The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 87

রোয়েনের মুখে মুগ্ধতার হাসি।আজ প্রায় ছয় বছর পর ভাইটির সাথে দেখা হয়েছে ওর।ওর চাচাতো ভাই হয় সে।সুইডেন থাকে ওয়াইফ আর বাচ্চাদের নিয়ে।ঘুরতে এসেছে মাস খানিকের জন্য।আবার চলে যাবে।সেখানে বিজনেস আছে ওর।ওর ওয়াইফ কে ও দেখতে পায় রোয়েন।বৌ ও বেশ চমৎকার মানুষ।ভাইটাতো খুব ভালো।রোয়েন লোকটা থেকে সরে এসে রুহীর কাছে আসে তাকে নিয়ে।রুহী সালাম দিয়ে রোয়েনের দিকে তাকায়।রোয়েন বলল,
.
.
-”রুহী ও আমার চাচাতো ভাই আরাভ চৌধুরী।”
.
.
রুহী হেসে বলল,
.
.
-”ভালো আছেন ভাইয়া?”
-”এইতো ভাবি ভালো।তা কেমন লাগছে এখানে?অসুবিধা হয়নি তো?”
-”না ভাইয়া।ভীষন সুন্দর আপনার কনভেনশন সেন্টারটা।আর ঘর থেকে ও খুব কাছে। কষ্ট হয়নি।”
-”ভালো লাগলো শুনে।রোয়েন ভাই বাবা হচ্ছো বলোনি কেন আগে?”
-”আসলে একটু প্রবলেমে ছিলাম।এ্যাক্সিডেন্ট এর কথা শুনেছিলা মনে হয়।”
-”ওহ হ্যা।কেমন আছেন এখন?”
-”আলহামদুলিল্লাহ।তা বৌ কই?”
.
.
আরাভ লোকটা আশেপাশে তাকিয়ে বলল,
.
.
-”এখানেই তো ছিলো।কই গেলো মেয়েটা?”
.
.
আরাভ কে এভাবে খুঁজতে দেখে রোয়েন বলল,
.
.
-”আছে হয়ত আশেপাশে। তা মেয়ে কই তোমার?”
-”ইরুর সাথেই আছে।”
-”ওহ।তা কতো বড় হলো ও?”
-”ফাইভে পড়ে।”
-”মাশাল্লাহ খুব বড় হয়ে গেছে।”
-”হুম।”
.
.
এরই মাঝে রোয়েন রুহী একজন কমবয়সী রমনীকে আসতে দেখে।তার সাথে আরেকটা ছোট মেয়ে।কমবয়সী রমনী ভীষন সুন্দরী।গায়ে সুন্দর একটি শাড়ী।তার চোখে মুখে দুষ্টু্মির হাসি।সে আরাভের পাশে এসে দাঁড়িয়ে একগাল হেসে বলল,
.
.
-”ভালো আছেন ভাইয়া?”
.
.
রোয়েন বুঝতে পারলো এনিই আরাভের স্ত্রী ইয়ারাবী।ও হেসে বলল,
.
.
-”এই তো। ”
.
.
ইয়ারাবী মেয়ের কানে কানে বলল,
.
.
-”জেঠুকে সালাম দাও।”
.
.
ছোট মেয়েটি রোয়েনকে সালাম দেয়।রোয়েন বলল,
.
.
-”আরাভ নাম কি জানি?তুমি বলেছিলে কিন্তু মনে নেই।”
-”নো প্রবলেম ভাই।ওর নাম আয়রানা চৌধুরী।ডাকনাম আদর।”
-”ওহ।খুব আদুরে নাম।”
.
.
রুহী মেয়েটার গাল ছুঁয়ে বলল।তখনই রোয়েন বলল,
.
.
-”ইয়ারাবী ও আমার ওয়াইফ রুহী।”
-”হ্যা।ভাবির কথা শুনেছিলাম।ভীষন সুন্দরী ওনি।”
-”ধন্যবাদ।কিন্তু এতোটাও সুন্দর নই।”
.
.
হেসে বলল রুহী।আরাভ বলল,
.
.
-”আদর জেঠিকে সালাম দাও।”
-”আসসালামু আলাইকুম জেঠী।”
-”ওয়ালাইকুম আসসালাম মামনি।”
.
.
রোয়েন ভাবছে রুহী অনেকসময় পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছে।কষ্ট হচ্ছে ওর।ও বলল,
.
.
-”একটু বসি গিয়ে আমরা।”
.
.
রোয়েনের কথায় আরাভ বলল,
.
.
-”আরে হ্যা।ভাবি ও তো অসুস্থ।”
.
.
রুহী লজ্জা পেয়ে বলতে যাচ্ছিলো না ভাইয়া প্রবলেম নেই রোয়েন চোখ রাঙ্গাতেই চুপ হয়ে গেলো রুহী। ওরা এক জায়গায় গিয়ে বসলো।
এদিকে রোয়েনের বন্ধুরা আসতে শুরু করেছে।এসেগেছে আরমান হামিদ, নীরা হামিদ আর সামায়রাও। মেয়েটা আজ অফ শোলডার হাতার একটি স্যালোয়ার কামিজ পরেছে।রয়েল ব্লু কালারের স্যালোয়ার কামিজ আর গোল্ডেন ব্লু কালারের লং ইয়ার রিংস।হাতের বুড়ো আঙ্গুলে বড় একটি আংটি।পায়ে উঁচু হিল।ফাহমিন অন্য বন্ধুদের সাথে মিলিত হয়।ওরা খুঁজছে রামীন আর রোয়েনকে।খুঁজতে খুঁজতে এক পর্যায়ে রোয়েনকে পেয়ে যায় ওরা জুস কাউন্টারে।রুহীকে জুস খাওয়াচ্ছে ও।বন্ধুরা হাসতে হাসতে ওদের কাছে আসে।জুয়েল বলল,
.
.
-”কি খবর ভাবি?”
.
.
জুয়েলের কথা শুনে রোয়েন রুহী দুজনেই পাশ ফিরে তাকায়।রুহী হেসে বলল,
.
.
-”এইতো ভাই। আপনারা?”
-”ভালো।কংগ্রাচুলেশনস ভাবি এবং রোয়েন।”
-”থ্যাংকস ভাইয়া।”
.
.
জুয়েল হঠাৎ বলল,
.
.
-”শালা রামীন কে দেখেছিস?”
-”আশেপাশেই আছে।”
.
.
রামীনের কথায় রুহী বলল,
.
.
-”রোয়েন আশফিনাকে দেখে আসি।আপনারা বরং গল্প করুন।আর ভাবিদের সাথে গিয়ে বসি আমি।”
-”শিওর।নিজের খেয়াল রাখবে।দরকার হলে কল দিবে।”
-”ওকে।আমি আসি তাহলে।”
.
.
রোয়েন ফ্রেন্ডদের সাথে চলে গেলো।রুহী আশফিনার খোঁজ করতে গিয়ে দেখলো ব্যালকনিতে বসে আছে আশফিনা।রুহী গিয়ে দেখলো আশফিনা কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে।রুহী ভয় পেয়ে যায়।ও বলতে লাগলো,
.
.
-”কিরে কাঁদছিস কেন?কি হয়েছে?”
-”রুহী একা ছাড়বি আমাকে প্লিজ?”
-”একদম না।কি হয়েছে তোর?রামীন ভাই কিছু বলেছে?”
-”রুহী ওনি কিছু বলেনি।আমারই দোষ।”
-”কি হয়েছে বলবি?”
.
.
ভয় পেয়ে গেছে রুহী।এভাবে কাঁদছে আশফিনা আর বলছে ওর দোষ?রুহী কে অবাক করে দিয়ে আশফিনা বলতে লাগলো,
.
.
-বিয়েটা করতে চাইনি আমি।বাবা কে মেরেছি তারমানে আমি খুনি।আমার জায়গা জেলে হওয়ার কথা স্বামীর ঘরে নয়।সেই সৌভাগ্য হওয়ার কথা না আমার।আমি কোন ভাবেই নিজেকে ওর যোগ্য মানতে পারছিনা রুহী।আমি খুনি সে তো ভালো।কি করে আমি……”
-”সে কি ভালো?দিন রাত এই মানুষ গুলো রক্ত নিয়ে খেলা করে আশু।হাজার হাজার মানুষের রক্ত লেগে আছে তাদের হাতে।আমি বলছিনা তারা খারাপ।আমার হাজবেন্ড রামীন ভাই শামীম ভাই সবাই একই।তাই বলে কি ওনারা বিয়ে করেনি?সংসার করছেনা?খুন আমি ও করেছি আশফিনা।তাই বলেকি রোয়েন আমাকে ভালো বাসেনা সংসার করছিনা আমরা?আমরা সৌভাগ্যবান এমন স্বামী পেয়ে।জানিস ওনারা কতো ভালো তোর আমার ভাবনার থেকে ও বেশি।তো এই ভাল মানুষটাকে কি করে কষ্ট দিস বলতো?সে তোকে ভালবাসে।জানিস বিয়ের আগে যখন রোয়েন আমাকে নিজের কাছে এনেছিলো ওকে মানতে পারিনি।খুব খারাপ ব্যাবহার করতাম।যা তা বলতাম।সামিরের সাথে ভেগে গিয়েছিলাম।কিন্তু ওনি আমাকে ছেড়ে দেয়নি।জানিস সাহস জুগিয়েছে।বুকে টেনে নিয়েছে ভালবেসেছে।আর আজ তাকে ও খুব ভালবাসি আমি।তোর উচিৎ সব ভুলে রামীন ভাইকে মেনে নেয়া।তাকে কাছে টেনে নেয় ভালবেসে।দেখবি তোর চেয়ে সুখী আর কেউ হবেনা।রামীন ভাই খুব ভালো মানুষ কষ্ট দিস না তাকে।”
-”চেষ্টা করবো রুহী।”
-”চেষ্টা না।তোকে করতেই হবে।”
.
.
রুহীর হাত ধরে মাথা ঝাঁকায় আশফিনা।রুহী আশফিনাকে নিয়ে পার্টিতে জয়েন করে।আশফিনা মনে মনে রামীনকে খুঁজছে।রুহী বুঝতে পেরে মৃদু হাসে।রোয়েনের বন্ধুর বৌরাও এসেছে।আশফিনা আর রুহী তাদের সাথে যোগ দেয়।কথার মাঝে রুহী প্রচন্ড প্রয়োজন অনূভব করে তার লোকটার।এক্ষুনি লাগবে তাকে।এই মুহূর্তে চাই তাকে পাশে।রুহী সরে এসে কল দেয় রোয়েনের নম্বরে।
মেরি জিন্দেগি সাওয়ারি
মুঝকো গালে লাগাকে
বেঠা দিয়া ফালাক পে
মুঝে খাক সে উঠাকে……
ইয়ারা তেরি ইয়ারি কো……
ম্যায়নে তো খুদা মানা
ইয়াদ কারেগি দুনিয়া তেরা মেরা আফসানা
তেরে জ্যাসে ইয়ার কাহা
কাহা এ্যায়সা ইয়ারানা…….
মেরি দিলকি ইয়ে দুয়া হ্যা কাভি দুর তুনা যায়ে
তেরে বিনা হো জিনা
বো দিন কাভি না আয়ে,,,,,,,,,,,,
গিটার বাজিয়ে সবাই গান গাচ্ছে।রোয়েন গিটার বাজাচ্ছে।রামীন বন্ধুদের আবদার রক্ষার্থে গান গাইছে ওদের সাথে।ওর মন ভালো নেই।গানের মাঝে রোয়েনের ফোন বেজে উঠে।রোয়েন ফোন তুলে দেখলো রুহীর নম্বর।ও বলল,
.
.
-”তোরা বস।আমি আসছি।”
-”ওকে।একটু জলদি করবি।”
-”শিওর।”
.
.
রোয়েন হেঁটে হেঁটে রুহীর খোঁজে ছাদ থেকে নেমে এলো।সিড়ি থেকে নেমে এখানে ওখানে রুহীকে খুঁজতে থাকে রোয়েন।তখনই কে যেন ওর বুক জড়িয়ে ধরে পিছন থেকে। রোয়েন কেঁপে উঠে।হাত দুটো আড়াআড়ি ভাবে রোয়েনের বুকে বাঁধা।রোয়েন বলল,
.
.
-”কি হচ্ছে এসব?”
.
.
তখনই কে যেন কানে কানে বলল,
.
.
-”ফলো মি।”
-”রুহী তুমি,,,,,,,
-”শশশশ ম্যান।শাট আপ।ফলো মি মিনস ইউ সোড ফলো মি।”
.
.
রোয়েন কিছু বলল না।জানে লাভ নেই।রুহীর সাথে যেতে শুরু করে ও।রুহী ওকে নিয়ে আলাদা একটা রুমে আসে।দরজা আটকে লাইট জ্বালিয়ে দেয় ও।রোয়েন এবার রুহীকে দেখতে পায়।রুহী পেটের ওপর থেকে কাপড় টা সরিয়ে রোয়েনের দিকে তাকায়।রোয়েন সেদিকে তাকাতেই যেন নেশা লেগে যায়।তারপর ও নিজেকে সামলে বলল,
.
.
-”পার্টি হচ্ছে রুহী।এসব কি?”
-”পার্টির জায়গায় পার্টি হচ্ছে আমার কি?আমার এখন তোমাকে লাগবে।এখন আমাকে সময় দেবে তুমি।”
-”বড্ড রোমান্টিক হচ্ছো আজকাল।”
-”বেরসিক জামাইকে একটু রসিক বানানোর প্রচেষ্টা আর কি?”
.
.
রোয়েন চমকে গেলো।রুহী ওকে বেরসিক বলছে।মানা যায় এতো বড় অপবাদ?রোয়েন রুহীর কোমড় টেনে কাছে আনে।তারপর একদম শক্ত করে জড়িয়ে বলল,
.
.
-”আমি বেরসিক?”
-”হুম একটু একটু?”
-”রসিকগিরি দেখতে চাও।”
-”হুম।”
-”বৌয়ের আবদার মানতেই হয় তাইনা?”
-”ওয়েট করছি তোমার।”
.
.
দুজোড়া ঠোঁট মিলিত হয়ে গভীর চুম্বনে লিপ্ত হয়।নীরা হামিদ হেঁটে হেঁটে দেখছিলেন সেন্টারের সাজ তখন ওনার সামনে হাজির আনিলা।নীরা হামিদ চিনতে পারলেন।আনিলা বললেন,
.
.
-”রুহীর মামী তাইনা?”
-”হুম।ভালো আছেন?”
-”হুম।আপনারা কেমন আছেন?শুনলাম এখানে শিফট হয়েছেন?”
-”হ্যা।ওর ট্রান্সফার হয়েছে এখানে।ভাই কেমন আছে?”
-”ভালোই।আপনার সাথে কে এসেছে?”
-”রুহীর মামা আর আমার মেয়ে।”
-”ওহ।আমি রুহীকে খুঁজছিলাম।মেয়েটা কিছু খেয়েছে কিনা বুঝতে পারছিনা।”
-”আসলেই তো।যার জন্য পার্টি তাকে দেখলামনা।
-”চলুন ওকে খুঁজে বের করি।”
.
.
প্রচুর একাকিত্ব বোধ করছে সামায়রা।আপু কে ও পাচ্ছেনা।আশুপি ও নেই।ওর রাগ লাগছে।হাঁটতে হাঁটতে ছাদে এলো ও রুহীর খোঁজে।তখন ফাহমিন একা ছাদের ওপর। বাকিরা গেলো নিচে।সামায়রা ছাদে এসে রুহীকে খুঁজতে থাকে আশেপাশে।তখনই ফাহমিন ওকে খেয়াল করে।নাহ আজ ও হাসবেনা।মেয়েটার সাথে কথা বলবে।ফাহমিন বলল,
.
.
-”কাকে এতো খুঁজছো?”
.
.
হঠাৎ পুরুষ কন্ঠ শুনে সামায়রা ভয় পেয়ে দৌড়ে নিচে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়।ফাহমিন গিয়ে ওর হাত চেঁপে ধরলে সামায়রা ওর হাত ছাড়িয়ে দৌড়ে নিচে যায়।ফাহমিন ভাবলো মেয়েটা এভাবে দৌড়ে পালালে ওকে সবাই খারাপ ভাবতে পারে।তাই নিজে ও দৌড়ে নিচে এলো।সামায়রা রুহীকে খুঁজছে আর ফাহমিন সামায়রাকে।একসময় সামায়রার সামনে এসে দাঁড়ায় ফাহমিন।ও বলল,
.
.
-”কি হলো?পালাচ্ছো কেন?”
-”আমাকে যেতে দিন।”
-”যাবে ঠিক আছে।কিন্তু পালাচ্ছো কেন?”
-”আপনার সাথে কথা নাই।দুলাভাইয়ের বন্ধু আপনি।”
-”তুমি চাইলে তোমার বন্ধু হতে পারি।”
-”লাগবে না বাবা বুড়ো লোককে বন্ধু বানাবো না।আমি গেলাম।”
.
.
দৌড়ে পালাতে নেয় সামায়রা।ফাহমিন ওর হাত ধরে থামায়।সামায়রা ভয়ে শেষ।ফাহমিন ওকে বলল,
.
.
-”বুড়ো লোককে বন্ধু বানালে কি হবে?”
-”বুড়ো লোক ভালো হয়না।”
-”কেন? জানতে পারি?”
-”ওরা অসভ্যতা করে সুন্দর মেয়েদের সাথে।”
.
.
ভ্যাবাচেকা খায় ফাহমিন।কি বলল এই মেয়ে? ও শক্ত গলায় বলল,
.
.
-”এমন ধারনার কারন জানতে পারি?”
-”আমরা দুবাইতে যেখানে থাকতাম সেখানে ষাট বছরের বুড়ো লোক ছুলো।ওনি আমাদের মেইডকে রেপ করেছে।”
.
.
ফাহমিন কিছু বলতে পারলোনা।অতি দুঃখে হাসি পাচ্ছে ওর।মেয়েটা অতি সরল।তাই বলে ওকে ষাট বছরের বুড়ো দামড়া লুচ্চার সাথে তুলনা করলো।যেখানে ওকে ষাটে পৌছাতে আরো ত্রিশ বছর পার করতে হবে।জয় হোক তোমার ভাবনার জয় হোক তোমার সরলতার।ফাহমিনকে এমন অদ্ভুত মুখ ভঙ্গি করতে দেখে সামায়রা দৌড়ে পালিয়ে যায়।কারন লোকটী মনে।হয়ত কুচিন্তা উঁকি দিয়েছে।”
চলবে