তোকে চাই !! Part- 43
গায়েনী ডক্টর সুলতানা পারভীনের চেম্বারের সামনে একটা চেয়ারে পা দুলিয়ে বসে আছি,,,, ভ্রুটা হালকা কুঁচকানো,,যার কারণ বিরক্তি।।বিরক্তির বেশকিছু কারণ আছে,,তারমধ্যে দুটো কারনের একটি হলো শুভ্র অন্যটি একটি অপরিচিত জলহস্তি,,,আমার সামনে পেটকু একটা লোক বসে আছে।।বসে থাকতেই পারে,,,শুধু বসে কেন,,চাইলে শোয়েও থাকতে পারে তাতে আমার বিন্দুমাত্র সমস্যাও নেই,,,সমস্যা থাকার কথাও নয়,,,,,কিন্তু সমস্যাটা হলো লোকটার বিহেভিয়ার,,,মহোদয়,,তার পান খেয়ে লাল করে রাখা দাঁত বের করে সারাক্ষণ কুচসিৎভাবে হেসেই চলেছে,,,বাবা বলতো পৃথিবীর সবার হাসিই নাকি সুন্দর,,সবার হাসিতেই অন্যরকম একটা সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে,,,কিন্তু আমি আধঘন্টা যাবৎ ট্রাই করেও লোকটার হাসিতে সৌন্দর্যদায়ক কিছু খুঁজে পেলাম না।।শুধু হাসলেও মেনে নেওয়া যেতো কিন্তু লোকটি এর থেকেও বিশ্রী কিছু করছে,,,একহাত দিয়ে তার প্রেগন্যান্ট স্ত্রীর পেটে হাত বুলাচ্ছে,,অন্যহাতে নাকে আঙ্গুল ডুকিয়ে নাকের চুল ছেঁড়ার চেষ্টা করছে,,,ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে বিরক্তিকর,,,যা দেখার সাথে সাথে অটোমেটিক আমার কপাল আর ভ্রু কুঁচকে গিয়ে,, তাদের বিরক্তি প্রকাশ করছে,,,,অন্যদিকে আমার প্রাণপ্রিয় স্বামী,,,বারবার অস্বস্থি নিয়ে নাড়াচাড়া করছে,,তাকে দেখে মনে হচ্ছে তাকে একটা উত্তপ্ত ফ্রাইং প্যানে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে যার উত্তাপে উনি এমনভাবে নাচানাচি করছেন।।।
।
কি সমস্যা??এভাবে নাচতেছেন কেন??সোজা হয়ে বসতে পারেন না??(ভ্রু কুচঁকে)
।
আমি কি বাঁকা হয়ে বসে আছি নাকি??(শার্টের ডান হাতা দিয়ে ঘাম মুছে)
।
তা নয়তো কি??আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনার লিভার পেইন উঠেছে আর আপনি যন্ত্রনায় ছটফট করছেন,,,,
।
জাস্ট শাট আপ রোদ।।অলওয়েজ ফালতু কথা,,,,চুপচাপ বসে থাকো,,নয়তো ঠাডিয়ে দিবো একটা,,,
।
আজিব,,রাগছেন কেন??(মুখ গোমরা করে)
।
তো কি করবো??তোমার কোনো ধারনা আছে,,, হাউ টেন্সড আই এম??
।
এতো টেনশনের কি আছে??ডাক্তারই তো দেখাতে আসছি অন্য কিছু তো নয়,,,
।
সেটা তুমি বুঝবে না,,,বউ তো আমার প্রেগন্যান্ট,,তোমার না,,, তোমার বউ প্রেগন্যান্ট হলে বুঝতা কেমন লাগে,,তারওপর যদি বউ নিজেই বাচ্চা থাকে তাহলে তো কথায় নেই,,৷
।
আমি আহাম্মকের মতো উনার দিকে তাকিয়ে আছি,,,এটা কি বললেন উনি?যত্তসব গাঁজাখুরি কথাবার্তা উনার মুখে,,আমার আবার বউ কেমনে হবে,,হলে জামাই হতে পারে,,,হুহ।।বসে বসে বিরক্তির চরম সীমায় পৌঁছে যাচ্ছিলাম ঠিক তখনই আমার ঠিক অপোজিটে বসে থাকা কারো কথা কানে এলো,,,,ছেলে কন্ঠটা হালকা পরিচিত,,,যেনো কোথাও শুনেছি,,,পেছন ফিরে তাকিয়েই আমার চোখ ছানাবড়া,,সাহিল ভাইয়া??উনাকে সেদিনের পর থেকে আর দেখি নি।।প্রায় ৬/৭ মাস পর দেখা।।উনি পাশে বসা মেয়েটির কপালে জ্বর চেক করছেন,,,আর মেয়েটি খিলখিল করে হাসছে যেনো তার কাতুকুতু লাগছে,,,মেয়েটি নিঃসন্দেহে সুন্দরী,,,বিশেষ করে হাসিটা,,,,আমি অবাক চোখে উনাদের দিকে তাকিয়ে আছি,,,হঠাৎ সাহেল ভাইয়ার সাথে চোখাচোখি হওয়ায় উনিও অবাক হলেন তবে নিজেকে সামলে নিয়ে বলে উঠলেন,,,,
।
হেই রোদ, তুমি??
।
কেমন আছেন?(হালকা হেসে)
।
আলহামদুলিল্লাহ,,,, তো তুমি কেমন আছো??আর এখানে কিভাবে??আর শুভ্রই বা কোথায়??
।
একসাথে এতো প্রশ্ন করায় আমি হেসে দিলাম,,,তখন পাশে বসে থাকা মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে হালকা হাসি দিয়ে বললেন,,
।
তুমিই বুঝি রোদ?বাহ সত্যিই দেখতে অনেক কিউট,,,
।
এতোক্ষণে শুভ্রও পেছনে ফিরে তাকিয়েছে,,,সাহেল ভাইয়া আর মেয়েটাকে দেখে সেও বেশ অবাক হলো বলে মনে হচ্ছে,,,
।
আরে?নাবিলা,,তুই এখানে??আর এই বলদের সাথে কি করিস??(অবাক হয়ে)
।
শালা চুপ কর,,,এক তো নাবিলাকে ভাবি না ডেকে তুই তাই করছিস,,,আবার আমাকে বলদও বলছিস,,,,(পেটে ঘুষি দিয়ে)
।
ভাবি??কিসের ভাবি??(ভ্রু কুচকে)
।
আরে আমার বউকে ভাবি বলবি না তো বেবি বলবি??
।
তোর বউ???(চেঁচিয়ে)শালা তুই বিয়ে করলি কবে??
।
শুধু বিয়ে,,,মাম্মা আম সো ফাস্ট,,,,বাচ্চার বাবা হয়ে যাচ্ছি(চোখ টিপে)
।
কথাটা শুনে শুভ্র যে বেশ অবাক হয়েছে তা বেশ বুঝতে পারছি,,,সাথে আমিও অবাক।।এতো তাড়াতাড়ি??
।
বলিস কি??দাওয়াত ও তো দিলি না,,আর নাবিলা বিয়ে করার জন্য,এই আহাম্মকই ছিলো?? আর কাউকে পাস নাই??
।
কি করবো বল??আমাদের ব্রেঞ্চের সবাই বিয়ে করে নিয়েছে,,,রুহান,,, সাব্বির,,,,ইশাতা,,,শুশমিতা,,মিথিলা ইভেন তুইও।।বাকি শুধু আমি আর সাহেল।।তাই ভাবলাম,,, দুজনেই যখন সিংগ্যাল তাহলে আর এতো খুঁজাখুঁজি করে টাইম ওয়েস্ট করে কি লাভ??(মুচকি হেসে)
।
তাই বলে দাওয়াতও দিলি না??এতো তাড়া??(অসহায় মুখে)
।
তো,,,তুই আমাকে দাওয়াত দিছিলি??জানিস না,, তুই আর আমি সেইম টাইপ,,তাই আমিও হুটহাট বিয়ে করে নিয়েছি,,,ভেবেছি বাচ্চার জন্মদিনে এক্কেবারে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াবো,,,এক ঢেলে দুই পাখি,,খরচ কম হবে,,,(চোখ টিপে)
।
উনার কথায় সবাই হেসে উঠলো,,,,
।
কিন্তু তোরা এখানে কেন??গায়েনী বিভাগে??(ভ্রু কুচকে)
।
কেন বউ কি তোর একার আছে??নাকি বাপ হওয়ার অধিকার তোর একার আছে??(বাঁকা হাসি দিয়ে)
।
তারমানে রোদ??(অবাক হয়ে)
জি হ্যা,,,রোদ,,,
।
বাহ,,দারুন তো,,,রোদ কতদিন হলো তোমার??(গালে হাত দিয়ে মুচকি হেসে)
।
জি,,,একমাস আপু।।(লজ্জামাখা হাসি দিয়ে)
।
কিহহহ???(চিৎকার করে)
।
সাহেল ভাইয়ার হঠাৎ চিৎকারে আমরা সবাই প্রথম দফায় চমকে এবং পরবর্তীতে অবাক হয়ে উনার দিকে তাকালাম,,,
।
কি বলছো??মাত্র একমাস??এখন কি হবে??নাবিলার তো চারমাস চলে,,,(মুখ গোমরা করে)
।
সাহেল ভাইয়ার কথার আগাগোড়া কিছুই বুঝতে না পেরে সবাই একসাথে বলে উঠলাম,,,”তো?”
।
আরে তো মানে?তাহলে তোর ছেলে আমার মেয়ের থেকে ছোট হয়ে যাবে না??প্রেম কেমনে করবে??আমি বিলেন কেমনে হবো??
।
উনার কথায় আমরা একে অপরের দিকে একবার তাকিয়ে নিয়েই হুহা করে হেসে উঠলাম,,,শুভ্র তো হাসতে হাসতে গড়াগড়ি অবস্থা,,,,কোনো রকম থেমে বলে উঠলেন,,,
।
আমার মনে হয় কি সাহেল??ব্যাপারটা উল্টে যাবে,,,আমার মেয়ে হবে,,,আর তোর ছেলে,,ভাবতে পারছিস??আবার ছেঁকা(দাঁত কেলিয়ে)
।
বললেই হলো,,এমন হলে ছেলের সাথে আমি নিজে গিয়ে পুত্রবধূকে তোলে আনবো,,,এবার নো ছাড়,,,(হালকা হেসে)
।
উনাদের সাথে কথা বলতে বলতেই আমাদের ডাক পড়লো,,
ডাক্টরের সামনে বসে আছি,,,একবার ডক্টর তো আরেকবার শুভ্রর দিকে তাকাচ্ছি,,,আমার ধারনা ঠিক হলে যেকোনো টাইম শুভ্র সেন্স হারাবেন,,,তার কারন হলো কিছুক্ষন আগে ডক্টরের বলা কথা।।।ডক্টর সরল মনে বলে দিয়েছেন,,,আমার বয়স মাত্র ১৮ এই বয়সে আমার কনসিভ করা উচিত হয় নি,,,এই টাইমে মা হওয়াটা রিস্কি,,,আমি ফিজিক্যালি ম্যাচিয়ুর না,,,এইটুকুতেই যে শুভ্র কপোকাত তা আর বলতে??শুভ্রর হাত-পা রীতিমতো কাঁপছে,,,ডক্টরের সাথে কথা বলে চুপচাপ বেরিয়ে গেলেন,,আমার দিকে একটাবার তাকালেন না পর্যন্ত,,,আমার ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছে,,,ভয়টা শুভ্রকে নিয়ে উনি আমাকে অবর্শোন করতে বলবেন না তো??আমার ভয়ঙ্কর স্বপ্নটা সত্যি হয়ে যাবে না তো??এসব ভাবতে ভাবতেই কাঁপাকাঁপা পায়ে গাড়িতে গিয়ে উনার পাশে বসলাম,,,উনা সিটে গা এলিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছেন,,,উনার ঠোঁট কাপঁছে,,গলা বারবার উঠানামা করছে,,,ফরসা মুখটা একদম বিবর্ন হয়ে আছে,,,আমি কাঁপাকাঁপা হাতে উনার কাঁধে হাত রাখলাম,,কিন্তু উনার মধ্যে কোনো রিয়েকশন হলো না,,,আগের মতোই চুপচাপ বসে রইলেন,,,এবার আমার কান্না পাচ্ছে,,খুব ভয় লাগছে,,,
।
শুনুন??আপনি প,,প,,প্লিজ টেনশন করবেন না,,,দ,,দেখুন ৫০ বছর আগে ১৩/১৪ বছরের মেয়েরাও বাচ্চার জন্ম দিয়েছে এখনো দেই,,,তখন বাচ্চা জন্ম হতো সনাতনী পদ্ধতিতে আর এখন কতো নিউ টেকনিক ইউজ করা হয়,,,আপনি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছেন,,,
।
তবুও উনি চুপ,,,চোখটা মেলেও তাকালেন না,,,যেনো শুধু শরীরটাই পড়ে আছে,,মাঝের মানুষটা নেই,,,আমি এবার ফুঁপিয়ে উঠলাম,,,
।
প,, প,,,প্লিজ এবোর্শন করতে বলবেন না,,,প্লিজ।।আই কান্ট ডু ইট।।।
।
উনি এবার চোখ মেলে তাকালেন,,আমার দিকে তাকিয়ে দুর্বল হাসি দিয়ে বলে উঠলেন,,,”আমি মানুষ রোদ,,খুনী না।।নিজেকে বাঁচাতে আমার বাচ্চাটাকে মেরে ফেলবো এতোটা নিষ্ঠুর হয়ে উঠি নি এখনো,,,তোমার কিছু হবে না রোদ,,,বেস্ট ডক্টরের আন্ডারে রাখবো তোমায়,,,আর বাকিসব ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছি,,,তবে হ্যা,,,তোমাকে ছাড়া একটা মিনিটও নিশ্বাস নিতে চাই না আমি,,,তুমি আর আমি একদিনেই না হয় শেষ হবো,,ভয় নেই আমার প্রিন্সেস বেঁচে থাকবে,,,
।
উনার মুখের ওই দুর্বল হাসি আমার হৃদয়টাকে খন্ড বিখন্ড করে দিচ্ছে বারবার।।আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই আজানের ধ্বনি কানে এলো,,,উনি আমাকে বসতে বলে নামাযে চলে গেলেন,,,যাওয়ার সময় একগাদা চিপস,,,চকলেট হাবিজাবি কিনে দিয়ে গেলেন।।।আমি বসে বসে উনার কথায় ভাবছি,,,যে মানুষটাকে আমি জুমার নামায ছাড়া অন্যকোনো সময় নামায পড়তে দেখি নি সে মানুষটা এখন পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে,,তার প্রতিটি দোয়ায় যে আমি মিশে আছি,,তা কেউ বলে না দিলেও আমি জানি।।এইতো সেদিন,,ঘড়িতে দুটো কি তিনটা বাজে,,হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়ায় চোখ মেলে দেখি উনি নামায পড়ছেন আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাদঁছেন,,,উনার কান্নার আওয়াজে নিজেকে বড্ড অপরাধী মনে হয়েছিলো,,,সেই সাথে মনে হয়েছিলো,,,”আমি কতোটা ভাগ্যবতী,,,” উনার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি জানি না,,ফজরের নামাযের সময় আবারোও ঘুম ভেঙে গেলো,,,,কনসিভ করার পর একটা ঝামেলা হয়েছে ঘুম প্রচন্ড বেড়েছে সাথে ঘুমটা হালকাও হয়ে এসেছে,,অল্পতেই ভেঙে যায়।।উনি এখনো নামায পড়ছেন,,,নামায শেষ করে জায়নামাজ গোছিয়ে রেখে আমার দিকে তাকাতেই চোখ বন্ধ করে নিয়েছিলাম,,,থাকুক না কিছু গোপন ভালোবাসা গোপনভাবে,,,সব ভালোবাসার প্রকাশের প্রয়োজন কি আছে? ,উনি আমার পাশে বসে,, আমার শরীরে ফু দিয়ে,,,কপালে গভীর চুমু দিয়ে নিজের সাথে জড়িয়ে নিলেন,,,এটা যে তার প্রতিদিনের কাজ ,,,তা আমি মুহূর্তেই বুঝে গিয়েছিলাম,,,,গাড়ির দরজা খোলার শব্দে ভাবনার জগৎ কাটিয়ে পাশে তাকালাম,,,উনার চোখে মুখে স্নিগ্ধতার ছাপ,,,খুব ইচ্ছে হচ্ছে উনাকে ছুঁয়ে দিতে,,,তাই তাড়াহুড়ো করে বেল্ট খুলে,,সোজা উনার কোলে বসে পড়লাম,,,উনি অবাক চোখে আমায় দেখছেন,,,দেখলে দেখুক তাতে কি??
কি ব্যাপার??কোলে বসলে কেন?নেমে বসো,,,(ভ্রু কুচকে)
।
না নামবো না,,,আমার এখানেই ভালো লাগছে,,,
।
কথাটা বলেই উনার বুকে মাথা রাখলাম,,,উনিও একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আলতো হাতে জড়িয়ে নিলেন আমায়,,,
।
আমি ড্রাইব করবো তো রোদ,,তুমি এভাবে থাকলে কিভাবে হবে???(মাথায় হাত বুলিয়ে)
।
আমি কি জানি??সেটা আপনার ব্যাপার তবে আমি নামছি না ব্যস,,,
।
উনি কিছু বলতে যাবেন তার আগেই ফোন বেজে উঠলো,,,ফোনটা কানে দিতেই উনার মুখটা কালো হয়ে গেলো,,অনেক বলার পর যা শুনলাম তাতে আমার অন্তরাত্মা কেঁপে উঠলো,,,আপুকে হসপিটালে নেওয়া হয়েছে,,ওর লিভার পেইন শুরু হয়েছে,,,কিন্তু ওর ডেলিভারি ডেটের তো আরো দুই মাস বাকি।।। এতো তাড়াতাড়ি পেইন শুরু হওয়ার কারন কি??কোনো অশুভ কিছু হবে না তো?
।
#চলবে,,,