বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 40
এই বলে তিথি অইখান থেকে চলে আসে,,আবির হা করে তাকিয়ে আছে তিথির যাওয়াটা,,,আর ভাবতে থাকে তিথির আসলে হইছে কি কিসব আজগুবি কথা সে বলছে আর আবিরের কাছ থেকে জোর করে কিস আদায় করছে এইসব কেমন যেন আবিরের কাছে লাগছে,,,,,
এই দিকে তিথি ভিতরে এসে দেখে মায়রা এখনও নিচে নামে নাই,,, মুখ টা বাঁকা করে তিশার পাশে গিয়ে বসে,,,
তিশাঃ কি ব্যাপার মন খারাপ নাকি??
তিথিঃ না মন কেন খারাপ হবে,,,,
তিশাঃ তাহলে এইভাবে মুখটা অফ করেই আছো,,,,
তিথিঃ অই বজ্জাত রা নাকি বাহিরে পার্টি করবে,,জানো কি সুন্দর করে যে সাজিয়েছে,,,
তিশাঃ আমরা এখানে মজা করবো ওরা কি করবে তাই ওদের জন্য পার্টির আয়োজন করা হচ্ছে,,,
তিথিঃ আমার মনে হচ্ছে কি জানো?
তিশাঃ না তো কি মনে হচ্ছে তোমার,,,,
তিথিঃ অই বজ্জাত আর বাকি ছেলেদের পার্টিতে না মেয়েরা ও আসবে হুম,,,
তিশাঃ হাহা তুমি ও না তিথি,,,,আচ্ছা মেহদী দাও
সবাই মেহদী লাগাচ্ছে,,, আরিশা তিশা ওরা মেহদী লাগাই ফেলে বাকি শুধু তিথি,,,,তিথিকে মেহদী লাগাতে থাকে কিন্তু তিথির নজর অন্য দিকে৷
আরিশাঃ কি ব্যাপার ভাবি ভাইকে মিস করছো বুজি,,,,
তিথিঃআরে দূর অই বজ্জাত এর আশা করছি না একটা মজা নেওয়ার জন্য বসে আছি কিন্তু আসে না কা,,,
তিশাঃ কার আশা করছো তুমি,,,
তিথি কিছু বলতে যাবে অই সময় খেয়াল করে একটা সবুজ গ্রাউন পড়ে মায়রা নিচে নামছে খুবই সাভাবিক ভাবে,,,
তিথিঃ এই ডাইনি এতো সাভাবিক কেন??চুলকায় না কেন?? (গভীর ভাবে চিন্তা করে বলে)
তিশাঃ চুলকানি কেন হবে?কি সব বলছো তিথি,,,
তিথিঃ আরে দাড়াও তো একটু,,,
পার্লারের মেয়েটা তিথির হাতে মেহদী দিয়ে নাম লেখবে
পার্লারের মেয়েঃ কার নাম লেখবো?
তিথিঃ কার আবার লেখবেন আবার আমার এক মাত্র হাজবেন্ড এর নাম,,,,
পার্লারের মেয়েঃ ওহ আচ্ছা কি নাম?
তিথিঃ বজ্জাত এনাকন্ডা থুক্কু হিটলার আবির,,,
পার্লারের মেয়েঃ আপু এতো বড় নাম লেখা যাবে না ছোট নাম বলেন,,,
তিথিঃ আবির লেখেন আর কি,,,,
পার্লারের মেয়েটা নাম লেখে দেয়,,,মায়রা এসে বসে মেহদী দিতে তাকে মেহদী দিতে থাকে,,,,
মায়রাঃ আমার হাতে আবির নাম লেখবেন,,,,
আবির নাম লেখবেন শুনেই তিথির মাথা খারাপ হয়ে যায়,,,,রাগে পারছে না মায়রাকে খুন করতে,,,,
মায়রার হাতে মেহদী লাগাতে থাকে কিন্তু তার শরীর কেমন যেন চুলকাছে,,,একটু নড়ে বসে আবার চুলকায়,,,,তিথি খেয়াল করছে মায়রা কেমন করছে বারবার নড়ছে,,,,
তিথিঃ খেলা শুরু,,,,
তিশাঃ কিসের খেলা,,,,
আরিশাঃ ভাবি বলবা কিসের কথা বলছো?
তিথিঃ সামনে তাকাও,,,(মায়রার দিকে ইশারা দিয়ে)
মায়রার খুব খারাপ লাগছে বারবার শরীর চুলকাছে,,,মেহেদী ও দিতে পারছে না চুলকানির কারনে৷
পার্লারের মেয়েঃ আপু প্লিজ এতো নড়াচড়া করিয়েন না মেহেদী দিতে পারছি না সমস্যা হচ্ছে আপু,,,
মায়রা তাড়াতাড়ি উঠে যায় মেহেদী না দিয়েই,,,তিথির বেশ মজা লাগে সে তাড়াতাড়ি নিজের হাত ধুয়ে নেয়,,,,হাত ধুয়েই মহিলাদের বলে গান বাজনা শুরু করতে৷
তিশাঃ এই তিথির কি হয়েছে এক হাতে মেহেদী দিয়েছে আবার ধুয়ে ও ফেলছে অল্প সময়ে,,,,,
আরিশাঃ কিছু তো বুজছি না,,,,
তিথি মায়রার হাত ধরে সবার সামনে এনে বলে
তিথিঃ হয়ে যাক একটা ডান্স,,,
মায়রাঃ আমি ডান্স করবো না,,,প্লিজ যেতে দাও,,,
তিথিঃ আরে আরে কই যাও না নাচলে তো আজ যেতে দিচ্ছি না,,,,নাচতে তো আজ হবেই,,,,
মায়রার চুলিকানি বেড়েই যাচ্ছে আর তিথি তাকে জোর করে সবার সামনে এনে নাচাতে লাগে,,,গান শুরু হয়,,,
নাগিন গানে যা নাচ তিথি তা দেখে আরিশা তিশা তো বেক্কল যে তিথি নাচছে তাও আবার মায়রার সাথে,,,কিন্তু মায়রা নাচছে কম চুলকাচ্ছে বেশি,,,,,
তিথিঃ (এই বার বুজো মজা,,,)
মায়রা চুলকাতে চুলকাতে বেহাল অবস্থা,,,,আর না পেরে অনুষ্ঠান এর মাঝ থেকে তাড়াতাড়ি উপরে চলে যায়,,,,তার ঘাড় হাত সব লাল হয়ে যায়,,,
তিথি ও তামাশা দেখার জন্য উপরে উঠে আর তিথিকে এইভাবে দেখে তিশা আর আরিশা ও উপরে যায়,,,জানালা দিকে উঁকি দিচ্ছে তিথি দেখে যে মায়রা তার শরীর চুলকাচ্ছে আর লাফাচ্ছে বাদরের মত তিথি তো হাসতে হাসতে শেষ,,,,
তিশাঃ এই মায়রা এমন কেন করছে??
আরিশাঃ ভাবি,,,
তিথি ভয় পেয়ে যায় পিছনে তিশা আর আরিশাকে দেখে বুকে হালকা ফুঁ দিয়ে বলে
তিথিঃ উফফফ তোমরা ভয় লাগায় দিলে,,,,
তিশাঃ এই মায়রার কি হইছে??
আরিশাঃ তুমি কিছু করলে তাই না ভাবি??
তিথিঃ আমি কিছু করি নাই জাস্ট ওর কাপড়ে বাদরের পাউডার দিলাম,,,
তিশাঃ কিইই????
তিথিঃ উফফফফ আসতে কথা বলো তো,,,,
আরিশাঃ ভাবি সিরিয়াসলি???তুমি পাইলা কই এই পাউডার???
তিথিঃ আরে দূর বাজার থেকে আনাইছে বাগানের মালিরে দিয়ে,,,,
তিশাঃ আমি জানতাম তিথি কিছু করবে দেখলা আরিশা করেই ছেড়েছে এই মেয়ে,,,,
তিথিঃ আচ্ছা চুপ থাকবা দুইজন,,,মজা নিতে নাও,,,,
মায়রার অবস্থা পুরো খারাপ হয়ে যায়,,চুলকাতে চুলকাতে তার শরীরের অবস্থা খারাপ লাল হয়ে,,,,শ্বাস পর্যন্ত নিতে পারছে না,,,
তিশাঃ এই তিথি মায়রা কেমন যেন করছে,,,
তিথিঃ করুক,,,,ডাইনিটার সাহস হয় কি করে আমার বজ্জাত এর নাম লেখতে যাওয়ার হাতে,,,
তিশাঃ তিথি পরে যদি আবির ভাইয়া জানে তাহলে কিন্তু সমস্যা হবে সত্যি,,,,
তিথি কিছু ক্ষন ভাবে তারপর মায়রার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে
তিথিঃ কি হলো মায়রা???
মায়রাঃ জানি না আমার শরীর খুব চুলকাচ্ছে লাল হয়ে যাচ্ছে পুরো শরীর আমার খুব কষ্ট হচ্ছে শ্বাস নিতে,,,,,,
তিথির কিছু টা মায়া ও লাগে মায়রার এমন অবস্থা দেখে,,,
তিথিঃ এক কাজ করো তুমি তাড়াতাড়ি শাওয়ার নাও গরম পানি আর সেভলন দিয়ে,,,,এতে হয়তো কম লাগবে,,,
মায়রাঃ আর ইউ সিউর????
তিথিঃ হুম যাও,,,
মায়রা তাড়াতাড়ি শাওয়ার নিতে যায়,,তিথি আলমারি থেকে অন্য ড্রেস বের করে রাখে মায়রা শাওয়ার শেষ করেই তিথি যে ড্রেস বের করে তা পড়ে নেয়,,,
তিথিঃ এখন ঠিক আছে???
মায়রাঃ হ্যাঁ চুলকানি তো কমেছে বাট লাল হয়ে আছে৷
তিথিঃ আরে ঠিক হয়ে যাবে,,,,
তিথি যেতে লাগে মায়রা তিথিকে জড়িয়ে ধরে বলে
মায়রাঃ থ্যাংকস
তিথিঃ কেন?
মায়রাঃ আমার হেল্প করার জন্য,,,,,
তিথিঃ সমস্যা নাই,,,
তিথি রুম থেকে বের হয়ে যায় এইদিকে মায়রা তিথির এমন হেল্পফুল কাজ দেখে খুব খুশি হয় এই ভেবে যে তিথি এতো ভালো তাকে থাপ্পড় দিয়েছে তবুও সে তার সাহায্য করেছে,,,,
এই দিকে,,,
তিশা আর আরিশা তিথিকে ঘিরে ধরে আর বলে
তিশাঃ বাহা তুমি তাকে এমন অবস্থা করে আবার সাহায্য করলে??
তিথিঃ আসলে ওর অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে গেছে যদি মরে টরে যেতো তাহলে তো আমার জেল হতো তখন আমার কি হতো হুম সংসার করার শখ গর্তে যেতো,৷
তিথি এই বলে অইখান থেকে চলে যায়,,,,
তিশা আরিশা ওরা ও নিচে নামে,,,কিছু ক্ষন পর মায়রা আসে এসে দেখে তিশা আরিশা নিচে বসে মজা করছে,,
মায়রাঃ তিথি কই তিশা??
তিশাঃ অই যে নাচছে,,,
মায়রা ও যায় সবাই এক সাথে নাচতে লাগে,,মায়রা তিথির সাথে নাচছে,,,আর তিথি ও বেশ আনন্দের সাথে মায়রার হাত ধরে নাচে,,,
তিশাঃ এই তিথি কি???
আরিশাঃ আমিও ভাবছি,,,একটু আগে মায়রার এমন হাল করে আবার মায়রার সাথেই নাচে,,,,আল্লাহ রে
তিশাঃ ওর মনটা আসলে সরল বুজলে,,,অল্পতেই গলে যায়,,,,
আরিশাঃ বাট এতো তাড়াতাড়ি
তিশাঃ হুম সেটায়,,,,,
অনেক ক্ষন পর তিথি হাফিয়ে যায় সবাই খাওয়া দাওয়া করে কিন্তু তিথি করে না সে কি করে বাহিরে চলে যায় দেখতে ছেলেরা কি করে,,,,
চারপাশে যা আয়োজন লাইট ড্রিঙ্ক গান বাজনা সব মিলিয়ে অসাধারণ অনুষ্ঠান,,,সুইমিং পুল এর পাশে অনেকে নাচছে আর ড্রিঙ্ক করছে এই দিকেই তিথির খুব ইচ্ছে করে এই সে ও এই অনুষ্ঠানে ভাগ নিবে,,,,
তিথিঃ আমাকে এতো বোরিং পার্টিতে রেখে মিস্টার বজ্জাত এতো সুন্দর পার্টি করবে আমাকে ছাড়া এই কখনো হতে পারে না হু,,,,,
তিথি সুন্দর করে চলে যায় অনুষ্ঠানে,,,আবির আমান আর আহান মিলে এক পাশে কথা বলছে তিথি সুন্দর করে ড্রিঙ্ক গুলোর পাশে যায় কয়েকজন যেভাবে খাচ্ছে তা দেখেই তিথি হা করে আছে,,একটা ছেলে তো তিথির দিকে একটা ড্রিঙ্ক এর গ্লাস দিয়ে বলে
ছেলেটিঃ খাবে কি সুন্দরী???
তিথিঃ কি এই গুলা?আর কেন খেতে হয়?
ছেলেটিঃ এইটা ছাড়া তো পার্টির মজা এই নাই,,,
তিথিঃ ও তাই নাকি,,,টেস্ট কেমন কমলা জুস নাকি আপেল জুস,,,
ছেলেটিঃ দুইটাই,,,
তিথিঃ আরে বাহা কমলা আপেল এক সাথে জুস,,ওকে টেস্ট করে দেখি,,,
তিথি এক গ্লাস নিয়ে খায় কেমন যেন বাজে লাগে,,,
তিথিঃ ইয়াক এমন কেন টেস্ট টা,,,
ছেলেটিঃ দুইটা এক সাথে তো তাই,,,
তিথি কি করে আর একটা খায়,,,এইভাবে ৩-৪ টা গ্লাস এক সাথে খেয়ে ফেলে,,মাথা টা এইবার ঝিমঝিম করছে চোখ ঝাপসা হচ্ছে সব ডাবল দেখছে একটু আওয়াজ করে হেসে দেয়,,,ছেলেটি তিথির হাত ধরেই নাচা শুরু করে তিথি কিছু টা বিরক্তি হয়ে তাকে সুইমিং পুলে দেয় এক ধাক্কা,,,আওয়াজ পেয়ে সবাই এগিয়ে আসে,,,,
আবির আমান আর আহান এগিয়ে আসে দেখতে যে কি হয়েছে,,,
আমানঃ এইটা তিথি না???(ইশারা করে)
আবির একটু সামনে গিয়ে দেখে আসলেই তো অইটা তিথি,,,তিথি হাসছে পাগলের মত,,,,তিথির কাছে গিয়ে আবির জিজ্ঞেস করে
আবিরঃ তুমি এখানে কি ছেলেদের পার্টিতে??
তিথিঃ ওহ বজ্জাত যে জি অবস্থা কি হাল,,,,
তিথির এমন ব্যবহারে আবির আমান আহাদ পুরো অবাক,,,,তিথি মাথা ঘুরাচ্ছে আর আবিরের দিকে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে বলে
তিথিঃ জুসটা হেবি টেস্ট আবার এনে দিবেন,,,
আবিরঃ কি খেয়েছো তুমি???
তিথিঃ আপেল কমলা জুস,,,
আবির তিথির অবস্থা দেখেই বুজে যায় তিথি আসলে কি খেয়েছে,,,,তিথি আবিরের হাত সরিয়ে যেখানে গান বাজে অইখানে গিয়ে নাচা শুরু করে দেয়,,,পার্টিতে যত ছেলে আছে সবাই তাকিয়ে আছে,,,,
আহাদঃ ভাবি এমন কেন করছে,,,,
আমানঃ আপেল জুস বলে কেউ তাকে ড্রিঙ্ক দিচ্ছে সিউর,,,,,
আবির তাড়াতাড়ি তিথির কাছে যায় গিয়েই হাত ধরে বলে
আবিরঃ তিথি ভিতরে চলো,,,,
তিথিঃ আরে ডিয়ার বজ্জাত যে আহো আমরা নাচি,,,
আবিরঃ তিথি সবাই তাকাই আছে তাড়াতাড়ি চলো,,,,
অনেকে অনেক কথা বলছে,,এই দেখে আবিরের রাগ তো লাগছে বাট তিথির এমন অবস্থা দেখে সে রাগ কন্ট্রোল করতে পারছে না,,,আবির সবার সামনে তিথির হাত টেনে কোলে নিয়ে নেয়
তিথিঃ আমি নাচবো আপনি আমাকে ছাড়েন,,,
আবিরঃ চুপ একদম (এক ধমক দিয়ে)
তিথি তার মুখে একটা আঙ্গুল দিয়ে বলে
তিথিঃ ইসসসসস
আবির আমানকে বলে
আবিরঃ আমি ওকে ভিতরে নিয়ে যাচ্ছি তিথিকে কে ড্রিঙ্ক দিচ্ছে চেক দে,,আর এইদিক সামলা,,,
আবির তিথিকে ভিতরে নিয়ে যায় গিয়ে দেখে হলরুমে গিয়ে দেখে সবাই মজা করছে কাউকে আর না ডেকেই উপরে নিয়ে যায় তিথিকে আবিরের রুমে,,,
তিথি তার পা নাড়াচ্ছে আর আবিরের ঘাড়ে একটা হাত দিচ্ছে আর এক হাত মুখে ধরে আছে নিজের,,,
দরজা লাগিয়ে তিথিকে বিছানায় বসায়,,,,
আবিরঃ আমি লেবুর শরবত আনতেছি দাড়াও,,,আর সকালে তোমার ক্লাস নিবো এই জন্য,,,,
তিথিঃ এই বজ্জাত আমাকে ছেড়ে একদম যাবা না,,,,
তিথি আবিরের ঘাড় চেপে ধরে তাকে যেতে দিচ্ছে না,,,,তিথির চোখে এক নেশা কাজ করছে,,,,
আবিরঃ তিথি তুমি ঘুমাও ঘুমালে সব ঠিক হয়ে যাবে,,,,,
তিথি আবিরকে চেপে ধরে নিজের দিকে টেনে নেয়,,,,
তিথিঃ হায় কি কিউট আপনি মিস্টার বজ্জাত প্রতি বার এই আমি ক্রাশ খাই,,,,,
আবিরঃ হুশ নাই তোমার চুপ থাকো,,,,
তিথি আবিরকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় শুয়াই দিয়ে আবিরের মুখের কাছে মুখ নেয়,,,আবির তিথিকে তাড়াতাড়ি সরিয়ে বলে
আবিরঃ তিথি আমি শরবত নিয়ে আসি,,,
আবিরের হাতটা ধরে নিজের দিকে টেনে বলে
তিথিঃ আমি জ্ঞান হারাবো মরেই যাবো বাঁচাতে পারবে না কেউ,,,
আবিরঃ মানে কি???
তিথি আবিরের আরো জোরে টান দিয়ে আবিরের গাল চেপে ধরে বলে,,,,
তিথিঃ অই বজ্জাত বুজিস না তুই আমি যে তোকে ভালোবাসি,,,,অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলছি বজ্জাত তোকে,,,,
ভালোবাসি শব্দটা শুনেই আবির অবাক মনে কি খুশি হচ্ছে নাকি অন্য কিছু,,,কিন্তু তিথি তো হুশে নাই,,,আবার ভাবে হুশ নাই বিদায় হয়তো তিথি আবিরকে সত্যি বলেছে,,,আর তিথি আবিরের কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে আবার বলে উঠে
তিথিঃ ভালোবাসি মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা
চলবে,,,,,
Comments