পারফেক্ট ভিলেন

পারফেক্ট ভিলেন ! Season- 02 !! Part- 14

কবির : মামনি…. তোমার কথা অনুযায়ী বিয়ে ঠিক করেছি। ছেলের নামের কোথাও N , I , R নেই । ওর নাম অনন্ত। অনন্ত খান। দেখো পদবিটাও আমাদের সাথে মিল। ইঞ্জিনিয়ার…. এই ছবিটা দেখা না… আসলে মামনি engagement এর আয়োজন টা আগে করলাম। রাগ করোনা।
মেরিনের তো পায়ের নিচ থেকে মাটিই সরে গেলো। ও রাগ করবে কি?
কনিকা : আহ কবির… কি শুরু করলা। মেয়েটা মাত্র ফিরলো। আর এর মধ্যেই তুমি শুরু করে দিলে?
কবির : উফফস,,, ভুলেই গিয়েছিলাম। sorry মামনিটা। আসলে আমার চাদের কনাটার engagement তো। তাই excitement টা বেশি।
মেরিন চুপচাপ রুমে চলে গেলো।
.
মেরিন : এখন কি হবে? আমি এই বিয়ে করে করবো? আমি তো নীড়কে ভালোবাসি। আর নীড় আমাকে। এখন? বাবাকে বলে দেই…
অধরা : কি বলে দিবে ননদিনী?
মেরিন : ভাবি…
অধরা : জানো ননদিনী… বাবা অনেক খুশী। কারন অনন্ত একদম বাবার মনের মতো ছেলে। আর তোমার আর বাবার পছন্দ তো বরাবরই এক। অনন্ত না ভীষন ভালো। তোমারও ভালো লাগবে। ছবি দেখেছো তো? crush খেয়েছো আমি জানি…
মেরিন : ভাবি…
অধরা : কি?
মেরিন অধরাকে জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কাদতে লাগলো।
অধরা : কি হলো? মেরিন তুমি কাদছো কেন? কি হয়েছে সোনা তোমার? তুমি ঠিক আছো? এই মে…
মেরিন মেঘকে ডাকতে দিলোনা।
অধরা : কি হলো?
মেরিন অধরাকে সব বলল। সব শুনে অধরা শিহরিত।
অধরা : কি বলছো কি তুমি? তুমি জানো তুমি কি বলছো? নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন ? নিহাল আহমেদ চৌধুরীর ছেলে? ৩দিনপর engagement আর তুমি । ৩ দিনপর না হয়ে ১দিন পর হলেও problem হতো না। আজ হলেও problem হতো না। কিন্তু নীড়? নিহাল আহমেদ চৌধুরী আর কবির ফয়সাল খান মহাশত্রু।
মেরিন : কি নিয়ে?
অধরা: জানিনা। কিন্তু কি করা যায় ?
মেরিন : ভাবি… আমি পারবোনা engagement করতে। i love নীড় a lot…
অধরা : i understand … let me think…. একটু সময় দাও। তুমি ততোক্ষনে fresh হয়ে আসো।
মেরিন : ভাবি…
অধরা : যাওনা সোনা….
.
একটুপর …
মেরিন : ভাবি কিছু পেলে?
অধরা : হামম। বসো।
মেরিন বসলো।
অধরা : যা বলবো ঠান্ডা মাথায় শুনবে। বুঝেছো?
মেরিন : হামম।
অধরা লম্বা ১টা নিঃশ্বাস নিলো।
অধরা : শোনো , নীড়ের engagement হয়েছিলো,,,?
মেরিন : হামম।
অধরা : এখন ওটা ভেঙে গেছে….
মেরিন : হামম।
অধরা : দেখো engagement অনেক কিছু। অনেক important … its connected with heart… কিন্তু এর মানে এটা না যে engagement is everything … আর আমাদের family এটা না যে engagement ভেঙে গেলে শোকের ছায়া পরে যাবে।
মেরিন : মানে? আমাকে এই engagement টা করতে হবে?
অধরা : হামম।
মেরিন : অসম্ভব।
অধরা : কি বলেছিলাম তোমাকে ? মাথা ঠান্ডা রেখে কথা শুনতে বলেছিলাম না….
মেরিন : কিন…
অধরা : শোনো না… দেখো ৩দিন সময় হাতে। এখন যদি তুমি বাবা কে বলো যে তুমি নীড়কে ভালোবাসো তাহলে বাবা এই ৩দিনে তোমার বিয়েই দিয়ে দিবে। then কি হবে? বলো তুমিই বলো।
মেরিন : ….
অধরা : অনেক কিছু ভেবেই তোমাকে বলছি যে engagement টা করে ফেলো। then তুমি বাবাকে বলো যে বিয়েটা ২-৩ বছর পর করবে। আমরা সময় পাবো। plan বানাবো। আমি কথা দিচ্ছি যে তোমার সাথে নীড়েরই বিয়ে হবে।
মেরিন : ভাবি আমি নীড়কে ছারা অন্যকাউকে….
অধরা : মেরিন… বোঝার চেষ্টা করো । আচ্ছা ১কাজ করো। কালকে নীড়ের সাথে ১টা মিটিং ঠিক করো। আমি , তুমি আর নীড় কথা বলবো। তোমাকে এখন কিছু বললে তুমি কিছু বুঝবেনা। হয়তো নীড় বুঝবে। আর হ্যা নীড়কে এটা বলোনা যে engagement ঠিক হয়ে গেছে । যা বলার আমি কালকে দেখা করে বলবো । হামম ?
মেরিন : হামম।
অধরা : good… এখন rest করো। আর ১টা কথা মনে রেখো তুমি সবসময় আমাকে পাবে।
.
পরদিন…
অধরা : কোথায় নীড়?
মেরিন : ওইতো।
নীড় এলো বসলো।
নীড় : hello জান।। hello ভাবি ।
অধরা : hello…
নীড় : ভাবি actually তুমি কিন্তু আমার জানের থেকেও beauty …
অধরা : oh really … thank you..
নীড় : হামম।
অধরা : আচ্ছা শোনো এখানে এসেছি ১টা অনেকই important বিষয়ে।
নীড় : মনে হচ্ছে রহস্য।
অধরা : ২দিনপর মেরিনের পানচিনি।
নীড় : what? কিন্তু কেন?
অধরা : ঠান্ডা হও ঠান্ডা হও। আমার কথাটা শোনো।
এরপর অধরা নীড়কে সবটা বলল।
অধরা : তুমি কি বুঝতে পেরেছো?
নীড় : ভাবি তুমি ঠিক বলেছো। কিন্তু … আমি অন্যকাউকে সহ্য করতে পারবোনা। কি করবো…
অধরা : দেখো practically ভাবো । দেখো তুমি ছারা মেরিনকে কেউ বোঝাতে পারবেনা।
নীড় : ….
অধরা : বলো…
নীড় : আচ্ছা আমাকে রাত পর্যন্ত সময় দিবে? let me think….
অধরা : ok….
.
রাতে….
নীড় : আরে engagement তো অনেক দূরের কথা। ওর দিকে কেউ তাকালেই আমার সহ্য হয়না । তারমধ্যে ওর হাত ধরে আংটি পরাবে…. ধুর ভালো লাগেনা। কি করবো? ভাবিও ঠিকই বলছে। আমি জানি যে ভাবিও ঠিকই বলছে। কিন্তু তবুও… নীড় be practical … ২পরিবারের অনুমতি নিয়ে বিয়ে করতে হলে এটা মানতেই হবে।
নীড় মেরিনকে ফোন করলো। বোঝালো। রাজি করালো।
মেরিন : 😭😭।।
নীড় : কাদছো কেন? 😢 । দেখো তুমি ভালোমতোই জানো যে তোমার চোখের পানি আমার মেনে নিতে কষ্ট হয়। প্লিজ কান্না করোনা। আরো ১বার আমাকে বিশ্বাস করো ।
মেরিন : 😭…
নীড় : আমি তোমার সাহস তাইনা? দেখো আমি তোমার দুর্বলতা হতে চাইনা। আমি তোমার শক্তি হতে চাই। প্লিজ থামো।
মেরিন : তুমি কিছু করবে? আমি কিন্তু মরে যাবো যদি তোমাকে না পাই।
নীড় : ওই… মেরিনের জন্ম হয়েছে just for নীড়ের জন্য। wow… বাংলা সিনেমার dialogue হয়ে গেলো।
মেরিন : সবসময় মজা …
নীড় : তো কি করবো? দেখো হাসি সব রোগের ঔষধ ।। আরেকবার বিশ্বাস করো। প্লিজ।
মেরিন : হামম। তোমার ওপর যেদিন আমার বিশ্বাস ভেঙে যাবে সেদিন আমি ভেঙে যাবো।
নীড় : ভালোবাসি…. রাখছি। একটু ঘুম আসেন। বেশি বেশি ঘুম আসেন। তা না হলে glow করবেন কিভাবে? afterall পরশু তোমার engagement …
মেরিন : idiot…
মেরিন দুম করে ফোন রেখে দিলো।
নীড় : জান জান জান…. যাহ… রেখেদিলো… রাগী মেয়েকে ভালোবাসা ঠিক। রাগলে আরো কিউট লাগে মন চায় আরো ভালোবাসতে মন চায় ।
.
একটুপর…
মেরিন বসে বসে নীড় ১৪ গুস্ঠি উদ্ধার করছে। তখন হঠাৎ কেউ ওকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো। আর সামনে ১টা টেডি বিয়ার।
নীড় : sorry জান। আমি তো just মজা করছিলাম।
মেরিন : যাও সরো। ঢং করতে আসছে।
নীড় : ঢং করতে আসিনি romance করতে এসেছি। 😜।
মেরিন : শখ কতো… ভুলে যেওনা পরশু আমার engagement … আমি অন্যকারো।
নীড় : ওই…. মারবো ধরে। engagement কেন বিয়ে কেন ১০-১২টা বাচ্চা হলেও তুমি আমার। বুঝেছো?
মেরিন : কবির সিং এর dialogue দেয়া হচ্ছে…
নীড় : হামম। sorry… আসলে আমি just মজা করছিলাম।
মেরিন : আমার ভীষন ভয় করছে নীড়।
নীড় : আমি আছি তো।
.
পরদিন…
রাতে…
মেরিন : কি বলছো কি? তুমি কালকে আসবেনা?
নীড় : হামম।
মেরিন : কিন্তু কেন? তুমি না আসলে আমি কিভাবে …
নীড় : দেখো আমি যতোদূর জানি আমি এলে তুমি কখনোই এটা করতে পারবেনা। by chance যদি emotion হয়ে উল্টা পাল্টা কিছু করে ফেলো বলে ফেলো.. আমি তোমাকে দুর্বল করতে চাইনা।
মেরিন : তুমিই তো বলেছো যে তুমি আমার শক্তি… তুমি এলে আমি সাহস পাবো শক্তি পাবো। তুমি না এলে কিন্তু সব নষ্ট করে দিবো।
নীড় : বড্ড জেদী তুমি। ok fine আসবো। খুশি?
মেরিন : হামমম।
নীড় : you happy… i happy …
মেরিন ফোন রেখে দিলো।
নীড় : আমি তো আমার জন্য যেতে চাইছি না কালকে জান। কিভাবে দেখবো তোমাকে অন্যের হতে? already মনে হচ্ছে কলিজাতে কেউ ছুরি চালাচ্ছে। তাহলে কালকে কিভাবে সরাসরি সেগুলো মেনে নিবো? তোমাকে যে সত্যি ভীষন ভালোবাসা। জানি না কাল যাবো কি যাবোনা। কি করি আল্লাহ…. যদি ওই অনন্ত না সনন্তকে মেরিনের হাত ধরতে দেখি সেটা মেনে নিবো কি করে?
.
পরদিন…
সন্ধ্যায়…
মেরিন মিষ্টি রঙের ১টা লেভেঙ্গা পরেছে । ভীষন সুন্দর লাগছে। মেহমান আসা শুরু হয়ে গেছে। একটুপর পাত্রপক্ষ আসবে।
মেরিন মনে মনে : আল্লাহ এমন কিছু করো যেন এই engagement না হয়। আল্লাহ আমি অন্যকারো হতে চাইনা । মেরিন শুধু নীড়ের। আর কারোনা। আমি engagement টাও করতে চাইনা। নীড়ও তো এখনো এলোনা। কি করবো।
তখন বরপক্ষ চলে এলো আর ধুম পরে গেলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেলো।
মেরিন মনে মনে : নীড় কোথায় তুমি। একটুপরই তো আংটিবদল হবে। stupid গাধা…
তখনই নিরব ওখানে উপস্থিত হলো ।
মেরিন মনে মনে : এই মাথা ব্যাথা কোথায় থেকে এলো। ড্রামায় ড্রামায় ভরে গেছে আমার জীবন।
নিরব : attention attention attention … শুধুমাত্র guestদে জন্য ১টা announcement আছে । যাদের যাদের নিজেদের জীবন প্রিয় তারা তারা এখন এই মুহুর্তে বেরিয়ে যান।
কবির: কি বলছো কি তুমি?
নিরব : একটু wait করুন।। আপনারা কি বের হবেন নাকি bomb টা ফাটাবো?
guest রা বেরিয়ে গেলো।
মেঘ : তুমিও বেরিয়ে যাও। না হলে জীবনটাও যাবে।
নিরব : আমি মরলে সবাইরে নিয়েই মরবো। আর খানেরা আর যাই করুক তাদের প্রানপাখি মেরিন বন্যা খানের গায়ে আচরটাও লাগতে দিবেনা । so my dear brother-in-law গান টা নামাও।
মেঘ : …
নিরব : অনন্ত….
নিরবের ডাক শুনে অনন্ত বাকা হাসি দিয়ে মেরিনের হাত ধরে টেনে নিরবের কাছে এনে দার করালো।
অনন্ত : your property my জানে জিগার দোস্ত।
নিরব : thank you দোস্ত।
সবাই অবাক।
নিরব : কি হলো? সবাই অবাক হলে বুঝি ? অবাক হওয়ারই কথা। অনন্ত আমার best friend … মেরিন বন্যা খানকে তুলে নিয়ে বিয়ে করা সম্ভব না সেটা জানি। আর মেরিন বন্যা খানের engagement এ সকল শত্রুদের বন্দী রাখা হবে। যেন কেউ আক্রমন করতে না পারে। কিন্তু আমি… আমি তো শত্রু নই। মিত্রও নই।
মেরিন : আমার হাত ছেরে দাও।
নিরব : no my জান। no… তোমাকে ভালোবাসি। অনেক ভালোবাসি। কতোবার বুঝিয়ে বলেছি তুমি শুনলেই না। মানলেই না। তাইতো আমাকে এই বাকা পথ বেছে নিতে হলো।
মেরিন : বাকা পথ হোক আর সোজা পথ… মেরিন কখনও তোর হবেনা।
নিরব : আমি নির। নির মানে পানি। আর তুমি মেরিন। মেরিন মানে জাহাজ। পানিই মেরিনের জীবন মরন। তাই আমার সাথে লড়াইএ তুমি পারবেনা। হেরে যাবে।
মেরিন : আমি বন্যা। মরে গেলেও তোকে বিয়ে করবো না।
নিরব : জানপাখি তোমাকে মারতে পারি? তোমাকে যে ভালোবাসি। মারবো তো তোমার পরিবারের সদস্যকে। কি তাই না অনন্ত?
কথাটা বলতেই অনন্ত আর ওর পরিবার কবির , কনিকা , মেঘ , অধরার মাথায় বন্দুক ঠেকালো।
মেরিন : বাবা , ভাইয়া , আম্মু , ভাবি…
নিরব : কষ্ট লাগলো? জানপাখি আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনা।
কবির : মামনি… তুমি রাজী হবেনা…
নিরব : জানপাখি ভেবে দেখো। রাজি কি না?
মেরিন : নিরব স্যার… মেরিন বন্যা খানের স্বামী হওয়ার সাধ মিটে যাবে খুব শীঘ্রই । জানে মেরে দিবো…
নিরব : তাও তো তোমার স্বামী হয়ে মরবো… বিয়ে করবে কি না ? হ্যা অথবা না।
মেঘ : না সোনাবাচ্চা।
নিরব : বলো…
মেরিন : হামম। করবো।
নিরব : আলহামদুলিল্লাহ… কাজী সাহেব ভেতরে আসুন…
কাজী ভেতরে এলো। তবে নিরব যে কাজী সাহেবকে কিছুক্ষন আগে বাইরে রেখে এসেছিলো এই কাজী সাহেব সে কাজী সাহেব না।
নিরব : একি … আপনি কে?
কাজী সাহেব : জী আমি কাজী ।
বলেই সে উচু উচু খরগোশ মার্কা দাঁত বের করে হাসি দিলো।
নিরব : কিন্তু আপনি তো সে না যাকে বাইরে রেখে এসেছিলাম…
কাজী সাহেব : জী আমি তার ছেলে। তার হঠাৎ asthma এর attack হলো। তাইতো তার যেতে হলো।
নিরব : কিন্তু আপনাকে তো কাজী বলে মনে হচ্ছেনা।
কাজী সাহেব : জী আমি digital কাজী। 😎।
নিরব : হামম। তারাতারি কাজ শুরু করুন।
কাজী সাহেব : জী..
কাজীর চোখ দেখে মেরিনের ১মিনিটও নীড়কে চিনতে দেরি হলোনা। মনে মনে খুশি হয়ে গেলো।
.
বিয়ে পরানো শুরু হলো…
কাজী সাহেব থুক্কু নীড় : বাহ বউ দেখি চাদের মতো।
নিরব : এই।
নীড় : ক্ষমা চাই…
নীড় খাতায় আকিবুকি করতে করতে হঠাৎ কলমের আরালে থাকা ছুরিটা বের করে মেরিনের গলায় ধরলো।
নিরব : মেরিন….
নীড় : চান্দু… আমার শিকার তুমি কেরে নিবে… তা হবেনা তা হবেনা….
.
চলবে… ???!!!