তারে আমি চোখে দেখিনি !! Part- 05
বিছানার উপরে পায়ের উপর পা তুলে অর্ডার করে যাচ্ছে মায়া।আর মাহির মায়ার কথা মতো যা যা চাইছে তাই তাই করছে।কারণ আর কোনো উপায় নেই মাহিরের কাছে।সোহাগের কড়া নির্দেশ মায়া সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত মাহির এক বিন্দুও মায়ার কাছ থেকে সরতে পারবে না।
মায়াঃ এখন গিয়ে আমার জন্য সুপ তৈরী করে নিয়ে আসুন।অসুস্থ অবস্থায় সুপ খেতে হয় জানেন না?
মাহিরঃ তুমি যে কতোটা অসুস্থ তা তুমিও জানো আর আমিও জানি। এখনো সময় আছে তোমার এসব বন্ধ করো।
মায়াঃ আরে থামেন আপনি! একই তো বিয়ে করে জীবনটা শেষ করে দিয়েছেন তার উপর লেকচার দিচ্ছেন?
মাহিরঃ আমি শেষ করেছি তোমার জীবন? নাকি তুমিই আমার জীবনে এতো অশান্তি বয়ে এনেছো?
মায়াঃ দেখুন অতো সতো বুঝি না। আমি আপনার কাছে ডিভোর্স চাই। আর যদি সহজে না দিয়েছেন না তাহলে এইভাবে জ্বালাবো আপনাকে।
মাহিরঃ তোমার কি মনে হয় এইরকম একটা পাগলি মেয়ের সাথে সংসার করার জন্য আমি নাচছি? আমিও তোমাকে ডিভোর্স দিতে চাই।
মায়াঃ ভালোতো তাহলে চলুন আজই ডিভোর্স দিয়ে দেবেন। আমার আর ইচ্ছে করছে না আপনার সাথে এক মুহূর্তও থাকতে। শুধুমাত্র বাবার অসুস্থতার জন্য সোহাগ আংকেলকে বাবার দেওয়া কথা রাখতে বিয়েটা করেছি।নইলে আপনার মতো একটা ছাগলকে কোনো দিন বিয়ে করার কথা আমি স্বপ্নেও ভাবি না।
মাহিরঃ ওই তুমি আমাকে ছাগল বললে?
মায়াঃ বেশ করেছি বলেছি ছাগলকে ছাগল বলবো না’তো কি শাহরুখ খান বলবো? আমিন খান বলবো?
মাহিরঃ তাই? আর তুমি কি? একটা গরু! পাগলি! আরও কি কি আছে যা তোমাকে বলা যায় মনে করতে পারছি না আমি!
মায়াঃ কি বললেন আপনি? আমি গরু? আমি পাগলি? আপনাকে তো আমি…
মাহিরঃ আমাকে তুমি…
মায়াঃ একটা আছাড় দিয়ে পেটের সব নাড়িভুড়ি বের করে দেব।
মাহিরঃ এই কারণেই তোমাকে গরু বলেছি! পাগলি বলেছি! এসব প্যারা আমার কপালে কেন জুটালে আল্লাহ।
মায়াঃ এখন আল্লাহকে ডাকছেন? বিয়ের আগে ভাবেন নি? আর আপনার তো লজ্জা করা উচিৎ একজনকে ভালোবেসে অন্য একজনকে বিয়ে করেন ছিঃ বাজে লোক কোথাকার।
মাহিরঃ আর তুমি বুঝি ধোঁয়া তুলসি পাতা? তখন তো মায়ের মাথায় হাত দিয়ে আমাকে বলিয়েছো, একবার নিজের মাথায় হাত রেখে বলো তো তোমার মনে অন্য কেউ নেই?
মায়াঃ আছে তো একজন! আমার স্বপ্নের নায়ক! যে আমার জীবনের রিয়েল হিরো। তাকে অস্বীকার করা প্রশ্নেই আসে না। তাকে শুধুই ভালোবাসা যায়। যদিও তার কন্ঠটা একটু আপনার সাথে মিলে যায়।কিন্তু সে আপনার মতোন এতো ছেঁচড়া না। তার প্রতিটা কথার শব্দ চয়নে শুধুই আবেগ মেশানো।শুনলে শুধু শুনে যেতে ইচ্ছে করে।মনে হয় যেন সে ভালোবাসার জন্যই সৃস্টি। আর আপনিতো একটা খারাপ লোক। আপনার কথা শুনলেই শরীরের মধ্য জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যায়। অহস্যকর একটা লোক আপনি। তার উপর একসাথে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছেন ছিঃ
মাহিরঃ বাহ নিজের বেলায় কিছু না আর অন্যর বেলায় যতো দোষ!
এমন সময় হঠাৎ করে মাহিরের মোবাইল ফোনের রিংটোন টা বেজে ওঠে।মায়া মোবাইলের স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে দেখে স্নিগ্ধা নামটা।
মায়াঃ ওয়াও স্নিগ্ধা!!! আপনার গালফ্রেন্ডের নাম বুঝি স্নিগ্ধা?
মাহিরঃ হ্যাঁ!
মায়াঃ খুব সুন্দর নাম
মাহিরঃ মানে?
মায়াঃ মানে আমার খুব আফসোস হয় কেন আমার নাম স্নিগ্ধা হলো না।
মাহিরঃ অদ্ভুত! আফসোস হওয়ার কি হলো?
মায়াঃ আসলে আমার প্রিয় মানুষটার এই নামটা খুব পছন্দ।
মাহিরঃ তোমার বয়ফ্রেন্ডের?
মায়াঃ হুমমম।এখন ফোনটা রিসিভ করুন জলদি নইতো কেটে যাবে। রেগে গিয়ে স্নিগ্ধা আপনার সাথে ব্রেকাপ করে দিলে তো আমার জীবনেই ঝুলে থাকতে হবে আপনাকে।
,
,
,
,
,
,
,
,
চলবে,,,,