তারে আমি চোখে দেখিনি

তারে আমি চোখে দেখিনি !! Part- 03

মিরা দরজা খুলে সোহাগের হাত থেকে ব্যাগটা নিয়ে ঘুরে সোজা হাটা ধরেছে।সোহাগ পেছনের থেকে মিরার হাতটা টেনে ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসে।
মিরাঃ কি করছো ছাড়ও।
মিরা সোহাগের বুকে হাত ঠেকিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেস্টা করে।
সোহাগ মিরার হাতদুটো পেঁছনের দিকে ঘুরিয়ে নাকটা মিরার কাঁধে ঠেকায়,,,
সোহাগঃ কতোদিন দেখিনি বলো তো তোমায়?
মিরাঃ আহা তাই বলে এখানে?
সোহাগঃ হুমম।কতোদিন ছুঁইও নি।
এমন সময়ে সোহাগ খেয়াল করে উপর থেকে রাইসূলের চিৎকার চেচামেচির আওয়াজ আসছে।মনে হচ্ছে মাহিরকে খুব বকছে।

সোহাগঃ এই তোমার ভাইয়ের আবার কি হলো? এভাবে সাতসকালে চিৎকার চেচামেচি কেন করছে?
মিরাঃ এভাবে ধরে রাখলে বলা যায়?
সোহাগ মিরাকে ছেড়ে দেয়।
সোহাগঃ উহফ্ রোমাঞ্চ পরে আগে বলো তো?
মিরা সকালে ঘটে যাওয়া সবকিছু সোহাগকে খুলে বলে।





মাহিরঃ নাহ আর সহ্য করা যায় না।এই মেয়ে সত্যিই খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে।একে তো আমি…
মাহির এগিয়ে গিয়ে মায়ার হাত ধরতেই সোহাগ আর মিরা মাহিরের রুমের দরজার সামনে এসে দাড়ায়।সোহাগ এমন দৃশ্য দেখে মাহিরকে এক ধমক দেয়।
সোহাগঃ মাহিরররর!!!
সোহাগের হঠাৎ এসে এমন ধমকানিতে মাহির কেঁপে ওঠে। পিছনে ঘুরে সোহাগকে দেখে এগিয়ে সোহাগের কাছে গিয়ে দাড়ায়।তারপর সোহাগকে মামা বলে জড়িয়ে ধরতে গেলেই সোহাগ বাঁধা দেয় মাহিরকে।
সোহাগঃ কাছে আসবে না তুমি আমার।তুমি আমার মাকে কস্ট দিয়েছো।
কথাটা বলে মায়ার দিকে এগিয়ে যায় সোহাগ।
দুই হাত জোড় করে মায়ার সামনে বসে বলে,
সোহাগঃ আমাকে তুই ক্ষমা করে দে মা।আমি যানতাম না যে মাহির এতোটা নিচে নেমে গেছে। যানলে কখনোই ওর সাথে বিয়ে দিয়ে এভাবে তোর জীবনটা নস্ট করতাম না।

মায়া সোহাগের হাতদুটো ধরে নামিয়ে দেয়।
মায়াঃ প্লিজ আঙ্কেল এভাবে বলো না।আমার খুব খারাপ লাগে দেখতে।অন্য কারও ভুলের জন্য তুমি কেন ক্ষমা চাইবে? তুমি তো কোনো অন্যায় করো নি।যে অন্যায় করেছে সে ক্ষমা চাইবে।

মাহিরঃ মোটেও না যখন আমি কোনো অন্যায় করিই নি তখন ক্ষমা কেন চাইবো?
রাইসূলঃ বউমা যখন বলছে তখন তুই ক্ষমা চাইবি।
মাহিরঃ বাবাহ!
রাইসূলঃ কিসের বাবাহ,, যা গিয়ে ছরি বল।
মাহির না চাইলেও নিরুপায় হয়ে মায়ার সামনে দাড়িয়ে ছরি বলেছে।
রাইসূলঃ বউমার কোমড়ে আর পায়ে হয়তো খুব আঘাত পেয়েছে এবার যা বিছানায় শুইয়ে দিয়ে চেকাপ কর!
মাহিরঃ তুমি করো বাবা আমি পারবো না।
রাইসূলঃ আবার মুখে মুখে কথা?
রাইসূলের চোখের দিকে তাকিয়ে মাহির ভয়ে আর কিছু না বলে মায়াকে উঠিয়ে বিছানায় নিয়ে শুইয়ে দেয়।

মাহির মায়াকে চেকাপ করতে এসে মায়ার কোমড়ে হাত দিয়ে প্রচন্ড জোড়ে একটা চিমটি কাটে।সে এমন চিমটি কেটেছে যে ছাড়েই না।মায়া আহ,,উহ,, বলে আস্তে আস্তে গুন গুন করে।না পেরে চিৎকার করে বলে ওঠে,
মায়াঃ উরেম্মা কি ব্যাথা….মরে গেলাম! মরে গেলাম!
বলেই এক লাফে কোমড় ডলতে ডলতে বিছানা ছেড়ে উঠে দাড়ায়।
মায়াঃ কেমন ডাক্তার এই লোকটা? এভাবে মানুষের চিকিৎসা করে? দিলো তো সুস্থ কোমড়টা অবাস করে!
কথাটা বলেই মায়া জ্বীব কামড়ে ধরে।মনে মনে বলে, যাহ ধরা খেয়ে গেলাম?

মাহিরঃ দেখেছো বাবা,,এক চেকাপে কেমন পা, কোমড় সব ঠিক হয়ে গেলো? তোমার বউমার খেলা দেখও।
মায়াঃ আসলে আমি..
মায়া আমতা..আমতা করতে থাকে।
মাহিরঃ তুমি…আসলে তুমি.. কি? একটা মিথ্যাবাদী, খারাপ অভিনেত্রী তুমি।
সকলের দিকে তাকিয়ে বলে মাহির,
দেখেছো তোমরা? আমি কিছুই করি নি।একদম নির্দোষ আমি।এই মেয়েটা অন্য কাউকে ভালোবাসে বলে এসব নাটক করছে।কালতো আমাকে ডিভোর্সের কথাও বলেছিলো।এমনকি কাল সারারাত আমি বেলকনিতে এই শীতে ঘুমিয়েছি।একটু মায়াও দেখাই নি।অনেক বার ডেকেছি দরজাটা খুলে নি পর্যন্ত।
,
,
চলবে,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *