পারফেক্ট ভিলেন

পারফেক্ট ভিলেন !! Part- 04

ছোয়া : ড্যাড…. ড্যাড…ড্যাড…
নীড় : কি হয়েছে মামনি?
ছোয়া : i want অনু at any cost..
নীড় : অনু ? মানে অনুভব। ওই রেডিওর ছেলেটা…
মেরিন তো ভীষম খেলো।
মেরিন মনে মনে : হায় হায় বলে কি?
ছোয়া : আমি অনুভবকে চাই। যে করেই হোক চাই। তুমি যেখান থেকে পারো যেভাবে পারো অনুভবকে আমার সামনে হাজির করো। আমি আর কিছু শুনতে চাইনা।
নীড় : relax princess … তুমি যেটা চাও সেটাই হবে। তুমি আগে ঠান্ডা হও । এই ওর জন্য পানি আনো তো …
মেরিন ছোয়ার জন্য পানি নিয়ে এলো।
.
একটুপর …
ছোয়া মেরিনের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে ।
মেরিন : মামনি গো … ১খানা কথা বলি।
ছোয়া : হামম।
মেরিন : কি হয়েছে বলবা? মম না তোমার best friend …
ছোয়া : মম। i love অনুভব। কিন্তু….
মেরিন : কিন্তু কি ?
ছোয়া সব বলল ।
ছোয়া : মম আমি ওকে ছারা বাচবো না ….
মেরিন : এমন করে কথা বলতে হয়না …
ছোয়া : জানো মম ওই সেজান আছেনা …
মেরিন : সেজান?
ছোয়া : হামম আমার ১বছরের সিনিয়র । ও অনেক পচা ।
মেরিন :পচা?কি করেছে ও?
ছোয়া : আমাকে অনেক বেশি জ্বালায় … আর বেসুরা কন্ঠে গান শোনায়।
মেরিন : বেসুরা কন্ঠ?
ছোয়া : হামম। কি যে বাজে কন্ঠ কি বলবো মম…
মেরিন মনে মনে : মেয়ে বলে কি? আমার অনুর কন্ঠ কতো সুন্দর । হবু জামাইকে বেসুরা বলে। কিন্তু তারআগে এখন অনুর সাথে কথা বলতে হবে …
ছোয়া ঘুমিয়ে পরলো । মেরিন রুমে গিয়ে কোনো কারন ছারা নীড়ের সাথে ঝগড়া গেস্টরুমে ঘুমানোর নাটক করলো । এরপর চুপচাপ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো ।
.
খান বাড়িতে…
সেজানের সারা রুমে রোজ মানে ছোয়ার ছবি লাগানো ।
সেজান : হায় মেরে black rose…. তোমাকে জ্বালানোর ১টা নিজস্ব সুখ আছে । তু… আআআ….
মেরিন এসে সেজানের কান মলে দিলো ।
মেরিন : নিজস্ব সুখ না …
সেজান : ফুপ্পি ফুপ্পি ফুপ্পি … কান ছিরে যাবে তো । পরে তোমার বকা কি করে শুনবো … তোমার মেয়ে আমাকে ভালোবেসে যে কথাগুলো বলবে সেগুলোই বা কি করে শুনবো? বলো ?
মেরিন : ওরে পাজি… ত..
তখন দরজায় হামলা পরলো । মেঘ-অধরা , কবির-কনিকার ।
অধরা : কলিজটা ঠিক আছো তো …
সেজান : oh no মাম্মি , দীদা , দাদান .. ? এখন ?
মেরিন: এতো panic হচ্ছো কেন? যাও গিয়ে দরজা খুলো …
সেজান : এ্যা ….
মেরিন : ড্রামা না করে যাও গিয়ে দরজা খোলো। আর হ্যা পিছে তাকাবিনা…. go go go go…
সেজান : ফুপ্পির কাহিনি বোঝা দায়। কি হবে এখন ? oh my প্রিয় আল্লাহ …
সেজান গিয়ে দরজা খুলল ।
অধরা : কলিজা তুমি ঠিক আছো? বাচ্চা তুমি চিল্লালে কেন?
সেজান : নননা ককিছুনা … 😅।
সেজান বারবার পিছে দেখছে । মেঘ বিষয়টা খেয়াল করলো ।
মেঘ : আরে কিছুনা … মনে হয় খারাপ স্বপ্ন দেখেছে। তাইনা my son…
সেজান : খারাপ স্বপ্ন… no no no… ভালো স্বপ্ন … কখনোই না … 😅..
মেঘ : আচ্ছা let him sleep now … চলো সবাই…
সবাইকে পাঠিয়ে দিয়ে মেঘ রয়ে গেলো।
মেঘ : কাহিনি কি?
সেজান : ফুপ্পি ডার্লিং এসেছে ।
মেঘ : এ্যা ?কককোথায়?
সেজান : i don’t know …
মেঘ : what? তুমি না বললে যে ও এসেছে ।
সেজান : হামম।
মেঘ : দেখি সরো ।
মেঘ রুমে ঢুকলো । খুজলো । কোথাও পেলোনা ।
মেঘ-সেজান : বারান্দা …
২জন ছুটে বারান্দায় গেলো । দেখলো যে মেরিন মনের সুখে দোলনায় দুলছে ।
মেঘ : princess …
মেরিন : hi ভাইয়া ..
মেঘ : hi but … এতোরাতে …
মেরিন : কেন আসতে পারিনা বুঝি?
মেঘ : না না তা না … আসলে… forget it.. কেমন আছে আমার পরিবাচ্চাটা …
মেরিন : ভালো। কিন্তু এখন তুমি যাও অনুর সাথে আমার সাথে কিছু কথা আছে । যাও যাও যাও ।
মেঘ চলে গেলো।
সেজান : কি হয়েছে ফুপ্পি?
মেরিন অনুভব নিয়ে ঘটা কাহিনি বলল।
সেজান : what ? ফুপ্পি আমি এখন কি করবো? আমার তো কোনো plan নেই। ও ফুপ্পি তুমি কিছু করোনা …
মেরিন : আমি কি করবো? কিভাবে করবো?
সেজান : আরে তুমি মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী । u can do anything … use your power …
মেরিন : বুদ্ধু … মেরিন বন্যা তো ফুররররর হয়ে গেছে । অদৃশ্য । আর অদৃশ্য মেরিন বন্যা কি করতে পারে ?
সেজান : তো এখন কি করবো? আমার তো সব plan flop…
মেরিন : এই লজ্জা করেনা? খান বাড়ির ছেলে হয়ে এমন তরো কথা বলতে? তুমি না আমার ভাতিজা … don’t forget that we r “the khanS” …
সেজান : হামম।
মেরিন : ok… আমার এখন যেতে হবে ।
সেজান : আমি drop করে দেই?
মেরিন : না…
.
পরদিন…
অধরা : সেজান… সেজান… এই সেজান … ওঠো। দেখো ১২টা বেজে আসলো … এই সেজান…
সেজান : what মাম্মি… আরেকটু ঘুমাতে দাওনা …
অধরা : না … ওঠো।
সেজান অধরার কোলে মাথা রাখলো ।
সেজান : মাম্মি তুমি আমাকে মোটেও ভালোবাসোনা…
অধরা : ড্রামাবাজ … তুমি জানো তুমি একেবারে তোমার ফুপ্পির মতো হয়েছো । ড্রামাবাজ। মেরিনও এমন ছিলো ।
সেজান : আচ্ছা মাম্মি ফুপ্পি কেমন ছিলো?
অধরা : তোমার ফুপ্পির কথা তো বলে শেষ করা যাবেনা। তারআগে ১টা কথা বলুন তো সেজান খান.. i mean অনুভব খান সেজান…
সেজান : কি?
অধরা : আপনি আর কতো লুকিয়ে লুকিয়ে রোজ চৌধুরী ছোয়াকে ভালোবেসে যাবেন? আমার ভাতিজীকে কবে বলবেন যে আপনি তাকে ভালোবাসেন? হামম?
সেজান : যেদিন তোমার ওই রাগী ভয়ংকরী ভাইয়ের রাগ কমবে…
অধরা : বদমাশ ছেলে নিজের মামাকে রাগী ভয়ংকরী বলে। নীড় যা করেছে সেটাতো ফুপ্পির জন্যেই করেছে। আর তাছারাও রোজ…
সেজান : oh no … ভুলেই গিয়েছিলাম মাম্মি…
অধরা: কি ?
সেজান : সময় নেই । আমি গেলাম।
সেজান তারাতারি fresh হয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো ।
.
in the radio station …
নীড় : কি হলো? জবাব দিচ্ছেন না কেন ? আমি জিজ্ঞেস করছি যে কোথায় সেই আপনাদের RJ অনুভব… আমি এই পুরো radio station ban করিয়ে দিবো ।
ম্যানেজার : সসসসস্যার…. আমাদের MD ভভেতরে বসে আছেন তার সাথে গিয়ে কথা ববলুন ।
নীড় : of course…
নীড় হনহন করে MD এর রুমে ঢুকলো ।
নীড় : এই যে মিস্টার MD.. আ…
নীড় তাকিয়ে দেখলো সেজান ।
সেজান : আরে মামা …
সেজান দৌড়ে গিয়ে নীড়কে জরিয়ে ধরলো। এরপর ওর হাত ধরে বাচ্চাদের মতো লাফাতে লাগলো।
সেজান : মামা ও মামা … কতোদিনপর দেখা …
নীড় : এটা তোমার রেডিও স্টেশন?
সেজান : হ্যা মামা। 😊
নীড় : তুমি ই কি অনুভবের কথা program টা করো?
সেজান : ধুর… আজিরা কাজ কে করে বলো তো মামা… ওটা তো Md. শিপন করে।
নীড় : সত্যি?
সেজান : হামম মামা…
নীড় : can i meet him?
সেজান : of course… তবে কথা হলো তুমিও কি ওর fan… wow….
নীড় : call him…
সেজান : ok ok ok … ম্যানেজার…. ম্যানজার…
ম্যানেজার : জী স্যার…
সেজান : শিপন কে একটু ডেকে পাঠাও তো ।
ম্যানেজার : জী স্যার…
শিপন এলো । আর শিপনকে দেখে নীড়ের মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার উপক্রম । কারন যার কন্ঠ এতো সুন্দর তাকে দেখতে এতো বিদঘুটে। আর এর জন্য ওর মেয়ে পাগল ?
নীড় : ১গ্লাস পানি হবে?
সেজান : হামম। মামা … এই নাও …
নীড় পানি খেলো।
নীড় : শিপন আমি তোমার ১টা ছবি তুলতে পারি?
সেজান : কেন মামা ?
নীড় : তোমাকে জবাব দিতে আমি বাধ্য নই।
সেজান : sorry to say মামা he is my employee … তাই আমার জানার অধিকার আছে । কারন তুমি এমনিতেই আমার কোনো RJএর ছবি নিতে পারোনা।
নীড় : আমি কি পারি আর কি পারিনা … সেটা তোমার না জানলেও চলবে। আমার কাজ তো আমি করবোই ।
সেজান : কিন্তু আমি করতে দিবোনা … শিপন you may go …
শিপন চলে গেলো ।
নীড় : কাজটা ভালো করলেনা । অনেক দাম দিতে হবে।
সেজান : স্বস্তা জিনিসের শখও নেই আমার মামা…
নীড় চলে গলো …
.
নীড় চলে যেতেই সেজান ধপ করে চেয়ারে বসলো।
সেজান : পানি…
জিসান পানি দিলো । সেজান পানি খেলো ।
সেজান : মাম্মি… মামা is to much ভয়ংকর …
সেজান মাথা তুলল। জিসানকে দেখলো। আর গলা ফাটিয়ে হাসতে লাগলো ।
জিসান : চুপ শালা … একে তো তোর জন্য এমন বনমানুষ সাজতে হলো তারওপর এখন দাঁত কপাটি বের করে হাসছিস…
সেজান : হাহাহাহাহা… তোকে যা লাগছে না আয় হায়… ১মিনিটের জন্য তো আমিও তোকে চিনতে পারিনি… মামার সামনে যে কতো কষ্ট করে হাসি থামিয়েছি কি বলবো? হাহাহা…
জিসান : সর শালা… তোর মতো প্রেমিক আমি জনমেও দেখিনি… রাতারাতি এই রেডিও স্টেশন কিনলি … আমাকে শিপন মানে অনুভব সাজালি । তোর নিজের মামা লাগে। মামাতো বোনকে ভালোবাসিস তবে কেন এতো কাহিনি?
সেজান : সময় এলে জানতে পারবি …
নীড় রোজকে শিপনের সব description দিলো । যা শুনে ওরও মাথা ঘুরতে লাগলো ।
.
কিছুদিনপর…
নীড় : আমাকে কি এখানে আনার দরকার ছিলো। নিজে শপিংটাও করতে পারোনা ?
মেরিন : আমার জন্য হলে একাই আসতাম। কিন্তু আমি আমার চান্দু মান্দুর জন্য ডেরেস কিনবো … তাইতো আইপনেরে নিয়ে আসলাম।
নীড় : its ড্রেস not ডেরেস।
মেরিন : ওই একই …
নীড় : আর চান্দু মান্দু বলো কেন ওদেরকে?
মেরিন : আমার ইচ্ছা … huh…..
মেরিন নীড়ের সাথে কথা বলতে বলতে উল্টা হয়ে হাটছে । হাটতে হাটতে ধাক্কা লাগলো মেঘের সাথে।
মেঘ : who the hell i… you …
মেরিন : ভালা আছেন ভাইয়া?
মেঘ : shut up… কোন সাহসে কোন যোগ্যতায় আমাকে ভাইয়া ডাকো?
মনে মনে : sorry sorry… বোন না ভালো …
মেরিন মনে মনে : বাপরে… আমার ভাইয়া তো সেই ড্রামা জানে ।
মেঘ : শরীরটাই নোংরা করে দিলো … yuck…
নীড় : wait মিস্টার খান… শরীর ময়লা করে দিলো মানে? ও কি মানুষ না? মানুষকে সম্মান করতে ভুলে গেছেন না কি ?
মেঘ : আমি ভুলিনি… কিন্তু যেই মেয়ে আমার বোনের জায়গা দখল করে আছে আমার সমস্যা তার সাথে ।
নীড় : ভুলে যাবেন না যে এসব আপনার জন্যেই হয়েছে?
মেঘ : মোটেও না। তুমি সবসময় কোনো কারন ছারাই আমার দোষ কেন দাও? কি করেছি কি আমি?
নীড় : কি করেছেন কি? লজ্জা করেনা এটা বলতে?
মেঘ : না । কারন আমি কিছু করিইনি…
নীড় : oh really ?
মেরিন মনে মনে : oh no… ২জনের মধ্যে তো ফাটাফাটি হয়ে যাবে? অনু তুই কোথায়রে বাপ…
তখন ওখানে সেজান এলো। এসে দেখে মেঘ আর নীড়ের মধ্যে ফাটাফাটি চলছে …
সেজান : আরে বাপরে… সেজান… ভাগ না হলে চলে যাবে কারো জান….
.
সেজান : বাপি বাপি বাপি… what are you doing? চুপ থাকো … আর মামা তুমিও… ২জনই চুপ থাকো প্লিজ প্লিজ প্লিজ…
নীড় : চুপ থাকবো? তোমার বাবা আগে শুরু করেছে?
মেঘ : আমি আগে শুর করেছি না তুমি আগে?
নীড় : of course তুমি আগে। তুমিই আগে জান্নাতকে কথা শোনানো start করেছিলে…
মেঘ : বাবা.. এই মেয়েটা এখন এতোটা important?
নীড় : এই মেয়েটা আমার স্ত্রী ভা… মিস্টার খান…
সেজান : আমার ফুপ্পি কি তবে?
মনে মনে : sorry মামা … কিন্তু তোমাকে চুপ করানোর আর কোনো রাস্তা নেই…
নীড় : ….
সেজান : চলো বাপি…
সেজান মানে মানে মেঘকে নিয়ে কেটে পরলো।
.
গাড়িতে…
মেরিন মনে মনে : নীড় সব সময় ভাইয়াকে দোষ দেয় কেন ? আমার আর ভাইয়ার জানা মতে তো ভাইয়া কিছু করেনি? oh god… যখনই যতোবার রহস্য শেষ হতে নেয় ততোই জটিল হয়ে যায়। damn it ….
মেরিন নিজের ভাবনায় ডুবে আছে। আর নীড় বারবার মেরিনকে দেখছে ।
নীড় মনে মনে : ইশ মেয়েটা অনেক কষ্ট পেয়েছে। এসবে তো ওর কোনো দোষ নেই …
.
রাতে…
খাবার টেবিলে….
ছোয়া : মম… সবার মামার বাড়ি আছে.. আমাদের কেন নেই… আমারও না নানুমনি-নানাভাইয়া , মামা-মামি… সবার ভালোবাসা পেতে ইচ্ছা হয় ।
মেরিন : ….
ছোয়া : ওরা এমন কেন ? কেন আমাদের থেকে দূরে ? ও ড্যাড বলোনা …
নীড় মেরিনের দিকে তাকালো । মুখটা কালো করে ফেলেছে ।
নির্বন : হ্যা ড্যাড… তারা কি আছে নাকি নেই …
মেরিন: কি বলছো কি? থাকবেনা কেন ?
নির্বন : কোথায় তাহলে?
মেরিন : তারা আছে তাদের জায়গায়।
ছোয়া : তাহলে তারা আমাদের থেকে দূরে কেন?
মেরিন : আমার জন্য…
বলেই মেরিন চলে গেলো ।
ছোয়া : মম… কি হলো …?
নীলিমা : আচ্ছা এখন খেয়ে নাও তোমরা…
.
রাতে…
মেরিন ছাদে দারিয়ে কান্না করছে ।
মেরিন : যদি তুমি অমন না করতে নীড় তাহলে আমাদের জীবনটাও বেশ সাজানো গোছানো হতো … এতো কাহিনি হতো না… যদি তুমি ১তরফা না ভেবে সত্যিটা অনুধাবন করতে… অন্তত আমার সাথেই share করতে … তাহলে এমন কিছুই হতোনা নীড়… তুমি তো আমাকে ভালোভাবেই চিনতে। যদি আমার বাবা সত্যিই অন্যায় করতো তাহলে যে আমি বাবাকেও ছারবোনা সেটা তো তুমি জানতে। তবে কেন আমাকে জানালেনা? কেন প্রতিশোধের আগুনে নিজেও পুরলে? আমাকে পোড়ালে… যদি অমনটা না করতে তবে এই ভিলেনের entry ই কখনো হতোনা … কেন তুমি নির্ঝরের পরিবারকে খুন করতে গেলে নীড়… কেন কেন কেন ? আমি তো আছি তোমার কাছেই… কিন্তু তুমি যে তোমার মেরিনের কাছে থেকেও নেই নীড় … কেন এমন হলো … কেন কেন কেন ? ….
তখন নীড় মেরিনের কাধে হাত রাখলো । মেরিন চোখের পানি মুছে নিলো ।
নীড় : এই নাও কফি…
মেরিন : এ্যা… দেখি দেখি… আইপনার জ্বর টর আসছে কিনা ? আইপনে আমার জন্য কাফি আনলেন? ২০ বছরে পেরথমবার ( প্রথমবার ) …
নীড় : স্টুপিড…
মেরিন : huh ….
নীড় : হ্যা আমি তোমাকে ভালোবাসিনা। আর না কখনো ভালোবাসতে পারবো। unfortunately you are my wife…. তাই কিছু দায়িত্ব আছে তোমার ওপর…
মেরিন : আমার জইন্য আইপনি শুধু শুধু তেনাদের সাথে ঝগড়া করলেন… কি দরকার ছেলো?
নীড় : ….
মেরিন : আমার জন্যেই বাচ্চারা মামার বাড়ি পেলোনা … তেনাদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হলো …
নীড় : তোমার জন্য কিছুই হয়নি। সব হয়েছে ওই মেঘ খানের জন্য। তিনিই …
মেরিন : তিনি?
নীড় : কিছুনা?
মেরিন : বলুন না …
নীড় : ও হ্যালো… তুমি এমন কেউ নও যে তোমাকে জবাব দিবো। আমার মেয়েকে নিজের মেয়ের মতোই ভালোবেসেছো তাই একটু কৃতজ্ঞ ॥ got it ….
বলেই নীড় রুমে চলে গেলো।
.
মেরিন : পাগল… আগে নিজের খারাপ রুপটা লুকাতো… এরপর খারাপ হয়ে নিজের ভালোবাসা লুকাতো … আর এখন নিজের ভালো রূপ লুকায়….
তখন মেরিনের ১টা ফোন কল এলো ।
মেরিন : ওর ফোন এলো … দেখি কি বলে? কোনো রকমে যদি এবার দেখা করতে রাজী হয়….
মেরিন ফোন ধরলো।
মেরিন : হ্যালু বস….
.
((( অনেকগুলা sorry … আসলে id নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিলো এমনি এখনও ঝামেলা শেষ হয়নি । তাই গল্প দিতে পারছিলাম না। sorry … )))
চলবে….