ঘৃণার মেরিন Season 2 !! Part- 02
নীড় : you…?🤬.
মেরিন : any doubt ?
নীড় : তোমার সাহস কি করে হয় আমার office এ ঢোকার ? আমার কেবিনে ঢোকার?
মেরিন: মেরিন বন্যা খানের সাহস পরিমাপ করা যায় বা করতে পারে এমন কোনো যন্ত্র বা ব্যাক্তি কিছুই নেই। আমার স্রষ্টাই একমাত্র আমার নিয়ন্ত্রক। by the way… এখন তো কেবল আপনার office কেবিনে ঢুকেছি।
বলেই মেরিন নীড়ের সামনে এসে দারালো।
মেরিন : খুব শীঘ্রই এখানো ঢুকবো।
( নীড়ের বুকে আঙ্গুল রেখে। )
নীড় ঝারা দিয়ে মেরিনের হাত সরিয়ে দিলো। এতে মেরিনের হাত টেবিলের সাথে লেগে কেটে গেলো।
মেরিন : ও মা … এতো রাগ? জায়েজ আছে। মেরিন বন্যা খানের ভালোবাসার রাগ থাকবে না সেটা কি হয়?
একে তো মেরিন সামনে আসাতে নীড় heart লাফাতে লাফাতে বেরিয়ে আসার উপক্রম। তার ওপর মেরিনের এমন তরো কথা। নীড়ের মেজাজ গরম হতে আর কি লাগে?
নীড় : shut up just shut up… get out from my cabin & office …
কথাটা শুনে মেরিন হাহা করে হাসতে লাগলো।
মেরিন : জান…. আপনি আপনার বাবার কাছে যান। সব বুঝতে পারবেন। তো মিস্টার জান… যান।
নীড় রেগে নিহালের কাছে গেলো। সব জানতে পারলো।
নীড় : what? এটা মেয়ে মানুষ না অন্যকিছু? একে তো আমি….
নিহাল : নীড়…. দারাও…
নীড় : তুমি আমাকে আটকাচ্ছো বাবা?
নিহাল: হ্যা। আটকাচ্ছি। তুমি ছোটো ছোটো বাচ্চা বাচ্চা বিষাক্ত সাপ দেখেছো?
নীড়: বাবা…
নিহাল: বড় সাপের বিষ নামানো গেলেও সেই বাচ্চা সাপের বিষ নামানো অসম্ভব। মেরিন হলো সেই ছোটো বাচ্চা সাপ। যার ওপর না কোনো ওঝা প্রভাব ফেলে আর না বাজপাখি… ১৯ বছর বয়সে business এ যোগ দিয়েছে। student …. but এই ৩বছরে ও খান empire এর property ৫গুন বারিয়েছে। ওর তেজ সূর্যের থেকেও যেন বেশি। চোখ বাজপাখির মতো। যেটায় চোখ পরে সেটাতে পরেই। খুবই ভয়ংকর ১টা মেয়ে। heartless…. রাগী পাজি জেদী। বদমেজাজী। drinks – smoke , মারামারি… এমন কোনো বাজে স্বভাব নেই যা ওর মাঝে নেই। যদি ওর নামে 70% share না দিতাম তবে পুরো চৌধুরী গ্রুপটাকে ও মাটির সাথে মিশিয়ে দিতো।
নীড় : বাবা ওইটুকু ১টা মেয়েকে এতো ভয়…
নিহাল : হামম ভয়? ভয় না ঘৃণা। যারাই সংস্পর্শে এসেছে তারা সবাই ওকে ঘৃণা করতে বাধ্য ভয়। কেউ ভয় পেতেও বাধ্য হয় ওইটুকু মেয়েকে ভয়। because she is a psycho… সকলের অপ্রিয় যে সে হলো #ঘৃণারমেরিন ।
নীড় : কিন্তু বাবা…. ওকে ভয় পেয়ে এখন ওর servant হয়ে থাকবো? ওই ফালতু মেয়ের…
নিহাল : নীড়… ভাষা ঠিক করো। ও খারাপ হতে পার তুমি তো না।
নীড় : sorry … কিন্তু বাবা কি করবো?
নিহাল : ওর কাছে life টা game। সব কিছুতেই হার অথবা জিত খোজে। ওর মন চেয়েছে এই office এর share নেয়ার নিয়েছে….
নীড় মনে মনে : ওর মন office এ না আমার ওপর..
নিহাল : কি ভাবছো?
নীড় : তুমি মেনে নিতে পারো but আমিনা।
মেরিন : তো কি করবেন?
নীড় : তুমি?
মেরিন : হামম। আমি। 70%share নিয়ে আমি নিশ্চয়ই এই office এর যেখানে ইচ্ছা যেতে পারি।
নীড় : disgusting…..
বলেই নীড় বেরিয়ে গেলো।
মেরিন মনে মনে : পালান জান পালান তবুও পরিশেষে আপনি আমার….
মেরিন নিজের জায়গায় গিয়ে বসলো।
পরদিন…
নীড় officeএ এলো। নীরার সাথে কথা বলতে বলতে লিফ্টে উঠলো। তাই খেয়াল করেনি যে মেরিনও লিফ্টে। নীড়তো নীরার সাথে হাসতে হাসতে কথা বলছে। আর মেরিন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এই প্রথম মেরিন নীড়ের হাসিটা দেখলো। ভীষন সুন্দর। মেরিন কেবল নীড়ের হাসিটাই দেখে যাচ্ছে। আর কিছু দেখার সময় নেই ওর। এমন কি নীড় কি পোশাক পরেছে তাও দেখেনি মেরিন। নীড়ের চোখ মেরিনের ওপর পরলো। চোখ পরতো না। কিন্তু heartbeat fast হওয়ার কারন খোজার জন্য সাইডে তাকাতেই মেরিনকে দেখলো। সাদা লেডিস জিন্স। নেভি ব্লু রঙের লেডিস শার্ট।হাতা ফোল্ড করা। চুলগুলো খোলা। ঠোটে লাল লিপস্টিক। ব্রাউন চশমা। মেরিনকে দেখে নীড়ের হাসি উধাও হয়ে গেলো।
নীড় : পরে ফোন করছি জান।
নীরা : ok baby…
নীড় ফোন রেখে দিলো।
মেরিন : আপনার হাসিটা ভয়ংকর সুন্দর… keep smiling…
নীড় কিছু বলতে যাবে তখনই ওদের floor এসে গেলো। নীড় হনহন করে ওর নতুন কেবিনে গেলো। নীড় রাতারাতি নিজের জন্য আলাদা কেবিনের ব্যাবস্থা করেছে। কিন্তু গিয়ে অবাক। কারন ওর চেয়ারের পাশে আরেকটা চেয়ার। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মেরিন এসে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো।
মেরিন : ভালোবাসি জান….
বলেই নীড়ের পিঠে চুুমু দিলো।
নীড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো মেরিনকে।
নীড় : একদম আমাকে টাচ করবেনা বলে দিলাম।
বলেই নীড় গিয়ে চেয়ারে বসলো। বসে চোখ বন্ধ করলো। কিছুক্ষনপর বুঝতে পারলো যে কেউ ওর কোলে ধপ করে বসে ওর ঠোট জোরা দখল করে নিলো। তারাতারি মেরিনকে সরিয়ে ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো।
নীড় : নোংরা মেয়ে। বেহায়া। লজ্জা করেনা এমন কাজ করতে?🤬
মেরিন : না…. কারন আমি আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমার। ২দিনপর আপনার সাথে আমার বিয়ে। তাই লজ্জা পাওয়ার প্রশ্নেই ওঠেনা।
নীড় : ভালোবাসো? তোমার মতো বাজে মেয়ে ভালোবাসতে জানেনা। আর বিয়ে?
নীড় নিজের হাতের আংটিটা দেখিয়ে
বলল : দেখছো এটা? এটা আমার engagement ring…
মেরিন : ring টা মোটেও সুন্দরনা। cheap… আর engagement হয়েছে বিয়ে না। আপনার বিয়েতাে আমার সাথেই হবে।
নীড় : in your dreams… তোমার সাথে আমার বিয়ে কখনোই হবেনা। যাকে ভালোবাসি সেই নীরা কেই আমি বিয়ে করবো।
মেরিন : দেখা যাবে।
বলেই মেরিন নীড়ের পাশের চেয়ারে বসলো। সারাদিন মেরিন কোনো কাজ টাজ না করে নীড়কেই কেবল দেখলো। বিকালে ওরা project siteএ গেলো। মেরিন তো কিছুই দেখছেনা নীড়কে ছারা। নীড় just বিরক্ত হচ্ছে।
২দিনপর….
সাইটে কাজ চলেছে জোর দমে । নীড় আসার আগেই মেরিন চলে এসেছে। নীড় এসে দেখে কাজ চলছে। আর perfectly চলছে।
নীড় : এর ধারে কাছে যাওয়া যাবেনা। দূরে থাকতে হবে…
নীড় খানিকটা দূরে গিয়ে দারালো। এখানের পরিবেশটা ভীষন সুন্দর।
নীড় : really very beautiful ….
মেরিন : yes… too much beautiful …
নীড় : আবার তুমি?
মেরিন : হামম।
নীড় চলে যেতে নিলো।
মেরিন : নীড়…
এমন ভালোবাসা মিশ্রিত ভাবে কেউ কখনো নীড়কে ডাকেনি। মেরিনের “নীড়” ডাকটাই বলে দিচ্ছে যে মেরিন নীড়কে কতোটা ভালোবাসে। তাই না চাইতেও নীড় দারালো। মেরিনের দিকে ঘুরলো। মেরিন নীড়ের দিকে এগিয়ে গেলো। ২হাতে নীড়ের গলা জরিয়ে ধরে
বলল : ভালোবাসি…
নীড় মেরিনের হাত সরাতে সরাতে
বলল : are you totally mad…?
তখনই কোনো সোরগোল পাওয়া গেলো। নীড়-মেরিন সেখানে গেলো।
গিয়ে দেখলো ৫-৬জন গুন্ডা type লোক ম্যানেজারকে ধমকাচ্ছে। কারন ওদেরকে চাঁদা দেয়া হয়নি। আর এখানে নাকি কোনো কাজ করতে হলে ওদেরকে আগে চাঁদা দিতে হয়। ১জনের হাতে গান। যেটা দিয়ে দিয়ে ম্যানেজারকে ধমকাচ্ছে।
নীড় : what the…
বলেই নীড় রেগে যেতে লাগলো। ঠিক তখনই গুলির শব্দ পেলো। শব্দ পেয়ে নীড় পেছনে ঘুরলো। দেখলো মেরিনের হাতে গান। নীড় তো just অবাক। আসলে যে গান হাতে নিয়ে ম্যানেজারকে ধমকাচ্ছিলো তার হাত বরাবর মেরিন shoot করেছে। বসের হাতে গুলে করেছে দেখে তার চ্যালাপেলারা ক্ষেপে গিয়ে মেরিনের দিকে তেরে আসতে নিলো। মেরিন ওদের পায়ের ওদিকে ফাকা গুলি করলো। ভয়ে ওরা ওখানেই থেমে গেলো। মেরিন ওদের সামনে গেলো।
মেরিন : এতোটুকু সাহস নিয়ে গুন্ডাগিরি…. whatever … মেরিন বন্যা খান কখনো কারো অনুমতি নিয়ে কাজ করেনা। তোরা তো কোন ছার। আর যদি কখনো তোদের চেহারাটা আমার চোখের সামনে পরে তাহলে কাজ করার জন্য হাত থাকবেনা,,, চলার জন্য পা থাকবেনা। now out….
নীড় তো এখনো হা করে দেখেই যাচ্ছে।
.
নীড় : এতোটুকুর জন্য লোকটাকে গুলি মারলে?
মেরিন : কপাল ভালো যে আমি রাগী অবস্থায় নেই। তাহলে বুলেটটা ওর মাথায় লাগতো।
জন : ম্যাম…. ম্যাম…
মেরিন : চেচাচ্ছো কেন?
জন : ম্যাম এখানে না…
মেরিন : চিন্তার কোনো কারন নেই… ২টা কফি…
জন : জী ম্যাম…
জন চলে গেলো।
.
নীড় : মেয়ে হয়ে সাথে ১টা গান নিয়ে ঘুরতে লজ্জা করেনা?
মেরিন : না… আর ১টা না ২টো গান নিয়ে ঘুরি।
নীড় : …
মেরিন : শুনুন না… একটু হাসুন না… হাসলে আপনাকে অনেক ভালোলাগে।
নীড় : তুমি ভাবলে কি করে যে তোমার ভালোলাগার কোনো কাজ আমি করবো…
মেরিন : না করলেন… কিন্তু মনে রাখবেন আজ আমার পছন্দের কাজ যেমন করছেন না একদিন এমনও দিন আসবে যে আমার অপছন্দের কাজ করবেন না।
নীড় : এমন দিন কখনো আসবেনা….
বলেই নীড় যেতে নিলো।
মেরিন পেছন থেকে
বলল : i love you…
নীড় : & i hate you….
কিছুদিন পর…
নীড় ঘুমিয়ে আছে। হঠাৎ ওর মনে হলো কেউ ওর হাত পা বেধে কোথাও নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি মুখও বাধা। নীড় তারাতারি চোখ মেলল। দেখলো ওকে খুব যত্ন সহকারে শূন্যে তুলে গাড়িতে ওঠানো হলো। এরপর কোথাও নিয়ে যাওয়া হলো। ১টা বিশাল বড় ঘরের মতো কিছু। ঘুটঘুট অন্ধকার। তাই কিচ্ছু দেখা যাচ্ছেনা। ওকে ১টা চেয়ারে বসিয়ে লোকগুলো চলে গেলো। তবে ওর heartbeat fast…
নীড় মনে মনে : আবার কেন heartbeat fast?
তখন লাইট জ্বলে উঠলো। সামনে তাকিয়ে দেখলো মেরিন দারিয়ে আছে। মেরিন ১টা রিমোট প্রেস করে রুমটার roofসরিয়ে দিলো। চাঁদের আলোতে রুমটা ভরে গেলো। মেরিন নীড়ের দিকে এগিয়ে এসে ওর কোলে বসলো। এরপর নীড়ের মুখের বাধন খুলে দিলো।
নীড় : what is all this? আমাকে এভাবে এখানে কেন আনিয়েছো? 😤।
মেরিন নীড়ের ঠোটে হাত বুলাতে বুলাতে
বলল: আপনাকে ভীষন দেখতে ইচ্ছা করছিলো তাই।
নীড়ের তো হাত বাধা। তাই নিজের হাত দিয়ে মেরিনের হাতটা সরাতে পারছেনা। তাই মাথা নারাচ্ছে।
নীড় : কি হচ্ছেটা কি? হাত সরাও ঠোট থেকে। আর সারাদিন কি আমাকে দেখোনি? রোজই তো দেখো।
মেরিন : হামম দেখি তো। কিন্তু রাতে চাঁদের আলোতে তো কখনো দেখিনি। তাই আপনাকে চাঁদের আলোতে ভীষন দেখতে ইচ্ছে হলো। দেখতে ইচ্ছে হলো চাঁদ বেশি সুন্দর না আপনি? নিঃস্বন্দেহে আপনি বেশি সুন্দর। i love you…
নীড় : & i hate you.. তুমি কি বোঝোনা যে আমি অন্যকাউকে ভালোবাসি। তোমাকে আমি ভালোবাসিনা। ঘৃণা করি।
মেরিন : করুন… আপনাকে ভালোবাসার আগে তো এই শর্ত দিয়ে ভালোবাসিনি যে আপনিও আমাকে ভালোবাসবেন। আমি আপনাকে ভালোবাসি সেটাই বড়….
নীড় : তোমার problem টা কি? তুমি কি মনে করো তুমি আমাকে পাবে? আমি নীরাকে ভা…
আর বলতে পারলো না। মেরিন ওর ঠোট জোরা দখল করে নিলো। একটুপর নীড় গালে গরম তরল কিছু অনুভব করলো। একটুপর মেরিন নীড়কে ছারলো। এরপর পাগলের মতো নীড়ের সারা মুখে kiss করলো। এরপর নীড়ের কোল থেকে উঠলো। then লোকগুলোকে ডাকলো। ওরা আবার নীড়কে একইভাবে বাসায় পৌছে দিলো।
৩দিনপর…
নীড় বসে বসে মেরিনের কথা ভাবছে।
নীড় : মেয়েটা এমন কেন? কেন বোঝেনা যে আমি নীরাকে ভালোবাসি। নীরা এসব কথা জানলে কতোটা কষ্ট পাবে। তারমধ্যে আগামী রবিবার নীরা আসছে। জানি না কি হবে? মেরিন যে dangerous …. ও যদি উল্টা পাল্টা কিছু করে ফেলে…
নীড়… কি সব ভাবছিস তুই? তোর এটা ভাবা উচিত যে যদি নীরা তোকে ছেরে যায় তাহলে কি হবে…. কিচ্ছু ভাবতে পারছিনা। মেয়েটা আমাকে পাগল করে ফেলেছে।
নীলিমা : কে পাগল করলো আমার ছেলেটাকে…
নীড় : আরে মামনি…
নীলিমা : আমার ছেলেটা যে এখনো বেড ছারেনি? অসুস্থ?
নীড় : না মামনি … এমনিতেই।
নীলিমা : তাহলেই ভালো। নিচে আসো। বাবা বসে আছে তোমার জন্য। নাস্তা করবে না?
নীড় : হামম তুমি যাও আমি আসছি।
নীলিমা: come soon…
বলেই নীলিমা চলে গেলো।
নীড় : thanks god যে আজকে শুক্রবার। সাইকোটার সাথে দেখা হবেনা। ১মিনিট ১মিনিট… যদি আমি বাইরে না যাই তাহলে তো ওকে আর সহ্য করতে হবেনা। হামম। good idea… কিন্তু রাতে যদি তুলে নিয়ে যায়? সেটারও ১টা ব্যাবস্থা করবো। at least ৩-৪দিন শান্তি পাবো।
.
৩দিনপর…
এই ৩দিন নীড় বাসা থেকেই বের হয়নি। নিহাল-নীলিমা-নীড় বসে আড্ডা মারছে। তখন বাইরে থেকে কানে তালা লাগানো শব্দ ভেসে এলো। আর যে শব্দটা হচ্ছিলো তাতে “নীড়” শোনা যাচ্ছিলো। ৩জন দৌড়ে বের হলো।
.
চলবে…