বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড Season 2 !! Part- 07
আবিরঃ যদি উল্টো পাল্টে কিছু বলো তাহলে কিস টা আবার করবো,,,,সো চুপচাপ বসে থাকো
তিথির খুব রাগ লাগছে আবিরের উপর কিন্তু কিছু বলতে ও পারছে না,,,,
তিথি গাল ফুলিয়ে বসে আছে,,,,পুরো বাচ্চা লাগছে আবিরের কাছে,,,,তিথির এই মুখ ফুলিয়ে বসে থাকা যেন আবিরের কাছে বেশ ভালো লাগছে,,একতো কিউট তার মধ্যে আরো কিউট লাগছে,,,,আবির তিথির দিকে সে কখন থেকে তাকিয়ে আছে তা তিথির খেয়াল নাই,,,আবির বেশ বুজতে পারছে যে তিথির খুব রাগ লাগছে তার উপর,,,
তিথি নিজে নিজে বকবক করছে,,,,
তিথিঃ(লুচ্চা একটা হারামি😡ইচ্ছে তো করছে এখানে পুঁতে ফেলি,,,,বজ্জাত এনাকন্ডা শয়তান,,,হু জোর করে কিস করেছে আবার বলছে কিছু বললে আবার করবে মনে হচ্ছে আমি তার বিয়ে করা বউ😡)
আবির বেশ বুজেছে যে তিথি তাকে মনে মনে অনেক গালি দিয়ে পেলছে তার পর ও একটু মজা করার জন্য তিথিকে আবির তিথিকে ঝাকুনি দিয়ে বলে
আবিরঃ এই যে ম্যাডাম আমাকে যদি গালি দেওয়া শেষ হয়😂তাহলে একটু ওই দিকে যাও
তিথিঃ আপনি কি করে জানলেন যে আমি আপনাকে গালি দিচ্ছি,,,😞😞আপনি বুজি মনের কথাও দেখি পরতে পারেন,,,,
আবিরঃ তার মানে তুমি সত্যি সত্যি আমাকে গালি দিচ্ছিলে 😡😡( তিথির দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে থাকে,,)
তিথিঃ না,,, মানে,,,, আসলে,,, ওই আর কি,,,😨
আবিরঃ যা বলার সরাসরি বলো এতো না,মানে ওই ইত্যাদি এই সব না বলে সত্যি টা বলতে পারে না স্টুপিড,,,,(আস্তা একটা স্টুপিড মেয়ে),,,,
তিথিঃ কি আমি স্টুপিড😡তুই স্টুপিড তোর ওই ইংলিশের দোকান স্টুপিড বজ্জাত এনাকন্ডা,,,
আবিরঃ তুমি আবার বকবক করছো😡 একটু আগে কি করলাম ভুলে গেছো,,,(তিথির দিকে মাথা টা এনে,,)
তিথি এই কথা বলায় চুপ হয়ে পরে,,,,,বেচারি সত্যি এখন অনেক ভয় পেয়েছে,,,,আবির তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে তিথি চুপচাপ বসে আছে,,,,আগুন টা ও নিবে যাচ্ছে,,
তিথি নাক ফুলিয়ে আছে,,,আবিরের অনেক হাসি আসছে তিথির কান্ড দেখে,,,
আবিরঃ এই যে মিস তিতা একটু সরতে বলেছি তখন সরছো না কেন?
তিথি আবিরের দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে বলে
তিথিঃ কেন?😡
আবিরঃ আরে মিস তিতা তুমি যদি একটু সরো তাহলে তোমার ওই দিকে র কিছু কাঠ আছে ওই গুলো নিবো,,,তুমি তো দেখি অনেক বোকা😂😂
তিথিঃ কি বললেন আমি বোকা😡
আবিরঃ 😂😂আচ্ছা সরি,,
আবির র কিছু না বলে নিজে উঠে কিছু কাঠ জোগার করে র আগুন দিয়ে তা জ্বালাতে থাকে,,,,,
তিথি অনেক ক্ষন পর বলে
তিথিঃ আচ্ছা আমরা কি আজকে এখানে থাকবো??
আবির তিথির দিকে ভ্রু কুচকে তাকায়
তিথিঃ আরে এখানে এই ভাবে তাকানোর কি আছে আমি তো শুধু জিজ্ঞেস করছিলাম যে আমরা এখানে থাকবো কি না,,,
আবিরের খুব রাগ উঠছে তিথির উপর এতো বোকার মতো কেউ প্রশ্ন করে,,,যেহেতু এখানে ছাড়া অন্য কথায় ও যাওয়ার জায়গা নাই তাহলে তো এখানে থাকতে হবে,,,,আবির তিথির দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ আরে না তো আমরা তো আজকে ফাইভ স্টার হোটেলে থাকবো ওইখানে তোমার জন্য সবাই ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,চলো যাই,,,😡স্টুপিড
তিথি একটা ভংছি দিয়ে বলে
তিথিঃ ফালতু কথা ছাড়া র কিছু নাই আপনার কাছে হু
আবিরঃ ওহ রেলিং আমি ফালতু বলছি না তুমি কোনটা?
তিথিঃ আপনি তো দেখি মেয়েদের মতো ঝগড়া করেন বাজি রে বাজি,,পুরো মেয়েদের মতো ঝগড়া করে,,, ঝগড়াটে একটা,,,
আবিরঃ তার মানে তুমি শিকার করছো যে মেয়েরা ঝগড়াটি,,,,,
তিথিঃ উফফ আপনি বাজি,,,,আমি বলছি আপনি,,,,,,,,
আবিরঃ হ্যাঁ আমি কি বলো😂😂😂
তিথি অন্য দিকে ফিরে বলে
তিথিঃ উফফ আল্লাহ কথায় বাজালে,,আস্তা একটা এনাকন্ডা,,,ধুর কথায় যে আসলাম,,,
তিথি গাল ফুলিয়ে নিজে নিজে বকবক করছে,,,,
আবিরের খুব হাসি পাচ্ছে তিথির এমন মুখ বানানো দেখে,,,,,অনেক কষ্টে হাসি টা চাপিয়ে রাখে,,,অনেক সময় কেটে যায় দুইজন চুপ করে আছে,,,,
অনেক ক্ষন পর তিথি পেটে হাত দিয়ে বসে আছে,,,,ক্ষেধায় সে কেমন যেন করছে,,,আবির তিথিকে জয় জিজ্ঞেস করে
আবিরঃ কি হয়েছে এই ভাবে পেটে হাত দিয়ে বসে আছো কেন?
তিথিঃ আমার খুব ক্ষেধে পেয়েছে,,,
আবিরঃ এখানে তো কিছু পাবো বলে মনে হয় না,,,,তার পর ও চেস্টা করি একটু অপেক্ষা করো,,
তিথিঃ ওকে
আবির কুঁড়ের ঘরটার থেকে বের হয়ে দেখে বাহিরে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে র অনেক বাতাস ও,,,চারপাশের অবস্থা এতো খারাপ যে কিছু পাওয়া অনেক মুশকিল,,,কিন্তু কিছু না পাইলে তো আবার তিথি না খেয়ে থাকবে ওর তো অনেক ক্ষেধে লেগেছে নাকি,,,,চিন্তা আবিরের মাথা কাজ করছে না,,,তার পর ও এই বৃষ্টিতে আবির কিছু পায় কি না তা দেখে,,,রাস্তার কিছু টা পাশে চলে আসে কথায় ও কিছু নাই,,,,একটা ভেন গাড়িওয়ালা কিছু ফল গুছিয়ে যেতে লাগে তখন আবির দূরে লোকটার কাছে যায়
আবিরঃ চাচা কিছু ফল আছে তোমার কাছে,,তুমি যতো বলবে দিবো,,,,
ভেন গাড়িওয়ালাঃ আরে বাবা এতো বৃষ্টিতে আমি কিছু বেচুম না,,,এখন আমার যাওয়া লাইগবো,,,
আবির বুজতে পারছে এমনি বললে হয়তো দিবে না তাই সে বলে
আবিরঃ চাচা প্লিজ আমার বউ না খেয়ে আছে,,,,রাস্তায় র কোনো দোকান ও খোলা নাই যে কিছু নিবো,,প্লিজ কিছু ফল দিলে আজকে রাতের খাবার টা হবে প্লিজ চাচা,,,,
আবির অনেক রিকুয়েস্ট করে,,,ভেন গাড়িওয়ালা অনেক মানা করে কিন্তু আবির কিছুই তে শুনে না,,,,তার পর দুইটা পেয়ারা আবিরকে দেয় কারণ এই দুইটা ছাড়া র ছিল না,,,
ভেন গাড়িওয়ালাঃ এই ছাড়ার আনার কাছে কিছু নাই,,,
আবির টাকা দিতে লাগে তখন লোক টা বলে
লোকটাঃ আরে লাগবো না,,এই গুলো আমার পক্ষ থেকে তোমার বউয়ের লাউগা,,,বউরের অনেক ভালোবাসো তাই এই ঝড়ের মধ্যে ও খানা লইতে আইছো,,আল্লাহ তোমগরে আজীবন সুখে রাখুক,,,
আবির কি বলবে বুজতে পারছে না,, তার পর ও বলে,,
আবিরঃ ধন্যবাদ চাচা
আবির তাড়াতাড়ি হাঁটা শুরু করে কারণ তিথিকে সে একা রেখে এসেছে,,,,,
এই দিকে তিথির খুব ভয় করছে একা থাকতে,,,আবার অনেক ভিন্নি ধরনের একটা আওয়াজ ও আসছে ভয়ে তিথির অবস্থা খুবই খারাপ,,,,তার মধ্যে আবির ও আসছে না,,,
আবির দূরে আসে র দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে হাঁপাতে থাকে,,,,চুল বেয়ে পানি পরছে পুরো ভিজে চুপচুপ অবস্থা,,,,তিথি ঘুরে দেখে আবির পুরো ভিজে গেছে,,,তিথি আবিরের সামনে আসে র বলে
তিথিঃ আরে আপনি তো পুরো ভিজে গেছেন,,,,
আবির তিথির হাতে পেয়ারা গুলো দিয়ে আগুনের পাশে গিয়ে বসে,,ঠান্ডায় সে অনেক কাঁপছে,,,তিথি আবিরের কাঁপনি দেখে আবিরকে বলে
তিথিঃ আপনি শার্টটা খুলে ফেলুন না হলে আরো ঠান্ডা লাগবে,,,
আবির শার্টটা একা খুলতে পারছে না কাঁপানোতে,,,তিথি সাহায্য করে,,,,আবির এতো কাঁপছে যে তিথি অনেক ভয় পেয়ে যায়,,চারপাশে কিছু পায় কি না খুঁজতে থাকে,,অনেক খোঁজার পর একটা কাঁথা পায় তা দিয়ে আবিরকে কোনো ভাবে মুড়িয়ে ধরে কিন্তু কাঁপানো কিছুইতে কমছে না,,,তিথি র কিছু না ভেবে আবিরকে জড়িয়ে ধরে রাখে,,,,তিথি আবিরকে জড়িয়ে ধরে রাখে যাতে কাঁপানো টা বন্ধ হয়,,,তিথি আবিরকে এই ভাবে জড়িয়ে ধরে রাখতে রাখতে ঘুমিয়ে পরে কখন তা সে জানে না,,,,তিথির প্রত্যেক টা নিশ্বাস আবিরের মুখে এসে পরছে,,,র তিথি আবিরকে অনেক টাইট করে জড়িয়ে ধরে আছে,,,,,
আবিরের কাঁপানো অনেক ক্ষন পর থেমে যায়,,,আবির তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে পুরো বাচ্চাদের মতো ঘুমাচ্ছে তাকে জড়িয়ে ধরে,,,আবিরের ও খুব ভালো লাগছে তিথি তাকে এই ভাবে জড়িয়ে ধরে আছে,,,,এক নজরে আবির তিথির দিকে তাকিয়ে আছে,,,অনেক কখন পর আবির তিথির কপালে অজান্তে একটা চুমু দিয়ে দেয়,,আবির জানে না যে এই টা সে কেন করলো কিন্তু এই টা জানে যে তার খুব ভালো লেগেছে,,,,এই প্রথম হয়তো কোনো মেয়ের এতো টা কাছে গেছে৷,,, আবির তিথিকে ও জড়িয়ে ধরে,,,আবিরের এতো শান্তি হয়তো কখনো লাগে নাই যা আজকে তার লাগছে,,,,,তিথির চুলেরমধ্যে মুখ গুজায়,,,র তিথির চুলের ঘ্রাণ যে তাকে আরো মাতাল করে দিচ্ছে সে বুজতে পারছে,,, তার পর ও তার খুব ইচ্ছে করছে আরো মাতাল হতে,,,নিজে ও জানে না সে কেন এমন টা করছে,,,,তিথির মাঝে এমন কি আছে যা তাকে তিথির প্রতি মায়া বারাছে,,,মেয়েটা যে এতো মায়াবী তার মায়ায় না পরে থাকতে পারলো না,,,
আবির তিথিকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে যায়,,,তার খুব ভালো লাগছে যে তিথি তার বাহুতে,,,,এক অজানা শান্তি অনুভব করছে,,,,
সকালে,,,,,,,
তিথির ঘুম ভাঙ্গায় দেখে সে আবিরের বুকে ঘুমিয়ে আছে আবিরকে জড়িয়ে,,উঠার অনেক চেস্টা করছে কিন্তু পারছে না কারণ আবির ও যে তাকে জড়িয়ে ধরে আছে,,,,তিথি অনেক চেস্টা করে আবির একটু নড়ে উঠে র ঘুমের মধ্যে বলে
আবিরঃ প্লিজ আর একটু ঘুমাও খুব ভালো লাগছে তোমাকে জড়িয়ে ধরে থাকতে ( তিথিকে আরো শক্ত করে ধরে)
তিথিঃ মাথা টা মনে হয় গেছে এই বজ্জাত টার,,,,,,উফফ কোন বিপদে পরেছি আল্লাহ ,,,
তিথি অনেক চেস্টা করে কিন্তু উঠতে পারে না,,র না পেরে তিথি আবিরের বুকে মাথা দিয়ে চিন্তা করছে কি ভাবে উঠা যায় তার কেমন যেন গরম অনুভব হচ্ছে তাড়াতাড়ি আবিরের কপালে হাত দিয়ে দেখে জরে গা পুড়ে যাচ্ছে,,,,তিথি কি করবে বুজতে পারছে না,,তার মধ্যে আবির উল্টো পাল্টে বকছে র তিথিকে শক্ত করে ধরে আছে,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,