The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 64

এসময় ছেলেকে ঘরে দেখে কিছুটা অবাক হয় রুহী।দরজা খুলেই আরাভকে দেখতে পায় ও।আরাভ হন্তদন্ত হয়ে ঘরে ঢুকে।মাকে সামনে দেখে থেমে গেলো আরাভ।
-কিরে আব্বু আজ এসময়ে?
-(ইয়ারাবীর কথা জানালে মা বিষয়টা কেমন ভাবে নেবেন।হাসতে ও পারে।)মা একটা ফাইল ভুলে গেছিলাম।
-ওহ। আচ্ছা নিয়ে যা।কফি করে দিবো বাবা?
-না মা।
কথাটা বলে উপরে চলে এলো আরাভ রুমে ঢুকে দেখলো ইয়ারাবী বড় একটা টেডি নিয়ে বসে আছে।আরাভকে দেখে বড় করে হাসে ইয়ারাবী।টেডিটি দেখিয়ে বলল,
-দেখুন ডল টা কেমন?জেঠু কিনে পাঠিয়েছে।
-কেন আসতে বললে হঠাৎ?
-ওহ আইসক্রীম খাবো আমি।
-(আরাভ কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা।আইসক্রীম খেতেই ঘরে ডাকলো ওকে ইয়ারাবী)আইসক্রীম খেতে আমাকে ডাকলে?ঘরে সার্ভেন্টরা ও ছিলো।
-আপনার বাবুরা ওদের আব্বুর সাথে আইসক্রীম খেতে চায়।
আরাভের অতি দুঃখে হাসি পাচ্ছে কান্না ও আসছে।তারপর কোন রকমে মন কে বুঝিয়ে কোট খুলে মানিব্যাগ চেক করে নিচে নেমে গেলো।ইয়ারাবী আরাভের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হাত উঠিয়ে ফ্লাইং কিস দিয়ে বলল,
-উফ আমার কিউট বরটা উমমমমমাহ।
কিছু সময় পর আরাভ একটা আইসক্রিম নিয়ে হাজির হলো।আইসক্রীম ইয়ারাবীর দিকে এগিয়ে দিয়ে ওর পাশে বসে পড়লো।
-আপনি খাবেননা?
-না।তুমি খাও।
ইয়ারাবী হাসি মুখে আইসক্রিম খেতে শুরু করে।আরাভ হাত এগিয়ে ইয়ারাবীর পেটে রাখলো।
-আমার বাবাটাকি আইসক্রীম খাচ্ছে আম্মুর সাথে?
ইয়ারাবী আরাভের হাতের ওপর হাত রেখে বলল,
-জি আব্বু খাচ্ছি।তুমি ও খাও ধরো।ইয়ারাবী আরাভের দিকে আইসক্রীম ধরে বলল খেয়ে নিন।অন্তত বাচ্চার আবদার তো রাখেন
-আরাভ ইয়ারাবীর আইসক্রীমে কামড় বসিয়ে বলল আব্বুটা রাখলাম তোর আবদার।
আরাবী ঘরে এসে দেখলো খাটের ওপর গোসলের কাপড় চোপড় সাজানো।মুগ্ধ দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসলো আরাবী।ঠিক তখনই আর্ভিন রুমে এসে আরাবীকে পিছন থেকে জড়িয়ে ওর কাঁধে ছোট্ট করে চুমু খেয়ে বলল,
-সারাদিন কেমন কাঁটলো বৌটার।
-আর্ভিনের হাতে হাত রাখলো আরাবী।এই তো ভালোই।তোমার কেমন কাঁটলো?
-খুবই ভালো।
-হঠাৎ!!!!
-কাল সকালেই বুঝবে।
-মিঃ বুঝি বড় সড় প্ল্যান করে রেখেছেন??
-বলা যাবেনা।আরাবীর গালে চুমু খেয়ে সরে এলো আর্ভিন।
আরাবী চোখের কোনা দিয়ে আর্ভিনকে দেখলো।লোকটার চোখে মুখে দুষ্টুমির ছাপ।কি জানি কি চলছে মনে!!!আরাবী কাপড় চোপড় ওয়াশরুমে চলে গেলো।
ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এলো আরাবী।আর্ভিন রুমে এসে দুমগ কফি রাখলো ছোট্ট গোল টি টেবিলটায়।আরাবীকে দেখে কোন এক মোহে পড়ে গেলো আর্ভিন।
হলুদ শাড়ীটা ফুঁটে উঠেছে আরাবীর গায়ে।ভিজা চুল গেলো।ওর পেট ছাড়িয়ে বেশ নিচে পড়ে গেছে।চুল গুলো বেশ লম্বা ওর।
আর্ভিন আরাবীর কাছে এসে হাত ধরে টেবিলের কাছে নিয়ে এলো।তারপর ওকে একটা চেয়ারে বসিয়ে ওর হাতে একটা মগ ধরিয়ে দিলো।
-তুমি বানিয়েছো?কফির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে আরাবী।
-হুম।খেয়ে বলো কেমন হয়েছে?
-কফি মুখে দিয়ে আরাবী হেসে বলল চমৎকার।
কফি খেতে ওরা বেশ সময় পর্যন্ত গল্প করলো।আরাবী কফি শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছে।
আর্ভিন এসে ওর কাঁধ চেঁপে দিচ্ছে।আরাবী চোখ বুজে নিলো আরামে।আর্ভিন বেশ সময় পর্যন্ত কাঁধ চেঁপে দিলো।
|
|
|
|
|
|
রাতে ইয়ারাবীকে বুকে নিয়ে শুয়ে আছে আরাভ।ইয়ারাবী স্বামীর দিকে একবার তাকিয়ে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেললো।ইয়ারাবীর নিশ্বাসের শব্দে আরাভ ওর দিকে তাকায়।আরাভের মনে হলো ইয়ারাবী কিছু ভাবছে।
-কি ভাবছো?
-আমার একটা শখ ছিলো জানেন।
-কি?
-আমি আমার বরের সাথে পূর্নিমার রাতে ছাদে বসে থাকবো।আর আমার বর আমাকে গিটার বাজিয়ে গান শুনাবে।আমি একটা সাদা আর শাড়ী আর সে ডার্ক ব্লু কালার শার্ট পরবে।
-হুম তো?
-আপনি তো পারেননা।
আরাভ হেসে অপরপাশে তাকায়।ইয়ারাবী আরাভের বুকে ঘুমিয়ে গেলো।এদিকে আর্ভিন আরাবীর কাজ শেষে ওকে কোলে তুলে এনে খাটে শুইয়ে ওর পাশ ঘেঁষে শুয়ে আরাবীর কাঁধে মুখ ডুবিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
-একটু পাওয়া যাবে?
-আরাবী ভারি নিশ্বাসে কিছুই বলতে পারছেনা।অস্ফুট স্বরে বলল হুম।
আর্ভিন আরাবীকে নিয়ে আবার ভালোবাসার জগতে মেতে উঠলো।
ইয়ারাবীকে নাস্তা করিয়ে দিয়ে আরাভ বেরিয়ে গেলো অফিসের জন্য।আজ সকালে লোকটা কথা বলেনি একদম।
ইয়ারাবীকে একা বসে থাকতে দেখে রুহী রুমে এলো।বেশ চুপচাপ ইয়ারাবী।মনে হলো মনটা ও খারাপ।রুহী মেয়ের পাশে বসে ওকে বুকে জড়িয়ে নিলো।
-কিরে আম্মু মন খারাপ?
-নাহ খালামনি।
-আমার মেয়েটাতো এমন চুপচাপ থাকেনা।
খালার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলো ইয়ারাবী।
-কিছু বলবি?
-নাহ খালামনি।
-কিছু খেতে মন চাইছে?
-তেঁতুল।
-এক্ষুনি আসছি আমি।
উঠে বেরিয়ে গেলো রুহী।কিছুক্ষন বাদে রুমে এলো একটা বাটি নিয়ে।রুহী ইয়ারাবীর সামনে এসে বসলো।
তেঁতুল মাখিয়ে এনেছে রুহী।
-খালামনি ওয়াও থ্যাংক ইউ।
-হুম।জলদি খেতে শুরু কর।
-হুম।দুজনে খেতে লাগে। জানো খালামনি তোমার ছেলে আমাকে টক খেতেই দেয়না।
-তোর জেঠু ও দিতোনা।চুরি করে খেতে হতো।
দুজনে হেসে দিলো।
-তোর জেঠু জানিস খুব যত্ন নিতো।একদম বাচ্চাদের মতো আমাকে দেখে রাখতো।জানিস খুব দুষ্টু হয়ে গেছিলাম এসময়ে।আমার স্লিপ ওয়াক প্রবলেম ছিলো এ সময়ে।নিচে গিয়ে গান গেয়ে নাচতাম।আর তোর জেঠু রুমে নিয়ে আসতো।
-জেঠু তোমাকে খুব ভালোবাসে তাইনা খালামনি?
-মাথা ঝাঁকিয়ে একটু হাসে রুহী।
এদিকে আরাবী ঘুম থেকে উঠে ফোন হাতে নিয়ে খেয়াল করলো একটা এলো মেসেজ অফিস থেকে।
সেগুলো ছিলো এমন,
Best of luck you mam.Sunlam honeymoon e jacchen apnara.Apnar dayitto bortomane Arav sir dekhben.
হোয়াট!!!!আরাবী দ্রুত নিচে এলো।আর্ভিন নাস্তা বানিয়ে টেবিল সাজিয়েছে।
-জান জলদি খেয়ে নাও নইলে ফ্লাইট মিস হয়ে যাবে।
-মানে কি আর্ভিন???কই যাচ্ছি আমরা?
-গ্রীস!!!
-হোয়াট??
-ইয়াহ আমাদের হানিমুন।চলো যাও ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে এসো।
আরাবী এসে আর্ভিনকে জড়িয়ে ধরলো।
-থ্যাংকস আভিন।আই লাভ ইউ।
-আই লাভ ইউ টু।যাও ফ্রেশ হয়ে নাও।
-হুম।
আরাবী উপরে চলে গেলো।এদিকে আরাভ অফিস থেকে বেরিয়ে একটা মিউজিক্যাল ইন্স্ট্রুমেন্টের দোকানে চলে এলো।
তারপর বেছে ব্লাক ইয়ামাহা ব্রান্ডের ইলেক্ট্রিক গিটার কিনে ফেললো।
এদিকে দুপুরে আরাবী আর্ভিন বেরিয়ে পড়লো এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে।
চলবে