পারফেক্ট ভিলেন

পারফেক্ট ভিলেন ! Season- 02 !! Part- 05

বুড়ো মহিলা: এতোরাইতে কে গো?
বুড়ো: কেরা গো তোমরা?
মেরিন: নীড়-মেরিন… 😇।
বুড়ো: নীড়-মেরিন?
নীড় : না মানে আমরা বিপদে পরে একটু আশ্রয়ের জন্য এসেছি।
বুড়ো: বিপদ?
তখন বুড়ো মহিলা এগিয়ে এলো।
বুড়ো মহিলা: না না … বাপু… এমন রাইতের বেলায় অচেনা-অজানা মানুষরে ঘরে ঢুকামু না…
মেরিন: নীড়… এখন এই বৃষ্টির মধ্যে কোথায় যাবো?
নীড়: দেখুন… আসলে আমরা বাসায় থেকে পালিয়ে এসেছি। ওর বাবা ভীষন পাজি।
মেরিন: এই আ…
নীড় মেরিনের পায়ে হালকা করে পারা দিলো।
নীড়: আমার সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে চায়না… তাই তো পালিয়ে এসেছি। পেলে আমাকে খুন করবে… আর ওকে ১টা অমানুষের সাথে বিয়ে দেবে। please একটু আশ্রয় দিন…
.
বুড়ো: পিরিতের ব্যাপার তাইলে?
নীড়: হামম। ☺️।
মেরিন মনে মনে : লোকটা কি মিথ্যাবাদী।
নীড়: আপনারা যখন থাকতে দিবেন না… তখন কি আর করার। চলো কলিজা…😞.
বুড়ো: খারাও খারাও … কই যাও। আসো ভেতরে আসো।
নীড়-মেরিন ভেতরে ঢুকলো।
নীড়: ধধধন্যবাদ… হা…চি।
বুড়ো মহিলা: পরে কথা বইলো… আগে আসো ভেজা কাপড় ছাইরা নাও।
নীড় : হামম।
বুড়ো মহিলা: শোনো গো মেয়ে আসো আমার সাথে। অন্যকাপড় পরে নাও।
মেরিন: কিন্তু আমার সাথে তো জামা কাপড় নেই।
নীড়: তুমিও না… জামা-কাপড় নিয়ে পালাতে হয়না… তোমার যে জল্লাদ বাপ… সময় পাবে কোথায়?
মেরিনের রাগ উঠতেছে।
বুড়ো মহিলা: চলো… আমার ১টা কাপড় দিচ্চি। পরে নাও।
মেরিন তার সাথে গেলো।
বুড়ো: তোমারও কি লাগবে না কি?
নীড়: no no… আমার কাছে আছে।
.
ওদিকে…
মেরিন : ব্লাউজ ছারা কিভাবে পরবো শাড়ি…?
বুড়ো মহিলা : কি আর করার… আমারটা তো আর তোমার লাগবোনা। তুমি পরো… আমি তারপর ঠিক করে দিচ্চি।
মেরিন : হামম।
মেরিনকে শাড়ি পরিয়ে ওদের খাওয়ার ব্যাবস্থা করতে গেলো।
.
একটুপর…
নীড় আর বুড়ো বসে আড্ডা দিচ্ছে। তখন মেরিন এলো। মেরিনকে দেখে নীড় হাহা করে হেসে দিলো।
নীড় : এভাবে কেউ শাড়ি পরে? হাহাহা…
মেরিন : ওই ওই ওই… হাসি বন্ধ করবেন? নাকি দাত গুলো ভাঙবো…. huh…
নীড় : হাসি বন্ধ করবো কি করে? যেভাবে শাড়ি পরেছো তা দেখলে যা কারোই হাসি আসবে।
মেরিন : 😬।
বুড়ো: ওরে তোমরা থামো। এই শুনছো… বলি পুলাপাইন গো কিছু খাওয়ানোর ব্যাবস্থা করো।
নীড় : না না তা লাগবেনা।
বুড়ো মহিলা : কইলেই হবে নাকি? তোমাগো মুখ খানা দেখেই বোঝা যাচ্চে যে ক্ষুধা লাগছে। তার আগে একটু চা খেয়ে নাও । ধরো…
ওরা চা খেতে লাগলো …
.
বুড়ো: জানো নাকি গো নাতি… তা নাতি বললে কি রাগ করবে?
নীড়: না না বলুন।
বুড়ো: আমাগোও প্রেমের বিয়া । আর তোমাগাও।
মেরিন: না না আমাদের বিয়ে হয় নিতো…
বুড়ো: হয়নি?
নীড় : হহহ্যা হহহয়নি তো…. বববললাম পালিয়ে এসেছি… কককালই করবো।
বুড়ো: ও… হামমম। বুঝলাম। তা যাই হোক। আজকাল তো অমন পালিয়ে বিয়ে আর পিছে পিছে পাজি বাবাদের ছোটাতো চোখেই পরেনা। আজকাল তো হয় বেলাশেষে ঠিকই বাপ-মা মেনে নেয়। না হয় বেলাশেষে সম্পর্ক ভেঙে যায়। আমাদেরও প্রেমের বিয়ে ছিলো। পালিয়ে এখানে যে এসেছিলাম… এখানেই রয়ে গেলাম। ওই যে তোমাদের বুড়ি দাদু.. উনি জমিদার বাড়ির মেয়ে।
মেরিন: আপনারা এখানে একাই থাকেন? আপনাদের ছেলে মেয়ে কিছু নেই।
বুড়ো: আছে তো। সবাই আছে। সবাই শহরে থাকে।
নীড় : how rude…
.
রাত ১টা…
মেরিন ঘুমিয়েছে বুড়ো মহিলার সাথে আর নীড় ঘুমিয়েছে বুড়োর সাথে। নীড়ের তো কিছুতেই ঘুম আসছেনা। বারবার এপিঠ ওপিঠ করছে। তখন বুড়ো মহিলার ডাক শুনতে পেলো। নীড়-বুড়ো গেলো।
বুড়ো মহিলা: মেয়েটার শরীরতো জ্বরে পুরে গেলো।
নীড় : কি??
নীড় ছুটে গিয়ে মেরিনের পাশে বসলো।
মেরিনের কপালে হাত দিয়ে দেখলো সাংঘাতিক জ্বর ।
নীড় : মেরিন… মেরিন… এতোক্ষন ধরে বৃষ্টিতে ভেজার জন্যেই হয়তো… shit… মাথায় একটু পানি দিতে হবে…
মেরিনের মাথায় পানি দেয়া হলো। এরপর সারারাত জেগে নীড় মেরিনের মাথায় পানি পট্টি দিলো। হাতে পায়ে তেল মালিশ করে দিলো । সে কি চিন্তা নীড়ের। রাতভরে আর ঘুমালোনা। ভোর রাতে মেরিনের জ্বর ছারলো।
.
সকালে…
মেরিনের ঘুম ভাঙলো। weakness এর সারাশরীর ব্যাথা করছে। চোখটাও মেলতে ভীষন কষ্ট হচ্ছে। চোখ মেলে দেখে নীড় ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
নীড়ের মুখ দেখে মেরিন স্পষ্ট বুঝতে পারলো যে নীড় সারারাত ঘুমায়নি। মেরিন উঠে বসলো।
নীড় : feeling better ?
মেরিন: হামম।
নীড় : তুমি যখন উঠেছো তখন একটু বসো আমি তোমার জন্য মেডিসিন নিয়ে আসি। হামম?
মেরিন : মেডিসিন? না না … মেডিসিন না… আমি একদম ঠিক আছি।
নীড়: ১টা থাপ্পর দিবো। বসো । আমি আসছি।
নীড় বেরিয়ে গেলো।
.
একটুপর…
মেরিনের একটু ভালো লাগছে। তাই গুটি গুটি পায়ে বেরিয়ে এলো । বেরিয়ে দেখে জায়গাটা ভীষষষষন সুন্দর। ৩দিকে পানি আর ১দিকে খোলা। ধারে কাছে আর কোনো বাড়ি-ঘর নেই। মেরিনের মনে হচ্ছে এটা হাতে আঁকা কোনো ছবি।
মেরিন: wow… its beautiful … উফফ… যদি ১টা ক্যামেরা থাকতো।
বুড়ো মহিলা: কি গো… মেয়ে তোমার ঘুম হইলো?
মেরিন: জী…
বুড়ো মহিলা: এখন কেমন লাগতাছে?
মেরিন: জী ভালো। আচ্ছা পানিতে একটু হাত মুখ ধুতে পারি?
বুড়ো মহিলা: পারবানা কে? ধুইয়া লও।
মেরিন: জী ।
মেরিন হাত মুখ ধুয়ে এলো।
বুড়ো মহিলা: এই নাও ধরো… খাও..
মেরিন: এটা কি?
বুড়ো মহিলা: এটারে কয় চাপরি।
মেরিন: ওহ।
বুড়ো মহিলা: খিচুরী হইতে হইতে চাপরিটা চাবাও…
মেরিন খেতে লাগলো।
বুড়ো মহিলা: ছেইলেটা তোমারে অনেক ভালোবাসে। তাইনা?
মেরিন:….
বুড়ো মহিলা: কালকে তোমার জ্বর দেইখা তার কি চিন্তা… সারাটা রাত চোখের পাতা এক করে নাই। তোমার মাথায় পানিপট্টি দিছে । আইজকাইল তো এমন ছেইলেগো এমন ভালোবাসা চোখেই দেখা যায়না। তুমি আসলেই ভীষন ভাগ্যবতী….
মেরিন:….
তখন নীড় আর বুড়ো ফিরে এলো।
মেরিন নীড়কে দেখতে লাগলো। নীড় এসে মেরিনের কপালে
হাত দিয়ে বলল: জ্বর আছে? নেই? হাত পা ব্যাথা কমেছে?
মেরিন: হামম।
নীড়: কিছু খেয়েছো?
মেরিন: চাপরি।
নীড়: আচ্ছা। খাওয়া শেষ হলে মেডিসিন গুলো নিবে।
মেরিন:হামম।
নীড়: এরপর যদি ভালো লাগে তো বের হবো।
মেরিন: হামম।
বুড়ো: এখন কোথায় যাবে? কিছুদিন থাকো তারপর যেয়ো। এখানেই বিয়ে-সাদী করে নিও…
নীড় : না গো দাদু… ওর বাবার পাওয়ার অনেক বেশি। তাই এখানে বেশিদিন থাকা ঠিক হবেনা।
বুড়ো:ও…
.
কিছুক্ষনপর…
খাওয়া-দাওয়া করে বুড়ো-বুড়িকে বিদায় জানিয়ে নীড়-মেরিন বের হলো। নীড় গাড়ির tank full করিয়ে নিয়েছে। নীড় drive করছে আর মেরিন নীড়কে দেখছে।
নীড়:কি হলো মিস ঝগড়াটে? আমাকে কি আজকে extra hot লাগছে?
মেরিন মুচকি হাসি দিয়ে বলল: হামম। একেবারে চিকেন ললিপপ লাগছে।
নীড় হাহা করে হেসে উঠল ।
নীড়: তুমি পারোও বটে।
মেরিন: thank you ..
নীড়: for what?
মেরিন: for last night…
নীড় break মারলো।
নীড়: last night? last night এ এমন কি হলো?
মেরিন: ১টা ছেলে আর ১টা মেয়ে।😜।
নীড় : 🙄। বদমাইশ মাইয়া…
মেরিন:🤣। তো কি করবো? last night এ কি হতে পারে যার জন্য আপনাকে thanks দিতে পারি সেটা কি আপনি জানেন না?
নীড় : …
মেরিন: কাল রাতে আপনি না থাকলে হয়তো অনেক কিছুই হতে পারতো।
নীড় : দেখো it was my duty… কালকে থেকে আপাদত এখন & তোমাকে তোমার বাসায় পৌছানোর আগ পর্যন্ত তুমি আমার দায়িত্ব। বুঝেছো?
মেরিন: শুধুই কি দায়িত্ব?
নীড়: of course … মেয়েদেরকে respect করতেই আমার মামনি-বাবা শিখিয়েছে…
মেরিন: আচ্ছা আপনি কি কাউকে ভালোবাসেন?
নীড় : …..
মেরিন : বলুন…
নীড় : হামম।
মেরিন: কাকে ?
নীড়: আমার ভালোবাসাকে…
কথাটা মেরিনের মোটেও ভালো লাগেনি।
মেরিন : আপনার ভালোবাসার নামটা কি?
নীড়: মেরিন…. তুমি এগুলো কি প্রশ্ন করছো বলো তো? ফালতু… its my personal life…
মেরিন : 😤।
.
কিছুক্ষনপর…
নীড় খেয়াল করলো যে মেরিন অনেকক্ষন ধরে গাল ফুলিয়ে বসে আছে। গাড়ি থামালো।
নীড় : এই যে মিস ঝগড়াটে…
মেরিন: 😤😤।
নীড় : আচ্ছা sorry …
মেরিন: huh…
নীড় : নতুন ১টা জায়গায় এলে ছবি টবি তুলবেনা নাকি?
মেরিন: ..
. নীড় : Dslr আছে কিন্তু… আর কারো কিন্তু ফটোগ্রাফির শখ আছে।
ফটোগ্রাফিং মেরিনের দুর্বলতা।
আর জায়গাটাও সুন্দর। তাই আর নিজেকে আটকাতে পারলোনা । নীড়ের Dslr নিয়ে ছবি ওঠাতে লাগলো। নীড়েরও ছবি তুলল। আসলেই ছবিগুলো সুন্দর উঠেছে। যা দেখে মেরিনের মনটা ভালো হয়ে গেলো । যার জন্য মেরিন আরো ছবি তুলতে লাগলো। থামছেই না…
নীড় : ওই হয়নি?
মেরিন: আর কয়েকটা please …
নীড় : কয়েকটা করতেকরতে ১ঘন্টা হয়ে গেলো। বাসায় ফিরবো কিভাবে?
মেরিন : আচ্ছা এই জায়গার নাম কি?
নীড়: শান্তিকুঞ্জ। মেরিন: আসলেই শান্তিময়…
নীড়: এখন কি আমি dslr টা পেতে পারি?
মেরিন: oh sure…
নীড় নিলো।
নীড়: এখন আপনি এখানে একটু দারান তো মিস ঝগড়াটে…
মেরিন : কেন?
নীড় : একটু দারাও না প্লিজ…
মেরিন: হামম।
নীড় মেরিনের ১টা ছবিই তুলল।
নীড় : best picture of my life…
মেরিন খানিকটা অবাক হলো।
নীড়: চলো … দেখি সামনে কোনো ভালো hote বা restaurant পাই কিনা….
মেরিন তো দারিয়ে নীড়ের বলা কথাটুকুই ভাবছে।
নীড়: hello… আসো।
মেরিন গিয়ে বসলো।
.
কিছুদুর যেতেই ১টা হোটেল পেলো। খেতে বসলো। নীড়ের খাবার অর্ডার করা দেখে মেরিন আরো অবাক হলো। কারন সব ওর পছন্দের খাবার।
নীড় : sorry … sorry… আসলে ভীষন ক্ষুধা লেগেছে তো তাই তোমার পছন্দ জিজ্ঞেস করতেই ভুলে গেছি। আমি ডাকছি তুমি তোমার পছন্দ অনুযায়ী order করো। wa…
মেরিন : লাগবেনা। all are my favorite …
নীড় : সত্যি?
মেরিন : হামম।
খাবার এলে ওরা খেতে লাগলো। নীড়ের আগে খাওয়া হয়ে গেলো। তাই ও হাত ধুতে গেলো। মেরিন একা বসে রইলো। পাশের টেবিলে কয়েকটা ছেলে মেরিনকে teach করতে লাগলো। নীড় এসে ধোলাই দিলো। এরপর মেরিনের হাত ধরে টেনে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিলো।
.
একটুপর…
মেরিন সেই তখন থেকে অদ্ভুদ চোখে নীড়কে দেখেই যাচ্ছে। নীড়ের মাথা এমনিতেই গরম তার মধ্যে মেরিনের অমন চাহনী। নীড় ভীষন জোরে break চাপলো।
নীড় : এই মেয়ে তোমার সমস্যাটা কি? এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? লজ্জা করেনা নিজের fiance থাকতে অন্য ১টা ছেলের দিকে তাকিয়ে থাকতে? cheap girl….
মেরিন কিছু না বলে গাড়ি থেকে নেমে গেলো। দূরে গিয়ে দারিয়ে রইলো। নীড়ও নামলো।
নীড় : দেখো আমি তোমার বন্ধু,বর, বিএফ কিছুই নই যে আমার সাথে এমন রাগ রাগ ন্যাকামো করলে লাভ হবে। so চুপচাপ গাড়িতে ওঠো।
মেরিন: …
নীড়: উঠবে না গাড়ি নিয়ে চলে যাবো।
মেরিন: আপনার গাড়ি… আপনার ইচ্ছা। যেতেই পারেন। cheap girl কে তো আর গাড়িতে তোলা যায়না।
নীড় : গাড়িতে উঠবে?
মেরিন: না।
নীড় : fine..
বলেই নীড় গাড়ি নিয়ে চলে গেলো।
.
একটুপর…
মেরিন: cheap girl… huh… না জানে তার gf কতো বড় বড়লোক। লাগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ের সাথে লাইন মারে।
তখন নীড় আবার হাজির হলো।
নীড়: গাড়িতে ওঠো…
মেরিন:…
নীড়: শেষবারের মতো ask করছি। ওঠবে কি না? …
মেরিন : …
নীড় আর কিছু না বলে মেরিনকে কোলে তুলে হাটা ধরলো। তখন ওখানে ১টা helicopter এসে হাজির হলো। মেরিন ভয় পেয়ে নীড়কে জরিয়ে ধরলো। কারন ও মনে করেছে কালকের সেই গাড়িওয়ালারা। নীড়ও শক্ত করে মেরিনকে ধরে রাখলো।
নীড়:মেরিন কুল ডাউন… যতোক্ষন আমি আছি ততোক্ষন কেউ তোমার কিছুই করতে পারবেনা।
.
helicopter land করলো। আর তারথেকে নামলো the কবির খান।
কবির : মামনি…
বাবার গলা পেয়ে মেরিন নীড়ের বুক থেকে মুখ তুলে ঘাড় ঘুরালো। কবিরকে দেখে মেরিন দৌড়ে গিয়ে জরিয়ে ধরলো ।
মেরিন: বাবা…
কবির: মামনি…
কবির মেয়ের মাথায় চুমু দিলো।
কবির: তুমি ঠিক আছো মামনি?
মেরিন: হামম।
কবির : কি হয়েছিলো কি?
মেরিন সব বলল।
কবির : বলো কি? এতো বড় সাহস? মামনি তুমি ব্যাথা ট্যাথা পাওনি তো?
মেরিন: না বাবা। & thanks to him… নীড়…
নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন।
কবির : নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন? তারমানে ও… হামম।
boys attack …
মেরিন: attack ?
কবির বলতে দেরি আছে নীড়ের ওপর হামলা হতে দেরি নেই। বৃষ্টিতে ভিজে, রাতজেগে , ধোলাই করে , drive করে নীড় অনেক ক্লান্ত । তাই পেরে উঠছেনা।
মেরিন : নীড়… আরে বাবা… কি করছো কি? তুমি উনাকে মার খাওয়াচ্ছো কেন? উনি তো আমার…
কবির : মামনি তুমি ওঠো।
মেরিন : আরে বাবা…
কবির মেরিনকে টেনে helicopter এ ওঠালো…
.
মেরিন : বাবা তুমি কি করছো? এটা অকৃতজ্ঞের মতো কাজ। উনি…
কবির : মামনি… যেটা জানোনা সেটা নিয়ে কথা বলোনা।
মেরিন : আরে বাবা তুমি জানোনা। ভুল করছো। উনি অনেক ভালো।
কবির : no.. he is evil … he is chowdhuri…
মেরিন : so what বাবা?
কবির : মামনি তোমাকে এখন এতো কিছু বলতে পারবোনা। তবে হ্যা এটা জেনে রাখো যে তোমার সাথে কাল যা হয়েছে ওই করেছে।
মেরিন : কি? impossible …
.
৭দিনপর…
মেরিন ভার্সিটিতে গেলো। সাথে বডিগার্ড আছে। মেরিন কবিরের কথা একদমই মেনে নিতে পারেনি। ও বিশ্বাসই করেনি যে নীড় সব করেছে। ভার্সিটিতে গিয়ে দেখে নীড় বসে আছে। তবে হাতে ব্যান্ডেজ করা। যা দেখে
মেরিনের ভীষন খারাপ লাগলো। মেরিন নীড়ের ওখানে গেলো। মেরিনকে দেখেই নীড় ক্ষেপে গেলো।
মেরিন: i ….
নীড় : কি করতে এসেছো এখানে? হ্যা? কি মনে করো তুমি আর তোমার বাবা নিজেকে? যেদিন থেকে তুমি আমার লাইফে এসেছো সেদিন থেকে সবকিছু গোলমাল হচ্ছে।
মেরিন: দেখুন আমি ক্ষমা…
নীড় : ক্ষমা? হ্যাহ… তোমার বাবা অনেক বড় ভুল করেছে। সে চিনেনা আমি কি & কে? ওনার সাথে যে কি করবো নিজেও জানিনা। mind it….
বলেই নীড় রেগে আগুন হয়ে চলে গেলো।
.
৩দিনপর…
মেরিন বসে বসে খাচ্ছে। তখন ১টা ফোন এলো। কনিকা ধরলো। আর যা শুনলো তাতে ওর হাত থেকে টেলিফোন পরে গেলো। কারন কবিরকে ১দল মানুষ হামলা করেছে।
.
( আমার নিজের দুলাভাইয়া ১জন সেনাবাহিনী। সে এখন করোনায় আক্রান্ত। family তে tension চলছে। mentally disturbance নিয়ে তো আর গল্প লেখা যায়না। তাই late হলো। sorry… কালকে #না_বললেও_ভালোকিন্তুবাসি টা দেয়ার চেষ্টা করবো। please pray for my দুলাভাইয়া। )
.
চলবে…

Comments