ঘৃণার মেরিন Season 2 !! Part- 05
দাউদাউ করে আগুন
জ্বলতে লাগলো। নীড় তো অবাক।
নীড় : এই মেয়ে কি করছো কি?
মেরিন : বসে আছি নিজের চিতায়….
দেখতে পারছেন না…
নীড় : দেখি হাত দাও…
মেরিন বসে রইলো। নীড় বেডে যেতে নিলো। কিন্তু পারলোনা।
নীড় দরজা খুলতে গেলে পারছেনা…. সব লকড। এমনকি washroom এরও…
.
নীড় : মেরিন বেরিয়ে আসো…. আগুন কিন্তু ছরিয়ে যাবে…. হাত দাও…
মেরিনের কোন হেলদোল নেই। নীড় ১টানে ১টা পর্দা নিলো। এরপর সেটা নিয়ে ঝাপ দিলো বেডে….
মেরিন : আমার সাথে আগুনে পুরতে চান?
নীড় : দেখি এটা গায়ে পেচিয়ে নাও। …..
মেরিন : আগে বলুন আপনার বুকে ঘুমাতে দিবেন?
নীড় : r u mad?
মেরিন : হামমম। only for you….
নীড় : দেখো তোমার শাড়িতেও কিন্তু alcohol …..
আগুনে ধরে যাবে….
মেরিন :যাক…
নীড় : আগুনে পুরে যাবে যে….
মেরিন : বন্যা কখনো আগুনে পুরেনা…
নীড় মেরিনকে ওঠানোর চেষ্টা করলো।
নীড় : এতো শক্ত হয়ে ১টা মেয়ে মানুষ কিভাবে বসে থাকতে পারে….
মেরিন : যেভাবে আমি আছি….
নীড় : ওঠো….
মেরিন : আগে বলুন তবে বুকে নিয়ে ঘুমাবেন….. আজকে আর আগামী সবরাতে….
নীড় : ….
মেরিন : বলুন…
নীড় : ok…
মেরিন : promise ?
নীড় : promise ….
মেরিন : god promise ?
নীড়: god promise ….
সাথে সাথে মেরিন নীড়কে জরিয়ে ধরলো।
নীড়: দেখি বের হতে হবে এখান থেকে…
কোনো রকমে আগুন নেভানো হলো। মেরিন নীড়ের বুকে মাথা রেখে ঘুমালো।
.
পরদিন…
মেরিনের ঘুম ভাঙলো। মেরিন নীড়ের ঠোটে ১টা ডিপ কিস করে উঠে গেলো। নিহাল বাগানে বসে আছে। কপালে হাত দিয়ে। তখন দেখলো ওর সামনে ১টা কাপ এলো। চায়ের না। তবে কিছু ১টা আছে। নিহাল তাকিয়ে দেখলো মেরিন দারিয়ে আছে।
মেরিন : এটা খেয়ে নাও বাবা…
নিহাল : খবরদার আমাকে বাবা ডাকবেনা। তোমার অধিকার নেই আমাকে বাবা ডাকার…
মেরিন: মেরিনকে অধিকার দেয়ার ক্ষমতা কারো নেই। এখন এটা খেয়ে নাও। গলার ব্যাথাটা কমবে….
নিহাল : shut up…
বলেই নিহাল চলে যেতে নিলো।
মেরিন : আমি যখন বলেছি যে তুমি এটা খাবে তখন যদি এটা আমার তোমাকে খাওয়াতে হয় তাহলে
কিন্তু ব্যাপারটা ভালো হবেনা…. আর আমি জানি তোমার গলায় যথেষ্ট ব্যাথা আছে।
নিহাল : তোমার হুমকি তে ভয় পাইনা…
মেরিন : শেষ বারের মতো বলছি খাবে কি খাবেনা?
নিহাল জানে এই মেয়ে কে দিয়ে বিশ্বাস নেই। তাই খেয়ে নিলো।
বিকালে…
নীরা : তুই এটা ঠিক করিসনি…. তুই আমার শিকার কেরে নিয়েছিস…..
মেরিন : শিকার? যদি নীড় তোর এই রূপটা দেখতে পারবে সেদিন আমাকে আর কষ্ট করে তোর সর্বনাশ করতে হবেনা…. নীড়ই করবে। শুধু ১টা প্রমান …. এরপর তোর কপালে কি আছে তুই কল্পনাও করতে পারবিনা….
নীরা : তুই খুজেও কোনো প্রমান পাবিনা । আর প্রমান পেলেও নীড় তোর কথা বিশ্বাস করবেনা। আর রইলো আমার কথা…. আমাকে তো তুই ছুতেও পারবিনা…. আমার চতুর্দিকে কবির ফয়সাল খান নামের protection দেয়াল আছে। আমার মামা….
মেরিন : তোর মামা নামের দেয়ালকে আমি তোয়াক্কা করি নাকি? দেয়ালটাকে ধুলো বানাতে আমার মুহুর্তও লাগবেনা।
নীরা : এই জেলে আমাকে কতোদিন বন্ধ করে রাখবি?
মেরিন :কসম আল্লাহর আমি চাইনা তোকে এই জেলে বন্দী রাখতে। আমি তো চাই তোকে আমার বানানো জেলে রাখতে। যেখানে জেইলার আমি, জজ আমি, ব্যারিস্টার আমি, জল্লাদ আমি, আইনও আমি….
তবে আমি তোকে আমার জেলে নিলে তোর career, তোর future কিছুই ধংব্স করতে পারবোনা। তোকে জানে মারতে পারবো। কষ্ট দিতে পারবো। কিন্তু সেটা আমি করবোনা…. তোকে just জানে মারলে আমার কলিজা জুরাবে না….
কদিন জেলের হাওয়া খা। জেলে থেকে তাও ৩বেলা খাবার পাবি। বের হলে god knows….
জেলে থেকে বের হওয়ার সময় জেইলারকে বলে গেলো নীরার জীবন অতিষ্ট করে দিতে।
মেরিন বাসায় ফিরে দেখে নিহাল-নীড় কি যেন বলাবলি করছে। ওকে দেখে থেমে গেলো।
মেরিন : planning plotting চলছিলো বুঝি?
নীড় : তোমার জন্য কি কথা বলাও যাবেনা। ?
.
রাতে….
নীড় বারান্দায় বসে আছে। তখন ওর সামনে ১টা খাবারের প্লেট এলো।
নীড় : now what? মেরিন আমাকে খাইয়ে দিননা…. সকাল থেকে না কিছু খাইনি….
নীড় : তো আমি কি করবো?
মেরিন: ভীষন ক্ষুধা পেয়েছে।
নীড়: তোমার হাত কি নষ্ট হয়ে গেছে নাকি?
মেরিন : উহু… আপনার হাতে খাবো।
নীড় : পারবোনা।
মেরিন :না খেলে মরে গেলে আপনাকে ভালোবাসবে কে?
নীড় : যত্তোসব…. তুমি মরে গেলে আমি শান্তি পাবো।
মেরিন : আপনি কোনো কথাই ঠিক মতো শোনেন না…. খালি আমাকে রাগান…. আজকে এখন আমার সারাবাড়িতে আগুন লাগানোর ইচ্ছ নেই।
নীড় আর কোনো কথা না বারিয়ে মেরিনকে চুপচাপ খাইয়ে দিলো।
পরদিন….
নীড়-মেরিন খান বাড়িতে গেলো। কেবল দরজা দিয়ে ঢুকবে তখন কবির
বলল : ওখানেই দারাও… এই খান বাড়িতে ঢোকার কোনো অধিকার নেই… বের হও এখান থেকে।
কথাটা শুনে মেরিন বাকা হাসি দিলো। এরপর নীড়ের হাত ধরে ভেতরে ঢুকলো।
দাদুভাই : দিদিভাই চ….
মেরিন হাত দিয়ে থামিয়ে দিলো। এরপর কবিরের সামনে গেলো।
মেরিন :১দিন বাড়িতে নেই এতো দেখি টিকটিকি ১লাফে সিংহ uffs ডাইনোসর হয়ে গেছে। তো কি বলছিলেন আপনি? আপনি আমাকে এ বাড়িতে ঢুকতে না করছিলেন…. আমার এ বাড়িতে ঢোকার অধিকার নেই?
কবির : না….
মেরিন : আপনার আছে?
কবির : আমার কথা বলছো? আমি কবির ফয়সাল খান।
মেরিন : তো আমি কি অন্য কেউ? আর অন্যকেউ হলেও এই বাড়িতে না ঢুকতে পারার কারন ?
কবির : কারন এই খান বাড়িটার আমি শুদ্ধিকরন করেছি। যেটা কনিকার পা পরে অপবিত্র হয়েছিলো। তুমি যাওয়ার পর পবিত্র করেছি। আর তুমি খান নও। তুমি কারো পাপের ফসল….
বলতে না বলতেই দাদুভাই কবিরকে ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো।
.
দাদুভাই: দিদিভাইয়ের খবর জানিনা…. তবে তুই নিশ্চয়ই আমার সন্তান হতে পারিস না। আর দিদিভাইয়ের এ বাসায় ঢোকার অধিকার আছে কিনা জানিনা তোমার অধিকার নিয়ে সন্দেহ আছে। এই খান সম্রাজ্ঞের একচ্ছত্র অধিকারীনি…. আর তুমি কেবল ওর servant…. got it? চলো দিদিভাই আর দাদুভাই….
কবির : বাবা…. আমাকে থাপ্পর মারলে সত্যিটা মিথ্যা হয়ে যাবেনা। ওই মেয়েটার জন্য আমার বাবুই পাখিটা আজকে….
দাদুভাই তাচ্ছিল্যের সুরে
বলল: তুমি আসলেই শ্রেষ্ঠ বাবা কবির…. চলো।
মেরিন : দারাও দাদুভাই… এই কবির ফয়সাল খান তো আমার servant… তাইনা… তাহলে এর শরীরে এমন দামী পোশাক কি করে মানায়? আর রাজার হালেই বা চলে কিভাবে। সব তো আমার টাকার ফুটানি। আমি আবার অপচয় পছন্দ করিনা। বসে বসে অনেক অন্নধংব্স করেছেন মিস্টার কবির…. কালকে থেকে একটু খেটে খাবেন। এখন কি কাজ করবেন সেটা আপনি decide করুন। রান্নার কাজ, মালির কাজ, driver এর কাজ, নাকি ঝাড়ুদারের কাজ।
কবির : তুমি ভাবলে কি করে যে আমি তোমার order follow করবো?
মেরিন : আপনি follow করবেন না আমি করাবো। চলো দাদুভাই…. i am too much tired….
রাতে…
নীড় বিরক্ত হচ্ছে। কারন মেরিন ওকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জরিয়ে ধরে রেখেছে। কিন্তু গত ২দিনের মতো আজকে কোনো কথা বলল না।
নীড় : আচ্ছা এভাবে ঘুমানো যায়? নরতে পর্যন্ত কষ্ট হয়….
মেরিন কিছু না বলে চুপচাপ নীড়ের ওপর থেকে নেমে বেডে শুয়ে নীড়ের বুকে কেবল মাথাটা রাখলো। নীড় খানিকটা অবাক হলো। কিন্তু কিছু বললনা।
.
সকালে….
খাবার টেবিলে….
মেরিন এসে বসলো । তখন দেখলো।। সেতু খাবার বেরে দিচ্ছে। আর মেরিনের প্লেটেও খাবার বারছে।
মেরিন : এতো দেখি অরন্যে রোদন… very impressive ….
সেতু : impress হওয়ার কিছু নেই । আমি সব মানতে পারি কিন্তু আমার ভাইয়ার কষ্ট না।
মেরিন : আহারে আমার চোখে পানি চলে এলো। আপনি কতোটা মহান….
সেতু মেরিনকে চা দিলো।
মেরিন কিছুনা বলে সেই গরম চায়ে সেতুর আঙ্গুল চুবিয়ে দিলো।
সেতু : আহ…
নীড় : তুমি কি পাগল?
মেরিন : not now… only for you….
বলেই সেতুর চুলের মুঠি ধরে টেবিলের সাথে চেপে ধরলো।
মেরিন : আমাকে কি তোর ভাইয়ের মতো অন্ধ মনে করিস? হ্যা? ঘাষে মুখ দিয়ে চলি আমি? তুই আমার খাবারে drugs মিশিয়ে আমাকে নিথর পাথর বানানোর plan করবি আর আমি জানবোও না…. এখন এগুলো তুই গিলবি…. তাও কুকুরের মতো।
.
নীড় : মেরিন কি করছো কি ? ছারো আন্টিকে….
মেরিন কোন জবাব না দিয়ে খাবার গুলো সেতুর মুখে ঢোকাতে লাগলো। কোন রকমে নীড় আর কবির মেরিনকে থামালো।
সেতু ছারা পেয়ে washroom এ গিয়ে ইচ্ছা করে বমি করলো। কারন ওগুলো ওর পেটে গেলে ওর brain কাজ করা বন্ধ করে দিবে। যার ফলে ওর বডিও আর balanced রাখতে পারবেনা। প্যারালাইজড হয়ে যাবে।
বিকালে নীড়-মেরিন আবার চৌধুরী বাড়িতে পৌছালো।
২দিনপর…
নীড় ready হয়ে গাড়ির কাছে গেলো। দেখলো মেরিন আগে থেকেই গাড়িতে বসে আছে। সাদা রঙের ১টা টপস। চোখে চশমা, চুলগুলো খোলা। মেরিনের প্রতিটা get upই perfect office going ladyএর মতো।
নীড় : আমার গাড়িতে বসার কারন?
মেরিন : আপনি নিজেই আমার তাই আপনার সব কিছুই আমার। so…
নীড় : 😠।
মেরিন : বসুন। লেট হয়ে যাচ্ছে।
নীড় বিরক্তি নিয়ে বসলো । ২জন office পৌছালো।
.
কিছুদিন পর…
এই কদিনে মেরিনের পাগলামো ভালোবাসায় নীড় just অতিষ্ট হয়ে গেছে। ২জন office থেকে বাসায় ফিরছে । নীড় drive করছে। আর মেরিন তো নীড়কে দেখায় ব্যাস্ত। হঠাৎ নীড় break মারলো। মেরিনের ধ্যান ভাঙলো।
মেরিন : কি হলো?
নীড় : ফুচকা… 😋.
মেরিন : ফুচকা? আপনি এগুলো খাবেন? its tacky….
নীড় : shut up….
বলেই নীড় দৌড়ে ফুচকার দোকানে গেলো। মেরিনও নীড়ের পিছে গেলো। নীড় বাচ্চাদের মতো করে ফুচকা খেতে লাগলো। আর মেরিন দেখতে লাগলো। নীড়কে খেতে দেখে মেরিনেরও খেতে ইচ্ছা করলো। নীড় আরেকটা ফুচকা মুখে দিতে নিলে মেরিন ওর হাত নিয়ে নিজের মুখে ফুচকা টা ঢুকিয়ে নিলো।
নীড় : এটা কি করলা?
মেরিন: yummy….
নীড় : খুব তো বলেছিলে যে its taccy … yuck….
মেরিন: আমি কি জানতাম নাকি এমন হবে?
নীড় : এখন তো জানলে।
২জন মন ভরে ফুচকা খেয়ে গাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তখন হঠাৎ ১টা ক্রিকেট বল এসে নীড়ের কপালে লাগলো।
নীড় কপালে হাত দিয়ে
বলল : ouch…
নীড়ের কপাল লাল হয়ে গেলো।
মেরিন : নীড়….
মেরিন দৌড়ে গিয়ে পানি এনে নীড়ের মাথায় পানি দিয়ে দিলো।
নীড়ের মাথায় পানি দিতে দিতে ১টা ছেলে এসে
বলল : এই যে মিস বলটা দিন…
মেরিন চোখটা লাল করে ওর দিকে তাকালো।
ছেলেটা: ওহ বাবা… এর তো দেখি রুপে না চোখেও আগুন….
নীড় : ১টা থাপ্পর দিবো। মেয়েদের সম্মান দিয়ে কথা বলতে শিখোনি?
ছেলেটা: না গো uncle …. uncle হয়ে বেশি react করবেন না। না হলে পুরো মাথাই ফাট…
আর বলতে পারলোনা। মেরিন বলটা এমন জোরে ছেলেটার মুখ বরাবর মারলো যে ছেলেটা ধপাস করে পরে গেলো। আর মুখ দিয়ে গলগল করে রক্ত পরতে লাগলো।
মেরিন বলটা হাতে নিয়ে মাঠে গেলো।
বলল :বলটা তখন কে হিট করেছিলো?
.
চলবে….