বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 17

আবির তিথিকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়,,রাগে রুম থেকে বের হয়ে যায় আবির,,,,তিথি মেঝেতে বসে কান্না করতে থাকে,,ভাবতে থাকে এক দিন আগে তো সব ঠিক ছিলো হঠাৎ কি থেকে কি হয়ে গেলো,,,
আবির গেস্ট রুমে চলে যায়,,
এই দিকে তিথি বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায় অনেক ক্ষন চোখের পানি ফেলে চোখের পানি মুছে নিজেকে নিজে বলে উঠে
তিথিঃ মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা তুই বাঘ দেখেছো ঘুঘু দেখো নাই,,,তোর লাইফ যদি আমি ত্যানা ত্যানা না বানাই না আমার নাম ও তিথি না,,
তিথি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয় আবিরের আলমারি তে তিথি খুজতে থাকে কিছু পাওয়া যায় কিনা,,আলমারির সব কাপড় ফেলে দেয় আবিরের একটা শার্ট নিয়ে পড়ে নেয়,,,আবিরের সব শার্ট নিচে পড়ে আছে,,,

তিথিঃ আহা এখন লাগছে শান্তি কিন্তু এখন যে অই বজ্জাত এর কাপড় গুছাতে হবে দূর কে করবে এই সব,,,বাইকা কাম আমি কম করি,,
তিথি আবিরের সব শার্ট গুলো নিচে ফেলে রাখছে,,,আবিরের রুম টা ভালো করে দেখতেছে চারপাশটা সুন্দর করেই সাজানো,,,,তিথি সে কখন থেকে ভাবছে কেউ কেন আসছে না তার খুব ক্ষিধে পেয়েছে কেউ এসে বলছে ও না খেতে,,,
অনেক ক্ষন পর আরিশা আসে,,আরিশা এসে তিথিকে দেখেই অনেক খুশি হয়ে যায়,,
আরিশাঃ তিথি আপু থুক্কু ভাবি
তিথিঃ আরে তুমি কেন আসতে গেলে অসুস্থ শরীর নিয়ে,,,
আরিশাঃ আমি ভালো আছি,,সে কি তুমি ভাইয়ার শার্ট পড়া যে???
তিথিঃ আমার জামা-কাপড় আনা হয় নাই তাই আর কি,,,
আরিশাঃ অহ সমস্যা নাই,,ভালোই হলো তুমি আমার ভাইয়ের বউ হয়ে আসলে এখন জমে আড্ডা দেওয়া যাবে অনেক কথা আছে অনেক
তিথিঃ একটা কথা বলি???
আরিশাঃ হুম অবশ্যই
তিথিঃ আমার না খুব ক্ষিধে পেয়েছে কিছু খাওয়ার জন্য যদি এনে দিতে
আরিশাঃ আচ্ছা আমি বলে দিচ্ছি আর কাল কথা হবে,,আমি ও গিয়ে রেস্ট নিবো কাল অনেক কথা হবে ওকে,,,,
তিথিঃ হুম,,,

আরিশা গিয়ে তিথির জন্য খাবার পাঠাতে বলে,,,কাজের মেয়ে এসে দুইজন এর জন্য খাবার দিয়ে যায় আবির আর তিথির জন্য
খাদিজাঃ ভাবিমনি আপনার আর ভাইজান এর খাবার খালাম্মা পাঠাইছে কইছে এক সাথে খাই নিতে,,,
তিথিঃ ওকে তুমি যাও আমরা খেয়ে নিবো,,,
খাদিজাঃ ভাইজান কই?
তিথিঃ ওয়াশরুমে গেছে ফ্রেশ হতে,,,আমরা এক সাথে খেয়ে নিবো,,,
খাবার দুইজনের জন্য পাঠানো হয় খাদিজা চলে যাওয়ার সাথে সাথে তিথি সুন্দর করে বসে সব খাবার এক সাথে খেতে থাকে খেতে খেতে বলে
তিথিঃ ওই রাক্ষস এর খাওয়া লাগবে না,,আমার সাথে যা করেছে তার তো পুরো এক মাস না খাওয়া উচিত,,,কয়েক দিন না খেলে আক্কেল আসবে হু,,,
তিথি মনের আনন্দে খেতে লাগে তার কোনো চিন্তায় যেন নাই,,একটু আগে যে তার সাথে কি হয়েছে,,খাওয়ার পর একটা ঢেক তুলে,,,পর্দায় হাত মুছে নেয়,,, প্লেট গুলো ছোট টি টেবিলে রেখেই একটু দাঁড়ায় হাত দুইটা মেলে দিয়ে বলে
তিথিঃ আজ খাবার টা অনেক টেস্টি ছিলো,,,কিন্তু কম ছিলো সমস্যা নাই আজ রাত টা পাড় করতে পারবো,,,,
তিথি আবিরের বিছানায় লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ে,,হামি দিয়ে বলে
তিথিঃ ভালো ভালো খাওয়ার পর একটা ঘুম দেওয়া দরকার,,, এমনি যা গেলো আমার উপর উফফফ কাল রাতে ঘুমাই নাই আজ একটু ঘুমাই,,,,,অনেক ক্লান্ত আমি,,,কিন্তু যাই বলিস তিথি এই বজ্জাত এর শার্ট টা ভালো আছে পড়ে আরাম পাচ্ছি,,,
তিথি আবিরের বিছানায় হাত দিয়ে দেখে নরম আছে,,

তিথিঃ বাহা বেশ নরম তো ভালোই ঘুম হবে,,,কিন্তু এক মিনিট বালিশ গুলো এতো যে পায়ের কাছে দিলে ভালো হবে হিহি,,,
তিথি পুরো বিছানার অবস্থা শেষ করে দেয়,,,,পায়ের কাছে বালিশ দিয়ে আরামে ঘুম,,,,শুয়ার সাথে সাথে সে ঘুমিয়ে পড়ে,,,
আর অই দিকে,,
আবির চেয়ারে বসে আছে আর ভাবছে সে কি রুমে যাবে,,,আবার ভাবছে আজ হয়তো তিথির সাথে অনেক বাড়াবাড়ি করে ফেলছে এইভাবে অপমান না ও করতে পারতো,,,
আবিরঃ হয়তো অনেক বেশি করে ফেললাম হয়তো তিথি কান্না করছে এখনও,এমন করা উচিত হয় নাই আমার,,,,মেয়েটা সারাদিন তো কিছু খায় নাই আমি ওকে শাস্তি দিতে গিয়ে এইভাবে শাস্তি দিবো ভাবি নাই,,,সে তো ক্ষিধে একদম সহ্য করতে পারে না হয়তো লজ্জায় কিছু বলছে ও না কাউকে খাবে,,এইভাবে না খেয়ে থাকলে তে ওর শরীর খারাপ করবে তখন উল্টো দোষ আমার উপর,,,
আবির উঠে দাঁড়ায় ভাবে কিচেনে গিয়ে কিছু খাবার নিয়ে তিথিকে খেতে দিবে,,আর নিজে ও খাবে,৷
আবিরঃ ক্ষিধে পেয়েছে আমার নিজের ও কি আজিব আজ কেউ খেতে ও ডাকে নাই,,,আমি গিয়েই খেয়ে আসি,,,
আবির কিচেনে যায় গিয়ে দেখে সব খাবার শেষ,ফ্রিজে দেখে কিছু নাই,,,,কিছু টা অবাক হলো এই ভেবে যে আজ কোনো খাবার নাই,,তার ও ক্ষিধে পেয়েছে আবার তিথির জন্য ও কিছু নিতে হবে,,,
আবিরঃ এই প্রথম এই বাড়িতে খাবার শেষ,,,,আজিব তো বাড়িতে দুইটা মানুষ আছে তাদের খাবার না দিয়ে এইভাবে সব শেষ করে ফেলছে,,,
আবিরের কাছে খুব বিরক্তি লাগে এই সব কান্ড দেখে,,
আবির ঘড়িতে দেখে রাত ২ টার কাছাকাছি,,এই সময় কাউকে ডাকা ঠিক হবে না তাই নিজে কিছু বানাতে হবে,,,
আবিরঃ কিন্তু আমি তো কিছু পারি না,,কফি টা বানিয়ে নিয়ে যাবো সাথে বিস্কুট সকালে না হয় বাসার সবার সাথে খেয়ে নিবে,,যাই এইটুকু নিয়ে যাই হয়তো কান্না করছে সে এখনও
আবির কফি বানিয়ে নেয় সাথে একটা ছোট প্লেটে বিস্কুট নেয়,,,আবির দুইকাফ কফি নিয়ে নিজের রুমে যায়,,রুমে গিয়ে বেচারা ৪৪০ এর শকড খায়,,,তার রুমের অবস্থা বারোটা,,,চারপাশে পড়ে আছে তার জামা-কাপড়,,,ছোট টি-টেবিলে প্লেট দেখে বুজা যাচ্ছে খাবার দেওয়া হয়েছে দুইজনের,,,তিথি সব একা খেয়ে নিচ্ছে বুজা যাচ্ছে,, রুমের অবস্থা যা করছে তিথি আবিরের রাগ উঠে যায় এই সব দেখেই,,,

আবিরঃ এই মেয়ে কি অবস্থা করছে রুমের,,আমি ভাবছি কান্না করতেছে আর সে তো আরামে ঘুমাচ্ছে তাও আবার আমার শার্ট পড়ে,,,
আবির কফি কাফ এক পাশে রেখে রুমের সব জিনিস তুলে নেয়,,,সব কিছু গুছাতে থাকে,,,তিথি পায়ের নিচে বালিশ দেখে রাগ উঠে যায় আবিরের,,,,সাদা পর্দায় হাত মুছে পুরো নষ্ট করে দেয় যা দেখে আবিরের রাগ টা আরো উঠে যায়,,,
আবিরঃ কি অসভ্য মেয়ে এইটা,,,ভাবছি কান্না করতেছে কিন্তু সে তো দেখি মহারানির মত ঘুমাচ্ছে খেয়ে তাও আমার রুম এর এই অবস্থা করে,
আবির একটা সোফায় বসে কফি কখাচ্ছে আর বিস্কুট তার প্রচুর ক্ষিধে পেয়েছে,,,,সে একটা কফি শেষ করে আর একটা খাচ্ছে আর আর তিথির দিকে তাকিয়ে ভাবছে
আবিরঃ সকালে উচিত একটা শিক্ষা দিবো ফাজিল মেয়ে একটা,,আমি ভাবতেছিলাম কি আর এসে দেখি এই মেয়ে করেছে কি,,,আসলে এই মেয়ে একটা এলিয়েন
আবির সোফায় কফি খেয়েই বসে আছে,,,বিছানায় গিয়ে যে শুবে অই অবস্থা নাই কারণ তিথি পুরো বিছানায় এমন ভাবে শুয়ে আছে মনে হচ্ছে একা তার বিছানা,,,,আবির কিছু ক্ষন বারান্দায় আবার কিছু ক্ষন রুমে হাঁটছে রাতের ৩ঃ৩০ টা বেজে আসছে তার ঘুম ও পাচ্ছে কিন্তু কোথায় ঘুমাবে ভাবছে বাহিরে গেলে যদি কেউ কিছু বলে তাই তিথির পায়ের নিচ থেকে একটা বালিশ টান দিয়ে নিচে শুয়ে পড়ে
আবিরঃ সকাল টা হোক তারপর তোমাকে বুজাবো মজা,,,,অসভ্য বেয়াদব একটা মেয়ে কে বিয়ে করে এনেছি,,,ভেবেছি কাঁদতেছে আর এসে দেখি খেয়ে দেয় ঘুম,,
চলবে,,,,,,,,,