বস বয়ফ্রেন্ড Season 2

বস বয়ফ্রেন্ড Season 2 ! পর্ব- ১৩

সিয়াম-what are u doing??? just leave her hand.
damn it.just leave? her.
.
মেঘ : আমাকে শিখাতে হবেনা। আমি শুধু অকে
নিয়ে যেতে এসেছি।

তারা : সিয়াম তুই যা। উনি এখন কার কথা শুনবেনা।
চলুন আপনি।

মেঘ : বাসায় চলে আসলাম অকে নিয়ে।
টানতে টানতে অকে আমার ঘরে নিয়ে ফেললাম।
রুমের দরজা বন্ধ করে ফেললাম।

তারা : কি করছেন আপনি??
এটা ঠিক হচ্ছেনা।
আপনার কি হয়েছে।
এত রেগে থাকার কারন কি? ?
আমি কি কিছু ভুল করেছি।
আমাকে বুঝিয়ে বলুন।
প্লিজ এইভাবে আমার সামনে এগিয়ে আসবেন্না।।

মেঘ : শক্ত করে অকে দেওয়ালের সাথে
আটকে ধরলাম।

তারা : ছাড়ুন আমাকে।
ধরবেন না আমাকে ছাড়ুন।
(চিতকার করে)

মেঘ : অহহ আমি কাছে এলেই সমস্যা। ধরলেই
সমস্যা। আর সিয়াম ধরলে কনো সমস্যা নেই।

তারা : কি বলছেন কি আপনি??
কি সব বলছেন।
বাজে কথা বন্ধ করুন।

মেঘ : আমি বাজে কথা বলছি ( চিতকার করে)

তারা – আপনি আমাকে ব্যথা দিচ্ছেন।
।ছাড়ুন।

মেঘ : আমি যে ব্যথা পাচ্ছি সেটা? ?

তারা : কি বলছেন। কিসের ব্যথা।

মেঘ : কিছুই বুঝতে পারছনা।

তারা: u r hurting me. please leave me.
.
বলে উনাকে সরিয়ে চলে যেতে নিচ্ছিলাম।

মেঘ : আমার আরো রাগ হচ্ছে আমি অর সাথে কথা
বলছি আর অ চলে যাচ্ছে।
টেনে ধরলাম অর হাত।
ওকে নিয়ে বিছানায় পরলাম।
পাগলের মত অকে চুমু দিতে লাগলাম।

তারা : সব শক্তি দিয়ে উনাকে বাধা দেওয়ার চেস্টা
করছিলাম পারছিলাম্না।

মেঘ : কখনও গলাতে কখনো ঠোট এ কখনো
ঘাড়ে চুমু দিচ্ছিলাম কখনো কামোড় দিচ্ছিলাম।
।নিজের মধে্্য ছিলাম না আমি।
তারা চিতকার করে) ছাড়ুন আমাকে কেঁদে।

মেঘ : অর চোখে পানি দেখে অকে ছেড়ে
দিলাম।

তারা : দৌড় দিয়ে নিজের ঘরে গেলাম।

ঘরের এক কোনে গুটি সুটি হয়ে বসে পরলাম।
খুব কান্না করছিলাম।

মেঘ : আমি কি মানুষ? ?
কি করলাম কি আমি।
যাকে ভালবাসি তার সাথে……
ঘরের সব ভেংগে ফেলছিলাম।

তারা : উপর থেকে ভাংচুর এর শব্দ পাচ্ছি।
ভয়ে কানে হাত দিয়ে বসে আছি।

ভয়ে কাপছি।

রনি : স্যার স্যার কি করছেন।
ছাড়ুন এইসব।

রুমি : স্যার কি হয়েছে আপনার।
আপনার হাত অনেক খানি কেটে গেছে।

সুমি তারা ম্যাম কে ডেকে আন।

সুমি : ম্যাম ম্যাম।
স্যারের খুব খারাপ অবস্থা উনার হাত কেটে গেছে
খুব রক্ত পরছে।
এইভাবে চললে উনার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে
চলুন আপনি।

তারা : এই কথা শুনে আমি উঠে দাড়ালাম।
দ্রুত উপরে গেলাম।
দেখলাম রনি উমাকে থামাতে পারছে না।
রক্তে ঘর ভেসে যাচ্ছে।

থামুন( চিতকার করে)।
দেখলাম উনি থেমেছেন।
রনি ডাক্তার আংকেল কে ফোন দেও।

আমি দ্রুত গিয়ে উনার হাত কাপড় দিয়ে পেচিয়ে
ধরলাম।

তার পর ব্যান্ডেজ করলাম। সামান্য রক্ত পরা
কমেছে।

উনি খাটের উপর বস্র আছে।
আমি উনার সামনে নিচে বসলাম।
চোখ দিয়ে আমি প্প্রছে আমার।
শুধু উনার হাতের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।

মেঘ – খুব কস্ট হচ্ছিল কথা বলতে তাও মিন মিন
করে বললাম -i… im…….im…so…sor….sorry
….ta……ra…মাফ করে….দে……দেও।

আম……আমি……ভা……ভাল…..

তারা : উনার দিকে তাকিয়ে দেখি উনি বেহুশ হয়ে
গেছেন।
।( চিতকার করে) মেঘঘঘঘ।

রনি রনি।

রনি আংকেল কে নিয়ে ঢুকলেন।

উনার সব চিকিৎসা বাসায় করলেন।
কারন হাসপাতাল এ নিলে সমস্যা হতে পারে।

আংকেল সব বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেলেন।
আমি সারারাত বসে ছিলাম উনার পাশে।
ঘুমহীন চোখে।
২চোখের পাতা এক করতে পারিনি আমি।

মেঘ : সকালে ঘুম ভাংল।
জানালা দিয়ে সুর্যের আলো চোখে এসে
পরতেই
তাকিয়ে দেখি তারা খাটের নিচে পাশে বসে মাথা
খাটে রেখে ঘুমাচ্ছে।

খেয়াল করে দেখলাম মেয়েটার হাতে অসং্খ
নখের আঁচড়ের দাগ।
ছিহ কি করেছি মেয়েটার অবস্থা।
হাত ধরতেই তারা জেগে উঠল।

তারা : উনার দিকে তাকালাম।
উনি আমার হাত ছেড়ে দিলেন।

আপনি কিছু খাবেন।
মেঘ : ওর চোখে ঘৃণা থাকার কথা কিন্তু সেখানে
আমি ঘৃণার ‘ঘ’ টাও খুজে পাচ্ছিনা।
কেনো? ??

মেঘ : জানালার দিকে মুখ ফিরিয়ে।
তারা তুমি আমাকে মেরে ফেল।
আমি একটা জানোয়ার।
আমি খুব খারাপ।
আমি রাতে যা করেছি তোমার সাথে তার পরও তুমি
আমার খেয়াল রাখছ।
আমি এটা deserve করিনা তারা।
মেরে ফেল আমাকে।
আমাকে মাফ করোনা তুমি।

তারা : উনি কান্না করছিলেন।
উনার কান্না আমার ভাল লাগছিল না।
বিছানায় উঠে উনাকে বুকের মাঝে জরিয়ে ধরলাম।
আমি বুঝতে পেরেছি শত অপমানের পরও আমি
এখানে পরে আছি কারন আমি তাকে ভালবাসি।
আমরা মেয়েরা এমন ই যাকে ভালবাসি সে যত
অপমান ই করুক না কেন আমরা তার কাছেই পরে
থাকি।
সে আমাদের মেরে ফেললেও উহ পর্যন্ত
করিনা।
হ্যা ভালবাসি।
এই জানোয়ার কে আমি ভালবাসি।

চেয়ে দেখলাম উনি আবার ঘুমিয়ে
গেছেন।
উনাকে শুইয়ে দিলাম।

মাথায় কিছুক্ষন হাত বুলিয়ে দিলাম।

উঠে গেলাম রান্নাঘরে।
রুমি রান্না করেছে।
সেগুলা নিয়ে গেলাম তার ঘরে।
আস্তে আস্তে ডাক দিচ্ছিলাম।
উনি আস্তে আস্তে চোখ খুলছিলেন।

মেঘ : ঝাপ্সা ঝাপ্সা দেখছিলাম।
তারাকে দেখতে পাচ্ছি।
তারার হাত ধরে- তারা আমাকে মাফ করে দেও।
তুমি ভুল বুঝ না।

তারা : আপনি strees নিয়েন না।
আমি এখানেই আছি।
আপনি আস্তে আস্তে উঠুন।
উনাকে ধরে ওয়াশ রুমে নিয়ে গেলাম।
উনাকে ফ্রেশ করিয়ে দিলাম।
বসুন এখানে।
নিন স্যুপ টা খেয়ে নিন।
স্যুপ টা খাইয়ে দিলাম।
তাকে শুইয়ে দিয়ে নিচে আসলাম।

রুমি : ম্যাম কোথায় যাচ্ছেন।

তারা : আমি অফিস থেকে একটু ঘুরে আসি।

উনাকে দেখে রেখ।

অফিসে -.

ইরা ; কিরে তারা তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন? .
আর স্যার কই?

আর এত দেরি করে আসলি কেন?

তারা : ইরা শুন উনি হয়ত কিছু দিন আসতে পারবেন না।
আমিও কিছু দিন আসতে পারবনা।
তুই একটু অফিসের খবরা খবর আমাকে দিস।
আর মিশু আংকেল কে আমি সব বুঝিয়ে বলে যাচ্ছি।

ইরা – তারা আমার দিকে তাকা।

তারা – বল।

ইরা : আয় আমার সাথে। হাত ধরে তারাকে ওয়াশ রুমে
নিয়ে এলাম।
তোর এই অবস্থা কেন?
এই সব কি? ?
এইসব দাগ কি করে হল।

তারা : না না কিছুনা।

ইরা : শুন আমার চোখ আছে।
আমি দেখছি।
তাড়াতাড়ি বল।

তারা : সব খুলে বললাম।

ইরা- ছি ছি উনি এই কাজ করেছেন।
ছি ভাবতেও খারাপ লাগছে।
কিন্ত তারা আমার কি মনে হয় উনি সিয়াম কে তোর
সাথে দেখে সহ্য করতে পারেনি।
তাই এমন করেছে।
না হলে আমি আর অন্য কিছু দেখছিনা এমন করার।
আর সবচেয়ে বড় কথা উনি তোকে ভালবাসেই
বলে সিয়াম কে সহ্য করতে পারছেনা।উনি শুধু
মানে তোর উপর তার অধিকার আর কারো নয়।
তুই ভেবে চিন্তে দেখ।
আর বাড়ি যা।

তারা : হুম।
বাইরে বের হচ্ছিলাম তখনি রুমির ফোন এল।

হ্যালো।

রুমি : ম্যাম স্যার উঠে আপনাকে দেখতে না
পেরে আবার হইচই শুরু করে দিয়েছে। জলদি
আসুন।

তারা : জলদি বাসায় গেলাম।
কি করছেন আবার রনি রুমি তোমরা যাও আমি দেখছি।

মেঘ :তুমি কই ছিলা তারাকে জরিয়ে ধরে।

তারা : আপনি শান’ত হন।
আমি এইখানেই আছি

বসুন ।
রেস্ট নিন।
হাত ধরে রেখেছে। ছাড়ছেই না।
ঘুমিয়ে গেছে।
হাত সরাতে চাচ্ছিলাম কিন্তু থাক উঠে যেতে পারে।
আমি বসে ছিলাম উনার পাশে।
কখন উনার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরলাম জানিনা।
উঠে দেখি উনি নেই। আরে উনি আবার কই
গেছেন।

রুমি রুমি!?

আরে কারো কোন সাড়া শব্দ নেই কেন?

রুমি : ম্যাম স্যার কে খুঁজছেন?

তারা : হুম।

রুমি ; ছাদে গেছেন।

তারা : ছাদে গেলাম।
উনি বসে আছেন।
সন্ধায় ছাদে কি করেন।

মেঘ : তারা আমার পাশে বসবে।

তারা – আমি তার পাশে বসলাম।

মেঘ : আমি খুব খারাপ তাইনা?

তারা – না মানে

মেঘ – আসলে ছোট বেলা থেকেই আমার রাগ
একটু বেশি।
যা চেয়েছি তাই পেয়েছি।
বাবা কিছুরি অভাব রাখেনি।
তাই আমিও এমন হয়ে গেছি।
জেদি। রাগি।
নিজের ইচ্ছামত চলি।
তারা আজ থেকে তুমি যা ইচ্ছা করো।
আমাকে আর তোমার দেখতে হবেনা।
আমি তোমার উপর আর ….. আসলে তোমাকে র
কস্ট দিতে চাইনা।
আমি রাতে যা করেছি….. পারলে মাফ করে দিও।
উঠে চলে আসলাম।

তারা : আমি খুশি হব না কাদব কি করব বুঝতে পারছিনা।
উনি কি আমাকে উনার থেকে আলাদা করে দিতে
চাচ্ছেন।
আমি উনার দেওয়া কস্ট সহ্য করে নিতে পারব কিন্তু
উনাকে ছাড়া থাকা সম্ভব নয়।
আমি দৌড়ে গেলাম উনার রুমে।

উনার গেঞ্জি ধরে – কি বলতে চান আপনি??
দেখুন আপনার দায়িত্ব আমাকে দিয়ে গেছে
আপনার বাবা।
আমি সেটা পালন করে যাব। আপনি না চাইলেও।
তাই আপনি এইসব কথা মাথা থেকে ঝেরে ফেলুন।
আমি খাবার আনছি খেয়ে ঘুমিয়ে পরুন।

মেঘ – (মেয়েটা এখন আমার কাছেই পরে
থাকতে চায়??
এত কস্টেরর পরেও।
কেন তারা কেন??
তুমি কেন এত ভাল।
তুমি কি আমাকে ভালবাসো??
তাহলে একবার মুখ ফুটে বল।
আমি তোমাকে রানি করে রাখব।
শুধু একবার বল।)

তারা ; কি ভাবছেন?

মেঘ : নাহ কিছুনা।

তারা : নিন খেয়ে নিন।
অহ আপনার তো হাত কাটা।
আমি খাইয়ে দেই।
নিন।

মেঘ – চুপচাপ খেয়ে নিলাম।
তারা তুমি রুমে চলে যাও।
তারা : না আমি এখানে থাকব।
আপনার সমস্যা?

মেঘ : না থাক।

সকালে –

মেঘ : উঠে দেখি তারা আজ ও আমার বুকে ঘুমিয়ে
আছে।
অকে বালিশে শুইয়ে দিলাম।
উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম

আজ ৫ দিন পর একটু সুস্থ লাগছে ভাবছি অফিসে যাব।
রেডি হচ্ছিলাম।
হাতের ব্যথাও কম।

তারা : উঠে দেখি উনি শার্ট পরছেন উনার কাছে
গেলাম।
কি করছেন।

মেঘ – অফিস যাব রেডি হচ্ছি।

তারা – না যাবেন না।
আমি মানা করছি তাই যাবেন না।
খুলুন শার্ট খুলুন।

মেঘ : কি করছ তারা।

তারা : কি আবার শার্ট খুলে দিচ্ছি।

মেঘ : আমার আর বাসায় থাকতে ভাল লাগছেনা।
প্লিজ তারা।

তারা : অকে।
যান আমিও যাচ্ছি সাথে।
শার্ট এর বোতাম গুলা লাগিয়ে দিলাম।
টাই বেধে দিলাম।
নিচে যান। নাস্তা করুন
আমিও রেডি হয়ে আসি।

মেঘ : হুম।
।মেয়েটা কি যত্ন করে আমাকে ভাবাই যায়না।

চলবে
.
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *