The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 72
রুমে এসে ইয়ারাবীকে দেখতে পায় আরাভ।মেয়েটা একমনে কাপড় গুছাচ্ছে।আর আড় চোখে আরাভকে দেখছে।আরাভ ইয়ারাবীর কাছে আসে তারপর কিছু বলতে নিলে বেশ জোরে কাঁদতে শুরু করে ইয়ারাবী।ওর কান্নার শব্দে রোয়েন রুহী রুমে এলো।
-কিরে মা কাঁদছিস কেন?বাঁদর টা কি করেছে তোকে?রেগে গিয়ে বলল রুহী।
-ইয়ারাবী দৌড়ে রুহীর পিছনে এসে বলল খালামনি তখন আপনাদের সামনে ঐ কথা গুলো বলায় বকা দিচ্ছে।আচ্ছা খালামনি বোন বাবা মার সামনে ঐগুলো বলা কি ঠিক?কথা গুলো বলে আরাভের দিকে চোখ টিপে দিলো ইয়ারাবী।
-মা আমি,,,,,,,,!!!!অবাক হয়ে কিছু বলতে গেলে রুহী আরাভকে থামিয়ে দিলো।
-আরাভ ওকে কিছু বলেছিস তোর খবর আছে তাহলে।অসভ্য বাঁদর ছেলে কোথাকার।ও অসুস্থ তারপর ও ওকে কেন বকছিস তুই?রাগী গলায় বলতে থাকে রুহী।
-থাক খালামনি বেশি বকোনা নাহলে আমাকে আরো বেশি বকবে।দুষ্টু হেসে বলল ইয়ারাবী।এর পর ঠোঁটজোড়াকে কিসের মতো করে নিলো।
-ও যদি এর পর কিছু বলে আমাকে ডাক দিবি মামনি ওকে দেখে নিবো আমি।রেগে বলল রুহী।
-ওকে খালামনি।
-আরাভ???ডেকে উঠে রোয়েন।
-জি বাবাই!!
-আমার সাথে আয়। কথা আছে।
-ওকে বাবাই।
আরাভ রোয়েনের সাথে বেরিয়ে গেলো।কিছু সময় পর আরাভের পায়ের শব্দ পেয়ে ইয়ারাবী জলদি পর্দার পিছনে লুকিয়ে গেলো।আরাভ রুমে ঢুকে বৌকে দেখতে পায় তবে ইয়ারাবী জানেনা আরাভ ওকে দেখেছে।আরাভ ফোন কানে দিলো,
-হ্যালো দোস্ত আমি শেষ।
-,,,,,,,,,,
-আরে জানিস না বিয়ে করে আমি শেষ হয়ে গেছি।একে তো পিচ্চি বৌ তারওপর একদম ইনম্যাচিওর।
-,,,,,,,,,,,,,,,
-তোর কথা শুনা ভালো ছিলো।কতোবার বলে ছিলি পিচ্চি মেয়েকে বিয়ে করতেনা।আমি গাঁধা তো বিয়ে করে ফেললাম।
-,,,,,,,,,,,,,
-আচ্ছা দোস্ত একটা কাজ করলে কেমন হয়।মিটিং এর কথা বলে মিয়ামিতে চলে যাই।সেখানে জেনিফারের কথা মনে আছে তোর?
-,,,,,,,,,,,
-ও তো এখনো আমার জন্য পাগল।সেদিন কথা হয়েছিলো।ভাবছি ওকে বিয়ে করে ওখানেই রেখে দিবো।এখানে পিচ্চি বৌ ওখানে ম্যাচিওর বৌ।খারাপ না কিন্তু তাইনা দোস্ত?
-,,,,,,,,,,,,,,,,
– প্রত্যেক মাসে পনেরদিনের জন্য ওখানে থেকে মজা করে আসবো।বল মজা হবেনা দোস্ত???
-,,,,,,,,,,,,,,
ইয়ারাবী আরাভের কথায় প্রচন্ড রেগে গেলো।আর লুকিয়ে না থাকতে পেরে এসে আরাভের চুল টানতে লাগে।
-খারাপ লোক আবার বিয়ে করবেন তাইনা?রেগে আরাভের চুল ইচ্ছে মতো টানতে থাকে ইয়ারাবী।
আরাভ ইয়ারাবীকে টেনে কাছে নিয়ে এলো।তারপর বলল
-এটা তোমায় ধরার টেকনিক ছিলো।
-ধরলে এমনেই ধরতে পারতেন।
-উহুম।তুমি তখন চিৎকার অথবা দৌড়াদৌড়ি করতে।
ইয়ারাবী কিছু না বলে আরাভের ফোন হাতে নিয়ে নিলো।
-দেখি তখন কোন হারামির সাথে কথা বলে আমার কপাল ভাঙ্গতে চাইছিলেন।
ইয়ারাবী খেয়াল করলো কোন কল যায়নি বা আসে ও নি।আরাভ ইয়ারাবীর কোমড় জড়িয়ে কাছে টেনে নিলো।
-কি করে ভাবলে বিউটিফুল আমি আরেকজনকে আমার জীবনে জড়াবো?
ইয়ারাবীর চোখে পানি এসে গেছে। আরাভ ওকে দেখি কিছুটা অবাক হলো।
-কি হলো কাঁদছো কেন?
-আপনার বিউটিফুল ডাকটা কে খুব মিস করছিলাম।আপনার এই এক ডাক আমার হৃদয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করতে যথেষ্ঠ আরাভ।
-আরাভ ইয়ারাবীর কপালে চুমু খেয়ে বলল বিউটিফুল আমার বিউটিফুল!!!
আরাভ ইয়ারাবীর গালে নাকে চুমু দিয়ে ওর গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো।
-আরাভ ইয়ারাবী!!!!
রোয়েনের ডাকে ওরা একে অপর থেকে সরে এলো।ইয়ারাবী দরজা মেলে দিতেই রোয়েন মুচকি হেসে রুমে ঢুকলো সাথে রুহী ও।রোয়েন বলল,
-সেদিন আরাবীর গিফটের সময় মনে হয়েছিলো ইয়ারাবীকে বিয়েতে কিছু দিতে পারিনি আমরা।রুহী বক্সটা কোথায়?
-এই যে।রুহী একটা অর্নামেন্টস বক্স ইয়ারাবীর হাতে দিলো দেখতো পছন্দ হয়েছে নাকি?
ইয়ারাবী বক্স হাতে নিয়ল সেটাকে খুলে দেখলো।ডায়মন্ড সেট।সেখানে হার, কানের ঝুমকা চারটা মোটা ছুড়ি আর একটা নথ।
-থ্যাংকস খালামনি ইয়ারাবী রুহীর পা ধরতে যায়।
-এই পাগলী করছিস কি?রুহী মেয়েকে বুকে টেনে নিলো।
কিছুক্ষন পর সরে এলো ইয়ারাবী।তারপর রোয়েনকে জড়িয়ে ধরে বলল,
-থ্যাংকস জেঠু।
-আম্মুটা জানেনা এই জেঠু তার ছোট মেয়েটাকে কতো ভালোবাসে?
-জানি তো।
রোয়েন মেয়েকে সামনে এনে ওর কপালে চুমু দিলো।
-অনেক ভালো থাক আম্মু।
রোয়েন রুহী বেরিয়ে গেলো।আরাভ ইয়ারাবীকে কোলে তুলে বিছানায় নিয়ে শুইয়ে দিয়ে ওর পাশে শুয়ে পড়লো।তারপর ইয়ারাবীকে বুকে টেনে নিলো।
.
.
.
.
.
অর্পন আর ফেন্সি রবিবারে অফিসের সামনে এসে দেখা করে।ফেন্সি আজ চকলেট রং এর একটা গাাউন পরে এসেছে।আর সাথে হালকা গয়না আর ঠোঁটে টকটকে লাল লিপস্টিক।অর্পন কালো কমপ্লিট সুট পরে আছে।
-আজ পাগল বানানোর মনস্কামনা হয়েছে বুঝি?
-হঠাৎ একথা কেন বললে?মিষ্টি হেসে জিজ্ঞেস করে ফেন্সি।
-আজ নিজেকে এভাবে সাজিয়েছো যে নিজেকে কন্ট্রোল করতে কষ্ট হচ্ছে।
ফেন্সি হেসে অর্পনের হাত ধরে বলল,
-কন্ট্রোল করতে বলেছে কে?
-জি???কিছুটা অবাক হয় অর্পন।
-তোমার মাথা।চলো যাওয়া যাক।
-ওকে চলো।
দুজনে গাড়িতে উঠে বসলো।গাড়ি চলতে শুরু করলো।গন্তব্য ফেন্সির গেস্ট হাউস।সেখানে পৌছে বেশ অবাক হলো অর্পন বেশ সুন্দর করে সাজানো বাসাটা।ডাইনিং টেবিলটা ও খুব সুন্দর করে সাজানো।অর্পন কে ফেন্সি পুরো বাসায় ঘুরিয়ে দেখায়।তারপর ওকে নিয়ে এবার ড্রয়িং রুমে এলো।ফেন্সি সরে গিয়ে সিডিপ্লেয়ারে sun zara গানটা ছাড়ে।তারপর অর্পনের কাছে এগিয়ে এলো।অর্পনের কানের কাছে চুমু খেলো ফেন্সি তারপর কানের সামনে ফিসফিসিয়ে বলল,
-I love you orpon
-i love you too.
অর্পন ফেন্সির গালে চুমু দিয়ে ওর কোমড় জড়িয়ে কাছে টেনে নিলো।তারপর নাচতে লাগে।
Sun Zara Soniye Sun Zara
Sun Zara Soniye Sun Zara
Sun Zara Soniye Sun Zara
Sun Zara Soniye Sun Zara
Aaj Khamoshiyon Se Aa Rahi Hai Sada
Dhadkanein Hai Deewani
Dil Bhi Kuch Keh Raha Hai
Sun Zara Soniye Sun Sun Sun Zaraaaa
Sun Zara Soniye Sun Zara
Aaj Khamoshiyon Se Aa Rahi Hai Sada
Dhadkanein Hai Deewani
Dil Bhi Kutch Keh Raha Hai
Sun Zara Soniye Sun Sun Sun Zaraaaa
অর্পন ফেন্সির ঠোঁটের কাছে আসতেই ফেন্সি অর্পনের ঠোঁটে হাত রেখে ওকে থামালো,
-নট নাউ অর্পন।
-সরি ফিসফিসিয়ে বলল অর্পন।
-ইটস ওকে মাই লাভ।চলো ডিনারটা সেড়ে নেই।
-ওকে।
ওরা ডাইনিং টেবিলের দুটি চেয়ারে সামনাসামনি এসে বসলো।খাবার শেষে ফেন্সি রেডি করা একগ্লাস রেড ওয়াইন অর্পনের দিকে ধরলো।
অর্পন হাসি দিয়ে সেটায় চুমুক দিলো।ফেন্সি ও খাচ্ছে।ড্রিংকস শেষে দুজনেই কেমন যেন হয়ে গেলো।ওদের মাঝে অদ্ভুত নেশা কাজ করছে।অর্পন ফেন্সিকে দেখছে আর ফেন্সি অর্পনকে।
-ফেন্সি আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি।
-আমি ও অর্পন।ফেন্সির চোখে পানি।
অর্পন উঠে এসে ফেন্সির হাত ধরে ওকে দাঁড় করায়।দুজনের আজ কেমন যেন লাগছে।প্রচন্ড নেশা কাজ করছে।ফেন্সি অর্পনের কপালে নাকে ঠোঁট ছু্ইয়ে বলল,
-আজ সেটা হয়ে যাক।
-পাপ হবে।
-জানিনা।বাট আজ তোমাকে চাই অর্পন।
অর্পন আর কিছু ভাবতে পারছেনা।সে অবস্থা তে ও নেই ও।কোন ভাবনা ছাড়াই ফেন্সির ঠোঁট জোড়াকে নিজের মাঝে নিয়ে নিলো।ফেন্সির পিঠে হাত চলে গেলো অর্পনের।ফেন্সির গাউনের চেইন খুলে দিয়ে ওকো কোলে তুলে রুমে নিয়ে এলো।তারপর দুজনে বিছানায়।ফেন্সির ওপর সম্পূর্ন ভর অর্পনের।ফেন্সির ঠোঁট শুষে নিতে নিতে ওর গাউনের হাতা খুলে দিতে দিতে ওর কাঁধে গলায় অজস্রচুমু খেতে লাগে।সম্পূর্ন নিস্তব্ধ পরিবেশে দুজনের ঘন নিশ্বাস ছাড়া কিছুই শোনা যায়না।
দুজনে একে অপরের মাঝে একাকার হয়ে গেলো।সকালে ঘুম ভাঙ্গে অর্পনের।গায়ে কাপড়ের ছিঁটে ফোটা নেই ওর।খেয়াল করলো রুমে একা ও। বাথরুমের দরজা খোলা।ফেন্সি কই গেলো.
চলবে