The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 29

আঙ্কেল আ’ম রিয়েলি ভেরি সরি।মাথা নিচু করে বলল আর্ভিন।আর্ভিনের আচমকা সরি বলায় কিছু বুঝে উঠতে পারছেনা রোয়েন।তারপর ওর মনে হলো আর্ভিন হয়ত এখানে থেকে ওদের কষ্ট দিচ্ছে ভাবছে তাই সরি বলছে।রোয়েন হাসি মুখে বলল বাবা সরি বলতে হবেনা।তোমার এ অবস্থায় তোমার বাবা মা ও এমনই করতো হয়ত আরো বেশিই করতো।আমরা তো তেমন কিছুই করতে পারছিনা বাবা।পারলে আমাদের মাফ করে দিও।আর্ভিন রোয়েন হাতজোড়া চেঁপে ধরলো।আঙ্কেল প্লিজ মাফ চাইবেননা।বাট আমি মাফ সেজন্য চাইনি কারন আছে আমার।মন খারাপ করে বলল আর্ভিন।আচ্ছা বলো আমাকে কি হয়েছে?বলে উঠে রোয়েন।
আসলে আঙ্কেল আপনারা আমার জন্য এতো দিন এতো কিছু করছেন আমার খুব খারাপ লাগছে।আমি লজ্জিত আঙ্কেল।সেদিন আমি যদি মিথ্যা না বলতাম আমার বাবা যদি মিথ্যা না বলতো তাহলে আপনার ছেলে আপনার কাছে থাকতো।
রোয়েন ভ্রু কুঁচকিয়ে জিজ্ঞেস করলো কি বলছো এগুলো ঠিক করে বলো।আঙ্কেল আমি আর্ভিন।আমার সাথে মারামারি করে আরাভ।ওর দোষ ছিলোনা।আমি আর কয়েকজন ফ্রেন্ড আর আরাভের একজন ক্লাশমেট একটা মেয়েকে উত্যক্ত করছিলাম।একজন লোক এসে মেয়েটাকে বাঁচাতে চাইলে আমরা সেই লোকটাকে পেটাতে থাকি।আরাভ এসে ওনাকে বাঁচায়।আমাকে আর আমার ফ্রেন্ডদের মারে।ও বলছিলো পু্লিশকে একথাটা ও জানাবে।আমি ভয় পেয়ে যাই।ঘরে ফিরার সময় নিজেকে আরো অনেক আঘাত করি।বাবাকে মিথ্যা বলেছি যে আরাভ আমার এ অবস্থা করেছে।তাই বাবা আমার কথা মেনে আপনাকে ডেকে পাঠায়।সেদিনের পর থেকে জীবনটা পাল্টে যায় আমার।আমার দোষের ভার কুরে কুরে খাচ্ছিলো আমায়।আর যেদিন আপনাদের দেখলাম খুব লজ্জিত হলাম।মাফ করে দিবেন আঙ্কেল প্লিজ।আমি জানি আমি যা করেছি এর মাফ হয়না।কথা গুলো বলার সময় আর্ভিনের গালবেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিলো।রোয়েন বলল দেখো যা করেছো একদমই ঠিক করোনি।আমার ছেলেটা আমার কাছে নেই।জানিনা কই আছে ও কেমন আছে?তারপর ও আমি বলবো আমার ভালো লাগছে যে তোমার কর্মের জন্য তুমি লজ্জিত। তোমাকে মাফ করলাম।আর একটা কথা আমাদের কষ্ট হচ্ছেনা তুমি এখানে থাকায়।নিজেকে গেস্ট ভেবোনা।আসি আমি।বলে উঠে রুম থেকে বেরিয়ে যায় রোয়েন।কিছুক্ষন পর আরাভ রুমে প্রবেশ করলো।আরাভকে দেখে চোখের পানি মুছে নেয় আর্ভিন।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-কি খবর বন্ধু?জিজ্ঞেস করে আরাভ।
-এই তো ভালো।তোমার?বলে উঠে আর্ভিন।
-ভালো।কেমন যাচ্ছে দিন কাল।জিজ্ঞেস করে আরাভ।
-এই তো এখন ভালো আছি।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
আরাভের বেশ কিছুক্ষন আর্ভিনের খবরাখবর জানতে চাইলো।কিছুক্ষন পর আরাবী সুপ নিয়ে রুমে ঢুকলো।আরাভের তাকিয়ে মিষ্টি হেসে জিজ্ঞেস করলো,কেমন আছেন মিঃ আরাভ?জি মিস আরাবী ভালো।আরাবী আর্ভিনের দিকে মুখ ঘুরিয়ে বলল আপনার খাবার টাইম হয়ে এসেছে।আরাবী আর্ভিনের পাশে বসে ওর দিকে চামচে একটু সুপ ধরে বলল খেয়ে নিন।আর্ভিন বলল আমি পারবো খেতে।
চুপ থাকেন আমি খাইয়ে দিচ্ছি খেয়ে নিন।বলে উঠে আরাবী।আরাভ এক্সকিউজমি বলে বেরিয়ে আসে রুম থেকে।আরাভ বেশ চিন্তায় পড়ে গেছে।আর্ভিন লোক ভালো না।আরাবী কে তার থেকে দূরে রাখতে হবে।বোনের জন্য যা দরকার হবে তাই করবে আরাভ।হাতজোড়া শক্ত করে মুঠে নেয় আরাভ কথা গুলো ভাবতে ভাবতে।আরো তিন চারদিন থাকার পর আর্ভিন নিজের ঘরে ফিরে এলো।আরাবী ওকে ছাড়তে চাইছিলোনা।কিন্তু আর্ভিন বেরিয়ে এলো।সেদিন সন্ধ্যায় আরাভের কল পেয়ে ক্লাবে এলো আর্ভিন।আরাভ জুস বারে বসে জুসের গ্লাসে সিপ দিয়ে আর্ভিনের দিকে তাকালো।আর্ভিন হেসে জুসের গ্লাসে চুমুক দেয়।একটু গলা পরিষ্কার করে আরাভ বলল তুমি কি আরাবী কে ভালোবাসো?
আরাভের কথায় বেশ অবাক হয় আর্ভিন।আরাভের দিকে চেয়ে বলল হুম।আর আরাবী ও আমাকে ভালবাসে।আমার বোন থেকে দূরে থাকো।জোর গলায় বলল আরাভ।কেন?কি হয়েছে?একটু অবাক হলো আর্ভিন।তুমি প্লেবয়।অনেক মেয়ের সাথে তুমি ইনটিমেট হয়েছ আমি জানি।নিত্য নতুন মেয়ে আর মদ তোমার নেশা।আর এমন ছেলের সাথে আমার বোনকে আমি দিবোনা নেভার।বারে আসা প্রত্যেকটা মেয়ে তোমার বোড পার্টনার।তোমার সব দিক বাদ দিলে ও মেয়ের ব্যাপারটা ছাড়তে পারিনা।আরাভের কাঁধে হাত রাখলো আর্ভিন পাস্ট সম্পর্কে ভালোই জানো প্রেজেন্ট সম্পর্কে জানালানা।আমি সব ছেড়ে দিয়েছি একমাত্র তোমার বোনকে ভালোবাসি বলে।বারের মেয়েরা আমার বেড পার্টনার ভালো কথা বাট খবর নিয়ে দেখো আমি এখন বারে যাই কিনা।আর যারা মেয়েদের সাথে নাইট স্পেন্ড করে সবাই কিন্তু খারাপ হয়না আরাভ।তোমরা খারাপ। ভালো হওনা কখনো।আমার বোনের কাছে যাবেনা দিস ইজ মাই লাস্ট ওয়ার্নিং।রেগে কথা গুলো বলে উঠে চলে যাচ্ছিলো আরাভ।পিছন থেকে আর্ভিন বলল,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-তোমার বোন আমার থেকে দূরে থাকতে পারবেনা।
-আরাভ পিছনে ফিরে আরাভের শার্টের কলার চেঁপে ধরে বলল পারবে ও পারতে হবে।
-আমি শিওর তোমার বোন নিজেই আমার কাছে আসবে।বলে উঠে আর্ভিন।
-No way.বলে উঠে আরাভ।
– আমি চ্যালেঞ্জ করছি তোমার বোন আমার কাছে না আসলে ওকে আমি নিজের চেহারা দেখাবোনা।আর আসলে ওকে আমার সাথেই বিয়ে দিতে হবে।বলে উঠে আর্ভিন।
-ডান।
-আর্ভিন আরাভের সাথে হাত মেলায়।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
সেদিন প্ল্যান মোতাবেক আর্ভিন আরাভের সাথে ওর ফার্ম হাউজ (যেটায় ইয়ারাবীকে এনেছিলো আরাভ)চলে আসে।আর্ভিনের ফোন বন্ধ পেয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ে আরাবী।আর্ভিনের দারোয়ানকে কল করে আরাবী জানতে পারলো আর্ভিন লন্ডন চলে গেছে।আরাবী বেশ কষ্ট পায়।এভাবে ওকে না বলে যাওয়ার মানে কি?আরাবী আর্ভিনের নম্বরে কল দিতে থাকলো জানা সত্বে ও যে সেখানে বাংলাদেশী সিম কাজ করেনা।তারপর ও কল দিতে থাকলো।আরাভের নম্বরে আরাবীর কল এলো।আর্ভিনকে চুপ থাকতে বলো।আরাভ কল রিসিভ করলো।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-হ্যালো মিস আরাবী চৌধুরী বলুন।
-মিঃ আরাভ আর্ভিন কই?জানেন কি?ওনার ফোন অফ আসছে।কাঁদতে কাঁদতে বলল আরাবী।
-ও তো লন্ডন ফিরে গেছে।ইজ এভ্রিথিং ওকে মিস আরাবী?ভ্রু কুঁচকায় আরাভ।
-এভ্রিথিং ইজ নট ওকে।ওনি কি করে আমাকে না বলে চলে গেলো।কেন গেলো এভাবে না বলে?চিৎকার করে কেঁদে বলল আরাবী।
-ওনার অফিশিয়াল কাজ ছিলো আই থিংক।বলে উঠে আরাভ।আরাবী ফোন কেঁটে দিলো।
(শুয়ে খুব বোরিং লাগছিলো তাই দিলাম।জানি ছোট হয়েছে।ভালো হয়ে গেলে বড় করে দিবো)
চলবে