পারফেক্ট ভিলেন ! Season- 02 !! Part- 12
মেরিন :কেন বললেন না যে ভালোবাসি… এতো concern আমার জন্য ? এটা কি just এমনি?
তখন নীড় এলো। breakfast নিয়ে।
নীড় : morning প্রতিবেশী …
মেরিন: …
নীড় : fresh হয়ে নাও। then একসাথে breakfast করবো।
মেরিন ঠাস করে শুয়ে পরলো ।
নীড় : what the hell…
মেরিন :….
নীড় : মানে কি?
মেরিন : আমি আপনার আনা breakfast কেন খাবো? who are you,
নীড় : what a বাকওয়াস reason … তুমি জানোনা আমি কে? আমি নীড়। তোমার প্রতিবেশী। এখন ওঠেন যান fresh হয়ে নিন।
মেরিন : আমি ঘুমাবো।
নীড় : ok…
বলেই নীড় মেরিনকে কোলে তুলে washroom এ নিয়ে গিয়ে বাথটবে দুম করে ফেলে দিলো ।
মেরিন : কি করলেন? পাগল নাকি?
নীড় : fresh হয়ে নাও।
.
একটুপর…
নীড় : আমার চেহারার দিকে না তাকিয়ে থেকে খেয়ে নাও। আমার চেহারা দেখে লাভ নেই। আমি তোমাকে খাইয়ে দিবোনা। ok ?
মেরিন : আপনার problem টা কি? আমি কি বলেছি খাইয়ে দিতে? আজব। আর সকাল সকাল আপনি আমার রুমে কি করছেন? যান…
নীড় : তোমার রুমে তো এখন আমিই আমি। সকাল বিকাল রাত…
মেরিন : কি ? আপনি রাতেও আমার রুমে থাকবেন?
নীড় : হ্যা… 😜…
মেরিন : ও…
নীড় : ১মিনিট ১মিনিট… তুমি আবার ক্যাচাল করার আগে আমার কথা ভালোমতো শোনো।
মেরিন : কি?
নীড় : সারাদিন যেমন তেমন… কিন্তু রাতে আমি এ ঘরে থাকবো। আর তুমি আমার ঘরে?
মেরিন : কি? কেন?
নীড় : যে হামলা করেছে সে নিশ্চয়ই আবার হামলার চেষ্টা করবে। তুমি যদি রাতে এই ঘরে ঘুমাও তো সে আবার attack করতে পারে। কিন্তু রাতে যদি তুমি হুট করে চুপিচুপি গিয়ে আমার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরো তবে সে জানবে না। আর আমি তোমার রুমে থাকবো।
মেরিন : সে যদি আপনার ওপর হামলা করে?
নীড় : করলে করবে… i will handle him… কিন্তু u have to safe… আমিই তোমাকে আমার সাথে নিয়ে যাবো নিয়ে আসবো। তুমি যখন ক্লাস করবে তখন তো তোমার বডিগার্ডরা থাকবেই । বাকী সময়গুলো তে আমিই থাকবো।
মেরিন : কেন? আমার জন্য এতো চিন্তা কেন ? আপনি তো অন্যকারো। আমাকে ভালোওবাসেন না। তবে?
নীড় : সব জবাব পেয়ে যাবে। একটু wait করো।
মেরিন : আপনার কথা শুনতে আমি বাধ্য নই।। আর জোর চালাতে আসলে আমার বডিগার্ডরা আছেই। আপনার মুখ ভেঙে দিবে।
নীড় : তুমি কি সত্যি মনে করো ওই ৬ জোকার + কার্টুন আমার কিছু করতে পারবে?
মেরিন : ওরা জোকারও না ওরা কার্টুনও না । ওরা মার্শাল আর্ট expart… বক্সিং ও ব্ল্যাক বেল্ট।
নীড় : নীড়ের কাছে কিছুই না whatever … আমার ready হতে হবে। bye for now…
বলেই নীড় চলে গেলো।
মেরিন : উনার কথা শুনতে আমার বয়েই গেছে। ঢং।
.
মেরিন রেডি টেডি হয়ে গিয়ে গাড়িতে বসলো। তাকিয়ে দেখে নীড় পাশের সিটে বসে আছে।
মেরিন : আপনি?
নীড় : any doubt ?
মেরিন : আপনি এখানে কেন? বডিগার্ডস…
বডিগার্ড :জী ম্যাম…
মেরিন : এই লোকটা এখানে কেন? throw him out…
বডিগার্ড : sorry ম্যাম…. কবির স্যারের order….
মেরিন : অসম্ভব। কোনোদিনও না।
বডিগার্ড: দারান ম্যাম… কবির স্যারকে ফোন লাগিয়ে দিচ্ছি।
বডিগার্ড কবিরকে ফোন লাগিয়ে দিলো।
মেরিন : বাবা উনাকে…
কবির : মামনি… he is very strong … & useful … তাই ।
মেরিন : কিন্তু বাবা নীড়.. এতো কেউ থাকতে নীড় কেন?
কবির : হ্যা নীড়ই perfect … ওকে ওর জবটা করতে দাও। রাখছি।
নীড় : কি হলো?
মেরিন : অসহ্যকর।
নীড় : অসহ্যকর হলেও সহ্য করতে হবে। এখন drive করছো ভালো কথা। আর না।
মেরিন : huh…
রেগে মেগে মেরিন drive শুরু করলো।
নীড় মনে মনে : sorry জান।। nothing is important than you… তাই তোমার বাবার সাথেও একটু খেলতে হলো। সে তোমার জন্য নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনকে নয় ” নির্ভর খান” কে রেখেছে। তোমার safety এর জন্য।
.
কিছুদিন পর…
নিরব : নীড় নীড় নীড়… এই নীড়ের জন্য সব মাটি হয়ে যাচ্ছে। মেরিন আমার থেকে দুরে হয়ে যাচ্ছে। আমি কি কখনোই মেরিন কে পাবোনা? না মেরিনকে বোঝাতে হবে। যে নীড় engaged … ওই তো ওদের গাড়ি দেখা যাচ্ছে।
নীড় : এই মানহুস কি করছে?
মেরিন : সম্মান দিয়ে কথা বলুন। তিনি আমাদের টিচার।
নীড় : shut up….
ওরা গাড়ি থেকে নামলো।
নীড় : মর্নিং স্যার…
নিরব : মর্নিং ডিয়ারস। তোমরা জানো আমরা যারা আমাদের ভার্সিটি থেকে কানাডাতে এসেছি। মানে all we 20… বিচে এ যাচ্ছি। পিকনিকে। কি যেন বলে hang out এ।
মেরিন : ওহ দারুন স্যার। কবে ?
নিরব : পরের রবিবার।
মেরিন : অনেক মজা হবে। যাকে বলে ফাটাফাটি।
নীড় : হামম স্যার। দারুন হবে। আহ স্যার কিন্তু এখন তো ক্লাসে যেতে হবে আমাদের।
নিরব : ওহ হ্যা। আমারও ক্লাস আছে। আসছি।
নিরব চলে গেলো।
নীড় : বিচ? পানি…
মেরিন : তো বিচ কি পানি ছারা হবে নাকি? আচ্ছা বিচের কথা শুনে আপনি এমন ঘামছেন কেন?
নীড় : i hate… আসলে i can’t swim … তাই।
মেরিন : the নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন সাতার জানেনা? ভাবা যায়?
নীড় : আরে childhood problem আছে। পানিতে আমার আপু পরে গিয়েছিলো । আর আমি কিছুই করতে পারিনি। সেই থেকে…
মেরিন: ওহ… আপু কি …
নীড় : চলো ক্লাসে যাই।
মেরিন বুঝতে পারলো নীড় বিষয়টা এরিয়ে যেতে চাইছে। তাই আর কিছু বললনা।
.
রবিবার…
সবাই মিলে বিচে গেলো। সবাই অনেক মজা করছে। ১টা সময় মেয়েরা বোটিং করতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
নীড় : মেরিন।
মেরিন : হামম।
নীড় : বোটিং করতে যাওয়ার দরকার নেই। যেওনা প্লিজ।
মেরিন : মানে কি? কেন?
নীড় : যেওনা প্লিজ। কেমন যেন ১টা গাট ফিলিং হচ্ছে। যেওনা।
মেরিন : গাট ফিলিং ? কিন্তু কেন ?
নীড় : জানিনা… কিন্তু প্লিজ যেওনা।
মেরিন : রাখুন তো। বেশি দূরে যাবো নাকি?
নীড় : তবুও… তুমি সাতার কাটতে পারোনা । যাওয়ার দরকার নেই।
মেরিন : bye…. 😒।
মেরিন নীড়ের কথা না শুনে বোটিংএ চলে গেলো।
নীড় : ঠিক করলেনা মেরিন…. আমার ভাবনা মনে হয় না ভুল হবে….
.
একটুপর….
মেরিনরা অনেক মজা করছে। তখন দেখতে পারলো ২টা shark দেখা যাচ্ছে। ওরা বেশ অবাক হলো এটা ভেবে যে এখানে shark কোথায় থেকে এলো? তারাতারি boat তীরে আসতে লাগলো। কিন্তু তারাহুরা করতে গিয়ে ঢেউয়ের সাথে তাল মিলাতে পারলোনা। boat উল্টে গেলো। ওরা তো সাতার কেটে তীরে আসতে লাগলো। কিন্তু মেরিন তো সাতার কাটতে পারেনা।
মেরিন : বাহচাহও….
নীড় : মেরিন…
নীড় দৌড়ে নামতে নিলো। কিন্তু ওর পা আর চললনা ওখানেই আটকে গেলো। নীড় চেয়েও আগে বারতে পারছেনা । মেরিনকে ডুবতে দেখছে। অথচ কিছু করতে পারছেনা। তখন নিরব পানিতে ঝাপ দিলো। গিয়ে তুলে নিয়ে এলো। নিরবের কোলে মেরিনকে দেখে কেমন কষ্ট যে নীড়ের হলো তা বলার মতো না।
.
নিরব মেরিনের গালে হাত দিলো।
নিরব : মেরিন… মেরিন…
নিরব মেরিন পেটে press কতে লাগলো। যেন পানি বেরিয়ে যায়। পানি বেরিয়ে গেলেও মেরিনের জ্ঞান ফিরলো না।
নিরব : মনে হয়ে mouth to mouth দিতে হবে।
নীড় : not needer.. let me handle …. sir..
নীড় নিরবকে সরিয়ে মেরিনের হাত পা massage করে দিলো। যা যা instant treatment দেয়া দরকার দিলো। আর অবশেষে মেরিনের জ্ঞান ফিরলো। কাশি দিতে লাগলো। নীড়ের ইচ্ছা করছে মেরিনকে বুকে জরিয়ে নিতে । কিন্তু নিজের ইচ্ছাটাকে দমিয়ে রাখল।
নীড় : are you ok?
নীড়ের কন্ঠের বিষন্নতা আর ভালোবাসা মেরিন ঠিকই বুঝলো। সেই সাথে মেরিনের চোখের পানিও দেখলো। মেরিনের ঠোটের কোনে হাসি ফুটলো।
মেরিন : হামম।
নীড় মেরিনের কপালে কিস করলো। এরপর কোলে তুলে চেয়ারে বসালো।
নীড় : i have to talk the management …. shark এর কথা আগে কেন বলেনি?
নীড় management কে ধুয়ে দিলো।
.
রাতে…
মেরিন : আপনি কি রেগে আছেন আমার ওপর…
নীড় : ….
মেরিন : সেই তখন থেকে ১টা কথাও বলেননি….
নীড় : ….
মেরিন : বলুন না… রেগে আছেন?
নীড় : আমার রেগে থাকা কি তোমাকে effect করে? আমি রাগলেই কি আর না রাগলেই কি? i am nothing to you… বারবার বলছিলাম যে আমার গাট ফিলিং হচ্ছে যেওনা। শুনেছিলে আমার কথা? হ্যা? আমার কোনো কথার দাম আছে তোমার কাছে? আমার ফিলিংসের কোনো দাম আছে তোমার কাছে?
মেরিন : আপনার কথার দাম আমি রাখবো কেন ? আপনি রেখেছিলেন ? কতো বার ভালোবাসার দাবি নিয়ে গিয়েছি… আপনি আমার কথা শুনেছিলেন ? রেখেছিলেন? ফিলিংস? হাহাহাহা । কিসের ফিলিংস? ভালোবাসেন আমাকে? আপনি তো ভালোবাসেন ওই এ্যানাকে। আংটিবদল করেছেন ওর সাথে। তো আমাকে নিয়ে এতো মাথা ব্যাথা কেন আপনার ? বলুন… আমি মরে গেলেও আপনার কি? কেন এতো ঢং ?
নীড় : because i….
মেরিন : you….
নীড় : …..
মেরিন : ভালোবেসেও যে ভালোবাসি বলার ক্ষমতা রাখেনা তার সাথে কথা বলতেও আমার বিরক্ত লাগে। get out … from my room… এরপর আপনার চেহারা তখনই দেখাবেন। যখন হয় আমাকে ঘৃণা করি না হয় ভালোবাসি বলতে সাহস রাখবেন। out….
মেরিন নীড়কে রুম থেকে বের করে দিলো । এরপর হাউমাউ করে কাদতে লাগলো। যা নীড় শুনতে পেলো।
.
নীড় : মেরিন … please don’t cry… আমি এটা সহ্য করতে পারিনা। i love you ইয়ার…. i just love you… শুনেছো? ওই…. ভালোবাসি তোমাকে। এখন তো কান্না বন্ধ করো… please …. এখান থেকে নরবো না। আমি কিন্তু বেসুরা গলায় জঘন্য গান গাইবো।
মেরিন অবাক হলো। নীড় রাগটাও ভাঙাতে পারেনা।
নীড় : কাদতে কাদতে কি বয়রা হয়ে গেলে? শুনতে পাওনি যে আমি তোমাকে ভালোবাসি? আবার বলবো? আচ্ছা শোনো i love you…. আমি তোমাকে ভালোবাসি। শুনেছো? না শুনলে আরেকবার বলছি। last বার বলবো না শুনলে আমার কিছু করার নেই কিন্তু। শোনো
i love you…. 📢📢📢
মেরিনের রাগ উঠে গেলো। দুম করে দরজা খুলল।
নীড় : যাক অবশেষে শুনেছো । বয়রা হওনি। না হলে সারাজীবন বয়রা বউ নিয়ে ঘুরতে হতো।
মেরিন ঠাস করে নীড়কে থাপ্পর মারলো।
মেরিন : idiot & i hate you… ছাগল।
বলেই মেরিন আবার দরজা লাগিয়ে দিলো। এখন মেরিন রেগে কান্না করতে লাগলো।
নীড় : এটা কি হলো? এই মেয়ে তো আজব । ভালোবাসি বললেও থাপ্পর মারে। নিজে কিস করে নিজেই থাপ্পর মারে… মেয়ে না থাপ্পরের গোডাউন? hate বলে দেখি…. আবার মারে কিনা। ok fine… i don’t love you… i hate you….
মেরিনের ইচ্ছা করছে নিজেকেই শেষ করে দিতে। এতো রাগ লাগছে তাই আরো জোরে কাদতে লাগলো।
নীড় : ওরে বাবা… এ দেখি আরো কান্না করছে। ওই কান্না করেনা সোনা। sorry sorry …. please কান্না থামাও না…
মেরিন : please shut up… & out…
নীড় : তাহলে কান্না বন্ধ করবে বলো?।
মেরিন : হ্যা । প্লিজ যান। 😭।
নীড় : ok.. but i love you কিন্তু…
নীড় চলে গেলো
.
☆: মেরিন সুখী হবে? তাও নীড়ের সাথে? না না না…. twist আনতে হবে। কিন্তু নীড়-মেরিনের মধ্যে তো এমনিতে শতসহস্র twist …. আরেকটু দিলে ক্ষতি কি….? এখন কি twist দেয়া যায়? না আপাদত এখন আর জান নেয়ার হামলা না। এবার মন ফাটানোর হামলা। atom bomb দিয়ে। যার নাম এ্যানা। এ্যানা না এলে যাবে কি করে? এ্যানা না গেলে নীড়-মেরিন এক হবে কি করে? নীড়-মেরিন এক না হলে খান , কবির খান বরবাদ কি করে হবে? sorry মেরিন তোমার রূপ আর তুমি , তোমার হাসি , তোমার চোখ আমাকে দুর্বল করতে পারবেনা । কারন … আমি তোমাকে ভালোবাসি? নাকি ভালোবাসিনা?
.
২দিনপর ….
মেরিন : আজও রুম থেকে বের হবো না। রুমে dry fruits , soft drinks আর কিছু হালকা পাতলা খাবার তো আছেই ।
নীড় : ও মেরিন গো…. দরজা খোলো গো…. আমার প্রান যায় যায়…
মেরিন : উফফ…. ২দিন ধরে লোকটা ঠ্যাটার মতো বসে আছে। বিরক্ত। ওরে তুই একটু দরজার সামনে থেকে সর না… ভালো লাগেনা।
নীড় : তুমি না বলেছো ভালোবাসি বলার সাহস না হলে যেন সামনে না আসি…. এখন তো ২দিন ধরে ২হাজারবার ভালোবাসি বললাম। এখন তো সামনে আসতে দাও….
মেরিন: জীবনে ১টা খুন জায়েজ হলে আমি ওই শালার করতাম… আম্মু…
নীড় মনে মনে : নাহ অনেক হয়েছে এবার অন্য ড্রামা করি। অজ্ঞান হওয়ার…
.
একটুপর ….
মেরিন : কি হলো? অনেকক্ষন ধরে কোনো সারা শব্দ নেই । চলে গিয়েছে নাকি? check করে দেখি…. looking hole দিয়ে দেখি…
মেরিন দেখে যে নীড় চিতপটাং হয়ে পরে আছে। মেরিনের বুকটা কেপে উঠলো। তারাতারি দরজা খুলল।
মেরিন : নীড় ….
.
চলবে…
Comments