The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 02

মিটিং শেষ করে ডেমিন আর ওর লোকদের সাথে হ্যান্ডশেক করে আরাভ আর অর্পন।আরাভের কাঁধে হাত রাখে ডেমিন আর বলে ইউ এচিভড সাকসেস ইন আ ভেরি ইয়াং এজ।ইটস আ গ্রেট থিং মিস্টার আরাভ রোয়েন চৌধুরী।থ্যাংকস মিস্টার ডেমিন ডিকস্টা।নাইস টু মিট ইউ।কাঁধ থেকে ডেমিনের হাত সরিয়ে বলল আরাভ।
ওয়েলকাম মিস্টার আরাভ।দা ডিল গোস টু ইউ ইয়াং ম্যান।বি হ্যাপি!!!বলে সামনে চলে যেতে থাকেন ডেনিম আর তার এম্পলয়িরা।অর্পন আরাভকে জড়িয়ে ধরে বলল
– কংগ্রাচুলেশনস ভাই।আজ আমি অনেক খুশি তোমার জন্য।একটা পার্টি হয়ে যাক প্লিজ!!
-অর্পন তুই জানিস আই হেট পার্টিস।
-প্লিজ ভাই আজকের দিনটা তো সেলিব্রেট করতে দাও প্লিজ।বলতে থাকে অর্পন।
-ওকে ডিয়ার আমার কার্ড টা নেয়।সব ব্যাবস্থা কর।অর্পনের হাতে কার্ডটা দিয়ে বলে আরাভ।
লাভ ইউ ভাই আরাভের গালে চুমু দিয়ে বলে অর্পন।হোয়াট ইজ দ্যাট অর্পন।ডোন্ট ডু দ্যাট এগেইন।ভ্রু কুঁচকে বলল আরাভ।ওকে ভাই আর হবে না।চলো ঘরে ফিরা যাক।ওকে চল।অর্পনের সাথের বাসার জন্য রওনা হয় আরাভ।আরাভ কে ঘরে পৌছে দিয়ে অর্পন শপিংয়ে চলে যায়।
ঘরে পৌছুতেই একটা মেল সার্ভেন্ট এসে আরাভের কোট খুলে নিলো।
-স্যার আপনি ফ্রেশ হয়ে নিন।আপনার খাওয়া লাগিয়ে দিচ্ছি।
-ওকে।বলে সিড়ি বেয়ে রুমে চলে আসে আরাভ।
ফ্রেশ হয়ে ডিনার সেড়ে আবার রুমে এসে বিছানায় শরীর এলিয়ে দিলো।সারাশরীর জুড়ে ভর করলো রাজ্যের ক্লান্তি।চোখজোড়া বুজে আসতে চাইছে ওর।কিন্তু চাইছেনা ও।চোখ বুজে গেলে সুন্দর পৃথিবীটাকে হারিয়ে ফেলে?একসময় ওর পৃথিবীটা আরো বেশি সুন্দর ছিলো যখন পরিবার ছিলো।পরিবারটা কি আছে? কেমন আছে?কার কি খবর সেটার খবর আরাভের অজানা নয়।তারা কি আরাভ কে মিস করে?তারা কি এখনো ওর ছবি বুকে জড়িয়ে কাঁদে?তারা কি জানে তাদের ছেলেটা কোথায়।চোখের কোনা বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়বে পড়বে করে পড়ছেনা।অারভ যে পড়তে দিচ্ছেনা।দূর্বল হবেনা ও।দূর্বলতা শেষ করে দিবে ওকে।তারপর ও তাদের চেহারা চোখের সামনে এলে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনা ও।সেদিনের পর থেকে একা বাঁচতে শিখেছে ও।তবে ওর একটা আশ্রয় ছিলো আকরাম আজহার আঙ্কেল আর তার পরিবার।
আরাভ চলে যায় সেই দিনটায়।বাবার চড়টা গালে না ঠিক হৃদয়ে লেগেছিলো।বাবা জানতেন আরাভ ভুল কিছু করবেনা।কিন্তু সেদিন কথা না শুনেই আঘাত করেছিলেন?কেন সেই হৃদয়টাকে ক্ষতবিক্ষত করেছিলেন?তার কি শোনার প্রয়োজন ছিলোনা।ঘর থেকে বেরিয়ে আসার পর আঁকা বাঁকা রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছিলো আরাভ অজানা গন্তব্যের দিকে।
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বেশখানিক রাস্তা পার করার পর একজন ওর সামনে এসে দাঁড়ায়।আরাভ মাথা উঁচু করে।কলেজের সেই লোকটা যার সাথে এডমিট হওয়ার দিন দেখা হয় ওর।যাকে বাঁচাতে গিয়ে আজ ওর এই পরিনতি।
-আরে বাবা তুমি এখানে কেন?এতো ভোরে কই যাও?জিজ্ঞেস করেন আকরাম আজহার।
-জানিনা।মলিন কন্ঠে বলে আরাভ।
-বাসা কই তোমার?জিজ্ঞেস করেন আকরাম আজহার।
-আমার বাসা নেই।আমি একা।বলে উঠে আরাভ।
আকরাম ছেলেটার কথা শুনে অবাক হন।কি বলছে এই ছেলে?তারপর ও জিজ্ঞেস করেন,
-তোমার নাম কি বাবা?
-আরাভ রোয়েন চৌধুরী।
-তুমি ডাক্তার রোয়েন চৌধুরীর ছেলে?তা এখানে কেন তুমি?বাসায় নিয়ে যাই তোমাকে চলো?বলে উঠেন আকরাম আজহার।
-পালিয়ে এসেছি আমি।আকরাম আজহারের হাত ধরে বলে আরাভ।
-কেন?জিজ্ঞেস করেন আকরাম আজহার।
আরাভ পুরো কাহিনী খুলে বলে আকরামের কাছে।সব শুনে দ্বীর্ঘনিশ্বাস ফেলেন আকরাম আজহার।তোমার বাবার সাথে কথা বলবো আমি।আকরাম আজহার ফোন বের করতে করতে বলেন।
-দেখুন আমি সেখানে যাবোনা।চললাম।অন্যদিকে চলে যেতে থাকে আরাভ।
আকরাম ভাবেন এভাবে তো এর লাইফ শেষ হয়ে যাবে।কই যাবে কই থাকবে।ওকে বাসায় নিয়ে যাই।রাগ কমলে ওর বাবাকে সত্যিটা জানিয়ে বাসায় পাঠানো যাবে একে।আরাভ!!!ডেকে উঠেন আকরাম আজহার।
মাথা ঘুরায় আরাভ।জি??আকরাম আরাভের কাছে এসে দাঁড়ায়।আমার বাসায় চলো।দেখি কি করা যায়।বলে উঠেন আকরা আজহার।
আগে প্রমিজ করুন আমার বাবার সাথে যোগাযোগ করবেননা আপনি।বলে উঠে আরাভ।না বাবা করবোনা।চলো যাই।কথাটা বলে আরাভ কে নিয়ে নিজের বাসায় আসেন আকরাম আজহার।আরাভ কে একটা রুমের সামনে আনলেন আকরাম।এটা আমার ছেলের রুম।এখন থেকে ওর সাথেই থাকবে তুমি।মাথা ঝাঁকায় আরাভ।রুমে ঢুকতেই একটা ছেলেকে দেখতে পায় আরাভ।
-ও আমার ছেলে অর্পন।ক্লাশ নাইনে পড়ে।বলে উঠেন আকরাম আজহার।
-হায় অর্পন।আরাভ বলে উঠে।
-অর্পন এটা তোমার আরাভ ভাইয়া।এখন থেকে তোমার সাথেই থাকবে।বলে উঠেন আকরাম আজহার।
-হায় ভাইয়া।আমি খুব খুশি হবো তুমি থাকলে।
অর্পনের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় আরাভ।আকরাম আজহারের বাসায় ২মাস কাঁটিয়ে দেয় আরাভ।এই পাঁচমাসে আকরাম রোয়েনের সাথে যোগাযোগ করার খুব চেষ্টা করে কিন্তু আরাভের কারনে পেরে উঠেনি।এর পর ঠিক করলেন নিজেই আরাভকে নিজের সন্তানের মতো বড় করবেন।মানুষ করবেন।যে ভাবা সেই কাজ।আরাভ আর অর্পন পাঠিয়ে দেন ফ্লোরিডা।সেখানকার একটা কলেজে অারাভ ভর্তি হয় আর স্কুলে অর্পন।অর্পন সেই ছোটবেলা থেকেই আরাফের জন্য পাগল।পড়া লেখা শেষে আকরাম আজহারের সাহায্যে আরাভ নিজের কোম্পনী খুলে।যার অর্ধেকের মালিক অর্পন।হঠাৎ অর্পন দৌড়ে আরাভের রুমে আসলো।
-ভাই চলো।গেস্টরা চলে এসেছে।আরাভের হাত ধরে বলল অর্পন।
-অর্পন তুই পার্টি করনা প্লিজ।ভালো লাগছেনা আমার।এসব হৈহুল্লোড় ভালো লাগেনা আমার।
-ভাই পার্টি তোমার।তুমিই কেন বারন করছো?প্লিজ আমার জন্য।আরাভের হাত ধরে টানতে লাগে অর্পন।
-ওকে বাট অল্প কিছুক্ষন।বলে উঠে অারাভ।
অর্পন বেরিয়ে গেলে আরাভ রেডি হয়ে নিচে নেমে আসে।অনেক মেয়ে আছে।বেশিরভাগ অর্পনের ফ্রেন্ড।
আরাভের হাত ধরে অর্পন সবার সামনে এসে দাঁড়ালো।
গাইজ দা পার্টি নাইট ইজ অনলি ফর মাই ওয়ান এন্ড অনলি ব্রো আরাভ রোয়েন চৌধুরী।ভাই কিছু বলো আরাভের দিকে মাইক এগিয়ে বলে অর্পন।
আরাভ মাইক হাতে নিয়ে ঠোঁটের সামনে ধরে”টুনাইট ইজ রিয়েলি চার্মিং এন্ড বিউটিফুল।দা স্টারস দা মুন এভরিথিং ইজ বিউটিফুল।ইন দিস বিউটিফুল নাইট দিস বিউটিফুল পার্টি ইজ অনলি ফর ইউ গাইজ।সো এন্জয় দিস পার্টি।আরাভ অর্পনের হাতে মাইক ধরিয়ে জুসবারে এসে বসলো।লো এলকোহলিক ড্রিংকস নিয়ে সিপ দিতেই ফেন্সির দিকে চোখ পড়ে আরাভের।মুখ শক্ত হয়ে আসে ওর।ফেন্সি আরাভের কাছে এসে বসে।আরাভের টাইটাকে হাতে পেঁচিয়ে নিজের দিকে আনে।লিভ মি ফেন্সি রেগে যায় আরাভ।ফেন্সি আরাভকে কিস করার চেষ্টা করছে।আরাভ এবার জোরে ধাক্কা দিয়ে সরায় ফেন্সিকে।লিভ নাও?গলা ফাঁটিয়ে চিৎকার করে আরাভ।ফেন্সি পড়ে গিয়ে বসে পড়লো ফ্লোরে।সবাই চেয়ে আছে ওদের দিকে।আরাভ সবার দিকে এন্জয় করতে ইশারা করে রুমে চলে গেলো।
.
.
.
.
.
.
হাসপাতালে নিজের চেম্বারে বসে আছে রোয়েন।চশমা চোখে কম্পিউটারের দিকে চেয়ে আছে।ওর কম্পিটিটারের সাথে হাসপাতালের প্রত্যেকটা সিসিটিভি ক্যামেরা এডজাস্ট করা।
মানুষ আসা যাওয়া করছে আবার কোথাও পেশেন্টরা ওয়েটিং রুমে আছে।
কিছুক্ষন পর ড্রাইভার রোয়েনের রুমে প্রবেশ করে।তার হাতে একটা ব্যাগ।
-ভ্রু কুঁচকায় রোয়েন।কি আছে এতে?
-ড্রাইভার ব্যাগ থেকে একটা টিফিন কেরিয়ার বের করলো।বড় ম্যাম পাঠাইছে আপনের জন্য।
-হুম।ওকে ওখানে রাখো।সামনের ছোট টেবিল দেখিয়ে বলল রোয়েন।
-ওকে স্যার।ম্যাম বলছে ওনারে কল দিতেন খাইয়া।বলে বেরিয়ে গেলো ড্রাইভার।
তবে এতো সহজে খাওয়ার সময় হয়ে উঠেনা রোয়েনের।ওর পেশেন্ট অনেক।প্রত্যেকদিন অনেকেই আসে ওর কাছে।ঘরে ফিরে খুব সময় করে।তবে কখনো একা ডিনার করতে হয়নি।যতো রাত হোকনা কেন মায়াবতী তার অপেক্ষায় থাকে।ঠোঁটের কোনে হাসি ফুঁটে ওঠে রোয়েনের।সেই সাথে চোখের কোনে অশ্রু জ্বলজ্বল করে উঠে।লম্বা শ্বাস নিয়ে পেশেন্ট দেখতে আরম্ভ করে।
বিকেলে লাঞ্চ করতে বসে রুহীর নম্বরে কল দেয় রোয়েন।গভীর ঘুম ভাঙ্গনের পথে রুহীর।আধো চোখ খুলে ঘড়ির দিকে তাকায় রুহী।বিকেল সাড়ে চারটা বাজে।
ওমা এতো লেট হলো।রুহী ধড়ফড় করে উঠে বসে আড়মোড়া ভেঙ্গে ফ্লোরে পদযুগল রাখতেই ফোনে ভাইব্রেশন হতে শুরু করে।নাম্বার দেখে ঠোঁটে হাসির রেখা ছুঁয়ে গেলো রুহীর।কিন্তু সময়ের কথা মনে হতেই মনটা খারাপ হয়ে যায়।ফোন রিসিভ করে কানে রাখে রুহী।
-হ্যা কি করছিলে?অপরপাশ থেকে বলে রোয়েন।
-সবে ঘুম ভাঙ্গলো।এখনো খাওনি কেন?জিজ্ঞেস করে রুহী।
-খাচ্ছিতো।খাওয়া মুখে পুরে বলে রোয়েন।
-এতো লেট কেন?জিজ্ঞেস করে রুহী।
-জানোই তো অনেক পেশেন্ট থাকে।
-তবু ও নিজের খেয়াল রাখবেনা?জিজ্ঞেস করে রুহী।
-সেজন্য তুমি তো আছোই।বলে উঠে রোয়েন।
-সবসময় কি আর থাকবো?হেসে বলল রুহী।
-রুহী!!!ধমক দেয় রোয়েন।
-আরে মানে তোমার হাসপাতালে থাকবো নাকি সেটা বলছিলাম।
-কথা বলার সময় ভেবে চিন্তে বলো।যা বলছো সেটা অপর পাশের মানুষটার ওপর কি এফেক্ট ফেলছে।রেগে যায় রোয়েন।
রুহীর মুখে মলিন হাসি।কখনো কখনো বুকটা ফেঁটে যায় ছেলেটার জন্য।মনের অজান্তেই চোখের কোনা ভিজে যায় রুহীর।
-রুহী আর ইউ ওকে?কথা বলছো না কেন?জিজ্ঞেস করে রোয়েন।
-আমি ঠিক আছি।কোনমতে কান্না দমিয়ে বলে রুহী।
হঠাৎ বাহির থেকে খুব হৈহুল্লোড়ের শব্দ ভেসে আসে রোয়েনের কানে।কিছু মানুষ খুব কাঁদছে।রোয়েন বলে উঠে রুহী একসেকেন্ড।আমি একটু দেখে আসি।
-ওকে।রুহী ফোন কানে রেখে বসে থাকে।
রোয়েন বেরিয়ে দেখলো সব আর ডাক্তার আর নার্সরা একজন রিক্সাওয়ালা গোছের লোকের সাথে রাগা রাগি করছে।লোকটা খুব কাঁদছে।লোকটার ময়লা ছেড়া শার্টের বুকের খানিকটা অংশ রক্তে ভেজা।ভীষন কৌতুহল হয় রোয়েনের।হেঁটে সেদিকে চলে যায় রোয়েন।নার্স আর ডাক্তাররা রোয়েনকে দেখে সরে যায়।রোয়েন এসে দেখে লোকটা একটা ছেলেকে ধরে দাঁড়িয়ে আছে।তার কাঁধের অংশটুকু ছেলের ফেঁটে যাওয়া মাথার রক্তে ভেসে যাচ্ছে।
-স্যার ওনাকে আমরা হ্যান্ডেল করছি।আপনি যান।একজন ডাক্তার বলে উঠে।
রোয়েন রক্তচক্ষু দিয়ে ডাক্তারের দিকে তাকাতেই লোকটা মাথা নিচুকরে।গরীব লোকটা কেঁদেই যাচ্ছে।স্যার আমার পোলারে বাঁচান।কি অবস্থা দেহেন।একটা মাত্র পোলা আমার।স্যার বাঁচান।কাঁদতে থাকে লোকটা।
রোয়েনের চোখ জ্বলজ্বল করে উঠে।সিস্টার ওনাকে বসতে দাও।নাস্তা পানির ব্যাবস্থা করো।আর তোমরা ওটি তে নিয়ে যাও ওনার ছেলেকে।অপারেশনের দায়িত্বে আমি থাকবো।আর ডাক্তার রাব্বি তুমি ও আমার সাথে থাকবে।রোয়েনের কথায় ওর নার্স আর ডাক্তররা অবাক হয়ে রোয়েনের দিকে।সিনিয়র ডাক্তার হওয়ার সুবাদে তেমন একটা সার্জারি করে না রোয়েন।সিরিয়াস কিছু না হওয়া পর্যন্ত।
লোকগুলোর তাকিয়ে থাকায় বিরক্ত হয়ে রোয়েন।
-কি হলো যাও বলছি।ধমক দিয়ে উঠে রোয়েন।
লোকটা রোয়েনের পায়ের কাছে বসার আগেই রোয়েন তাকে ধরে।আপনার ছেলের কিছু হবেনা।আমার ওপর ভরসা রাখুন।
-স্যার আমি গরীব মানুষ।এতো টাকা কই পাবো।কেঁদে বলে লোকটা।
-লোকটার কাঁধে হাত রাখে রোয়েন।টাকার কথা ভাবতে হবেনা।সিস্টার ওনাকে বসতে দিয়ে নাস্তা পানি দাও।
-জি স্যার।আপনি চলুন আমার সাথে।নার্স লোকটা কে নিয়ে গেলো।
রোয়েন রুমে এসে ওর গ্লাভস নিতে যাবে তখনই ফোনের খেয়াল হলো ওর।ফোন হাতে নিয়ে দেখলো রুহী এখনো আছে।কানে ফোন রাখে রোয়েন।
-আমি রাখছি।একটা সার্জারি করতে হবে।
-তোমার লাঞ্চ?জিজ্ঞেস করে রুহী।
-কারোর ছেলের জীবন বাঁচাবো।লাঞ্চ না করলে ও চলবে।এসে খাবো।বলে কল কেঁটে বেরিয়ে পড়ে রোয়েন।
অর্পন পার্টি ছেড়ে আরাভের রুমে আসে।আরাভ রুমের সব কিছু ভেঙ্গে একাকার করে ফেলেছে।ফোঁস ফো্স আওয়াজ আসছে আরাভের ভিতর থেকে।
-ভাই আমি সরি।জানতামনা ফেন্সি এসময় আসবে।মাথা নিচু করে অর্পন।
-পার্টির এ্যারেঞ্জমেন্ট তুই করেছিলি তাইনা?গলা ফাঁটিয়ে চিৎকার করে আরাভ।
-জি ভাই।আস্তে করে বলে আরাভ।
-আরাভ অন্য দিকে তাকিয়ে রাগে ফুঁসছে।
-আ’ম সরি ভাই।মন খারাপ করে বলে অর্পন।
হুহ।অর্পন কে পাস করে হট শাওয়ার নিতে ওয়াশরুমে চলে যায় আরাভ।অর্পনের মনটা খুব খারাপ হয়ে যায় সেই সাথে ফেন্সিডিলের ওপর ভীষন রাগ হয়।কাছে পেলে মেয়েটাকে ইচ্ছে মতো থাপড়াতো অর্পন।লুচুনি মেয়ে একটা।
চলবে