বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 19
তিথির কথা গুলো শুনে আবির বমি করার অবস্থা হয়ে যায়,,,তার মাথায় আসে নাই যে তিথি তার ব্রাশ দিয়ে ব্রাশ করবে আর সেই ব্রাশ দিয়ে সে ও করবে,,,আবির তাড়াতাড়ি বাথরুমে যায় আর বমি করতে থাকে,,তিথি কিছু বুজতে পারছে না হঠাৎ আবিরের কি হলো,,,,
তিথি দৌড়ে যায় গিয়ে বলে
তিথিঃ আপনি ঠিক আছেন তো???
আবির বমি করে মুখ ধুয়ে নেয় তিথির দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ সমস্যা কি তোমার আসলে???
তিথিঃ আমি কি করলাম এখন আজিব,,,
আবিরঃ তুমি আমার ব্রাশ দিয়ে কেন ব্রাশ করলে??আর করলে তো করলে আবার রেখে দিলে তখন কেন বলো নাই যে ব্রাশ করলে তাহলে আমি হয়তো অই ব্রাশ দিয়ে ব্রাশ করতাম না,,
তিথি আবিরের কথা শুনেই হাসতে হাসতে শেষ
তিথিঃ ছি ছি আপনি শেষ মেষ আমার ব্যবহার করা ব্রাশ দিয়ে ব্রাশ ওয়াক
আবির তিথিকে ধমক দিয়ে বলে
আবিরঃ চুপ একদম,,,তুমি চাচ্ছো কি আসলে হ্যাঁ চাচ্ছো কি,,,
তিথিঃ ডিয়ার স্বামী পরে জানতে পারবেন আমি কি চাই,,এখন আমার ক্ষিধে পেয়েছে আমি নাস্তা করতে গেলাম টা টা,,,
তিথি নিচে নেমে যায়,,,আবির অনেক ক্ষন অনেক রেগে আছে,,,কিছু ক্ষন পর সে ও নিচে যায়,,,সবাই এক সাথে নাস্তা করতে বসে,,,
বাবাঃ আবির কিছু আছে আমার
আবিরঃ আমার কাছে অফিস আছে রাতে বলিও বাবা,,,
বাবাঃ তুমি আজ অফিসে যাবে না,,,আর তুমি যা করার করেছো সমাজে আমাদের একটা সম্মান আছে নাম আছে,,,আমাদের ঘরের ছেলে এইভাবে বিয়ে করে বউ নিয়ে আসবে এতে তার কিছু হবে না কিন্তু আমাদের মান সম্মানে লাগে,,,তাই তোমাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হবে ৩ দিন পর এর মধ্যে সবাই কে দাওয়াত দেওয়া আওয়াজ করা সব কিছু করতে হবে,
আবিরঃ এই সব এর কিছু দরকার,,,লোক দেখানোর জন্য তো আর বিয়ে করি নাই,,আমার বিয়ে আমি করেছি,,,
বাবাঃ সব সময় নিজের মন মত করা বন্ধ করো৷, আমাদের ও কিছু আশা আছে,,,
আবির আর কিছু বলে না,,নাস্তা করেই নিজের রুমে চলে যায়,,,বসে বসে কাজ করছে লেপটপে কিছু ক্ষন পর তিথি আসে,,,
তিথিঃ কি করছেন??
আবিরঃ চোখে কি কম দেখো???কি করছি দেখো না???
তিথিঃ অহ আমি ভাবছি কুমির ধরতেছেন,৷
আবিরঃহোয়াট???
তিথিঃ কিছু না,,,
তিথি মুখ বাঁকা করে রুমের চারপাশ ঘুরছে আবিরের কাছে বিরক্তি লাগছে তিথির এইভাবে রুমেত চারপাশ ঘুরা,,,,আবির লেপটপ অফ করে তিথির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে
আবিরঃ সমস্যা কি তোমার হ্যাঁ???
তিথিঃ আমার কি সমস্যা হবে??
আবিরঃ তাহলে এইভাবে ঘুরছো কেন??? আমার ডিস্টার্ব হচ্ছে কাজে,,,
তিথিঃ আমি কি আপনার হাত ধরে রাখছি যে কাজ করতে পারছেন না,,
আবিরঃ আমার সামনে ঘুরাঘুরি অফ করো,,রুম থেকে যাও,
তিথিঃ আমি কেন যাবো,,,,আপনার যাওয়ার ইচ্ছে হলে আপনি যান,,আর এখন এইটা আপনার একার রুম না আমার ও রুম বুজলেন,,,,
আবির উঠে দাঁড়ায় তিথির কাছে এসে বলে
আবিরঃ আমার যা তোমার ও তা??
তিথিঃ হ্যাঁ আপনার বিয়ে করা বউ বলে কথা,,, আপনার যা তা তো আমার হবেই,,,
আবির তিথির অনেক টা কাছে এসে যায়,,তিথির কপালের থেকে চুল গুলো আসতে করে সরিয়ে বলে
আবিরঃ যদি এখানে থাকো তাহলে আমি এমন কিছু করে বসবো যা ভাবতে পারবে না,,,
তিথিঃ মা,,,,,নে????
আবির তিথির কোমড় ধরে নিজের কাছে টেনে আনে,,তিথি ভয়ে আবিরের দিকে তাকায়,,তিথির বুকে যেন কেউ ঢোল বাজানো শুরু করে দেয় এইভাবে আওয়াজ হচ্ছে,,,,আবিরের কাছে আসাতে অনেক টা অস্তির ফিল লাগতেছে,,,আবির তিথির হাতে হাত রাখে,,,,,,,হাতে হাত রাখায় তিথিফ কেঁপে ওঠে,,,,তিথির হাত ধরেই তিথিকে আরো কাছে টেনে নেয়,,,,,তিথির ঠোঁটের কাছে মুখ নেয়৷ ভয়ে তিথি চোখ বন্ধ করে বুকের ভিতর ধুকধুক শব্দ করে,,,তিথির হাতের মুটো শক্ত করে ধরে,,,,,আবির তিথির অনেক টা কাছে এসেই যায়,,,,,
তিথিঃকি,,,কি ক,,,র,ছেন কি,,,,,,,
আবির তিথির ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে বলে
আবিরঃ ইশশ
তিথি আবিরের কান্ডতে পুরো অবাক,,,,আবির নিজে ও জানে না সে কি করছে,,,তিথির এতো টা কাছে এসে নিজের হুঁশ যেন সে হারিয়ে ফেলেছে,,,,, আবির তিথির কপালে আলতো করে চুমু দেয়,, তিথি আবিরের শার্ট শক্ত করে আকড়ে ধরে,,,তিথি যেন নিজেও হারিয়ে যায় আবিরের মাঝে,,,আবির নিজে ও জানে না সে কি করছে,৷ তিথির গালে দুই হাত রেখে নিজের কাছে টেনে আনে,,
হঠাৎ ফোনের রিং বেজে ওঠে,,,আবিরের হুঁশ ফিরে সে কি করতে যাচ্ছিলো,,,,তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে তিথি চোখ বন্ধ করে আছে,,,,নিশ্বাস যেন বারি হয়ে আছে তিথির,,,তাড়াতাড়ি সরে দাঁড়ায়,,,,তিথি অনেক ক্ষন চোখ বন্ধ করে আছে,,,,কিন্তু আবির পাশে নাই মনে হচ্ছে চোখ খুলেই দেখে আবির ফোন নিয়ে বারান্দায় চলে যায়,,,
তিথি অনেক টা বিরক্তি হয়,,,,,ভাবছে কি আর হলো কি,,,,,,আবির বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছে,,,তিথি বিছানায় বসে আছে ভাবছে আবির এসে হয়তো তার সাথে কথা বলবে কিছু ভালো,,,,,
আবির এসেই তিথিকে রুমে থেকে,,,তিথি উঠে দাঁড়ায় ভাবে আবির তার কাছে আসবে কিন্তু আবির রুম থেকে বের হয়ে যায়,,,,,,
তিথি রুমের সব। জিনিস গুছিয়ে নেয়,, আবিরকে মজা বুজাতে কাল রুমে’র এমন অবস্থা করে,,,,,তিথির জন্য কিছু কাপড় আনা হয়, শাড়ি থ্রি পিছ অনেক কিছু আনা হয়,৷ সব গুলো তিহি সুন্দর করে আলমারিতে গুছিয়ে রাখে আর আবিরের কাপড় গুলো ও,,,,
তিথির সারাদিন চলে যায় বাড়ির সবার সাথে থেকে,,, রাতের ডিনার শেষ করে সবাই নিজের রুমে চলে যায়,,তিথি আবিরের জন্য অপেক্ষা করছে কিন্তু আবির আসে না,,,অনেক টা সময় হয়ে যায় তিথি কল দিচ্ছে কিন্তু কল পর্যন্ত ধরছে না,,
তিথিঃ বজ্জাত টা গেলো কই?কল টা ও কেন ধরছে না,,,,
বারান্দায় গিয়ে কিছু ক্ষন বসে,,,হালকা শীতল বাতাসে বেশ ভালো লাগছে তিথির,,,,,চোখ বন্ধ করে আবিরের সাথে আজ কাটানো মুহূর্ত গুলো মনে করছে মনে মনে কেন জানি অনেক আনন্দ লাগছে তিথির,,,,আবির তার কপালে এই প্রথম চুমু দেয়,,,লজ্জায় গাল দুটি লাল করে ফেলে তিথি,,,,,বুকের বাম পাশে হাত রেখে অজান্তেই বলে উঠে
তিথিঃ কেন জানি উনাকে এখন আমার অনেক ভালো লাগে,,,আচ্ছা এতো টা কাছে আসাতে কেন আমি উনাকে কিছু বলি নাই৷৷, আর উনার স্পর্শে কেন আমি কেঁপে উঠলাম,,,উনি কাছে আসাতেই বুকে যেন কেউ ঢোল বাজানো শুরু করছে আমি কি উনাকে তাহলে,,,,,,না না কি ভাবছি,,,বিয়ে হয়েছে একদিন আর কি সব ভাবছি,,,যাই হোক বিয়ে তো হয়েছে উনার সাথে এখন আমি মিসেস আবির রহমান,,,,
তিথি এইসব ভাবছে আর খুশি হচ্ছে,,,,বেশ ভালোই লাগছে আজ আবিরের কথা ভাবতে,,,, ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ে খবর নাই৷ ,,,,,,
রাত অনেক হয়ে যায় আবির অনেক দেরি কতে বাসায় ফিরে,,৷ রুমে এসে দেখে তিথি নাই চাবে হয়তো ঘুমিয়ে গেছে কিন্তু বিছানায় না দেখে কিছু টা অবাক হয়৷৷
আবিরঃ গেলো কই এই মেয়ে??
বারান্দায় গিয়ে দেখে সেখানে ঘুমিয়ে আছে,,,বাতাসে চুল গুলো উড়ছে,,,তিথির সামনে গিয়ে বসে এই প্রথম আবির তিথির চেহারার দিকে ভালো করে তাকায়,,,তিথির ঘুমান্ত চেহারা কেন জানি আবিরের কাছে বেশ ভালো লাগে,,,,
আবিরঃ ঘুমান্ত অবস্থায় বেশ ভালো লাগে৷ চুপচাপ হয় ঘুম থাকলে না হলে তো বকবক করেই যায় সব সময়,,,,
কিছু ক্ষন তিথির ঘুমান্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,আকাশের চাঁদের আলো যেন তিথির মুখে এসে পড়ছে,,,, আবির উঠে দাঁড়ায় অনেক রাত হয়েছে বাহিরে এইভাবে থাকলে তিথির ঠান্ডা লাগবে তাই তিথিকে কোলে তুলে নেয় আর রুমে নিয়ে গিয়ে বিছানায় শুয়ে দেয়,,,,,আবির ফ্রেশ হতে চলে যায় ফ্রেশ হয়ে এসে তাওয়াল টা রেখেই তিথিকে একটু সরিয়ে শুয়ে পড়ে তিথির পাশে,, মাঝ খানে বালিশ রাখে,,
আবিরঃ এখন ঠিক আছে,,,
আবির সারাদিন ক্লান্ত থাকায় ঘুমিয়ে পড়ে,,,তিথি তার এক হাত আবিরের গায়ে তুলে দেয়,,,,হুট করে চোখ খুলে যায় আবিরের তাকিয়ে দেখে বালিশ টালিশ কিছু রাখে নাই তিথি,,,,কিছু না বলে হাতটা সরিয়ে দেয় তিথি আবার এক পা তুলে দেয় আবিরের গায়ে বিরক্তি লেগে উঠে তবুও পা টা সরিয়ে অন্য দিকে ফিরে যায়,,
আবিরঃ উফফফ কি মেয়ে রে বাবা,৷ শান্তি মত কি এখন ঘুমাতে ও দিবে না,
তিথি পিছন থেকে আবিরকে জড়িয়ে ধরে,,,,আবির এইবার অনেক বিরক্তি হয়ে যায় হাত সরিয়ে তিথির দিকে ফিরে ডাকবে কিন্তু তিথির ঘুমান্ত মায়াবী চেহারায় যেন আবির হারিয়ে যায়,,, কিছু না বলে চুপ করে তিথির দিকে তাকিয়ে আছে ভাবে আজ কাহিনী টা অন্য কিছু ও হতে পারতো,,,,সে বিয়ে করেছে তিথিকে কেমন যেন স্বপ্ন মনে হচ্ছে,,,,,,,
অনেক ক্ষন ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে,,,,
সকালে,,,,
সূর্যের আলোতে আবিরের ঘুম ভেঙ্গে যায়,,,রাতে জানালার পর্দা গুলো সব এক পাশ করে রাখায় সূর্যের আলো এসে পড়ছে,,, বুকের মধ্যে বারি কিছু অনুভব করছে তাকিয়ে দেখে তিথি অনেক শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে তার বুকে,,,,,শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে,৷ আবির হাত সরাতে গিয়ে ও পারে নাই,,,ভাবে ডাকবে কিন্তু তিথির এমন ঘুমান্ত চেহারা দেখে আর ডাকা হয় নাই,,,ঘুমিয়ে পড়ে আবার আবির,,,
অনেক বেলা হয়ে যায় আবির তিথি ঘুমিয়ে আছে এখনও,,,,আবিরের বুকে তিথি যেন আজ শান্তিতে ঘুমাচ্ছে আর আবির ও কেন জানি আজ তিথিকে কিছু বলছে না সে ও তিথিকে জড়িয়ে ধরে ঘুম,,,
কিছু ক্ষন পর তিথির ঘুম ভাঙ্গে,,,চোখ খুলেই নিজেকে আবিস্কার করে আবিরের বুকে,,,,
তিথিঃ(ইয়া আল্লাহ আমি এই বজ্জাত এর বুকে ঘুমিয়ে গেলাম যদি বলতে পারে তো আমার খবর আছে,,তিথিরে তাড়াতাড়ি উঠ না হলে এই বজ্জাত উঠে তোকে দুনিয়া থেকে উঠাই দিবে, )
তিথি অনেক চেস্টা করে উঠার কিন্তু পারছে না,,আবিরের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে আবির ঘুম,,খোচা খোচা দাড়ি,,,কপালে আসা ছোট ছোট চুল মুখে যেন এক রাশ মায়া ভরা,,,
তিথিঃ হায় এই বজ্জাত দেখি সে কিউট,,,এতো দিন তাকাই নাই কারণ অন্য বেডা ছিলো হিহি এখন তো আমার স্বামী মানে প্রাণের স্বামী (কিছু টা লজ্জা পেয়ে) এখন তাকালে সমস্যা নাই আমি তো আমার স্বামী কে দেখবো অন্য কাউকে না,,,
তিথি এইসব ভাবছে আর পাগলের মত মুচকি মুচকি হাসছে,৷ আবিরের ঘুম ভাঙ্গায় চোখ খুলে দেখে তিথি তার দিকে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে আছে আর মুচকি মুচকি হাসছে,,
আবিরঃ পাগলের মত এতো সকালে কেন হাসছো?
তিথিঃ কেন হাসতে ও কি আপনার পারমিশন লাগবে?
আবিরঃ তোমার সাথে কথা বলা বেকার দেখি উঠো,,,
তিথিঃ আপনি হাত সরালে তো উঠবো??
আবির তাড়াতাড়ি হাত সরিয়ে ফেলে তিথি উঠে বসে,,,আবির একটু উঠে দাঁড়ায় পিঠ যেন ধরে উঠে
আবিরঃ একটু কম খাইও,,,
তিথিঃ কেন আমি কি করলাম এখন?
আবিরঃ অনেক মোটা তুমি,,আর আল্লাহ রে এতো বারি আমার মনে হয় ৭০ কেজি হবা,,,পুরো পিঠ ধরাই ফেলছে,,,,,
তিথিঃ কিইইইইই অই আপনার সমস্যা কি হ্যাঁ সব সময় অপমান কেন করেন???আপনার থেকে তো আমি অনেক শুকনা ওকে,,
আবিরঃ তা দেখতেই পারছি কে কার থেকে মোটা,,,
আবির তিথির কিছু বলার আগে ওয়াশরুমে চলে যায় জানে তিহি বকবক করেই যাবে,,,রেগেমেগে আগুন হয়ে আছে তিথি তাকে মোটা বলছে আবির,,,
তিথিঃ বজ্জাত টা ভাবে কি নিজেকে হ্যাঁ আমার মত শুকনা আর আছে,,আমাকে বলে কিনা আমি মুটি কম খাইতাম বেডা বজ্জাত তোর থেকে তো কম আছি শুকনা,,আমি এতো কম খাই আবার বলে কি না কম খেতে ইচ্ছে তো করছে ঘুষি মেরে পাকিস্তানে পাঠাই যাতে শত্রুরা আচ্ছা মত ধুলাই দেয়,,,
তিথি বকবক করেই যাচ্ছে,,আবির শাওয়ার নিয়ে তাওয়াল পিছিয়ে বের হয়ে আসে,,,তিথি চুল গুলো হাত খোপা করেই বিছানা ঠিক করে নেয়,,,আবির তিথিকে কেয়ার না করেই যেতে লাগে তিথি পিছনে ফিরতেই ধাক্কা খায়,,,
চুল থেকে পানি পড়ছে আবিরের,,,শরীরে বিন্দু বিন্দু পানি,,,তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে যেন হারিয়ে যায়,,,,আবির তিথিকে সরিয়ে বলে
আবিরঃ দেখে চলা শিখিও ওকে,,,
তিথি এক পাশে গিয়ে আবিরের দিকে তাকিয়ে পিছনে ঘুরে যায়,,
তিথিঃ ছি ছি আপনার এই জন্মে কি লজ্জা হবে না,,,
আবিরঃ মানে?
তিহিঃ সব সময় কাপড় ছাড়া কেন আসেন বাথরুম থেকে,, কিছু তো লজ্জা শরম রাখেন ছি মেয়েদের সামনে এইভাবে আসতে একটু ও কি লজ্জা করে না,,,,
আবিরঃ আমার লজ্জা করে না তোমার করলে অন্য দিকে তাকাই থাকতে পারো না,,,
তিথি আবিরের কাছে এসে বলে
তিথিঃ এই আপনার সমস্যা কই হ্যাঁ? সব সময় আমার সাথে এইভাবে কথা কেন বলেন হ্যাঁ,,, সুন্দর করে কি কথা বলতে পারেন না আমি কি এতো খারাপ যে সব সময় এইভাবে কথা বলেন,,,
তিথির কথা গুলো শুনে আবির রেগে যায়,,,তিথির দিকে ফিরে তিথির হাত শক্ত করে ধরে বলে
আবিরঃ তুমি খারাপ থেকে ও খারাপ বুজলে,,তোমার মত মেয়ের সাথে কথা বলতে ও আমার রুচিতে বাজে,,,আর কি বললে সুন্দর করে কথা বলা হাহা অই যোগ্য তুমি না বুজলে,,
তিথি আবিরকে ধাক্কা দিয়ে বলে উঠে
তিথিঃ আমার মত মেয়ে মানে??কি এমন করেছি আমি যে আপনি আমাকে পথে পথে এইভাবে শাস্তি দিচ্ছেন,কি করেছি এমন যে আপনার রুচিতে বাজে আমার সাথে কথা বলতে? বলেন কি করেছি??
আবির তিথির কাছে এসে কিছু বলতে যাবে দরজায় নক পড়ে,,,,আবির ওতো খেয়াল না করেই আলমারি থেকে কাপড় বের করে বাথরুমে চলে যায়,,তিথি দরজা খুলে দেখে মা
মাঃ আজ এতো বেলা হয়ে গেলে এখনও উঠো নাই তাই ডাকতে এসেছি,,,
তিথিঃ আ,,সলে খেয়াল করি না মা,,সরি
মাঃ আরে দূর সমস্যা নাই,,আবির কই
তিথিঃ বাথরুমে,,
মাঃ আচ্ছা তাড়াতাড়ি আসো নাস্তা করে নাও,, আমি অপেক্ষা করছি কেমন
তিথি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানায়,,মা চলে যায় রুমের দরজা লাগিয়ে দেয় আবিরের কথা গুলো কেন জানি খুব গায়ে লাগে তিথির কাছে,,,খুব কান্না পাচ্ছে আবিরের ব্যবহারে আবির এইভাবে কথা কথা বলবে ভাবতে পারে নাই,,,চোখের পানি মুছে নেয় আর ভাভে আবির কেন এমন করছে সে সত্যি জেনেই নিবে তিথি,,তার দোষ কি যার জন্য আবির এমন করছে,,,
চলবে,,,,,,,,,