অন্ধপ্রেম

অন্ধপ্রেম !! Part- 13

(#সবার জন্য তাড়াতাড়ি চলে এলাম এন্ড গল্প দিলাম .আমার অনেক বানান ভুল হয়..ইডিট করি মাঝে মাঝে ..ইডিট করতে গিয়ে চাপ লেগে ডিলিট হয়ে যায় মাঝে মাঝে..তাই নিজে নিজে বুঝে নিবেন বিকোজ আমারা আমরাই তো ..)
.
শীতলের প্রায় জান যায় যায় অবস্থা তবুও রাজের টনক নড়ছেনা ..যখন ছিনতাই কারি ন্যাকলেসটা ছিড়ে ফেলেছে তখন রাজ সামনে থাকা গ্লাসে শীতলকে খেয়াল করলো ..
ততক্ষনে লোকটা চলেও গিয়েছিলো ন্যাকলেসটা নিয়ে ।
রাজ শীতলকে কিছু বললো না শুধু তাকিয়ে থাকলো ..
শীতল কাদো কাদো ভাব নিয়ে গলায় হাত দিয়ে রাজের দিকে তাকালো ..
বিকোজ গলা অনেকটা ছিলে গিয়েছে ..
রাজ শান্ত গলায় বললো …
_চাপ নিয়োনা ডার্লিং ,,এরকম ন্যাকলেস এনে দেবো অনেক গুলো ..
শীতল গলায় হাত দিয়ে ভাবছে হাসবে নাকি কাদবে রাজের কথা শুনে ..
শীতলের গলার দিকে তাকিয়েও কিছু বলছেনা রাজ বলছে ন্যাকলেসের কথা ..

শীতলের তো আরো বড় কোনো ক্ষতি করতে পারতো লোকটা ..
শীতল বেশিক্ষন কান্না আটকে রাখতে পারলোনা রাজের কথা শুনে সে কেদেঁই দিলো …
_টেনশন নিয়োনা ডার্লিং .কক্সবাজারে গিয়েই হার কিনে দেবো ..
শীতল এবার ভ্যা ভ্যা করে জোরে কেদেঁ দিলো ..
.
.
.
রাজদের সাথে যারা কামরা শেয়ার করেছিলো তারা কতগুলো ব্যান্ডের লোক ছিলো ..
সবাই শীতলকে বার বার দেখছিলো আর তার প্রশংসা করছিলো ..
শীতল ও রাজকে দেখিয়ে দেখিয়ে হেসে হেসে কথা বলছিলো বিকোজ রাজকে সে এখন বেশি ভয় পায়না ..
রাজ তো মানুষ কোনো বাঘ ভাল্লুক ,সিংহ না যে তাকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে …
.
.
.
রাজ আপন মনে একবার ল্যাপটপে কাজ করছে আরেকবার ঘুমুচ্ছে ..
শীতলকে দেখছেই না সে ..
ব্যান্ডের ছেলেগুলো শীতলের কাছে আবদার করলো একটা সেলফি তোলার জন্য ..
.
.
.
শীতল যেই সেলফি তুলতে নিবে অমনি রাজ ব্যাগপত্র নিয়ে ট্রেন থেকে নামার প্রস্তুতি নিলো ..
শীতলকে না বলেই রাজ কামরা থেকে বের হয়ে চলে এলো ..
শীতল ও বাধ্য হয়ে চলে এলো রাজের সাথে সেলফি ছাড়াই .
সবাই শীতলকে টা টা দিচ্ছিলো আর শীতল ও দিচ্ছিলো ..
.
.
.
হোটেল রুম আগেই বুক করে রেখেছে রাজ ..
রুমে গিয়ে শীতল বেডে গা এলিয়ে শুয়ে পড়লো ..
রাজ ওয়াসরুমে চলে গেলো ..
শাওয়ার শেষে রাজ বুঝতে পারলো সে কোনো ড্রেস আনেনি ..
বাধ্য হয়ে শীতলকে বললো ব্যাগ থেকে ড্রেস দিতে ..
শীতল প্রথমে ওয়াস রুমের ডোর লক করলো তারপর ড্রেস ভেতরে ঢোকালো ..
রাজ তার পোশাকের বদলে শীতলের হাত ধরে টান দিলো …
শীতল টাল সামলাতে না পেরে রাজের উপর পড়ে গেলো ..
শাওয়ার টা ছাড়াই ছিলো ..
তাই শীতল ভিজে গেলো ..
দুজন খুব কাছাকাছি চলে এলো যেখান থেকে দুজনের নিঃস্বাশের শব্দ শুনতে পারা যায় ..
.
.
.
একসময় রাজ শীতলের ঠোট নিজের ঠোটের আওতায় এনে ফেলে ..
শীতল রাজের স্পর্ষ পেয়ে যেনো তার মাঝে হাড়িয়ে গেলো ..
রাজ একসময় শীতলের শাড়ি খুলে ফেলতো চাচ্ছিলো ..
শীতল রাজকে হাত দিয়ে বাধা দেয় আর রাজকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে ধাক্কা দিয়ে চলে আসে ….
রাজ তবুও শীতলকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে আর ঘারে আর পিঠে অজস্র kiss করতে থাকে ..
শীতল এবার জোরে ধাক্কা দিয়ে রুমে চলে আসে ..
.
.
রুমে এসে সে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে থাকে …
.
.
.
দুপুরে রাজ আর শীতল হোটেলের রেস্ট্রোরেন্টে যায় ..
শীতল সেখানে খাবার দেখে চমকে যায় ..
ভিবিন্ন সামুদ্রিক মাছের আইটেম ছিলো ‌.
কাকড়া ভাজা ,,
রুপচাদা,,
আরো কিছু মাছের আইটেম ছিলো ..
মাছের পেটি গুলো দেখতে অসাধারন লাগছিলো যার থেকে মিষ্টি গন্ধ আসছিলো ..
.
.
.
রাজ কাকড়ার খোসা ছাড়িয়ে বেশ মজা নিয়ে খাচ্ছে ..
শীতল কখনো কাকড়া খায়নি তাই সে চেষ্টা করেও খেতে পাচ্ছেনা ..
.
.
_আমাকে একটু কাকড়া ভাজা খাইয়ে দিবেন ??
_তোমার হাত পা সব আছে তাহলে আমি কেনো খাওয়াবো ??
_আসলে আগে কখনো আমি কাকড়া খায়নি তো তাই খেতে পারছিনা ..
.
শীতল সবার সামনেই কাকুতি মিনতি করছে রাজকে খাইয়ে দিতে ..
সেখানকার সবাই বিষয়টা দেখছে ..
রাজ রেগে একাকার হয়ে শীতলকে খাইয়ে দিচ্ছে …
খোসা ছাড়িয়ে কাকড়া খাওয়াচ্ছে রসালো গরম গরম ..
শীতল খেয়ে বেশ মজা পাচ্ছে ..
কাকড়ার থেকে রাজের হাতটা বেশি মজা লাগছে শীতলের …

শীতল চেটে চেটে রাজের হাত খাচ্ছে …
যেনো রাজের হাতে কোনো অমৃত আছে ..
শীতল এতো খেতে পারে সেটা শীতল ও জানতো না .
প্রায় একঘন্টা ধরে রাজের হাতে খেলো সে ..
.
.
রাজ তো রেগে রেগে শিং মাছ হচ্ছে যেনো একা পেলেই শীতলকে গুতো দেবে ..
.
.
.
_হয়েছে আর খাবোনা ..
রাতের জন্য আপনার হাত কে বাচিয়ে রাখুন প্লিজজ.
_এতো খাদক তুমি জানতাম নাতো ..
কাকড়ার জায়গায় আমার হাত কেই খেয়ে ফেলেছো .
রাক্ষস মেয়ে একটা ..
.
.
.
রাতে রাজ কাজ শেষ েে বেডে শুয়ে আছে ..
শীতল নাইট গ্রাউন পড়ে পারফিউম দিয়ে রাজের পাশে শুয়ে পড়লো …
রাজ আপন মনে ঘুমুচ্ছে …
শীতল সিনেমার বউয়ের মতোই রাজের গায়ে হাত পস ছুরে মারতে থাকলো ..
রাজ ভাবছে শীতল ঘুমের ঘোরে এমন করছে ..
.
.
.
রাজ যতবার শীতলকে ঠিক করে শুইয়ে দিচ্ছে ততবারই শীতল হাত পা দিয়ে রাজকে মারছে আর জড়িয়ে ধরছে …
.
.
.
রাজ রেগে সোফায় গোয়ে শুয়ে থাকলো …
শীতলের ভিষন মন খারাপ হলো ..
কান্না পাচ্ছে তার ..
শীতল হার মানবেনা ..
বিকোজ একবার না পারলে দেখো শত বার .
.
.
শীতল ওয়াস রুমে গিয়ে মুখে পানি দিলো …
ফিরে এসে দেখে রাজ বেডে উপর হয়ে শুয়ে আছে ..
কথায় আছে বয়সের দোষ শীতলের ও হয়েছে তাই সে রাজকে এভাবে দেখে আবারএ বেডে গিয়ে কিছুকক্ষ চুপচাপ থেকে জড়িয়ে ধরলো .
.
.
রাজ ছাড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে হার মেনে নিলো ..
শীতলের গায়ের ছোয়া পেয়ে রাজ নিয়ে নিজেকে ঠিক রাখতে পারলোনা সে শীতলকে নিয়ে নিজের করে নিলো …
.
.
শীতল এবার নিজের ফাদে পড়লো ..
সে চেয়েছিলো রাজ তাকে ভালোবেসে জড়িয়ে ধরবে ..
বাট রাজ এখন অন্যকিছু করবে ….
শীতল নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো বাট পাড়লোনা ..
.
.
.
সকালে শীতলের ঘুম ভাঙলো ..
রাজ পাশে ছিলোনা সে তার আগেই উঠে পড়েছে ..

শীতল ওয়াস রুমে গিয়ে শাওয়ার করে রুমে এলো ..
তখনই রুমে ওয়েটার ঢুকলো …
_ম্যাম আপনাকে স্যার নিচে যেতে বলেছে রেডি হয়ে ..
তাড়াতাড়ি আসুন প্লিজজ.
.
.
শীতল বেশ অবাক হলো .
সে ভাবছে রাজ তাকে অপমান আর কষ্ট দেওয়ার জন্য নতুন কোনো প্ল্যান করছে কিনা ….
শীতলের কপালে কি আছে তা উপর ওয়ালাই জানে …
.
.
.
চলবে,,,,,,,,,