The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 50

পাহাড়ের কোনা ঘেঁষে দাঁড়ায়ে আছে রোয়েন।ওর চোখজোড়া পাহাড়ের তলদেশে স্থির।চোখ জোড়ায় কোন প্রান নেই।মুখে কাঠিন্যতা প্রকাশ পেয়েছে ওর।একটু আগে এমন কিছু শেষ করে ফেলেছে ও যেটা শুধু হারিয়ে যায়নি।সাথে করে ওর হৃদপিন্ড টাকে ও কেড়ে নিয়ে গেছে।ওর কলিজাটাকে টেনে হিচড়ে নিয়ে গেছে।সকালে রুহীর ঘুম ভাঙ্গে কলিংবেলের শব্দে। উঠে চোখজোড়া দুহাতে ডলে ঘুম কাঁটবার জন্য।তারপর খাট থেকে নামতে নামতে আরো দুবার কলিংবেল বাজলো।কিছুটা বিরক্ত হয় রুহী।এভাবে কলিংবেল দেয়ার কি হলো?ও কি উড়ে উড়ে যাচ্ছে?একটু অপেক্ষা করলে ক্ষতি কি?বিরক্তিমাখা কথা কন্ঠে গুলো বলতে বলতে দরজা খুলে দেয় রুহী।ভিতরে রোয়েন প্রবেশ করে।চুলগুলো আউলাঝাউলা হয়ে আছে।রুহীর দিকে তাকায় রোয়েন।রুহী ও ওকে দেখছে।রোয়েন রুমে চলে যায় কিছু না বলে।সকাল ভোরে আশফিনা আর নীরা হামিদ চলে গেছেন রেজোয়ান মাহবুবের বাসায়।কারন ঘরে ও খুব কাজ ওদের।এদিকে ফিজা আর ফিদা ও নেমে আসে নিচে।ফিদা জিজ্ঞেস করে,
.
.
-”রুহী কে এসেছে?”
-”ওনি এসেছেন।”
-”ওহ।রুহী ওয়েট।”
-”কি হলো?”
-”তোমার হাতের মেহেদী অনেক কালো হয়েছে।মিঃ রোয়েন তোমাকে খুব ভালবাসে তাইনা।”
.
.
বড় গভীর নিশ্বাস ছেড়ে অস্ফুট শব্দ করে রুহী।
তারপর কিচেনে চলে আসে নাস্তা বানাতে।রোয়েন নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে যায়।সারাদিনে আর ঘরে আসেনি ও।এদিকে বিকেলে নীরা হামিদ আর আশফিনা আসে সাথে সেলিনা হামিদ।এদিকে রোয়েন ও আসে বিকেলে।রুহীকে বিয়ের গোসল করায় সেলিনা হামিদ নীরা হামিদ মিলে।রুহীর এখন একদম ভালো লাগেনা নানা নানুকে।তারপর মুখ বুজে গোসল করে নেয় ওনার হাতে।রোয়েন ও গোসল সেড়ে নিয়েছে।গোসল শেষে রুহীকে নিয়ে নীরা হামিদ আর আশফিনা বেরিয়ে যায় পার্লারের উদ্দেশ্যে।সেখান থেকে ওরা তিনজনে রেডি হয়ে নেয়।রুহীকে সাজাতে অবশ্য একটু দেরিই হয়ে গিয়েছিলো।রুহীর বিয়ের শাড়ীটা চকোলেট কালার।বেশ ভারি আর ভীষন সুন্দর।রুহীকে ও খুব সুন্দর লাগছে।কনভেনশন সেন্টারে চলে আসে ওরা।রোয়েন এখনো এসে পৌছায়নি।রুহীকে।স্টেজে এনে বসানো হয়।তারপর কিছুক্ষন ফটোশুট চলল।কিন্তু রুহী বারবার নিষেধ করছিলো ছবি তুলতে।তবু ও ছবি তুলেই যাচ্ছে ক্যামেরা ম্যানরা।রুহীর সকাল থেকেই কেমন অস্থির অস্থির লাগছে।কেমন যেন ঘুরাচ্ছে মাথাটা।কি হচ্ছে ওর?কেন এমন লাগছে?যেন খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে।রুহীকে এমন করতে দেখে নীরা হামিদ এসে দাঁড়ান ওর কাছে।
.
.
-”এতো ঘামছিস কেন রুহী?”
-”মামী আমার খুব অস্থির লাগছে।খুব খারাপ লাগছে।”
-”দাঁড়া আসছি আমি।”
.
.
নীরা হামিদ স্টেজ থেকে নেমে কই যেন চলে যান।তারপর ঠান্ডা জুস নিয়ে আসেন।উঠে পড়েন স্টেজে।রুহীর দিকে ধরেন জুসটা।রুহী একটু মুখে নিয়ে আর খেতে পারেনা।এরই মাঝে রোয়েন ও চলে আসে।তারপর পরই কাজী চলে আসে।রুহীকে আলাদা একটা রুমে নেয়া হলো।দুজনের বিয়ে পড়ানো হয়।রুহীর কবুল বলার সময় পর গলা খুব কাঁপছিলো।চোখজোড়া বেয়ে অশ্রু গড়াচ্ছিলো।রোয়েন রাগী কন্ঠেই কবুল বলে তিনবার।বিয়ে পড়ানো হলে দুজনকে স্টেজে একসাথে বসানো হয়।এরপর হয় মালাবদল।রোয়েন অন্যদিকে তাকিয়ে রুহীকে মালা পরিয়ে দেয়।সব রীতিনীতির পর ছবি তোলা হয় ওদের।এদিকে রামীন আশফিনার সাথে গল্পে ব্যাস্ত মাঝে মধ্যে বন্ধুর বিয়ে ও দেখছে।খাওয়া দাওয়ার পালা চলে আসে।রোয়েন রুহীর সাথে নীরা হামিদ বসেছেন।রুহীকে খাওয়ানোর জন্য।রুহী কে খুব কষ্টে দুলোকমা খাওয়াতে পারলেন ওনি।রুহী আর খেতে চায়নি।এরপর আসে বিদায়ের পালা।রেজোয়ান মাহবুব গেটের এক কোনে দাঁড়িয়ে আছেন।আজ কঠিন মুখখানা অশ্রু ভেজা।রুহীর জন্মের সময় ওনি কাছে ছিলেননা ওদের।রুহীর হবার আগের দিন ও রাদিয়া কল করেছিলো রেজোয়ান মাহবুবকে,
.
.
-”রেজোয়ান তুমি কি সত্যি আসবেনা?”
-”দেখো আসতে পারলে অবশ্যই আসতাম।ভিসাটা হলোনা। তার ওপর অনেক কাজ।কি করবো বলো।”
-”আমার সময় ঘনিয়ে এসেছে রেজোয়ান।তুমি থাকলে ভালো হতো।আমার সোনাপাখি টাকে দেখে রেখো প্লিজ।
.
.
স্ত্রীর কথায় বুক কেঁপে উঠে রেজোয়ান মাহবুবের।ওদের প্রেমের বিয়ের পাঁচ বছর পর প্রথম সন্তান আসতে চলেছে।রাদিয়াকে খুব ভালোবাসেন ওনি।কখনো হারাতে চাননা স্ত্রীকে।কিন্তু এমন কথায় বেশ ঘাবড়ে যান ওনি।তারপর কিছুটা রেগে বললেন,
.
.
-”এসব কেমন কথা রাদিয়া?তুমি জানোনা তোমাকে কখনো হারাতে পারবোনা আমি চাই ও না।তবু ও কেন বারবার এমন কথা বলো?”
-”কি করবো বলো?কেমন ভয় লাগছে আমার।মনে হয় সব শেষ হয়ে যাবে।আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসবে।যদি তোমাকে আর না দেখতে পাই।”
-”আল্লাহর দোহায় লাগে রাদিয়া এসব বলোনা।কিছু হবেনা তোমার।।তা খেয়েছো?”
-”হুম খেলাম।তুমি?”
-”এইতো খেলাম।আচ্ছা শুনো পরে কল দিচ্ছি।”
-”এই শুনোনা!!! ”
-”বলো।”
-”ভালবাসো তো?”
-”কি মনে হয় তোমার?”
-”আমার মনে হয় তুমি আমাকে খুব খুব ভালবাসো।আমি ও খুব ভালোবাসি।”
-”রাদিয়া রাতে কল দিবো।বাহিরে যাবো আমি কাজে।”
-”ওকে।বায়!!”
-”হুম বায়।”
.
.
সেদিন রাতে স্ত্রীর সাথে অনেকক্ষন যাবৎ কথা বলেন রেজোয়ান মাহবুব।পরদিন সকাল থেকে কথা হয়নি ওনাদের।বিকেলে ফ্রি হয়ে খাটে বসতেই আরমান হামিদের কল আসে রেজোয়ান মাহবুবের ফোনে।রেজোয়ান মাহবুব ফোন রিসিভ করে কানের সামনে ধরতেই শুনতে পান আরমান হামিদের কান্না জড়িত কন্ঠস্বর।
.
.
-”ভাই কি হয়েছে আপনার?সব ঠিক আছে তো?”
-”কিছু ঠিক নেই রেজোয়ান।কিছু ঠিক নেই।”
-”মানে?কি হয়েছে?রাদিয়া ঠিক আছে তো?”
-”রাদিয়া আর নেই রেজোয়ান।ও চলে গেছে আমাদের ছেড়ে।সিজার করার জন্য ওকে ওটিতে নেয়া হয় কিন্তু আর ফিরে আসেনি রাদিয়া।”
-”হু!!!রাদিয়া!!আমার রাদিয়া চলে গেছে ভাই?”
-”পারলে আসেন এখানে।খুব দরকার আপবাকে আপনার মেয়ের।”
.
.
সেবার এক মাসের মাঝেই ভিসার ব্যাবস্থা করেন রেজোয়ান মাহবুব।চলে আসেন দুবাই।স্ত্রীর ছবি বুকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকেন।কিন্তু পাশে শুয়ে থাকা নবজাতক শিশুকন্যার দিকে তাকাননি ওনি।শিশু কন্যা রুহীর ওপর অজান্তেই রাগের সৃষ্টি হয়ে ছিলো ওনার।কেন যেন ভেবেই নিয়েছিলেন স্ত্রীকে শেষবারের মতো দেখতে পারেননি তাহলে কন্যাকে ও কাছে আসতে দিবেননা।এই কন্যা রাদিয়াকে ওনার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।কিন্তু আজ যখন সেই ছোট্ট রুহী চলে যাবে তাহলে কেন এতো খারাপ লাগছে?কেন মনে হচ্ছে তার কলিজা কে তার কাছ থেকে ছিড়ে নেয়া হচ্ছে?হয়ত এটাই ভালবাসা মেয়ের প্রতি ওনার।কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই কান্না করে দেন রেজোয়ান মাহবুব।হঠাৎ কাঁধে কারোর স্পর্শ পেয়ে ঘুরে তাকান পিছনে।আনিলা দাঁড়িয়ে আছেন।
.
.
-”এভাবে একা কাঁদবেন নাকি রুহীকে বিদায়।দিবেন?”
-খুব অন্যায় করেছিলাম মেয়েটার সাথে।কখনো বাবার ভালবাসা দেইনি।আজ কিভাবে বিদায় দিবো মেয়েটাকে?খুব কষ্ট হচ্ছে আমার।”
-”একদম চিন্তা করবেনা।রোয়েন স্যার রুহীকে খুব ভালবাসে।রুহী ভালো থাকবে ওনার ঘরে।”
-”হুম।তাই যেন হয়।”
-”তাহলে মেয়েকে বিদায় দাও।”
.
.
রেজোয়ান মাহবুব এবার রুহীকে দেখতে পান।রুহী দৌড়ে এসে বাবা কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে।রেজোয়ান মাহবুব কাঁদছেন আর বলছেন,
.
.
-”সোনা মামনি বাবার ওপর ক্ষোভ রাখিস নারে।তোকে খুব ভালবাসি মারে।রোয়েন যা বলে শুনবি।ওর কথার অবাধ্য হোসনা মামনি।ভাল থাকিস মা।নিজের সংসারটাকে গুছিয়ে নিস।”
.
.
এরপর মেয়েকে বুকে নিয়ে রোয়েনের কাছে এসে দাঁড়ান রেজোয়ান মাহবুব।তারপর রুহীর একহাত রোয়েনের হাতে দিয়ে বললেন,
.
.
-”রোয়েন বাবা মেয়েটা বড় অবুঝ সামলে রেখো ওকে।ওর ভুল হলে মাফ করে দিও।আজ ও তোমার।ওর সব দায়িত্ব তোমার।মেয়েটাকে আদর করতে পারিনি।আজ থেকে তুমি ওর সব। দেখে রেখো ওকে।”
-”আপনি চিন্তা করবেননা বাবা।ওকে দেখে রাখবো আমি।”
.
.
মামা মামী আশফিনা আর বাকি সবার কাছে বিদায় নেয় রুহী।মামী ও কেঁদেছেন খুব কারন রুহীকে খুব ভালবাসেন ওনি।আসলে রুহীকে ওনিই বড় করেছিলেন।যত্ন আদর করেছিলেন।রুহীকে গাড়িতে বসানো হয়।রোয়েন আর রুহী ঘরে চলে আসে।বাসায় এসে দেখলো রোয়েনের রুমটা সাজানো।রুহীর ভয় লাগতে থাকে।রোয়েন ওর হাত ধরে ভিতরে নিয়ে আসে।তারপর রুহী বসে রোয়েনের পা ধরে সালাম দেয়।রোয়েন বলল,
.
.
-”দুরাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হবে।যাও ওজু করে নাও।”
-”ঠিক আছে।”
.
.
রোয়েন রুহী দুজনেই ওজু করে নেয়।ওরা রুমে এসে নফল নামাজ পড়ে নেয়।রুহী এবার খাটটা দেখলো।পুরো খাটটা গোলাপে ঢাকা।রুমের চারপাশ অনেক গুলো মোমবাতি দিয়ে সাজানো।রুহী হঠাৎ কাঁধে কারোর ছোঁয়া পেয়ে পিছে তাকায়।রোয়েন বলল,
.
.
-”চলো ঘুরে আসি আমরা।”
-”এখন?”
-”হুম।”
-”ওকে।”
.
.
ওরা বেরিয়ে পড়ে।ঘন্টা খানেক পর রুহীকে নিয়ে একটা পাহাড়ের কাছে চলে আসে রোয়েন।রুহী বুঝতে পারছেনা এখানে কেন ওরা?রোয়েন বলল
.
.
-আজকের দিনটায় সব স্ত্রীরা স্বামীর কাছে উপহার পায়।আজ আমি ও তোমাকে কিছু গিফট দিবো।”
-”গিফট!!! “খুশি হয়ে যায় রুহী।
-”হুম গিফ্ট।”
-”কই গিফট??”
.
.
রুহী আশেপাশে কি যেন খু্ঁজছিলো তখনই রোয়েন ওকে ধাক্কা দিয়ে পাহাড় থেকে ফেলে দিতে নিলে রুহী দুহাতে রোয়েনের হাত ধরে।তারপর ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করে,
.
.
-ক ক কি করছেন আপনি?”
-”তোমার গিফট দিচ্ছিলাম।”
-”মানে!!!”
-”মানে হলো তোমায় মেরে ফেলতে নিয়ে এসেছি এখানে।”
.
.
জোরে চিৎকার করে বলল রোয়েন।রুহী যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করাতে পারছেনা।রোয়েন ফাজলামো করছে ও জানে।কারন মায়াবতীকে কিভাবে মারবে রোয়েন?রুহী বলল,
.
.
-”এসব কি বলছেন রোয়েন?”
-তুমি আমাকে ধোঁকা দিচ্ছো রুহী।মিথ্যে বলেছো আমাকে।নিজের অনুষ্ঠান ছেড়ে প্রেমিকের সাথে শুতে গেছো হোটেলে।কয়টা লাগে তোমার?”
-”রোয়েন কি বলছেন এসব?”
.
.
রোয়েন এবার নিজের ফোনের ভিডিও রুহীকে দেখায়।রুহী ভিডিও দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।রোয়েনের পা জড়িয়ে বসে পড়ে,
.
.
-”সত্যি আমি এমন কিছু করিনি রোয়েন।বিশ্বাস করুন।আমি করিনি।”
-”তোমাকে কিভাবে বিশ্বাস করবো রুহী?কাল অব্দি মিথ্যে বলেছো আমাকে।ওয়াশরুমের নামদিয়ে নিচে গিয়ে প্রেমিককে জড়িয়ে ধরেছিলে।”
-”রোয়েন আমি জানিনা সে কে।আমাকে জোর করে জড়িয়ে ধরেছিলো।বিশ্বাস করুন।”
-”না রুহী অনেক দেরি হয়ে গেছে।বারবার কষ্ট দিয়ে এসেছো আমাকে।মুখ বুজে সহ্য করেছি আমি।আর না।আজ তোমাকে মরতে হবে এই মুহূর্তে।”
.
.
কথা গুলো বলে রুহীকে আবার ধাক্কা দিতে নিলে রুহী বলল,
.
.
-”আমাকে আজ হয়ত এখানেই শেষ দেখবেন রোয়েন।হয়ত আজ এখানে আমার যাত্রা শেষ রোয়েন।আপনাকে ভালবেসে ফেলেছিলাম রোয়েন।অনেক স্বপ্ন বুনেছিলাম আপনাকে নিয়ে।হয়ত সে স্বপ্ন গুলো কে এখানে কবর দিতে হবে।কিন্তু আমার শেষ ইচ্ছা পূরন করতে দেবেন রোয়েন?ভালবাসার মানুষটাকে শেষবারের মতো ছুঁয়ে দেখতে দিবেন প্লিজ?”
.
.
কেঁদে কেঁদে বলছিলো রুহী।রোয়েন এবার চুপ।কিছু বলতে পারছেনা।হয়ত আজ ভালবাসা থেকে রাগের পরিমান অনেক।যাকে এতোটা ভালবেসেছিলো তাকে অন্য কারোর বিছানায় দেখা বড় কঠিন।সেটা রোয়েন বুঝতে পারছে।মায়াবতীকে নিয়ে তো ওর ও অনেক স্বপ্ন ছিলো।সব তো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে ওর মায়াবতী।তবে মানুষের মৃত্যুর আগে নাকি তার শেষ ইচ্ছা পূরন করতে হয়।রোয়েন ও করতে দিবে।কারন মেয়েটাকে ও ভালোবাসে।রোয়েন কিছু না বলায় রুহী এবার দাঁড়িয়ে না থেকে।রোয়েনের কাছে এগিয়ে এলো।ঠোঁট নিয়ে এলো রোয়েনের গালে।সেখানে চুমু খায় রুহী।তারপর রোয়েনের কপালে চুমু দেয়।অনবরত কাঁদছে রুহী।রোয়েন ওকে জড়িয়ে ধরছেনা।রুহী এবার রোয়েনের ঠোঁটে অশ্রুমিশ্রিত চুমু খেয়ে ফিসফিস করে বলল,
.
.
-”ধন্য আমার জীবন গৌরবময় আমার মৃত্যু আপনার হাতে।আজ মরে ও শান্তি পাবো আমি।কারন নিজের স্বামীর হাতের মৃত্যুর স্বাদ কয়জনই বা গ্রহন করতে পারে।আমি ভাগ্যবতী রোয়েন।শুধু কষ্ট লাগছে আপনার বুকে ঘুমাতে পারবোনা আর।আপনার ভালবাসা পাবোনা।রোয়েন ভালবাসি আপনাকে।খুব ভালবাসি ভালো থাকবেন।আই লাভ ইউ রোয়েন।”
.
.
রোয়েন আর অপেক্ষা না করে জোরে ধাক্কা দেয় রুহীকে।তীক্ষ্ণ আর্তনাদ শোনা যায় তারপর সব মিলিয়ে গেলো বাতাসে।আজ হয়ত একটা ভালোবাসার পরিনতি এভাবে ঘটে গেলো মৃত্যুর মাধ্যমে।
চলবে