The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 74

হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এলো ইয়ারাবী।আজ চেক আপ করিয়েছে একটা।ডাক্তার বলেছে সবই ঠিক আছে চিন্তার কারন নেই।ইয়ারাবী গাড়িতে এসে বসলো।তারপর ড্রাইভারকে উদ্দেশ্য করে বলল,
.
.
-অফিসে চলুন।
-ওকে ছোট ম্যাম।
গাড়ি চলতে আরম্ভ করে।
.
.
-কেমন ভাই আপনি?বোনের এমন ভিডিও দেখানোর জন্য এখানে আসছেন?
-এগুলো কিছুনা আমার কাছে।নিজের লাভের জন্য সব করতে পারি।
-মানে “!!!চিৎকার করে উঠে আরাভ।
-আজহার কোম্পানীর আশি পার্সেন্ট আপনার শেয়ারে।এর পঞ্চাশ পার্সেন্ট আমার নামে করে দিন।তাহলে।এ ভিডি ও ডিলিট হয়ে যাবে।
-দিবোনা আমি।রেগে বলল আরাভ।
-তাহলে এই ভিডিও নেটে ছেড়ে দেবো।শয়তানি হাসি দিলো ফারহান।
-এমন কিছু করতে দিবোনা।দাঁতে দাঁতে চেঁপে বলল আরাভ।
-তাহলে আমার ডিমান্ড পূরন করো।
আরাভ কিছু বলতে নিবে তখনই দরজা খোলার শব্দে সেদিকে তাকায় ও।ইয়ারাবী কেবিনের সামনে দাঁড়ায়।ফারহান পিছনে তাকায়।
.
.
-সারপ্রাইজ!!! হেসে বলল ইয়ারাবী।
আরাভ ফারহানকে খেয়াল করলো।ওর তাকানোটা একদমই ভালো লাগেনি।কেমন লোভাতুর দৃষ্টিতে ইয়ারাবীকে দেখছে ও।ভীষন রাগ হলো আরাভের।
.
.
-এখানে কেন আসছো?না করেছি না কোথাও যাবা না?বাসায় যাও।চিৎকার করে উঠে আরাভ।
-আমি কি অন্য কোথা ও আসছি?আপনার কাছেই তো আসলাম।মন খারাপ করে বলল ইয়ারাবী।
-তোমাকে বাসায় যেতে বললাম। এতো তর্ক করছো কেন?বেশি মাথায় উঠে গেছো।Just get lost from here.আর আসবানা এইখানে।রেগে গেলো আরাভ।
.
.
চোখে পানি চলে এলো ইয়ারাবীর।আরাভ ড্রাইভার কল দিয়ে জানায় ইয়ারাবীকে নিয়ে যেতে।আর আরাবীকে মেসেজ করলো ইয়ারাবীকে নিয়ে যেতে।ইয়ারাবী সরে এলো আরাভের কেবিনের সামনে থেকে তারপর হাঁটতে শুরু করলো লিফ্টের দিকে।হঠাৎ আরাবী ইয়ারাবীর হাত ধরলো।
.
.
-কখন এলি?
-একটু আগে।মন খারাপ করে বলল ইয়ারাবী।
-মন খারাপ কেন?
-এমনি আপু। বাসায় চলো।
-ঠিক আছে চল।
.
.
ইয়ারাবী চলে যেতেই ফারহান আরাভের দিকে তাকায়।তারপর অসভ্যের মতো হেসে বলল
.
.
-সো আপনি রাজি আমার প্রস্তাবে?
-…………..
-দেখুন আমার প্রস্তাব না মানলে আপনার ভাইয়ের ইজ্জত কোথায় গিয়ে নামবে ভেবে দেখুন।
-আরাভ অনেক ভেবে বলল ডান।এরপর যেন ভিডি ও টা ডিলিট হয়ে যায় নাহলে?রেগে গিয়ে চিৎকার করে আরাভ।
-হয়ে যাবে।আসি তাহলে ফারহান উঠে দাঁড়ায়।
.
.
বেরিয়ে গেলো সে।আরাভ রাগী চোখে ফারহানের দিকে তাকিয়ে রইলো।
এদিকে অর্পন অফিসে কাজ করছিলো।হঠাৎ কারোর ডাকে মনযোগ চলে যায় কাজ থেকে।অর্পন মাথা তুলে
সামনে তাকিয়ে একজন বয়স্ক লোককে দেখতে পায়।লোকটা হেসে বলল,
.
.
-মিঃ অর্পন আজহার আপনিই তো?
-জি আমি।বসুন।
-লোকটা বসে বলল থ্যাংক ইউ।আমি মোঃ হানিফ খান।ফেন্সি আমার মেয়ে।
-ওহ।নাইস টু মিট ইউ আঙ্কেল।কি নিবেন?
-খেয়ে এসেছি।তা শুনলাম ফেন্সি আর তোমার মাঝে সম্পর্ক চলছে?
-জি।আমি ওকে ভালোবাসি।বাট অনেকদিন ওর খোঁজ পাচ্ছিনা।
-ও আছে।তা এ কোম্পানী তে শুনলাম আরাভ চৌধুরীর আশি পার্সেন্ট শেয়ার?
-জি।
-আর তোমার মাত্র বিশ পার্সেন্ট!!!এটা অন্যায় তাই না?
-না।আমার ভাই অনেক কষ্ট করে বিজনেসটাকে এতো দূরে আনছে।
-আরাভ নিজের বাবার বিজনেসে শেয়ার পাচ্ছে আবার তোমাদের বিজনেসেও। আর তোমার সেই তুলনায় কিছুই নেই।তুমি ঐ বাসার ছেলে।তার পর ও নিজেদের কোম্পানীতে তোমার তেমন কিছু নাই।আরাভের সব আছে যা তোমার থাকা দরকার ছিলো।তুমি তাদের ছেলে হয়ে ও তোমাকে কেউ ভরসা করেনা।তাহলে আমি বাবা কেমন করে করবো।
-আমার বাসায় সবাই আমাকে ভালবাসে।আর ভাইয়া ও খুব ভালবাসে।
-ঠিক আছে তাহলে বাসায় বলো তোমার সম্পদ তোমাকে দিতে আর আরাভ কে বলো ওর শেয়ারের পঞ্চাশ পার্সেন্ট তোমাকে দিতে।
-না।আমার ভাই অনেক কষ্ট করে বিজনেসটাকে এতো দূরে আনছে।ভাইয়ের সাথে এটা কিভাবে করবো আমি?
-সে তোমাদের বিজনেসের লোভে তোমাকে ভালোবাসে আর তোমাদের সাথে ছিলো।
-এটা সত্যি না।
-তোমার ভাইকে বলেই তো দেখো।সে দিবে না তোমাকে।
-তুমি যদি শেয়ার নিতে পারো তাহলে ফেন্সিকে পাবে নাহলে ভুলে যেও ওকে।চললাম।
.
.
উঠে চলে গেলো হানিফ খান।অর্পন তাকিয়ে রইলো ওনার যাওয়ার দিকে।
.
.
.
.
এদিকে আরাভ ফারহানের জন্য ডকুমেন্ট বানাতে দিয়ে ঘরে যাবার জন্য প্রস্তুত হলো।বাহিরে আসতেই মনে পড়লো ইয়ারাবীর কথা। খুব বাজে ব্যাবহার করেছে মেয়েটার সাথে।এটা একদম ঠিক হয়নি।আরাভ ঘরে চলে এলো।
রুমে এসে দেখলো ইয়ারাবী নেই।বাথরুম ব্যালকনি সবখানেই খুঁজলো ইয়ারাবীকে মেয়েটা নেই।আরাভ এবার রোয়েনের রুমে এলো।রুহী ভ্রু কুঁচকে তাকায় ছেলের দিকে কিন্তু কিছু বলল না।
.
.
-মা ইয়ারাবী কই?
-,,,,,,,,
-মা কি হলো বলো কই ও?
-তোর খালার বাসায়।
.
.
আরাভ আর কিছু বলতে পারলোনা।সেখান থেকে সরে এলো। রোয়েন ঘরে ঢুকে আরাভকে দেখতে পায়।তারপর বলল,
-তোর সাথে কথা আছে আরাভ।আমার সাথে আয়।
-জি বাবাই।
.
.
আরাভ রোয়েনের সাথে স্টাডি রুমে এলো।
.
.
-কি হয়েছে ইয়ারাবীর সাথে?
-বাবাই খুব টেনশনে ছিলাম।সে মুহূর্তে ও যায় অফিসে।
-এটা কোন কথা আরাভ?মেয়েটা কিছু বলেনি।তারপর ও ওর হাসি মুখের পিছনে কান্নাটাও দেখা গিয়েছিলো।
-সরি বাবাই।
-ওকে নিয়ে আয় বাসায় নাহলে তোর জায়গা নাই বাসায়।
.
.
আরাভ বেরিয়ে গেলো রুপন্তীর বাসার উদ্দেশ্যে।সেখানে পৌছুতেই রেহানের সাথে দেখা হলো।রেহান মসজিদ থেকে ফিরলো মাত্র।ভাইয়ের ছেলেকে দেখে হেসে বলল,
.
.
-ভালো আছিস বাবা?
-এইতো চাচ্চু।আপনি কেমন আছেন?
-এইতো আব্বু।এসো বসো।
-জি।
.
.
আরাভ ভিতরে এলো।রুপন্তী আরাভকে দেখে খুব খুশি হলো।আরাভ সোফায় এসে বসলো।
.
.
-কেমন আছিস বাবা?
-জি খালামনি এই তো।
-ইয়ারাবী বাসায় আসছে।আসার পর থেকে রুমে চুপচাপ বসে আছে।কতো করে বললাম কিছু খেতে।ও খাবেনা।
-খালামনি ওর সাথে একটু কথা বলবো।
-আরে যাও বাবা ওর রুমে।
-জি।
আরাভ ইয়ারাবীর রুমে এলো। মেয়েটা কাঁত হয়ে শুয়ে আছে।আরাভ ওর পাশে শুয়ে মাথায় হাত রাখলো।
.
.
-ইয়ারাবী”!!
-,,,,,,,,
-আ’ম সরি।
-কেন আসলেন এখানে?চলে যান।
-আর হবেনা।প্লিজ বাসায় চলো।
-না চলে যান আপনি।
-ইয়ারাবী পাগলামো করোনা।চলো।
-আমি আপনার মাথার ওপর উঠে গেছি।এখন নিতে আসলেন কেন তাহলে?
-সরি।তখন অনেক টেনশনে ছিলাম।
-সেজন্য ঐলোকের সামনে এমন করে বলবেন?কোথাও যাবোনা আপনার সাথে।
-আমি ও যাবোনা তাহলে।এখানেই থাকবো।
.
.
ইয়ারাবী বিরক্তি নিয়ে আরাভের দিকে তাকায়।আরাভ ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লো।ইয়ারাবী কটমট করে স্বামীর যাওয়ার দিকে চেয়ে রইলো।রুপন্তী পোলাউ রোস্ট সবজি রান্না করেছে আরাভের জন্য।রাতে ইয়ারাবীকে রুপন্তী খাওয়ালো জোর করে।আরাভ রুমে এসে দেখে মেয়েটা ঘুমিয়ে গেছে।আরাভ চিন্তা ভাবনা করে ইয়ারাবী কে কোলে তুলে নিলো।
চলবে