পারফেক্ট ভিলেন

পারফেক্ট ভিলেন !! Part- 05

মেরিন : হ্যালু বস…
☆ : কালকে দেখা করতে আসবে। বিকাল ৫টা …
মেরিন : কোথায় আইসবো?
☆ : কালকে message পেয়ে যাবে … সময়মতো চলে আসবে দেখা করতে ।
মেরিন : আর দেখা… খালিতো আইপনের পিছনটাই দেখান …
☆ : আমি তোনার বস তুমি আমার না …
মেরিন : সুরি বস …
রেখে দিলো ।
মেরিন : ইশও বস ঢুলাচ্ছে । আসছে বস … তোর মতো বসকে তো আমি সেকেন্ডে … ধুর শালা … ফকিন্নি মার্কা । ভালো লাগেনা । কারো আন্ডারে মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী কাজ করে … just disgusting…
.
পরদিন…
মেরিন জায়গা মতো গেলো।
ভিলেন : মেরিন জীবীত আছে …
মেরিন : 😱। হায় হায় কন কি?
ভিলেন : হামম।
মেরিন : হেতিরে বন্দী করেননি?
ভিলেন : ও মেরিন বন্যা … বন্দী আর ওকে … ১বার ওকে বন্দী করেছিলাম বড় সরো ১টা সুযোগ পেয়ে … তাও ক্ষনস্থায়ী ছিলো । আর এখন তো জানিই না যে ও কোথায় । তবে মেরিন ফিরে এসেছে…
ভিলেনের কন্ঠের ভয় মেরিন ঠিকই বুঝতে পারলো ।
মেরিন : বস আমি না আইপনের কথা বুঝবার পারছিনা … বলতাছেন যে মেরিন জিন্দা আছে … আবার বলছেন কোথায় আছে জানেন না। তয় এটা জানলেন যে কিভাবে যে জিন্দা আছে …
ভিলেন তখন projector এ ১টা ছবি দেখালো।
মেরিন : উহ মা … এটা তো দেখি ডন স্যার …
ভিলেন : হামমম যে মেরিনের ভয়ে মরেছে … মেরিন নিশ্চয়ই ওর কাছ থেকে আমার information নিতে চেয়েছিলো। ও এতোটাই বিশ্বাসী ছিলো যে আমার সত্য প্রকাশ করার থেকে মরে যাওয়া ভালো মনে করলো।
মেরিন মনে মনে : লও ঠ্যালা এ দেখি নিজের মন মতো কাহিনি বানালো । এর তো accident হয়েছে । এ তো সেদিন জেনে গিয়েছিলো যে আমিই মেরিন… আমি পিছে দৌড় লাগায় ডনও দৌড় মারে… road cross করার সময় ট্রাকের ধাক্কায় উরে যায়। আর ভিলেন ভাবছে আমার ভয়ে ? এর মানে কি এরা মেরিন কে ভয় পায় ?
ভিলেন : মেরিন বেচে আছে মানে ও নিশ্চয়ই নীড়ের সাথে দেখা করার চেষ্টা করবে । যার মানে security আরো বারাতে হবে।
মেরিন : আরো বারাতে হবে মাইনে…
ভিলেন : সেটা তোমার জানতে হবেনা…
মেরিন মনে মনে : আমি লাগো জানিনা তোর গুপ্তচর আছে খান আর চৌধুরী বাড়িতে কিন্তু তারা কারা সেটাই জানিনা… আফসোস।…
ভিলেন : কোনো ক্রমেই নীড়-মেরিনকে এক হতে দেয়া যাবেনা … ওরা এক হতে পারেনা …
মেরিন : তা বস আমি কিতা করবো?
ভিলেন : বাইরে যতোই নীড়ের ওপর নজর রাখিনা কেন রুমের ভেতর তো তোমাকেই নজর রাখতে হবে। তাই চোখ কান খোলা রাখবে …
মেরিন : হামম।
ভিলেন : দেখো ওই টেবিলে ১টা আংটি রাখা আছে। ওটা আজকে থেকে তোমার ।
মেরিন : হায়…. কি সুন্দর আংটি… স্বর্নের!!!
ভিলেন : হামম। তোমার কাজে আমি খুব খুশি তাই ওটা তোমার gift…
মেরিন : হায় বস থ্যাংকু …
মনে মনে : ওরে শয়তান আমি লাগে বুঝিনা যে এর মধ্যে মাইক্রোচিপ আছে… যা দিয়ে তুমি আমার কথা শুনতে পারবে।
ভিলেন মনে মনে : by chance যদি নীড়ের প্রেমে ট্রেমে পরে নীড়-মেরিনের support দেয়া শুরু করো… এটা তার জন্যে। bloody fool…
ভিলেন : তুমি এখন আসতে পারো…
মেরিন : ও বস… এতো বছর ধইরে এততততো ভালা কাজ করলাম। পুরস্কার স্বরূপ আইপনের মুখখানা ইকটুশখানি দেখান না… না না আইপনের কারেন্টের খাচার সামনে যাবোনা… দূর থেকেই খালি এক্কোইবার দেখবার দেন। পিলিজ…
ভিলেন : out…
মেরিন মনে মনে : damn it….
মেরিন বেরিয়ে গেলো।
.
কিছুদিন পর…
পলি : আমি তো ভেবেছিলাম তুই অনুূবের বিরহে দেবদাস হয়ে যাবি …
ছোয়া : correction please … ওটা দেবদাসী হবে … afterall আমি মেয়ে ।
পলি : রোজ … তুই আসলেই ১টা হারামি …
ছোয়া : আমি জানি বেবু….।
পলি :আচ্ছা এবার বসন্ত বরন program এ কি পরবি?
ছোয়া : সুইমিং কসটিউম … 🐸…
পলি : রোজ … 😬…
ছোয়া : হাহাহাহা ….
তখন পাশে থেকে হিরা নামের ১টা ছেলে
বলল : সুইমিং কসটিউমে কিন্তু তোমাকে সুপপপপার হট লাগবে বেববববি… 😗।
হিরা বাজে বাজে ইঙ্গিত দিতে লাগলো। ছোয়া থাপ্পর মারার জন্য হাত ওঠালো। তখন সেজান এলো।
সেজান : আরে আরে করে কি করে কি?
ছোয়া : আপনি?
সেজান : হ্যা আমি my black rose…. যাই হোক… তুমি এই diamond মানে fake diamond কে থাপ্পর মেরে নিজের হাত কেন খারাপ করবে বলো… হাতে ব্যাথা পাবেনা ? আর তাছারাও তুমি তো চৌধুরী … কি দরকার নকল হিরা touch করার…
ছোয়া : নকল হিরা মানে ?
সেজান : ধ্যাত বোঝেনা কোথাকার… তামার নাম হিরা রাখলেই কি আর সেটা হিরা হয়ে যায় ? নয় তাইনা ? wait… এই জিসান জিসান… পপকর্ন নিয়ে আয় তো।
পলি : পপকর্ন ?
সেজান : হামম।
জিসান পপকর্ন এনে পলি ছোয়ার হাতে দিলো। ১টা নিজের কাছেও রাখলো।
ছোয়া : what is all this ?
জিসান : বসে পরো এখন সেজানের প্রিয় fight show start হবে।
পলি : মানে ?
জিসান : মানে পরে বুঝবে। শুরু তো করতে দাও । 321 action…
বলতেই সেজান হিরাকে ধুয়ে দিলো। ইচ্ছামতো মারতে লাগলো। টিচাররাও থামাতে এলোনা। কারন the অনুভব খান সেজান ক্ষেপেছে । যে রাগী… তার মধ্যে মেঘ খানের ছেলে … সাহস আছে থামানোর?
সেজান : তোকে এর আগেও warn করেছিলাম যে আর কখনো মেয়েদের সাথে অসভ্যতামী করবিনা … শুনিসনি… আসলে তোদের মতো অমানুষ ভালোভাবে কথা শোনার মানুষই না … বুঝেছিস? আজকে তাও জানে বাচিয়ে রাখলাম। এরপর থেকে যদি এমন কিছু করতে দেখি তো জানে মেরে দিবো… বডিগার্ডস … আবর্জনাকে হসপিটালে নিয়ে যাও।
.
ছোয়া : 😱।
মনে মনে : wow….
সেজান ১বার ছোয়ার দিকে তাকিয়ে বাকা হাসি দিয়ে চোখ ঘুরিয়ে চশমা পরে
বলল : আমার এই হাতটা কোন ভাগ্যবতী ব্যান্ডেজ করে দিবে? 😘।
তখনই ১দল মেয়ে লাফাতে লাফাতে চলে এলো সেজানের হাতে ব্যান্ডেজ করতে। afterall সবার crush boy সেজান। আর ছোয়া হা করে দেখছে । ১ম বার কেন যেন ছোয়ার uneasy feel হচ্ছে ।
ছোয়া মনে মনে : আজব তো মেয়ে গুলো। কিন্তু এই লোকটা তো মহাআজব … মেয়েদের ডাকছে। shameless , flirty… হুহ… ভেবেছিলাম thank u বলবো। actually thank বলাই উচিত না। আমি কি বলেছিলাম help করতে। ঢং।
ছোয়া : চল পলি …
পলি : আরে …
ছোয়া টানতে টানতে পলিকে নিয়ে গেলো।
সেজান মনে মনে : হায় মেরে জান… my black rose শুরু তো হয়ে গেছে কুছ কুছ হোতা হ্যা… ফুপ্পি ডার্লিং শাশুড়ি হওয়ার practice করো।
.
৫দিনপর…
নীলিমা : এই বুড়ো বয়সে কি এতো হাটাচলা করা যায়।
ছোয়া : ওফফো দীদা … চলো তো …মম ড্যাডের জন্য gift নিবো।
নীলিমা : আররে… কনা…
কনিকা : নীলা…
ছোয়া সামনে তাকালো । দেখলো সেজান আর কনিকা। কনিকাকে তো আর ছোয়া চিনেনা । আর তাই ছোয়ার জন্য নীলিমা আর কনিকা নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রন করলো ।
সেজান : দীদা… তারাতারি চলো।
কনিকা : হ্যা চলো চলো …
ওরা চলে গেলো।
ছোয়ার একটু খটকা লাগলো ।
ছোয়া : দীদা… ওদেরকে চেনো তুমি?
নীলিমা : কককই নননাতো… চলো শপিং করি।
ছোয়া : চলো।
মনে মনে : কিছু তো ১টা ঘাপলা আছে। কনা… নীলা… রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি …
.
একটুপর…
ছোয়া : দীদা … তুমি একটু বসো । আমি ১০মিনিটে আসছি… ১টা urgent কাজ আছে । তুমি বসে কফিটা খাও। কোথাও যাবেনা যেন…
বলেই ছোয়া চলে গেলো ।
নীলিমা : যাক বাপের বেটি গেছি। হ্যালো কনা… কোথায় তোমরা? ফুড এরিয়াতে চলে এসে পরো। ছোয়া ১০মিনিটের জন্য নেই।
কনিকা : ok ok… এখনই আসছি।
ফোন রাখলো।
সেজান : কোথায় যাবে?
কনিকা: তোর নানুমনির সাথে দেখা করতে।
সেজান : কিন্তু ওখানে রোজ আছে ।
কনিকা : না নেই। রোজ ১০-১৫মিনিটের জন্য কি কাজে যেন গেছে…
সেজান : কাজে গেছে? এখানে কি কাজ? নিশ্চয়ই ঘাপলা আছে ।
কনিকা : চুপ । চল এখন।
সেজান : এই না যাওয়া যাবেনা। দীদা রোজ নীড়-মেরিনের মেয়ে। ও যা তা করতে পারে। যাওয়া যাবেনা…
কনিকা : কোনো কথা না । যাবো ব্যাস।
সেজান : আরে …
কনিকা কোনো কথা না শুনে সেজানকে টানতে টানতে নিয়ে গেলো ।
.
নীলিমা : কনা….
কনিকা : নীলা…
২জন ২জনকে জরিয়ে ধরলো। সেজান তো এদিক ওদিক দেখছে … আর রোজকে খুজছে ।
[ রোজ আর ছোয়াতে মনে হয় অনেকে গুলিয়ে ফেলছো । তাই ছোয়ার উক্তি গুলো বলার সময় রোজ লিখবো। কেমন??? ]
নীলিমা : নানাভাই… নানুমনি রেখে এদিক ওদিক কি খুজছো?
সেজান : ….
নীলিমা : জান..
সেজান : কিছু বলছো নানুমনি…
নীলিমা সেজানের কান টেনে
বলল : ওই… crush boy… black rose কে ছেরে একটু আমার কথাও ভাবো।
সেজান : oh my cutie pie… নানুমনি… তোমার কাছে কি আর ওই black rose কিছু…
নীলিমা : আ… ররররোজ…
কনিকা-সেজান পিছে ঘুরলো । দেখলো রোজ দারিয়ে আছে ।
সেজান মনে মনে : জানতাম। ঠিক জানতাম। এখন কি করবো?
রোজ এগিয়ে এলো।
রোজ : দীদা তুমি না বলেছিলে যে তুমি এদের চেনোনা… তাহলে?
নীলিমা : ….
রোজ : বলো… আর এই লোকটা তোমাকে নানুমনি ডাকলো কেন?
সেজান : নানুমনি? black rose তোমার কানের পোকা সব মরেছে । আমি তো বললাম দাদুমনি…. 😅.. কারন আমার দীদার classmate… friend ও বলতে পারো …
ছোয়া : আমি আপনার কাছে শুনতে চাইনি … বলো দীদা … আমি ঠিকই শুনেছি যে নানুমনি ডেকেছে ।
নীলিমা : নননানুমনি না দদাদুমনিই ডেকেছে ।
রোজ : 😒।
নীলিমা : বাপের মতো জেইলার গিরি বন্ধ কর তো … চল বাসায় চল …
ছোয়া : আরে …
নীলিমা : কতোদিন পর ছোটোবেলার বান্ধবি কে দেখালাম। তাও শান্তি নেই .. চল চল চল ….
সেজান : উর্ব্ধ গগনে বাজে মাদল … 📢…
নীলিমা-কনিকা-রোজ এর কান শেষ ।
রোজ : ওফ দীদা চলো তো । আর আসসালামু আলাইকুম বান্ধবী দীদা …
বলেই রোজ নীলিমাকে নিয়ে চলে গেলো । আর সেজান ধপ করে বসে পরলো।
কনিকা : কিরে কি হলো তোর …
সেজান : আমার বাপের মাথা। বলেছিলাম না এটা নীড়-মেরিনের মেয়ে …
কনিকা : …. আমার নীড়-মেরিনকে নিয়ে মোটেও বাজে কথা বলবিনা ।
সেজান : বাজে কি বললাম? তবে বেয়ান থেকে সোজা ছোটোবেলার বান্ধবী বানিয়ে দিলাম তোমাদের ২জনকে … বলো বলো isn’t it nice…
কনিকা : huh… মোটেও না । আমি আর নীলা ছোটোবেলার বান্ধবী না হলেও বড়বেলার বান্ধবী। বুঝেছিস? চল এখন ….
সেজান মনে মনে : আমি damn sure যে রোজ গবেষনা শুরু করবে। after all মেরিন বন্যার মেয়ে। ফুপ্পিকে inform করতে হবে ।
.
চৌধুরী বাড়িতে…
রোজ : ৩জনের ব্যাবহার কেমন যেন লাগছিলো। কিছুতো গন্ডগোল আছে ।
মেরিন রোজের রুমে এলো ।
মেরিন মনে মনে : নির্ঘাত গবেষনা করছে । এর মন থেকে সন্দেহ দূর করতেই হবে…
মেরিন : সোনামনি …
রোজ : আরে মম…
মেরিন : ব্যাস্ত ছিলে বুঝি ?
রোজ : না মম। তোমার হাতে কি ?
মেরিন: আমার হাতে… এই দেখো ।বসন্ত বরন উৎসব না?
রোজ : হামমম ।
মেরিন : খুলে দেখো বাসকুটা …
রোজ খুলল । দেখলো যে বক্সটার ভেতরে খুব সুন্দর ১টা শাড়ি … lemon color … যার মধ্যে ১সারি ছোট কালো পাথরে পাড় দেয়া । ভীষন সুন্দর ।
রোজ : wow mom…. its beautiful …
মেরিন : তাইনা ? এর সাথে তুমি পরবে কাচা ফুলের গহনা । কালো গোলাপের ।
রোজ : wow মম। সব থেকে unique হবে … thank you মম।।। লাভ ইউ ।
.
৩দিনপর…
রোজ রেডি শেডি হয়ে ভার্সিটিতে গেলো । অস্বাভাবিক সুন্দর লাগছে । উচ্চতা ৫.৪ , ব্রাউন রঙের লম্বা চুল । কালো গোলাপের সিম্পল গহনা। লাল রঙের লিপস্টিক , লাল টিপ … অনননেক সুন্দর লাগছে । সেজান রোজের সাথে মিলিয়েই পাঞ্জাবি পরেছে । lemon color পাঞ্জাবি । যার বা দিকটাতে কালো সুতার হালকা ডিজাইন। সেই সাথে ১টা কালো গোলাপ । আর কালো রঙের ধূতি … হাত ফোল্ড করে রেখেছে । চুল ডার্ক করা। height 6.2 .. looking 😍…
রোজের শাড়িক কুচির সাথে পাঙ্গা হয়ে গেলো । ও সেটাই ঠিক করতে করতে এগিয়ে আসছে তখনই ধপাস করে কারো সাথে ধাক্কা খেলো । না না সেজানের সাথে না । অনন্ত নামের ১টা ছেলের সাথে ….