তু সে কিভাবে জেনে গেছে,,,সে তার হাত কেটে ভিডিও করে যেখানে আবিরের পুরো ফ্যামিলি দায়ী তার আত্নহত্যার জন্য এমন,,,তা সে আবিরকে সেন্ড করে আমরা দুইজন যাই মায়রার বাসায়,,মায়রা জানায় যদি আবির তাকে বিয়ে না করে তাহলে সে নিজের জীবন দিবে আর আবিরের পুরো ফ্যামিলি কে এই জন্য দায়ী করে শেষ করবে,,,
তিশাঃ আবির ভাই নাম করা ব্যবসায়ী,,,আংকেল দের ও কম পাওয়ার না এইসব কিছু মিটমাট করা খুব ইজি,,,,তাহলে কেন অই পাগলের কথা মানছে,,,,
আমানঃ মায়রা নিজের হাত কেটেছে তাই নয় নিজের মায়ের গলায় ছুরি পর্যন্ত ধরেছে আবিরের সামনে,,,,যদি অই সময় আবির রাজি না হতো তাহলে সে তার মাকে মেরে নিজে আত্নহত্যা করতো,, আর তিশা দুইটা লাশের বার নিয়ে বাঁচা অনেক কঠিন,,,,
তিশাঃ এখন কি হবে তাহলে???,,,
আমানঃ আমি জানি আবির অই সাইকোকে শান্ত রেখেছে সব বলেছে এই জন্য যে যাতে সে তার ফ্যামিলি এর ক্ষতি না করে তিথির ক্ষতি না করে,,,তিশা যে মেয়ে আবিরের জন্য নিজের মায়ের গলায় ছুরি ধরে সে মেয়ে আবিরের ফ্যামিলি তিথি ওদের ছেড়ে দিবে???
তিথি পিছন থেকে সব শুনে,,,এগিয়ে আসে তিথিকে দেখে তিশা ঘাবড়ে যায়,,,,
তিশাঃ তিথি,,,,
তিথির নাম শুনেই আমান পিছনে ফিরে,,,,
আমানঃ তিথি আসলে মানে হইছে কি,,,,
তিথিঃ আমি সব শুনেছি আমান,,,,
আমানঃ তিথি এখানে আবিরের দোষ নাই,,,আসলে অই সময় আবির যদি মায়রাকে প্রমেস না করতো তাহলে সে তার মাকে মেরে ফেলতো,,,,,আর অই মেয়ে অনেক ডেঞ্জারাস,,,,
তিথিঃ আমার থেকে তো বেশি না,,,,
আমানঃ মানে????
তিথিঃ খুব সিম্পল,,,,সে আমাকে সবার সামনে থাপ্পড় মারছে বিদায় আমি তাকে শাস্তি দিতে চেয়েছিলাম এখন দেখি সে আমার বজ্জাত এর উপর নজর দিচ্ছে,,,,বিয়ে ওকে আমি করাচ্ছি,,,ওকে যদি বিয়ের নানি মনে না করাই আমিও তিথি না,,,,
আমানঃ তিথি এতো সহজ না,,,যে আবির কাউকে ভয় পায় না সে আবির পর্যন্ত চুপ ভাবো,,,,
তিথিঃ আরে দূর উনাকে কে ভয় পায়,,,এই কায়রাকে তো আমি আমার নাম মনে করাবো,,,,,
আমানঃ তুমি করবে কি??
তিথিঃ যাই করি না কেন আমার পাশে তোমরা থাকেব,,,আর হ্যাঁ অই বজ্জাত আর কায়রা যাতে না জানে যে ওদের সব কাহিনী আমি জানি,,,,বেডিরে হিট লাগামু আমি আজ থেকেই,,,,
আমানঃ মানে??
তিথিঃ মানে প্রেম করবো আমার জামাই এর লগে অই ডাইনির সামনে,,,,
কথা শুনেই আমান আর তিশা পুরো বেক্কল,,, তিথি একটুও রাগে নাই এই শুনে যে আবির মায়রাকে বিয়ে করবে উল্টো বলে যায় রোমাঞ্চ করবে আবিরের সাথে,,,,
তিথি বাগানের মালির সাথে কথা বলেই হলরুমে যায় গিয়ে দেখে আবির বসে ফোন টিপছে,, সিড়ি দিয়ে মায়রা নামছে এই দেখেই তিথি গিয়ে আবিরের পাশে বসে আবিরের হাতটা ধরে বলে
তিথিঃ আপনি আমার কপালে কিস করেছেন কিন্তু আমি তো আপনাকে করি নাই,,,,
আবিরঃ পাগল হয়েছো কিসব বকছো,,,
তিথিঃ হয় আপনি আমার গালে কিস করবেন না হয় আমি আপনার গালে কপালে,,,,
আবিরঃ লজ্জা শরম এর মাথা কি খাইছো???
তিথিঃ তা না হয় পরে টমেটো সস দিয়ে খাবো এখন তো আমি অন্য মুডে আছি হুম,,,,
আবিরঃ তিথি পাগলামি করিও না,,,সবাই আসবে হল রুম এইটা,,,
তিথিঃ তাহলে চলেন বেড রুমেয,,,
আবিরঃ পাগল নাকি???
তিথিঃ আপনি দিবেন কি না বলেন??না হলে আমি সবাই কে বলে বেড়াবো প্রতি দিন রাতে আমি ঘুমানোর পর আপনি আমাকে কিস করেন,,,,
আবিরঃ মানে????
তিথিঃ কিস দেন তাড়াতাড়ি,,,,,,,
মায়রা উপর থেকে খেয়াল করছে আবির তিথি কথা বলছে কিন্তু কি কথা বলছে সে শুনে নাই,,,,নিচে নামছে আর আবির তিথির দিকে তাকিয়ে আছে,,,,
আবির বিরক্তি হয়ে যায় তিথির এইসবে,,,ফোন টা রেখেই তিথির গালে চুমু দিয়ে বসে,,,,তিথি তো সে খুশি,,,,
তিথিকে এইভাবে চুমু দেওয়াতে মায়রা প্রচুর ক্ষেপে যায়,,,রাগে সে উপরে উঠে যায় আবার,,,
এইদিকে
আবিরঃ হইছে???
তিথিঃ আপনার বউ লাগি প্রতিবেশীর বউ তো না যে কিস দিতে ও কিপটামি করেন হু,,,,
আবিরঃ এই তুমি কি পাগল????
তিথিঃ হ্যাঁ শুধু আপনার,,,
তিথি এই বলে চলে যায়,,
আবিরঃ মানে??? এই মেয়ে আসলেই পাগল,,,
তিথি গিয়ে মায়রার অবস্থা দেখতে যায়,,,রুমের অবস্থা ১২ টা বাজিয়ে দেয় মায়রা সব ভেঙ্গে,,,
তিথিঃ সামান্য কিস দেওয়াতে ওই কায়রা ডাইনীটার এমন হাল বাকি গুলো দেখলে কি হবে হিহি,,,কিন্তু এই কায়রার যে বেহাল অবস্থা করবো আমি কাল অনুষ্ঠানে,,,,,ডিয়ার কায়রা ডাইনি কাল তোমার সাথে কি হবে আল্লাহ জানে আর আমি,,,,
তিথি হেসে চলে যায় নিজের রুমে,,,
সারাদিন আবিরের সাথে ফাজলামি করেই তিথির দিন কাটে,,,
পরের দিন,,,
আজ মেহদী অনুষ্ঠান,,,,
সবাই রেডি হয়ে নেয়,,,ছেলেরা সবুজ পাঞ্জাবি পড়ে আর মেয়েরা লেহেঙ্গা শাড়ি সবুজ কালারের,,,,তিথি আজ সবুজ কালারের শাড়ি পড়ে সাথে কাচের চুড়ি,,,দেখতে বেশ সুন্দর এই লাগছে,,,এখনও পর্যন্ত আবিরের সামনে যায় নাই রেডি হয়ে,,কারণ তিথি তো ব্যস্ত মায়রার অবস্থা খারাপ করতে,,,
মায়রা ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে যায়,,,এখনও রেডি হয় নাই,,,তিথি অই সুযোগে মায়রার রুমে ডুকে চুলকানির পাউডার মায়রার কাপড়ে মিশাই দেই,,,ভালো করে লাগিয়ে সুন্দর রেখে আবার তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসে যাতে কেউ টের না পায়,,,,
তিশা আরিশা ওরা দুইজন কে সুন্দর করে সাজানো হয়,,,,পার্লারের মেয়েরা ও এসে যায় মেহদী দিতে,,,,আরিশা আর তিশা এক সাথে বসা,,,,
ছেলেরা আজ এলাও নাই এখানে,,তারা বাহিরে যে আয়োজন হচ্ছে অইখানে মজা করছে,,,ভিতরে শুধু মেয়েদের জন্য আয়োজন হয়,,,,তিশা তিথির কান্ড গুলো দেখে অবাক আজ কেমন যেন তিথি অন্য রকম লাগছে চুপচাপ,,,,
তিশাঃ আরিশা একটা কথা বলবো
আরিশাঃ কি?
তিথিঃ এই তিথি এতো চুপচাপ কেন?
আরিশাঃ তুফান আসার আগে পরিবেশ শান্ত থাকে তাতো জানোই,,,সেম আমার মনে হচ্ছে ভাবি কিছু করেছে যার জন্য এতো চুপচাপ সে,,,
তিশাঃ আমার ও মনে হয় তিথি কিছু করেছে,,,,
এই দিকে তিথি বাহিরে গিয়ে দেখে ছেলেদের জন্য যে আয়োজন তা তাদের থেকে সুন্দর,,,তিথি আবিরের বাবার কাছে যায় নাক মুখ ফুলিয়ে বলে
তিথিঃ বাবা তুমি ওদের জন্য এতো সুন্দর আয়োজন করলে কেন???(অভিমানের সুরে)
আবিরের বাবাঃ তোমরা মেয়েরা মেহদী দিবে ছেলেরা কি করবে তাই তাদের জন্য এইসব,,,
তিথিঃ আমিও এখানে থাকবো তাহলে,,,
আবিরের বাবাঃ না তিথি এখানে সব ছেলেরা,,,,তুমি ভিতরে যাও,,,
তিথি মন ছোট করে যেতে লাগে আবিরকে দেখে,,আবিরের সামনে গিয়ে দাঁড়ায় তিথিকে সবুজ শাড়ি তে দেখে আবির জাস্ট থ,,,,,,কারণ আজ কেন জানি আবিরের বুকে ঢোল বাজছে তিথিকে দেখেই,,,
তিথিঃ ও হ্যালো????
আবিরঃ হ্যাঁ??
তিথিঃ কি দেখছেন??
আবিরঃ কিছু না,,, তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে এই শাড়ি তে,,,,
তিথিঃ ওহ তাই??ভালো লেগেছে???
আবিরঃ হ্যাঁ সুন্দর লাগছে,,,
তিথিঃ তাহলে চলেন রোমাঞ্চ করি,,,
আবিরঃ মানে???
তিথিঃ কল্লা আপনার হুম,,,
এই বলে তিথি অইখান থেকে চলে আসে,,আবির হা করে তাকিয়ে আছে তিথির যাওয়াটা,,,আর ভাবতে থাকে তিথির আসলে হইছে কি কিসব আজগুবি কথা সে বলছে আর আবিরের কাছ থেকে জোর করে কিস আদায় করছে এইসব কেমন যেন আবিরের কাছে লাগছে,,,,,
চলবে,,,,,
Comments