পারফেক্ট ভিলেন ! Season- 02 !! Part- 04
মেরিন: আরে আরে আরে… গাড়ি থেমে গেলো কেন? ট্যাংক তো ফুল।
মেরিন নামলো। নেমে গাড়িকে ১টা লাথি মারলো।
মেরিন: খাটারা গাড়ি।
মেরিন দেখলো আকাশে মেঘ জমে এসেছে। অন্ধকার হয়ে গেছে।
মেরিন: oh no বৃষ্টি পরবে। তারাতারি গাড়িতে গিয়ে বসি।
.
মেরিন গাড়িতে বসলো।
মেরিন: ১কাজ করি বাসায় ফোন করে গাড়ি পাঠাতে বলি।
কিন্তু মেরিন কোথাও খুজেও মোবাইল পেলোনা।
মেরিন: আজকে আবার মোবাইল কোথায় গেলো? উমাগো… কি জোরে জোরে বাজ পরছে। শুকনো বাজ। না ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও পরছে। ভয়ও ক…
তখনই হঠাৎ পেছন থেকে এসে ধাক্কা মারলো। মেরিন পেছনের সিটে বসার কারনে তেমন ব্যাথা পেলোনা।
মেরিন: এসব কি?
তখনই গাড়টা আবার এসে ধাক্কা দিলো। এরপর ওর গাড়িটাকে ঠেলে সামনে নিতে লাগলো।
মেরিন সামনে তাকিয়ে দেখলো ১টা পানি ভরতি গর্ত। ও আর দেরিনা করে দরজা খুলে দৌড় দিলো। বৃষ্টিও পরছে অনেক। দৌড়াতে দৌড়াতে মেরিন ১টা গাড়ির সামনে এসে পরলো।
.
গাড়িটা ঠিক মেরিনের সামনে এসে থেমে গেলো। গাড়ি থেকে বেরিয়ে এলো নির্ঝর।
নির্ঝর: জান…
নির্ঝরের গলা পেয়ে মেরিন চোখ মেলল। দৌড়ে ওর কাছে গেলো।
মেরিন: নির… 😭..
নির্ঝর: জান কি হয়েছে? তুমি কাদছো কেন? আর এখানেই বা কি করছো?
মেরিন সব বলল।
নির্ঝর: কি বলছো কি? কার কলিজায় এতো বড়? আমি দেখে নিবো। আগে তুমি গাড়িতে বোসো। এসো আগে তুমি গাড়িত বোসো।
মেরিন বসলো। নির্ঝর ওর মাফলারটা এগিয়ে দিয়ে
বলল: নাও এটা দিয়ে মাথা মুছে নাও।
মেরিন মাথা মুছতে লাগলো। আর নির্ঝর মেরিনকে দেখতে লাগলো। অন্যরকম সুন্দর লাগছে। নির্ঝর ১টা ঘোরের মধ্যে চলে যাচ্ছে। মেরিনের চুলের পানি ছিটে ছিটে নির্ঝরের মুখের ওপর ছিটে যাচ্ছে। যাতে ওর নেশা আরো বারছে।
.
মেরিন মাথা মুছতে মুছতে নির্ঝরের দিকে ঘুরলো। দেখলো যে নির্ঝর অদ্ভুদভাবে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। খানিকটা ঘাবরে গেলো।
মেরিন: নির… গাড়ি start দাও। লললেট হয়ে যাচ্ছে।
নির্ঝর মেরিনের ঠোটের ওপর হাত রাখলো।
নির্ঝর: let me see you…
মেরিন : নির… বাসায় সবাই wait করছে।
নির্ঝর: করতে দাও। আজকে সবকিছু বাদ। আজকে কেবল তুমি আমি আর বৃষ্টি।
বলেই নির্ঝর মেরিনের কাছে বারতে লাগলো।
মেরিন সরে এসে বলল : have you lost it nir…
নির্ঝর: of course … let me love you জান…
নির্ঝর অনেক কাছে চলে এলো। মেরিন ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো। এতে নির্ঝরের রাগ উঠলো। ও মেরিনের হাত ধরে সামনে টেনে আনলো।
নির্ঝর: এই মেয়ে… কিসের এতো দেমাগ তোমার? আমি অন্যকেউ? ভালোবাসি তোমাকে… ২দিনপর বিয়ে হবে তোমার-আমার। তবে অযথাই এমন ন্যাকামোর মানে কি? হ্যা মানে কি?
নির্ঝর এতো জোরে মেরিনের হাত চেপে ধরেছে যে ওর হাতে থাকা কাচের চুরি ভেঙে হাত থেকে রক্ত ঝরতে লাগলো। সেই সাথে চোখ দিয়েও পানি পরছে। মেরিনের চোখের পানি দেখে নির্ঝরের বোধ হলো যে ও কি করছিলো। মেরিনের হাত ছেরে দিলো।
নির্ঝর: ii aam ssso…
মেরিন হাত দিয়ে ইশারা করে থামিয়ে দিলো। এরপর দরজা খুলতে লাগলো।
নির্ঝর: মমমেরিন…
মেরিন: don’t you dare to stop me or follow me… জান দিয়ে দিবো।
মেরিন গাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো। না অভিমানে না… ভয়ে। নির্ঝর বের হলো না আর বাধাও দিলোনা। কারন জানে মেরিন অনেক জেদী।
নির্ঝর : কেন এমন করলাম কেন কেন কেন….
.
মেরিন বৃষ্টিতে ভিজছে আর হাটছে। না হাতে কোন ব্যাগ আছে আর না কিছু। ভয়ও করছে। সেই গাড়িওয়ালাদের।
মেরিন : i hate you nir… i really hate you…
তখন মেরিন শুনতে
পেলো : কাকে এতো hate করো মিস জ্বীন … i mean জান?
মেরিন ঘুরে দেখে নিরব।
মেরিন : স্যার আপনি ? এখানে?
নিরব: হামম। i love rain … যখনই বৃষ্টি পরে আমি ভিজতে শুরু করি। তো তুমি ভিজছো কেন? নির্ঝরের সাথে break up হয়েছে বুঝি?
মেরিন মনে মনে : আমি বুঝিনা এই লোকটা এতো আজাইরা প্যাচাল পারে কেন?
নিরব : hello miss..
মেরিন : জী স্যার। না মানে স্যার তেমন কিছু না। আমি actually অন্যকারনে রেগে আছি। নিরকে আমি আমার সাথে ভিজতে বলেছিলাম। ও তো ভিজলোই না। উল্টা fire হয়ে গেলো।
নিরব: রাগ করা জায়েজ আছে এমন cute & beautiful বউ থাকলে।
মেরিন মনে মনে : আবাল পাবলিক।
নিরব : তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে যে অনেকক্ষন ধরে বৃষ্টিতে ভিজছো। ঠান্ডা লেগে যাবে।
মেরিন মনে মনে : লাগুক তাতে তোর কি?
নিরব: এখন তোমার বাসায় যাওয়া দরকার।
মেরিন মনে মনে : তোরে বলে যাবো?
নিরব : কি হলো কথা বলো…
মেরিন : না মানে যাবো স্যার… গাড়ি এলে।
নিরব : তাহলে আমি drop করে দেই।
মেরিন : no no sir… আমার ভাইয়া আসবে।
নিরব: ও। তাহলে তোমার ভাইয়া আসার আগ পর্যন্ত তোমাকে company দেই? কি বলো?
মেরিন মনে মনে : oh my আল্লাহ। বলে কি? একে তো ভাগাতে হবে। না হলে তোর মাথা শেষ মেরিন…
নিরব : এইযে…
মেরিন : জী স্যার।
নিরব : বৃষ্টির সময় চা খেতে ভারী মজা। but এখানে তো চা নেই।
মেরিন মনে মনে : আমার মাথাই তো খাচ্ছিস। আর কি লাগে? idea…
মেরিন: স্যার…
নিরব : হামম।
মেরিন : চা নেই তো কি হয়েছে? ice cream তো আছে। ওই দেখুন।
নিরব দেখলো।
নিরব : বৃষ্টিতে ice cream ?
মেরিন: জী স্যার । ভীষন মজা।
নিরব : try করার দরকার তো। তুমি এখানেই দারাও আমি নিয়ে আসছি।
নিরব ice cram আনতে গেলো।
মেরিন : পালা মেরিন পালা… এটা মহা পাকাও। আর তাছারাও যেখানে নির এমন করলো সেখানে…
মেরিন ওখান থেকে পালালো। নিরব ice cream নিয়ে এসে দেখে মেরিন নেই।
নিরব: কোথায় গেলো? ধ্যাত একসাথে ice cream খাওয়া miss হয়ে গেলো।
.
মেরিন : মা গো… মহা বোর পার্সোন। আরে কাকে দেখা যাচ্ছে। কে এটা? নীড়?
নীড়ের গাড়িও মাঝপথে থেমে গেছে। নীড় ১বস্তা বিরক্তি নিয়ে সেটা ঠিক করছে।
মেরিন: হায়… কি cute লাগছে… ১টা ছেলে এতো ফর্সা কি করে হতে পারে? মন চায় খেয়ে ফেলি। হায় কি সুন্দর করে বিরক্ত হয়… কপালের পানি ফেলে…
what the ফালতু… তুই কি পাগল হয়ে গেলি? তুই না নিরের বাগদত্তা। ঘোড়ার ডিমের। ওই লুচি পরাটার সাথে বিয়ে ভেঙে দিবো।
wait… আজকে দোলার কথা মনে পরে গেলো। আমার জীবনটা আসলেই “Nir” ময় হয়ে যাচ্ছে। 😱😁।
whatever … একে একটু জালানো যাক।
মেরিন হেলতে দুলতে গিয়ে নীড়ের পিছে দারালো।
নীড় : কপালটাই খারাপ। এই গাড়ি কিনে যতোটা ঠকেছি ততোটা আর কখনো ঠকিনি। খাটারা গাড়ি। আজকে যে কার চেহারা দেখে ঘুম থেকে উঠেছিলাম…
মেরিন : i think আপনার নিজের চেহারা…
নীড়: how dare you…?
বলেই নীড় পিছে ঘুরলো। দেখলো মেরিন।
.
মেরিন: hi…
নীড়:oh god.. তুমি? not again…
মেরিন: আহারে the নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন এভাবে মাঝরাস্তায় দারিয়ে আছে যে কিনা ১০টা ভার্সিটি কিনতে পারে? ভাবা যায়? কে যে এই খাটারা গাড়ি আপনাকে দিলো… 😁..
নীড়: are you pinching me…?
মেরিন : মোটেও না… আমার ঘাড়ে কটা মাথা যে আপনাকে pinch করবো।
নীড় : হাত রেঞ্জটা দেখছো? একদম মাথা ফাটিয়ে দিবো। idiot… সরো এখান থেকে।
মেরিন : কেন এই জায়গাটা কি আপনার কেনা?
নীড় : তোমার সাথে কথা কেন বলি?
মেরিন: সেটা আপনি জানেন?
নীড় আর কোনো কথা না বলে নিজের কাজ করতে লাগলো । আর মেরিন বকবক করতে লাগলো। ১টা সময় নীড় আর নিতে পারলোনা। হাতে থাকা রেঞ্জটা নিয়ে মেরিনের নাকে ঠেকিয়ে
বলল: আরেকটা কথা বললে এই নাকটা আর নাক থাকবেনা।
নীড় এতোটা রেগেই কথা বলল যে মেরিনের হাত-পা কাপতে লাগলো।
নীড়: কি বলেছি শুনেছো?
মেরিন: হামম।
নীড়: একদম চুপ… মুখে আঙুল।
.
একটুপর…
নীড় আড়চোখে তাকিয়ে দেখে যে মেরিন ঠোটে আঙুল দিয়ে ঠোট উল্টিয়ে রেখেছে। বাচ্চাদের মতো। ভীষন cute লাগছে। নীড় মেরিনকে লুকিয়ে হাসি দিলো।
নীড়: তো মিস ভিপির জান বউ… আপনার গাড়ি কোথায়?
মেরিন : ….
নীড়: হামম?
মেরিন: …
নীড় ঝারি মেরে
বলল: কিছু জিজ্ঞেস করেছি তো…
মেরিন চমকে উঠলো। আর ভ্যা ভ্যা করে কাদতে লাগলো। মেরিনের কান্না দেখে নীড় ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলো।
নীড়: আরে কাদছো কেন? মেরিন…
মেরিন কাদতে কাদতে বলল: সেই কখন থেকে দৌড়ের ওপর আছি… তারওপর কথাও বলা যাবেনা। প্রথমে গাড়ি তারপর লুচি পরাটা তারপর মহা পাকাও… ক্ষুধাও লেগেছে। 😭😭।
নীড় মুচকি হাসি দিয়ে
বলল: থাক থাক কাদেনা। তোমাকে আর দৌড়াতে হবে না। আমি খেতেও দিচ্ছি।
মেরিন: লাগবেনা আপনার কিছু…
মেরিন ভ্যা ভ্যা করে কাদতেই লাগলো। নীড় ভালোভাবে বলে থামাতে পারলোনা। পরে ধমক দিলো। মেরিনও থামলো।
নীড়: আমার কাজটা শেষ। just ২মিনিট লাগবে। তুমি গিয়ে গাড়িতে বসো। আমার ব্যাগে ২টা বার্গার, ২টা স্যান্ডুইচ আর কিছু স্ন্যাকস & cold drinks আছে। খেয়ে নাও। then আমি তোমাকে বাসায় ড্রপ করে দিচ্ছি।
মেরিন : লাগবেনা। মেরিন বন্যা খান কারো help ছারাই চলতে পারে। huh…
বলেই হাটা ধরলো।
নীড়: আরে কোথায় যাচ্ছো?
মেরিন : আপনাকে বলতে বাধ্য নই।
নীড় জানে আপাদত মেরিনকে কিছু বলে লাভ নেই। হাতের কাজটা শেষ হোক এরপর গাড়ি নিয়ে সামনে গিয়ে মেরিনকে তুলে নিবে। আর মেরিনের যে কচ্ছপ হাটা বেশিদূর আর যাবেনা।
.
মেরিন নীড়কে বকতে বকতে হেটে যাচ্ছে। হঠাৎ সামনে দেখে ৪-৫টা কালো গাড়ি পথ আটকে থেমে আছে। ওকে দেখেই কয়েকজন ছাতা মাথায় দিয়ে বেরিয়ে ওর দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। তাদেরও সব কালো। মেরিনের কেন যেন সন্দেহ হলো। তাই দৌড় লাগালো। পিছে তাকিয়ে দেখে যে গাড়ি ছুটে আসছে।
মেরিন: oh no… গাড়ির সাথে কিভাবে দৌড়াবো? ধুর ধরা যখন খাবোই তখন আর দৌড়ে লাভ কি।
মেরিন দৌড় থামিয়ে দিলো। তখন ওর সামনে দুম করে ১টা গাড়ি থামলো।
মেরিন: oh my আল্লাহ…
নীড় : idiot… উঠে আসো।
মেরিন: আপনি?
নীড় : পরে অবাক হয়ে নিও। উঠে আসো আগে।
মেরিন : ও।হ্যা।
মেরিন উঠে বসলো। আর নীড় গাড়ি ভাগালো। আর পিছে পিছে সেই কালো গাড়িগুলো। নীড় এতো স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে যে মেরিনের হাল খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আর নীড়? নীড় নিজেও জানেনা যে ও কোথায় থেকে কোথায় যাচ্ছে।
.
কিছুক্ষনপর…
নীড় খেয়াল করে দেখলো গাড়িগুলো আর দেখা যাচ্ছেনা। নীড় লম্বা ১টা নিঃশ্বাস নিলো। মেরিনের দিকে তাকিয়ে দেখে মেরিন বুকে হাত দিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। আর হাচি দিচ্ছে।
নীড় : তুমি ঠিক আছো?
মেরিন: এমন রাক্ষসের মতো গাড়ি চালালে কেউ ঠিক থাকতে পারে?
নীড়:😒। ওরা কারা ছিলো?
মেরিন: আমার শশুড় বাড়ির লোকজন। 😠।
নীড় : মানে?
মেরিন: মানে ঘোড়ার ডিমের মাথা।
নীড় : উফফ… clearly বলবা?
মেরিন : তাহলে শুনুন.. আমি ওদের চিনিনা।
নীড়:তাহলে ওরা তোমার পিছে কেন?
মেরিন: god knows… তবে আমার মনে হয় এরা ওনারই লোক… হা…চি…
নীড় : ধরো মাথা মুছে নাও।
মেরিন: আরে আপনি তলপি তলপা নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন? হাচি…
নীড় :যাচ্ছিলাম পঞ্চগড়। official কাজে। তাই খাবার টাবার নিয়ে যাচ্ছিলাম। যাই হোক। তুমি বলো তো যাদের চেনোনা বললে তাদের আবার চিনি বললে কেন?
মেরিন সবটা বলল।
নীড় : what?
মেরিন: what what পরে করেন। আমাকে খেতে দিননা। ভীষন ক্ষুধা লেগেছে।
নীড় মুচকি হাসি দিয়ে খাবার বের করে দিলো। আর মেরিন মনের সুখে খেতে লাগলো। তখন নীড়ের চোখ গেলো মেরিনের কাটা কব্জিতে।
নীড় : একি হাতে কি হয়েছে?
মেরিন: কার?
নীড় :তোমার।
মেরিন: ও ওটা কিছুনা। একটু চুরি ভাঙা দিয়ে ব্যাথা পেয়েছি।
নীড় : ১টা থাপ্পর দিবো ফাজিল মেয়ে। সেপটিক হয়ে গেলে?
মেরিন : …
নীড় জোর করে মেরিনের হাত wash করে দিলো।
মেরিন: thank you… এখন আমাকে একটু বাসায় পৌছে দিননা। ভীষন tired লাগছে।
নীড়: বাসা? এখন কোন জায়গাতে আছি সেটাই জানিনা। গাধামী করে গাড়ি ঠিক করতে নামার সময় পকেট থেকে মোবাইল বের করতে মনে নেই। আমার গাড়িক GPS mobile এর সাথে connected … যে বৃষ্টি পরছে… i don’t know কি করবো?
মেরিন: এমা fuel ও তো প্রায় শেষ।
নীড় : damn it… কি যে করি? দেখি বৃষ্টিটা একটু কমুক… then রাতটা থাকার জন্য কোনো জায়গা পাই কিনা? যে জঙ্গল… কপালে কি আছে…
.
একটুপর…
বৃষ্টি একটু কমলো। নীড় গাড়ি start দিয়ে কোনো বাড়ি টারি খুজতে লাগলো। কিন্তু এমন জায়গা যে আশেপাশে বিল আর জঙ্গল।
মেরিন : নীড় নীড় নীড়।
নীড় :কি?
মেরিন : ওই দেখুন… ওখানে আলো দেখা যাচ্ছে। may be কোনো বাড়ি।
নীড় headlight টা একটু ওদিক করলো।
নীড় : ওটা বাড়ি না। কুড়েঘর। হ্যারিকেনের আলো। আর ওখানে যেতে গেলে হাল খারাপ হয়ে যাবে।
মেরিন: অতোটাও দূরে না। চলুন।
.
আর কোনো উপায় না পেয়ে নীড় রাজী হলো। যেনতেন ভাবে ভিজে পুরে কাদায় মাখিয়ে ওরা পৌছালো। দরজা খটখট করলো। কিছুক্ষনপর ১টা বুড়ো লোক দরজা খুলল। আর ১জন বুড়ো মহিলা ভেতর থেকে
বলল : এতোরাইতে কে গো..?
.
চলবে…