বউ রানী { সিজন ২ }

বউ রানী { সিজন ২ } ——- পর্ব–৭

ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে অফিসের দিকে
চলে যেতেছি তখনি সোনালী আমার হাত
ধরে বলে আজকে আমাকে কিছু না দিয়ে
অফিসে চলে যাবেন ঐ দিকে সাগর
ভাইয়া ভাবিকে রোজ মিষ্টি খাওয়াই
অফিসে যায়। (সোনালী)
আমি:- এখন তোমার মিষ্টি লাগবে?
সোনালী:- হ্যা লাগবে আপনি রোজ
বাহিরে যখনি যাবেন তখনি আমার
মিষ্টি লাগবে।
আমি:- ঠিক আছে তবে তুমি কাওকে কিছু
বলতে পারবেনা তোমাকে যে আমি রোজ
মিষ্টি খাওয়াই।
সোনালী:- আমি কাওকে বলি নাকি
সবাই শোনে যাই।
আমি:- তুমি যদি না বলো তাহলে ওরা
শোনে কি করে?
সোনালী:- আমি যখন বলি তখন ওরা সবাই
সামনে থাকে তাই তো ওরা শোনে যায়।
আমি:- (আরে বোকা মেয়ে সবার সামনে
এমন বলদ মার্কা কথা বলার কি দরকার।
আবার বলে ওরা সবাই সামনে থাকে! মনে
মনে আরো কিছু বকা দিলাম।) তুমি সবার
সামনে বলো কেন যদি তুমি কিছু না বলো
তাহলে তো ওরা কেও কিছু শোনতে
পাবেনা।
সোনালী:- ঠিক আছে আজকের মত সবার
সামনে বলেছি আর বলবোনা এখন মিষ্টি
খায়িয়ে দেন বলে সোনালী আমার কাছে
চলে এসেছে।
আমি:- ভাবি তোমরা একটু ঐদিকে ঘুরো
সোনালীর লজ্জা করবেনা কিন্তু আমার
তো ইজ্জত বলতে কিছু আছে।
ভাবি:- তোমাদের দুষ্টুমি দেখতে আমার
ভালোই লাগে তবে সোনালী অনেক
ভালো মেয়ে ওকে তুমি সব কিছু
শিখিয়ে দাও না কেন?
আমি:- কি শিখাবো যা রাতে শিখবে
সকালে আমার ইজ্জতের বারোটা
বাজিয়ে ছারবে।
সোনালী:- রাতে আপনি আমাকে তো
কিছুই শিখাননি আমি আপনাকে শিখাই
বর বউ কিভাবে খেলে সোলয়া কি করে
খেলে এসব কিছু আমি শিখাইছি। তবে
আপনি আমাকে একটা কথা বলছেন রাতে
আমরা যা করি কোন কিছু যেন কাওকে না
বলি। কিন্তু রাতে তো আমরা তখনি,,
আমি:- হয়ছে বলে কাছে এনে সোজা
ঠোটে কিস করে বসছি সোনালী একদম
চোপ হয়ে গেছে আর ঐ দিকে ভাবি বসা
থেকে দাঁড়িয়ে গেছে। আমি
সোনালীকে ছারিয়ে অফিসে চলে
এসেছি সোনালী আর কোন কথা বলেনি
সোজা চোপ করে দাড়িয়ে ছিলো। যাক
এখন থেকে নিজের সম্মান বাচাতে এমন
কাজ করতে হবে। অফিসে বসে বসে কাজ
করেছি দুপুর ঘরি বিকাল হয়ে গেছে
সোনালী একটা ফোন করেনি মনটা খোব
খারাপ হয়ে গেছে। মেয়েটা যদিও আমার
ইজ্জতের ফালুদা করে তাও আমার অনেক
ভালো লাগে তবে কবে যে বোঝবে
স্বামি স্ত্রী আর সংসার আল্লাহ যানে।
এমন সময় চেয়ে দেখি আব্বু এসে বলতেছে,,
আব্বু:- সোহরাব তুই এখনো অফিসে কখন
যাবি রহমানের মেয়ের বিয়েতে?
আমি:- হ্যা এখুনি বের হচ্ছি অফিস
থেকে।
আব্বু:- শোন সোনালীকে দেখে দেখে
রাখবি ঐ খানে যেন কোন গন্ডগোল না
পাকাই।
আমি:- তাহলে ওকে না নিয়ে একা চলে
যাই।
আব্বু:- না রহমান বলছে সোনালীকে সাথে
নিয়ে যেতে আর রহমান তো # বউ_রানী
সোনালীকে দেখেনি।
আমি:- হ্যা ওনি তো আমাদের অনুষ্টানে
আসতে পারেনি। আচ্ছা ঠিক আছে
তাহলে আমি বের হলাম। অফিস থেকে
বের হয়ে সোজা বাসায় এসে পরেছি
তাকিয়ে দেখি ভাবি সোনালীর সাথে
বসে বসে সোলয়া খেলতেছে আমাকে
ভাবি দেখে বলে,,
ভাবি:- তুমি এসেছো এখন তোমার
# বউ_রানীকে সামলাও আমার এমনিতে
মাথা ঘুরতেছে ভমি ভমি ভাব কিন্তু
তোমার #বউ_রানী বাইনা ধরেছে সোলয়া
খেলবে। বাড়ীতে আমাকে একা পেয়ে
আমার সাথে খেলবে মা ঐ দিকে রান্না
করতেছে একা একা।
সোনালী:- আপনি এসেছেন যান আমি
খেলাটা শেষ করে আসি। ভাবি আপনার
চাল আপনি চালেন।
আমি:- অনেক খেলছো আর খেলতে হবেনা
এখন আমরা ঘুরতে যাবো রহমান আঙ্কেলের
মেয়ের বিয়েতে।
সোনালী:- তাহলে ঠিক আছে ভাবি এই
সোলয়া গুলা আপনার কাছে রাখেন আমি
পরে নিয়ে নিব। তখনি ভাবি ভমি করতে
শুরু করেছে আর সোনালী অনেক ভয় পেয়ে
গেছে।
আমি:- ভাবি তোমার কি হয়ছে ভমি
করতেছো কেন শরিল খারাপ করছে বলে
আম্মুকে ঢাক দিলাম! ডাক্তারকে ফোন
করলাম কিছুক্ষন পর ডাক্তার এসে
ভাবিকে দেখে বলে,,
ডাক্তার:- ভয়ের কোন কারন নেই
আপনাদের বাড়ীতে নতুন মেহমান
আসতেছে সবাইকে মিষ্টি মুখ করান। কি
ব্যাপার সোহরাব তোমার ভাবির তো
হয়ে গেলো তোমারটার কবে হবে।
আমি:- এইত বিয়ে করেছি কিছুটা সময়
যাক তারপর চিন্তা ভাবনা করবো। আপনি
বসেন আমি আপনার জন্য মিষ্টি নিয়ে
আসতেছি।
সোনালী:- আপনি ওনাকে মিষ্টি
খাওয়াবেন কেন সাগর ভাইয়া তো শুধু
ভাবিকে মিষ্টি খাওয়াই। আপনি শুধু
আমাকে খাওয়াবেন আসেন আমাকে
খাওয়াবেন। সোনালীর কথা শোনে
ডাক্তার মিষ্টি না খেয়ে বেড়িয়ে
পরেছে।
আমি:- সোনালী তুমি কি বলো তো
ভাবির বাচ্ছা হবে সেই আনন্দ
ডাক্তারকে মিষ্টি খাওয়াতে চাইছি
ফ্রিজের মিষ্টি বোঝলে যাকে বলে
লাড্ডু।
সোনালী:- ও লাড্ডু খাওয়াতে চাইছেন
ঠিক তাহলে ঠিক আছে, ভাবি আপনি
ভমি করছেন কেন তখন?
ভাবি:- সোহরাব তুমি সোনালীকে
বোঝিয়ে বলে দাও তানা হলে আমার
পিছু ছারবেনা আর এখন বলতে আমার
নিজের কাছে কেমন কেমন করতেছে।
আমি:- ঠিক আছে ভাবি তুমি রেস্ট নাও
আমি সোনালীকে বোঝিয়ে বলতেছি।
সোনালী তুমি আমার সাথে এসো
এমনিতে অনেক দেরি হয়ছে রহমান
আঙ্কেলের মেয়ের বিয়েতে যেতে
হবে।
সোনালী:- বলেন না ভাবি কেন ভমি
করছে?
আমি:- এসো বলতেছি সোনালীকে নিয়ে
রুমে গেছি ওকে কাপড় পরাচ্ছি আর
বলতেছি ভাবি কেন ভমি করেছে।
ভাবি প্রেগমেন্ট মানে বাচ্ছা হবে তাই
ভমি করেছে আর মাথা ঘুরে পরে গেছে।
সোনালী:- ভমি করলে বুঝি প্রেগমেন্ট হয়
আর বাচ্ছা হয়।
আমি:- হ্যা হয় এখন চোপ করে দ্বাড়াও
আমি তোমার শাড়িটা পরিয়ে দেয়,
সোনালী চোপ করে দাড়িয়ে আছে আমি
ওকে শাড়ি পরিয়ে দিয়েছে বাহা
সোনালী তোমাকে তো শাড়িতে অনেক
সুন্দর লাগছে।
সোনালী:- হ্যা আমি অনেক সুন্দর তাই
আমি যা পরি তাতে আমাকে সুন্দর
লাগে।
আমি:- হ্যা তুমি সত্যি অনেক সুন্দর দেখি
তোমার কপলে একটু কাজল লাগিয়ে দেয়,
সোনালীর চোখ থেকে একটু কাজল নিয়ে
একটু হাল্কা করে লাগিয়ে দিয়েছি।
সোনালীও আমাকে লাগিয়ে দিয়েছে।
দুজুনে রেডি হয়ে আম্মুর কাছ থেকে
বিদায় নিয়ে গাড়িতে করে রহমান
আঙ্কেলের বাড়ীতে আসছি তবে সাড়া
রাস্তা সোনালীকে বোঝায়ছি যাতে
করে এখানে কোন গন্ডগোল না করে।
সোনালী:- ঠিক আছে কোন কিছু করবোনা
তবে আপনি কোন মেয়ের হাত ধরবেন না।
আমি:- ঠিক আছে ধরবোনা এখন চলো,
সোনালী আমার হাত জড়িয়ে ধরে রাখছে
আমি সোনালীকে নিয়ে ভীতরে ঢুকেছি
রহমান আঙ্কেল আমাদের দেখে কাছে
এসে,,
আঙ্কেল:- সোহরাব তোমার আব্বু আসেনি?
আমি:- না আঙ্কেল আব্বুর একটু কাজ পরে
গেছে তাই আমি আর সোনালী এসেছি।
আঙ্কেল:- বাহা তোমার আব্বুর পছন্দ আছে
তোমার বউ মাশাল্লাহ দেখতে। ঠিক
আছে তোমরা ভীতরে গিয়ে রুপার সাথে
দেখা করো।
আমি:- ঠিক আছে, সোনালীকে সাথে
করে রুপার কাছে গেছি রুপা রুমে বসে
আছে আমাকে আর সোনালীকে দেখে
অনেক খুশি হয়ছে।
রুপা:- সোহরাব কেমন আছিস তুই?
আমি:- হ্যা ভালো তুই কেমন আছিস?
রুপা:- হ্যা ভালো তোর বউ তো অনেক
সুন্দর।
সোনালী:- হ্যা আমি সুন্দর সবাই বলে।
আমি:- আচ্ছা রুপা তুই থাক তাহলে আমরা
একটু বাহিরে যাই। রুপার কাছ থেকে
বিদায় নিয়ে সোনালীকে নিয়ে
বাহিরে এসেছি। খাওয়া দাওয়া করে
ফেলছি এইদিকে আমরা। বিয়ের কাজ শুরু
হয়বে আর কিছুক্ষন পর।
সোনালী:- আমার বাথরুমে যেতে হবে
মনে হয় খাবারে জামাল গোডা দিয়ে
রাখছে।
আমি:- আসতে বলো খাবারে জামাল
গোডা দিবে কেন?
সোনালী:- তাহলে আমার এমন লাগছে
কেন?
আমি:- কিছুনা চলো আমার সাথে বলে
সোনারীকে বাথরুমের সামনে নিয়ে
এসেছি এই হচ্ছে বাথরুম যাও ঠিক হয়ে
যাবে।
সোনালী:- আমি না আসা পর্যন্ত আপনি
এখানে দাঁড়িয়ে থাকবেন বলে দিলাম।
আমি:- হ্যা থাকবো, সোনালী বাথরুমে
চলে গেছে আমি একটু দুরে সরে এসেছি,
১০ মিনিট পর আবার সামনে গেলাম তখনি
সোনালী বের হয়ে বলে,,
সোনালী:- একটা কথা বলবো?
আমি:- পরে বলো চলো বিয়ের কাজ শুরু
হয়ে গেছে, বলে সোনালীকে সাথে করে
স্ট্যাইজের সামনে এসেছি তখনি।
সোনালী:- বউ সেজে বসে আছে যে
মেয়েটা ওনি তো প্রেগমেন্ট একটু আগে
বাথরুম থেকে ভমি করে এসেছে ওনার
তো বাচ্ছা হবে। সোনালীর দিকে আমি
কি তাকাবো তার আগে বর পক্ষের একজন
বলে এই বিয়ে হবেনা মেয়ে প্রেগমেন্ট
মেয়ে একটু আগে ভমি করে এসেছে।
আমি:- সোনালী তুমি এইটা কি বললে এখন
তো তোমার সাথে আমারও বারোটা
বাজবে।

চলবে,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *