তারে আমি চোখে দেখিনি

তারে আমি চোখে দেখিনি !! Part- 06

মাহির ফোনটা রিসিভ করে বাইরে গিয়ে কথা বলে,
মাহিরঃ হ্যালো জান!

স্নিগ্ধাঃ রাখও তোমার জান! জলদি হসপিটালে আসো।

মাহিরঃ ইইয়ে মানে.. জান আমিতো আজ ছুটিতে আছি।

স্নিগ্ধাঃ কিসের ছুটি? ওহহ আচ্ছা নতুন বউ ফেলে রেখে আসতে পারতাছো না.. তাই না?

মাহিরঃ না মানে বাড়িতে একটু সমস্যা হয়েছে এই আরকি।

স্নিগ্ধাঃ তো কি হয়েছে? আমি তোমাকে দেখবো।তুমি এক্ষুনি আসবে।কিন্তু কিভাবে আসবে তা আমি জানি না!

মাহিরঃ প্লিজ স্নিগ্ধা বোঝার চেস্টা করো!

স্নিগ্ধাঃ কি বুঝবো তোমাকে আমি? তুমি যদি আর আধ ঘন্টার মধ্যে না এসেছো তাহলে তোমার আমার সম্পর্ক আজ এখানেই শেষ।

কথাটা বলেই ফোনটা কেটে দেয় স্নিগ্ধা।
আর মাহির মন খারাপ করে রুমের ভেতরে আসে।মনে মনে ভাবে চাইলেও এখন হসপিটালে যেতে পারবে না।সোহাগ মামার কড়া নির্দেশ মায়া সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ওর সাথেই থাকতে হবে।কিন্তু যেই মেয়ে অসুস্থ হবার অভিনয় করে তাকে কি আর সুস্থ করা সম্ভব? যদি না সে চাই!!

মায়াঃ তো ডা.মাহির কি কি কথা হলো গালফ্রেন্ডের সাথে?

মাহিরঃ নিশ্চুপ

মায়া উঠে গিয়ে মাহিরের থুথনিটা ধরে বলে,

মায়াঃ আরে বলেন না আমিও একটু শুনে রাখি ভবিষ্যতে কাজে আসবে!

মাহির রেগে গিয়ে মায়ার দুই বাহু চেপে ধরে।
মাহিরঃ কি পেয়েছোটা কি তুমি? সবকিছুতে কি মজা মনে করো? যখন থেকে এসেছো দেখছি একটার পর একটা অশান্তি করেই চলেছো।আজ তোমার জন্য প্রথমবার স্নিগ্ধা আমার উপর রেগে কথা বললো। ও যদি আমার সাথে ব্রেকাপ করে দেয় তাহলে কি হবে?

মায়াঃ কি আর হবে অন্য একটা মেয়ে খুঁজে নিবেন।কথাটা বলে মায়া নিজেকে মাহিরের থেকে ছাড়ানোর চেস্টা করে।আর মাহির মায়াকে আরও জোড়ে শক্ত করে চেপে ধরে।চোখদুটো বড় বড় করে মায়ার দিকে তাকায়,

মাহিরঃ এক্ষুনি নিচে যাবে আর সবার সামনে গিয়ে স্বীকার করবে তুমি সুস্থ।নইলে..

মায়াঃ নইলে কি?

মাহিরঃ নইলে স্নিগ্ধা যদি আমার সাথে ব্রেকাপ করে দেয়, তোমার কপালে দুঃখ আছে।

মাহির কথাটি বলার সাথে সাথেই মায়া নিজের পা’দুটি মাহিরের পায়ের উপরে রেখে হিলের উঁচু পাশটি দিয়ে মাহিরের পায়ে জোড়ে এক দাঁপুনি দেয়।

মাহিরঃ আহ!
ব্যাথা পেয়ে মাহির মেঝেতে বসে পরে। আর মায়া খিলখিল করে হাসতে থাকে। হাসতে হাসতে বলে,

মায়াঃ আমাকে ভয় দেখানো অতো সোজা না।

মাহির পায়ে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে উঠে দাড়ায়,

মাহিরঃ তোমাকে তো আমি দেখে নেবো মায়া।

মায়াঃ এখনই দেখে নিন। কিচ্ছু করতে পারবেন না আমার আপনি। যে নিজের ভালোবাসার কথা মামাকে বলতে ভয় পাই। কাপুরুষের মতো মামার ভয়ে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে নেই তার কাছে কিছু আশা করা যায় না। আপনি নিজের জীবনটাও নষ্ট করেছেন আর আমারও।এর ফলতো আপনাকে ভোগ করতেই হবে।

মাহিরঃ অনেক বলছো কিন্তু তুমি মায়া।

মায়াঃ আপনিও বলুন আপনার মুখ কি বেঁধে রেখেছি আমি?

মাহিরঃ তোমাকে আমি…

মায়াঃ কি???

মাহিরঃ সময়বুঝে এর সব সুদে আসলে ফেরত দেবো।

মায়াঃ দিয়েন। এখন যানতো আপনার গালফ্রেন্ডের রাগ ভাঙান। কথাটা বলেই মায়া ঠেলতে ঠেলতে মাহিরকে রুম থেকে বের করে দেয়।

মাহিরঃ মামাকে কি বলবো?

মায়াঃ সে যাহোক আমি বলে দেব আপনি যান!
,
,
,
,
,
চলবে,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *