পারফেক্ট ভিলেন

পারফেক্ট ভিলেন ! Season- 02 !! Part- 08

মেরিন : মানে আমি আপনাকে ভালোবাসি। i love you…
নীড় : what ?
মেরিন : হামম।
নীড় : bye…
মেরিন : আরে… কেই i love you বললে জবাবে হয় i love you too বলতে হয়। না হয় i am sorry বলে। bye বলে সেটা আজকে দেখলাম।
নীড় : আমার ইচ্ছা।
মেরিন : all time এমন angry young man সেজে ঘুরে বেরানো কি এতোই জরুরী?
নীড় জবাব না দিয়ে চলে গেলো।
.
মেরিন : ধুর… শালা বেরসিক।
নিরব : মেরিন…
মেরিন ঘুরলো।
মেরিন : hello… sir…
নিরব : এটা ভার্সিটি কোনো lovers point না। got it…
মেরিন : আর আপনিও আমার টিচার family member না।
নিরব:দেখো মেরিন আমি তোমাকে ভালোভাবে বলছি শোনো। না হলে…
মেরিন : না হলে?
নিরব ঠিক মেরিনের সামনে গিয়ে দারালো। মেরিন খানিকটা ভয় পেলেও সেটা প্রকাশ করলোনা।
নিরব : যেটা ভালোভাবে না মানবে সেটা আমার মতো করে মানাবো। goi it?
বলেই নিরব চলে গেলো।
মেরিন প্রকাশ না করলেও ভয়ে চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে গেলো। আসলে নির্ঝরের কাহিনির পর কেন যেন ওর ভেতরে ১টা ভয় ঢুকে গেছে। যাই হোক। এসব কিছু নীড় দেখলো।
.
রাতে…
নিরব বসে বসে মেরিনের ছবি দেখছে। তখন ১টা unknown number থেকে নীড় ফোন করলো।
নিরব : হ্যালো। কে?
নীড় :কে সেটা তোমার জানার দরকার নেই। তবে কি বলবো সেটা শুনুন। মেরিনের থেকে দূরে থাকুন।
নিরব : excuse me… who the hell are you?
নীড় :যেটা বলছি সেটা শুনুন। মেরিনের থেকে দূরে থাকুন। না হলে ফলটা ভালো হবেনা।
নিরব : listen… মেরিন আমার ভালোবাসা। আমি ওর দূরে থাকবো না। যা মন চায় করবেন। got it…
নীড় : সাবধান করার দরকার ছিলো তাই করলাম। বাকীটা আপনার মর্জি।
নিরব : do what you want….
বলেই নিরব রেখে দিলো।
নীড়: তোমাকে সবসময় সকল বিপদ থেকে মুক্ত করবো। তোমার ভীত চেহারা আমি মেনে নিতে পারিনা। নাই বা হলো তোমার-আমার মিল। তবুও তোমার মুখের ভয়ের কালো মেঘ এখন দেখতে পারবোনা। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তোমাকে সুস্থ রাখবো।
.
৩দিনপর…
মেরিন shopping করে বাসায় ফিরছে। নিজেই drive করছে। হঠাৎ বুঝতে পারলো গাড়ির break fail…
মেরিন : oh no… break fail… কি করবো। আল্লাহ help me… গাড়ি থেকে ঝাপ দিবো? কিন্তু এখানে তো সেটা সম্ভব হবেনা। running road… এক কাজ করি বা দিকের এই রোড দিয়ে ঢুকি…
মেরিন ঢুকলো।
মেরিন : এখন কি ঝাপ দিবো? কিন্তু আমি না হয় ঝাপ দিলাম। এই গাড়ি? এটা অন্যকারো ওপর উঠে গেলো। কারো কিছু হলে? আল্লাহ পথ দেখাও।
মেরিন কোনো রকমে drive করেই যাচ্ছে। হঠাৎ সামনে দেখে বড় ১টা দেয়াল।
মেরিন : এখন ঝাপালে may be ভালো হবে। গাড়িটা দেয়ালে ঠেকবে।
মেরিন গাড়ি থেকে লাফ দিলো। মাথায় খানিকটা ব্যাথা পেলো। জ্ঞান হারালো।
.
৩ঘন্টাপর…
মেরিনের জ্ঞান ফিরলো। দেখলো ও হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে। পাশে পুরো পরিবার।
মেঘ : মিষ্টি বাচ্চা…
কনিকা: মা…
কবির : মামনি… তুমি …
মেরিন উঠে বসতে চাইলো। কবির ধরে ধরে বসালো।
কনিকা: মা তুই ঠিক আছিস তো… 😢।
মেরিন : হ্যা আম্মু…
কবির : মা দেখে drive করবেনা?
মেরিন : আমি তো দেখেই…
কনিকা : বলেছিলাম, বলেছিলাম দেশে যাওয়ার দরকার নেই। তবুও এলে। দেখো আমার বাচ্চাটার সাথে কি কি হচ্ছে…
মেঘ : বাবা চলো আবার লন্ডন back করি। সোনাবাচ্চা ১টা বার সুস্থ হও। next month এই যাবো।
মেরিন : তোমরা কি পাগল হলে? its an accident …
কবির : ১বার হলে সেটা accident হয়। বারবার হলে না। আজকে যদি নিরব না থাকতো তাহলে কি হতো কে জানে?
মেরিন : নিরব?
অধরা : হ্যা নিরব। তোমার টিচার।
মেরিন : what?
তখন নার্স এলো।
নার্স : দেখি দেখি আপনারা এখন বাইরে যান। ডক্টর আসবেন। চেক আপ করতে।
সবাই বেরিয়ে গেলো। ডক্টর মেরিনের চেক আপ করতে লাগলো। তখন মেরিনের মনে হলো অনেকক্ষন ধরে দরজার ওপাশ থেকে লুকিয়ে কেউ ওকে দেখছে। তাকিয়ে কাউকে দেখলোনা। শুধু ১টা জ্বলে ভরা চোখ দেখলো।
মেরিন : নীড়…
ডক্টর : কিছু বললেন ?
মেরিন : না না…
মনে মনে :তাহলে চৌধুরী মশাই আমাকে দেখতে এসেছেন।
মেরিনের injury খব বেশি না হওয়াতে পরদিনই ওকে রিলিজ দেয়া হলো।
.
৩দিন পর থেকে মেরিন ভার্সিটি যাওয়া শুরু করলো। অনেকগুলো বডিগার্ডের সাথে। যা মেরিনের কাছে মহা অসহ্য লাগে।
দোলা : কি খবর জানু?
মেরিন : চুপ থাক তো… বিরক্তকর। yaar… মাথা ব্যাথা নিয়ে ঘুরছি। এই তোর হাতে কি?
দোলা ধপাস করে হাত পিছে লুকালো।
দোলা : কিছুনা?
মেরিন : কিছুনা? এতো বড় ১টা রিং। তাও রিং finger এ… অনামিকা আঙ্গুলে আপনি আংটি পরে বলছেন কিছুনা? বলবি না বডিগার্ডের গুলি খাবি?
দোলা : না মানে… রাব্বি… proposed me… 😖 & i accept …
মেরিন : awwwe….
দোলা : awwe?
মেরিন : হ্যা awwe…
দোলা : তুই রাগ করিসনি?
মেরিন : কেন রাগ করবো কেন? you love each other.. তাই এটা স্বাভাবিক। আর তাছারাও love is too too too much lovely….
দোলা : এমনভাবে কথা বলছিস যেন তুই loveএ Phd করেছিস…😒
মেরিন : করিনি তবে করবো।
দোলা : মানে?
মেরিন : মানে i am in love…
দোলা : কি? 😱
মেরিন: হামম।
দোলা : কার কপাল পুরো?
মেরিন : নীড়ের… 😍..
দোলা : কি? জীবনে এটাই বাকী ছিলো শুনতে?
মেরিন :হামম।
রাব্বি: হ্যালো।
মেরিন : আরে জিজু যে। কি খবর?
রাব্বি: তুমি জানো?
মেরিন : কি মনে হয়?
রাব্বি : 😅। রাগ করবে না তো?
মেরিন : মোটেও না। এখন যদি প্রেম করার জন্য ওকে নিয়েও যেতে চান তবুও রাগ করবো না।
রাব্বি : সত্যি?
মেরিন : হামম।
রাব্বি: তাহলে নিয়ে যাই?
দোলা : না আমি যাবোনা।
মেরিন : যাবিনা কেন যেতেই হবে।
রাব্বি : হ্যা ঠিক।
দোলা : কিন্তু…
মেরিন : কোনো কিন্তু না। যা।
দোলা বাধ্য হলো যেতে।
.
মেরিন : তুমি না গেলে চান্দু আমি আমার জানটুসকে কোথায় খুজবো। চল মেরিন চল। কিন্তু ওই শালা বডিগার্ড গুলো। ফাকি দিতে হবে।
মেরিন বডিগার্ডদের চোখে ধুলো দিয়ে বেরিয়ে এলো। নীড়কে খুজতে। তবে আগে সামনে পরলো নিরব। যাকে দেখে মেরিন পালাতে গিয়ে স্লিপ খেয়ে পরে যেতে নিলো। আর নিরব এসে ধরে ফেলল।
নিরব : আমি চাই তুমি বারবার এভাবে হোচট খাও আর আমি সামলে নেই।
মেরিন তারাতারি উঠে দারালো।
মেরিন : sorry sir…
বলেই মেরিন যেতে নিলো।
নিরব : মেরিন… তুমি কি আমাকে ignore করছো?
মেরিন : …
নিরব : please কোরোনা। আমি তোমাকে ভালোবাসি।
মেরিন : কিন্তু আমি তো বাসিনা।
নিরব : বাসবে। চেষ্টা করে দেখো।
মেরিন : না। আমি অন্যকাউকে ভালোবাসি।
নিরব : নীড়কে?
মেরিন : হ্যা…
নিরব : কিন্তু নীড় যে কখনো তোমার হবেনা। ও just ১টা অসভ্য ছেলে।
মেরিন : স্যার… নীড়কে নিয়ে কোনো কথা আমি মেনে নিবোনা।
নিরব : ok fine… বলবো না। কিন্তু এটা তো সত্যি যে নীড় কখনো তোমার হবেনা।
মেরিন : সেটা আপনার ভাবতে হবেনা।
নিরব : তুমি নিজেই বুঝতে পারবে কে তোমার? তোমাকে আমার কাছেই আসতে হবে।
মেরিন : in your dream …
বলেই মেরিন চলে গেলো।
.
মেরিন : উফফ। মাথাটাই গরম করে দিলো। খবিস কোথাকার। রাজাকার, আলবদর, আলশামস। একে তো ফাসি দেয়া দর…
তখন নীড়ের মাথার সাথে মেরিনের মাথার ঠোকা লাগলো। আসলে নীড় ১টা বই পড়তে পড়তে হাটছিলো।
মেরিন : মা গো…. কোন শালারে…
নীড় : ouch… oh no… মাথা ব্যাথা হাজির…
মেরিন : আপনিই? 😍।
নীড়: i am sorry…
মেরিন: & i love you…
নীড় : sorryএর জবাবে কেউ এটা বলে?
মেরিন : আমি তো বলি।
নীড় : তুমি কি হিসাব করেছো যে এই কয়দিনে তুমি কতোবার আমাকে i love you বলেছো?
মেরিন : ৩০০বার। 😇। এখন আবার বলবো। i love you… আমি আপনাকে ভালোবাসি। 😍।
নীড় : কিন্তু আমি তো তোমাকে ভালোবাসিনা।
মেরিন : যদি ভালোনাবাসেন তাহলে সেদিন হসপিটালে দেখতে গিয়েছিলেন কেন আমাকে? নয়ন ভরা জ্বল নিয়ে?
নীড় : কি যা তা বলছো। আমি কেন যাবো। আমি যাইনি।
মেরিন : মিথ্যা কথা। আপনার এই চোখ চিনতে আমি কখনোই ভুল করতে পারিনা।
নীড় :তুমি এমন কেউ নও যে তোমাকে দেখতে যাবো। বুঝেছো?
মেরিন : আপনি আসলেই ত্যারা। তাই স্বীকার করবেন না জানি। কিন্তু একটু ভালোবাসলে কি হয়? আমি না আপনাকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছি।
নীড় : তুমি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো?
মেরিন : হামম।
নীড় : প্রমান করতে পারবে?
মেরিন : কি করতে হবে বলুন…
নীড়: ভার্সিটির সবার সামনে বলতে পারবে যে আমাকে ভালোবাসো?
মেরিন ১গাল হেসে নীড়ের হাত ধরে
বলল : চলুন… এখনই বলছি।
নীড় : উহু… এখন না… কালকে। কালকে সবার সামনে বলতে পারবে যে তুমি আমাকে ভালোবাসো?
মেরিন: হামম।
নীড় : যদি বলো তাহলে engagement এর তারিখও ঘোষনা করবো।
মেরিন : সত্যি?
নীড় : হামমম।
মেরিন : then ready to do that….
.
পরদিন….
অডিটরিয়ামে….
অনেক student দারিয়ে আছে।
মেরিন ১টা খুব সুন্দর লাল গোলাপের তোরা নিয়ে নীড়ের সামনে দারিয়ে আছে।
মেরিন : i love you নীড়… i just love you নীড়… do you love me?
সবাই : say yes……
নীড় ১টা বাকা হাসি দিলো।
নীড় : তোমরা সবাই আমার উত্তর জানতে চাও…
সবাই : yes…
নীড় : wait a minute …
নীড় খানিকটা দূরে গেলো। কাউকে ফোন করলো। এরপর ফিরে এলো।
নীড় : guys … ৫মিনিট wait করো।
.
৫মিনিটপর…
☆ : hello honey ….
নীড় কন্ঠটা শুনে এগিয়ে গিয়ে তাকে নিয়ে এলো। ১টা মেয়ে। ভীষন সুন্দর। মডার্ন। নাম এ্যানা।
নীড় : guys… তোমরা আমার উত্তর জানতে চেয়েছিলে। জেনে নাও।
meet my finace…
এ্যানা । এ্যানা আহমেদ।
এ্যানা :hello everyone …
কথাটা শুনে মেরিনের পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো ।
নীড় : আজকে এ্যানার আসার কারন হলো তোমাদের সবাইকে invite করা। আমারi mean আমাদের engagement এর জন্য। & here are the cards…
মেরিন : …
নীড় : আগামী মাসের ১৭তারিখ আমার আর এ্যানার engagement …
সবাই : 😱।
নীড় : এ্যানা ডার্লিং।
এ্যানা : হামম।
নীড় : meet her… ওর নাম মেরিন। আমার junior … & very special for me… ও ১বার আমার জীবন বাচিয়েছে।
এ্যানা : ওহ। হ্যালো মেরিন।
মেরিন : hi…
নীড় : তো আমাদের engagement এপ প্রথম কার্ডটা তো ও ই পায়? তাইনা?
এ্যানা : of course..
এ্যানা কার্ড বের করে
বলল : u must come sweety…
মেরিন : sure…
নীড় : ডার্লিং … there are my friends … যাও পরিচিত হও।
এ্যানা : হামম।
এ্যানা গেলো। মেরিন অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। চোখের পানিগুলো অনেক কষ্টে ধরে রেখেছে।
নীড় : কষ্ট পেলে বুঝি?
মেরিন : ….
নীড় : বলেছিলাম না… প্রতি ফোটা রক্তের হিসান তুলবো। নীড় কখনো কথা দিয়ে কথা ভাঙেনা।
বলেই ১টা চোখ মেরে নীড় বেরিয়ে গেলো। ধীরে ধীরে পুরো অডিটরিয়াম খালি হয়ে গেলো। আছে কেবল দোলা আর মেরিন।
.
দোলা : মে….
মেরিন : চলে যা…
দোলা : মেরিন শোন…
মেরিন : চোখের সামনে থেকে সরবি?
দোলা জানে এখন মেরিনকে একা ছেরে দিলেই ভালো হবে। তাই চলে গেলো।
মেরিন হাটুগেরে বসে হাউমাউ করে কাদতে লাগলো।
তখন কেউ মেরিনের কাধে হাত রাখলো। মেরিন ঘুরে দেখে নিরব।
নিরব মেরিনের চোখের পানি মুছে দিলো।
নিরব : তোমার চোখের পানি আমি সহ্যসীমার বাইরে …
মেরিন দৌড়ে বেরিয়ে গেলো। আজও সব কিছু নীড় দেখলো।
নীড় : এই নিরবের হাত তো আমি ভেঙে গুরিয়ে দিবো। এর এতো সাহস? আমার মেরিন…
রাব্বি : তোর মেরিন? বেশি হচ্ছেনা… যাকে ভালোবাসিস না… যাকে এভাবে অপমান করলি আবার তাকে নিয়ে possessive হতে লজ্জা করেনা?
নীড় : জানিনা…
বলেই নীড় চলে গেলো।
.
নীড়ে engagement এরদিন…
মেরিন আজকে অনেকক্ষন ধরে ready হচ্ছে।
মেরিন : আজকে এমন সাজ দিবো যে আপনার হোশ উরে যাবে । আমিও দেখে নিবো যে আপনি কিভাবে অন্যকারো সাথে আংটিবদল করেন। huh… আপনি বর্ষন হলে আমিও বন্যা। 😎😎😎।
.
( না_বললেও_ভালোকিন্তুবাসি গল্পের মোহনার সকল ঢং আর immaturity এর কারন next part এই জানতে পারবেন। ইনশাল্লাহ। )
চলবে…