বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 18

আবিরঃ সকাল টা হোক তারপর তোমাকে বুজাবো মজা,,,,অসভ্য বেয়াদব একটা মেয়ে কে বিয়ে করে এনেছি,,,ভেবেছি কাঁদতেছে আর এসে দেখি খেয়ে দেয় ঘুম,,
সকালে,,
আবির নিচে শুয়ায় তার পুরো পিঠ ব্যাথা হয়ে যায়,,,উঠে বসে পড়ে আর বিছানায় তাকিয়ে দেখে তিথি এখনও ঘুমাচ্ছে,,,,আবির অনেক কষ্ট করে উঠে দাঁড়ায় তিথির দিকে তাকিয়ে রেগে যায় অনেক
আবিরঃ এই মেয়ে এখনও ঘুমাচ্ছে এমন ভাবে ঘুমাচ্ছে মনে হচ্ছে তার সাথে কিছু হয় নাই,,,আমার রুম আমার বিছানা সব দখল করে আছে আর আমাকে নিচে শুইতে বাধ্য করছে ওকে তো আমি
আবির পাশে রাখা পানির জগ নেয় পানি গুলো সব তিথির মুখের উপর মেরে দেয়,,,
ব্যাং চ্যাং খেয়ে লাফিয়ে উঠে তিথি,,,
তিথিঃ অই কোন হারামি রে আমার এতো সুন্দর ঘুম নষ্ট করছে,,,
তিথি চোখ মুখ ঢলে ঢলে উঠে তাকায় আবির
তিথিঃ আপনার সমস্যা কি হ্যাঁ শান্তিতে কি ঘুমাতে ও দিবেন না,,,
আবিরঃ উঠো এখান থেকে এইটা আমার বিছানা,,,

তিথিঃ আপনার বিছানা?? কই এখানে তো নাম লেখা নাই যে এইটা মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডার বিছানা
আবিরঃ বেশি বাড়াবাড়ি করিও না ওকে,,,উঠতে বলছি উঠো,,,
তিথিঃ না উঠবো না এইটায় আগে আপনার নাম লেখা দেখান তারপর উঠবো আমি,,,
আবির জগটা রেখেই তিথিকে টেনে নিচে নামিয়ে দেয়,,,তিথি হাত ঝাড়তে ঝাড়তে উঠে দাঁড়ায়,,আবির অনেক টা রেগে আছে
আবিরঃ সমস্যা কি হ্যাঁ রুম এর অবস্থা কাল এমন কেন করছিলে??আর পর্দা কি হাত মুছার জন্য?? টিস্যু চোখে দেখো না????
তিথিঃ কই কি করলাম?দেখেন চারপাশ তাকিয়ে কত সুন্দর করে সাজানো (ইশারা দিয়ে)
আবিরঃ সব কিছু আমি ঠিক করছি ওকে,,আর আমার শার্ট পড়ার সাহস হয় কি করে হ্যাঁ এখন খুলবে,,,
তিথিঃ কিইইইই পাগল নাকি আপনি
আবিরঃ চুপচাপ শার্ট খুলে দাও আমার,,, বেয়াদব মেয়ে একটা আমার শার্ট সব ফেলে রাখছে মেঝেতে আবার আমার শার্ট পড়ে,,,,খুলবে এখন
তিথি দুই হাত দিয়ে বুকে পিছনে চলে যায় আর আবিরের দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে বলে
তিথিঃখেয়ে ফেলতেছি না আপনার শার্ট ওকে,,,একটু পরে দিয়ে দিবো এখন পারবো না,,,
আবিরঃ এখন দিবে মানে এখন
আবির তিথির দিকে এগিয়ে আসে,,আবিরের হুঁশ পর্যন্ত নাই সে কি করছে তিথির কাছে এসেই তিথির চুল গুলো হালকা সরিয়ে শার্টের বোতাম খুলতে যাবে তিথি এতো জোরে চিৎকার দেয় যে আবির নিজের কানে হাত দেয়,,,
তিথিঃআম্মুউউউউউউ রেএএএ
আবির তিথির মুখ চেপে ধরে কান থেকে হাত সরিয়ে,,,,চোখ দুটি বড় বড় করে ফেলে তিথি,,,আবিরের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে,,,,
আবিরঃ চুপ একদম মাইক তো একটা আছে সব সময় মাইকিং না করলে হয় না,,,
তিথিঃ উম্মম্মম্মম
আবিরঃ কি উম্ম হ্যাঁ কথা বলতে পারো না,,,,
তিথি চোখের ইশারা দিয়ে আবিরের বুজায় যে আবুর তার মুখ চেপে আছে,,
আবিরঃ অহ সরি (মুখ থেকে হাত সরিয়ে)
তিথি হাঁফ ছেড়ে বাঁচে,,,আবিরকে একটু ধাক্কা দিয়ে বলে
তিথিঃ আপনার সমস্যা কি হ্যাঁ মুখ কেন চেপে ধরলেন???
আবিরঃ গলা তো নয় যেন একটা মাইক তাই ধরছি,,,
তিথিঃ ওহ আচ্ছা তাই নাকি,,,আপনার গলা বুজি কোকিল এর মত?? আপনার গলা তো আস্তা একটা লাল কাকের মত সব সময় কা কা কা করেন
আবিরঃ কি আমি কাক??আমি সারাক্ষণ কা কা করি??
তিথিঃ নিজের মুখে যখন শিকার করলেন তাহলে আমি কিছু বলার কি আছে আর তাই না
আবিরঃ চুপ একদম,,,
আবির অনেক টা রেগে যায়,,,তিথির হাত শক্ত করে চেপে ধরে বলে
আবিরঃ আমার কোনো জিনিসে নেক্সট টাইম হাত একদম দিবে না বলে রাখলাম,,
তিথি আবিরকে ধাক্কা দিয়ে বলে
তিথিঃ আপনি আমাকে পেয়েছেন কি??যখন ইচ্ছে হবে বিয়ে করবেন যখন ইচ্ছে হবে তখন এইভাবে ব্যবহার করবেন কখনো না ওকে,,
আবিরঃ তো কি করবে হ্যাঁ???
তিথি আবিরের গলায় দুই হাত রেখে বলে
তিথিঃ ডিয়ার প্রাণের স্বামী বিয়ে যখন করলেন তখন আমি আপনার বউ হই মানে প্রাণের স্ত্রী,,,আর আপনার স্ত্রী হিসেবে আপনার সব কিছুর উপর আমার অধিকার আছে আপনি এখন তা দেন আর না দেন অধিকার তো আমার আছেই যা আমি নিয়ে নিবো,,,
আবিরঃ হোয়াট রাবিশ,,,,(তিথির হাত দুটো সরিয়ে দিয়ে)
তিথিঃ অহ স্বামী রাবিশ না রাবিশ না আপনি যা করার করলেন এখন আমার করার পালা
আবিরঃ বেশি বাড়াবাড়ি একদম করবে না বলে দিলাম না হলে কি হবে নিজে ও জানবে না,,,
তিথিঃ তা না হয় পরে দেখে নিবো,,,,
আবির তিথির হাত ধরে তিথির হাত পিছনে টেনে নিয়ে মুচড়ে ধরে
আবিরঃ আমার সাথে চালাকি করতে আসিও না পরে আফসোস করবে,,,
তিথিঃ হাত ছাড়ুন না হলে দেখবেন আমি কি করি,,,
আবিরঃ কি করবে হ্যাঁ???
তিথি আবিরের পায়ে জোড়ে পা দিয়ে চেপে ধরে যে আবির তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিয়ে পায়ে হাত দিয়ে লাফাতে থাকে,,
আবিরঃ পাগল নাকি তুমি হ্যাঁ
তিথিঃ আপনি না পুরো নীল বানর এর মত লাগছেন কি ভাবে না লাফাছেন,,,,(খিলখিল করে হেসে দেয়)
আবিরঃ তোমাকে আমি,,,
আবির তিথিকে ধরতে যায় কিন্তু পারে না,,,,তিথি দৌড়ে বিছানার উপর উঠে যায় বালিশ নিয়ে আবিরের গায়ে ছুড়ে মারে,,,
আবিরঃ তিথি নিচে নেমে আসো ধরতে পারলে খবর আছে বলে দিলাম,,,
তিথিঃ আগে ধরে তো দেখান মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা তারপর বকবক করিয়েন,,,
আবির বিছানার উপর উঠতেই তিথি নিচে নেমে যায়,,,আবির অনেক চেস্টা করে তিথিকে ধরতে পারে না,,অনেক ক্ষন দৌড়াদোড়ি এর পর আবির তিথিকে ধরে,,,তিথির হাত চেপে ধরে বলে
আবিরঃ অনেক সাহস হয়ে গেছে তাই না??

তিথি আবিরকে ধাক্কা দিয়ে যেতে লাগে আবির আবার তিথির হাত ধরে টান দিয়ে নিজের কাছে টেনে নেয়,,,আবিরের অনেক কাছে চলে আসে তিথি,,,
আবিরঃ এখন দৌড়ে দেখাও???
আবির নিজে ও জানে না সে তিথিকে কত টা কাছে টেনে নেয়,,,তিথির বুকে ধুপধাপ আওয়াজ শুরু হয়ে যায় আবিরের এমন কাছে এসেই,,,
তিথিঃ আমাকে ছাড়ুন কেউ এসে যাবে,,,,
আবিরঃ আসুক এতে সমস্যা কই,,,,
আবির তিথি দুইজন দুইজনের অনেক কাছাকাছি এসে গেছে কেউ জানে না তাদের ভবিষ্যতে কি হবে,,,,
একটু পরেই খাদিজা রুমের দরজায় নক দেয়,,দরজায় আওয়াজ পেয়ে আবির তিথিকে ছেড়ে দেয়,,তিথি পিছনে ফিরে আছে,,,
আবিরঃ কে???
খাদিজাঃভাইজান আমি খাদিজা
আবিরঃ হুম আয়,,,
খাদিজা এসে তিথিকে বলে
খাদিজাঃ ভাবিমনি খালাম্মা এই শাড়ি পড়ে নিচে আইতে কইছে,,
তিথিঃ আচ্ছা আমি পড়ে এসে যাবো,,,,
খাদিজা চলে যায়,,আবির বাথরুমে যেতে লাগে তিথি দৌড়ে চলে যায়,,গিয়েই দরজা লাগিয়ে দেয়
আবিরঃ মানে কি???এই মেয়ে এখন বাথরুম ও আদায় করলো উফফফফ আল্লাহ এই কোন এলিয়েন কে বিয়ে করে আনলাম আমি,,,
আবির অনেক ক্ষন অপেক্ষা করছে তিথি এখনও বের হচ্ছে না,,
এইদিকে
তিথি বাথরুমে বসে আছে আর ভাবছে সে কি করবে, সামনে আবিরের ব্রাশ দেখে আবিরের ব্রাশ নিয়েই ব্রাশ করা শুরু করে দেয়,,,আবিরের ব্রাশ দিয়ে ব্রাশ করছে আর আবিরের সব ফেসওয়াশ সব কিছু ভালো ভাবে দেখছে,,,অনেক ক্ষন পর শাওয়ার নেয় তিথি,,,
তিথি শাওয়ার নিচ্ছে আর গান গাইছে,,
তিথিঃ,,,, আমি কাক দেখেছি সাদা কাক যার মাথা টাক টাক,,,,
বাথরুম থেকে গানের আওয়াজ পেয়ে আবির রেগে যায় আরো,,,জোরে জোরে বারি দিয়ে বলে
আবিরঃ তিথি বের কি হবে???আমার অফিস আছে,,,,
তিথিঃ উফফফ এই বজ্জাত শান্তিতে কি গান টা ও শেষ করতে দিবে না,,দূর অপেক্ষা করুক এতে আমার কি,,,
তিথি কোনো কেয়ার না করেই নিজের মত শাওয়ার নেয়,,,,,
শাওয়ার শেষ করে দেখে সে তাড়াহুড়ো করে কাপড় এই আনে নাই,,,তাওয়াল টা ছাড়া ভিজা কাপড়ে বের হবে কি না ভাবছে,,,আবার ভাবে আবিরকে বলবে দিতে
তিথি বাথরুমের দরজা একটু খুলেই কল্লাটা বের করেই বলে
তিথিঃ এই সে শুনছেন

আবিরঃ হয়েছে বের হও তাড়াতাড়ি
তিথিঃ না মানে আমি আমার কাপড় আনতে ভুলে গেছি যদি একটু দিতেন তাহলে ভালো হতো
আবিরঃ কেন আমি কি তোমার চাকর নাকি যে তোমার কাজ করে দিবো হ্যাঁ??? এইভাবে বের হয়ে এসে নিয়ে যাও
তিথিঃ ছি আপনি কি লুচ্ছা,,,আপনার মত লুচ্ছা আমি আজ পর্যন্ত দেখি নাই ছি ছি,,,
আবিরঃ মানে????
তিথিঃ এইযে আমাকে এইভাবে বের হতে বলছেন??আপনার কি লজ্জা শরম কিছু নাই,,ওহ হ্যাঁ থাকবে কিভাবে আপনি তো একটা লুচ্ছা হারামি,,,
আবিরঃ এক থাপ্পড় মারবো যে ফালতু কথা গুলো আর বলবে না,,চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকো দিচ্ছি,,,বেয়াদব মেয়ে একটা,,
আবির বিছানার উপর থেকে তিথির কাপড় গুলো দেয়,,,তিথি কাপড় গুলো নিয়ে আবিরের গাল টা আস্তে টেনে বলে
তিথিঃ ওলে আমার জামাই রে,,,
আবির বিরক্তি ভাব নেয়,,,তিথি দরজা লাগিয়ে হাসতে থাকে,,,
আবিরঃ এই মেয়ে কি,,৷ কাল রাতে এতো কিছু হইছে আর সে এমন ভাব নিচ্ছে মনে হচ্ছে প্রেম করে বিয়ে করেছি আমরা,,,পাগল নাকি এই মেয়ে আসলে,,
তিথি শাড়ি পিছিয়ে বের হয়ে আসে,,আবির তাড়াতাড়ি বাথরুমে যায় ব্রাশ হাতে নিয়ে দেখে ভিজা,,,আবির ওতো না ভেবেই ব্রাশ করতে থাকতে থাকে,,,
এইদিকে তিথি শাড়ি নিয়ে যুদ্ধ করছে,,কিছুতেই পড়তে পারছে না,
আবির শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে এসে দেখে তিথি শাড়ি নিয়ে যুদ্ধ করছে,,আবির তা কেয়ার না করেই অফিসের জন্য রেডি হয়ে নিচ্ছে,,,,তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে তিথি শাড়ি নিয়ে অনেক চিন্তায় আছে,,,
আবিরঃ শাড়ি পড়তে না জানলে পড়তে যাও কেন???
তিথিঃ আমি যাই নাই আপনার মা দিয়ে গেছে,,
আবিরঃ এতো বড় মেয়ে হয়েছো,,,দুনিয়ার বাইকা সব কাজ কথা সব পারো শাড়ি পড়া শিখে নিতে পারো না,,,,,
তিথিঃ হু সেটায়,,, আমি তো আর জানতাম না যে আপনি আমাকে জোর করে বিয়ে করবেন,,,যদি জানিতাম তাহলে শিখে নিতাম শাড়ি পড়া হু,,
আবিরঃ ভালো কাজ কেন শিখবে শিখবে তো ফালতু সব কাজ,,
তিথিঃ আপনি যেভাবে বলছেম মনে হচ্ছে আপনি অনেক ভালো শাড়ি পড়াতে পারেন,,,
আবিরঃ না পাড়ার কি আছে হ্যাঁ,,,
তিথিঃ অহ তাই নাকি তাহলে পড়িয়ে দেন আপনি,,,
আবির তিথির কাছে এসে শাড়িটা নিয়ে বলে
আবিরঃ দেখো কিভাবে পড়তে হয়,,
আবির তিথিকে শাড়ি পড়াতে থাকে,,তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে,,কুচি গুলো করে তিথির হাতে দিয়ে বলে
আবিরঃ গুছে নাও,,,
তিথিঃ কোথায়???
আবিরঃ আমার মাথায় বেকুব মেয়ে একটা,,
তিথি শাড়ির কুচি গুলো নিয়ে গুছে নেয়,,,আবির তিথির আঁচল নিয়ে ধরে ঠিক করে দেয়,,,তিথি আবিরের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে আয়নার সামনে তিথিকে নিয়ে বলে

আবিরঃ এইভাবে পড়তে হয় ওকে,,,,
তিথিঃ হুম ওকে ওকে,,,আচ্ছা আপনি কত থেকে শিখলেন বিয়ার বুজি আরো করেছেন,,,
আবিরঃ পাগল যে কেউ জানে,,,,আইডিয়া নিয়ে পড়াইছি আর হ্যাঁ শাড়ি পড়ানো শিখতে হলে বিয়ে করতে হয় না মাথায় বুদ্ধি খাটিয়ে করা যায়,,ইউটিউব থেকে দেখে করেছি পিছনে তাকাও ফোনে ইউটিউব চলছে,,
তিথিঃ এইটা কখন করলেন???
আবিরঃ চোখ থাকলে তো দেখবে যাই হোক তোমার শাড়ি পড়া শেষ আমি এইবার অফিসে যাচ্ছি
তিথিঃ আচ্ছা শুনেন,,,
আবিরঃ কি????
তিথিঃ ধন্যবাদ
আবিরঃ হুম
তিথিঃ শাড়ি পড়িয়ে দিয়েছেন এই জন্য না,,,
আবিরঃ তাহলে???
তিথিঃ আপনার ব্রাশ এর জন্য,,,
আবিরঃ আমার ব্রাশ এর জন্য মানে???
তিথিঃ আরে বুজেন নাই,,,আপনার ব্রাশ দিয়ে আজ আমি ব্রাশ করেছি অনেক নরম ব্রাশ টা,,,দাঁত গুলো ভাবে ভাবে আজ ব্রাশ করে পরিষ্কার করেছি হিহি,,
তিথির কথা গুলো শুনে আবির বমি করার অবস্থা হয়ে যায়,,,তার মাথায় আসে নাই যে তিথি তার ব্রাশ দিয়ে ব্রাশ করবে আর সেই ব্রাশ দিয়ে সে ও করবে,,,আবির তাড়াতাড়ি বাথরুমে যায় আর বমি করতে থাকে,,তিথি কিছু বুজতে পারছে না হঠাৎ আবিরের কি হলো,,,,
চলবে,,,,,,,,,