The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 03

(নামটা চেঞ্জ করা হলো গল্পের সাথে মিল রেখে।আরেকটা কথা প্লিজ এক্টিভ হওয়ার চেষ্টা করেন সবাই।নাহলে এটা লাস্ট স্টোরি হবে।)
→রুহীর চোখ বারবার অজানা পুরুষটির দিকে যাচ্ছে।যতোবার যাচ্ছে রুহী খেয়াল করছে লোকটি ওকে দেখছে।কেমন জানি অস্বস্তি হচ্ছে রুহীর।লোকটা তো চোখ সরাচ্ছেনা।রুহী কথা বলায় মন দেয়ার চেষ্টা করে।কিন্তু চোখ বারবার লোকটার দিকে যাচ্ছে।হঠাৎ রোয়েন এবার নিজের লোকদের ইশারা করে ও উঠে দাঁড়ায়।রুহী সোজা হয়ে বসলো।রোয়েন রেজোয়ান মাহবুবের সাথে হাত মিলিয়ে বেরিয়ে যায়।সবাই একে একে চলে গেলো।রেজোয়ান মাহবুব বেরিয়ে যায়।রুহী পড়তে বসে।পরদিন বিকেলে শামীমের সাথে বাহিরে বের হয় রুহী পুরো এলাকাটা দেখার জন্য।এলাকাটা বেশ সুন্দর।কিছু কিছু জায়গায় ফুল বাগান আছে।শামীম বলল,
.
.
-এগুলো সব বসের জায়গা।ফুল গাছ গুলো ও ওনার।
-বাহ খুব সুন্দর।
-পছন্দ হয়েছে তোমার?
-জি ভাইয়া।
.
.
-শামীম রুহীকে নিয়ে হাঁটতে থাকে।রুহী আশেপাশে তাকায়।কি সুন্দর জায়গা। আর এতো পরিষ্কার।রুহীর চোখে পড়লো একটা এতিম খানা।শামীম বলল,
.
.
-এটা বসের তৈরি।
-ও।রাহেলা অর্ফানেজ হোম।বলে উঠে রুহী।
-হুম।রাহেলা হলো বসের মায়ের নাম।
-ওনি কই?
-জানি না রুহী।
-ওহ।
.
.
আবার হাঁটতে শুরু করে ওরা।শামীম আবার ও বলছে,
.
.
-ঐযে দেখো হাসপাতাল আর পাশের মসজিদ টা।
-জি।রাহেলা মেমোরিয়াল হাসপাতাল আর রাহেলা জামে মসজিদ!!!
-এগুলো স্যারের।
-পড়ে বুঝেছি।
-আর ঐ বিল্ডিং টা দেখছো?
-ঐযে কাঁচের বিল্ডিংটা?
-জি।ওটা আমাদের অফিস।
-ওহ।
.
.
রুহী এবার শামীমের দিকে তাকায়।শামীম হাসছে।রুহী হাঁটতে থাকে।সামনে ক্রস দিয়ে একটা সাইন দেয়া আছে।শামীম রুহীকে থামায়।,
.
.
-রুহী এরপর আর যাওয়া যাবেনা।চলো ব্যাক করি।
-কেন ভাইয়া?
-চলো।কোন কথা বলো না চলো।
.
.
শামীম রুহীকে বাসায় দিয়ে কাজে চলে যায়।এদিকে ভার্সিটিতে রুহীর আইডি কার্ড ও বানা নো হয়নি।রুহী ফরম নিয়ে বাসায় আসে।ভেবেছিলো রাতে বাবা বাসায় এলে সাইন করিয়ে নিবে।কিন্তু বাবা আসে অনেক রাত করে।রুহী ততক্ষনে ঘুমিয়ে যায়।পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে নিচে আসে রুহী।নাহ বাবা নেই।আবার বেরিয়ে গেছে।রুহী কোনমতে নাস্তা সেড়ে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ে। তারপর রোয়েনের অফিসে আসে।অফিসের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে খেয়াল করে সবাই কালো পোষাক পরে আছে।রুহী ও আজ কালো স্যালোয়ার কামিজ পরেছে।রুহী ভিতরে ঢুকে। ওর মনে হচ্ছে ও ওদের মধ্যে একজন।শামীম কাজের মাঝেই রুহীকে দেখতে পায়।কাজ ছেড়ে রুহীর কাছে আসে শামীম।রুহী থেমে যায়।
.
.
-রুহী এখানে কি করছো?কিছু লাগলে কল করতে?
-ভাইয়া বাবাকে দরকার ছিলো।
-ওহ আচ্ছা।ঐযে স্যারের কেবিন।
-থ্যাংক ইউ।রুহী সেদিকে যেতে থাকে।
.
.
রোয়েন রামীনের সাথে কথা বলতে বলতে বেরিয়ে আসে কেবিন থেকে।তারপর সোজা হাঁটতে থাকে।হঠাৎ ওর পা জোড়া যেন থেমে যেতে চাইছে।রোয়েন তাকিয়ে আছে রুহীর দিকে।এদিকে রুহী হাঁটতে হাঁটতে সামনে কালো লম্বা কোট প্যান্টের একজনকে দেখতে পায়।লোকটা বেশ লম্বা আর স্মার্ট।তার থেকে বেশি দূরত্বে নেই রুহী।তবে তার শরীর থেকে মনে হলো বেশ পরিচিত একটা পারফিউমের ঘ্রান পাচ্ছে।কথা গুলো ভাবছিলো রুহী।লোকটা এসে ওর সামনে দাঁড়ায়।এবার রোয়েনের দিকে তাকায়।লোকটার চেহারায় রাগী ভাব।রুহীকে চোখ দিয়ে ভস্ম করে দিবে সে।রুহী ডান দিকে দিয়ে ও যেতে পারছেনা বাম দিক দিয়ে ও যেতে পারছেনা।রুহী অসহায় ভাবে রোয়েনের দিকে তাকায়।রুহী কিছু বলতে নিবে হঠাৎ ওর চোখ যায় রোয়েনের পিছে তেলাপোকার দিকে।রুহী চিৎকার করে পিছনে যেতেই পড়ে যেতে নেয়।তখনই রোয়েন ওর কোমড় চেঁপে ধরে।আর দুজনেই ফ্লোরের ওপর পড়ে যায়।রোয়েন রুহীর ওপর।রুহীর চোখজোড়া বড় হয়ে যায়।রোয়েন ঠিক সেভাবে তাকিয়ে আছে রুহীর দিকে।ওর চোখে বেশ রাগ ভাব।রুহীর চোখ জোড়া কাঁদো কাঁদো হয়ে গেলো।
.
.
-ব ব বাবার কাছে যাবো।
.
.
তৎখনাৎ রোয়েন উঠে রুহীর উড়নার ওর হাতে দিয়ে সামনে চলে গেলো।রুহী হাত ঝেড়ে উঠে দাঁড়ায়।তারপর রেজোয়ান মাহবুবের রুমে এলো।মেয়ে কে অসময়ে দেখে একটু বিরক্তি ভাব নিয়ে রেজোয়ান বললেন,
.
.
-এখানে কেন তুই?
-ব বাবা আমার সাইনে ফরম না সরি ফরমে সাইন লাগবে।
-সাইনে ফরম ফরমে সাইন পাগল হয়ে গেছে মেয়েটা।বিড় বিড় করে বললেন রেজোয়ান মাহবুব।
.
.
কিছুটা লজ্জা পায় রুহী নিজের কথায়।রেজোয়ান মাহবুব ওর ফরমে সাইন করে দিলে রুহী চলে যায় কলেজে।কিছুদিন পার হয়ে যায়।হঠাৎ রুহী কেমন যেন বদলে গেছে।কারোর সাথে কথা বলে না চুপচাপ থাকে।নিজের বাবার সাথে ও কথা বলছেনা।কলেজ ছুটি হওয়ার দুঘন্টা পর বাড়ি ফিরে ও।ব্যাপারটা রেজোয়ান মাহবুবের চোখে পড়ে পাশাপাশি রোয়েনের ও।কারন ওর নজর রুহীর ওপর থাকে প্রত্যেক সময়ে।এভাবে কয়েকদিন চলে গেলে রেজোয়ান ঠিক করলেন মেয়েকে ফলো করবেন।ভার্সিটির কই যায় সে।রেজোয়ান মাহবুব রোয়েনের কাছে আসে।
.
.
-স্যার আজকের দিন টা ছুটি চাই।বিকেলে এসে জয়েন করবো।
-ওকে।কাম সুন।
-থ্যাংকস স্যার।
,
,
,
,
,
রেজোয়ান মাহবুব বেরিয়ে পড়েন মেয়ের খোঁজে।খু্ঁজতে খুঁজতে রুহীকে পানি ওর ভর্সিটির পাশের একটা লেকের কাছে সামিরের সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছে।রেজোয়ান মাহবুবের সাথে আরো কয়েকজন লোক এসেছিলো।তারা গিয়ে সামির কে মারতে থাকে।রেজোয়ান রুহীকে টানতে টানতে ঘরে নিয়ে আসে।তারপর রুমে এনে ওর গালে জোরে চড় বসান।রুহী নিচে পড়ে যায়।
.
.
-কতো বার মানা করছি সামিরকে ছাড়তে।এখানে পর্যন্ত নিয়ে এলাম তোকে।তারপর ও ঐ ছেলের সাথে কি তোর।ও কতো বড় মিথ্যাবাদী জানিস তুই?
-মিথ্যাবাদী সামির না বাবা।মিথ্যাবাদী তুমি।জন্মের পর থেকে ফেলে রাখছো নানা নানুর কাছে।কখনো আদর করে কথা বলোনি,আদর করে মাথায় হাত টাও পর্যন্ত রাখোনি।আমাকে ভালোবাসোনা দেখে আমার ভালোবাসাকে ছিনিয়ে নিতে চাও।মিথ্যা বলে আমার বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছো।আমার জীবন শেষ করে দিয়েছো তুমি।চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে বলছিলো রুহী।
.
.
রেজোয়ান মাহবুব আর কিছু বলতে পারলেননা।পাথর হয়ে গেলেন যেন।কি বলবেন না বলবেন ভেবে পাচ্ছেননা।কিছুক্ষন পর বেরিয়ে গেলেন রেজোয়ান রুহীকে রুমে লক করে।অফিসে ফিরে আসেন ওনি।রোয়েনের রুমে এসে দাঁড়ান।
.
.
-বসুন।একটা নতুন ডিলের কাজ আছে।
-জি স্যার।বসে পড়েন রেজোয়ান মাহবুব।
.
.
রেজোয়ান মাহবুব ঠিক মতো কাজ করতে পারছেননা।ওনার হাত চলছেনা।ব্যাপারটা খেয়াল করে রোয়েন।
.
.
-ঠিক আছেন আপনি?
-জি স্যার।
-আমি জানি কিছু হয়েছে আপনার।বলুন আমাকে।
-রেজোয়ান সব খুলে বললেন।
-আজ একটা কথা বলতে চাই আপনাকে।এভাবে বলার কথা ছিলো না কিন্তু বলতে হচ্ছে।
-জি স্যার বলুন।
-আপনার মেয়েকে আমার পছন্দ হয়েছে।
.
.
রোয়েনের কথায় ভয় পান রেজোয়ান মাহবুব।উঠে দাঁড়ান ওনি।কারন ওনি জানেন রোয়েনের পছন্দ মানে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড।কিন্তু ওনি চাননা মেয়েটার জীবন নষ্ট হোক।রেজোয়ান মাহবুবকে ভয় পেতে দেখে রোয়েন মুচকি হেসে বলল,
.
.
-সেভাবে না।ওকে বিয়ে করতে চাই আমি।যেদিন ওর এ্যাংগেজমেন্টের ছবি দেখি সেদিন ওকে ভালো লাগে আমার।কিন্তু তখন চুপ ছিলাম কারন ওর জীবনে অন্য কেউ ছিলো।
-স্যার আপনি আমাকে পছন্দ করেছেন এটা আমার বড় সৌভাগ্য।কিন্তু রুহী!!
-ওকে এখন এসব বলতে হবেনা।ও সেট হয়ে নেক এখানে।পরে নাহলে বলা যাবে।
-জি স্যার।
-হুম।তো এবার কাজ শুরু করা যাক।
-জি স্যার।
.
.
আরো কয়েকটা দিন পার হয়ে যেতে থাকে।রুহীকে ঘর থেকে বের হতে দেননা রেজোয়ান মাহবুব।এদিকে রোয়েন ডিল ফাইনাল হওয়ায় একটা পার্টির এ্যারেঞ্জ করে।শামীম রেজোয়ান মাহবুবকে বললেন রুহী কে নিয়ে যেতে কারন মেয়েটা এভাবে থাকলে অসুস্থ হয়ে যাবে।রেজোয়ান মাহবুব রাজি হয়ে যান।
এদিকে পার্টির কথা শুনে রুহী সামির কে কল দিয়ে আগের ফোন দিয়ে।রুহীর মনে পড়ে শামীমের কথা।শামীম বলেছিলো পুরাতন টা ব্যাবহার না করতে।কিন্তু রুহী আজ সামির কে কল করবে সেটা দিয়ে।
সামির কল রিসিভ করে,
.
.
-হ্যালো সামির বাবাকে ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছেনা।এখানে থাকতে পারবোনা আমি কিছু করো।এখন আবার পার্টিতে ও যেতে বলছে আমাকে।
-রুহী পার্টিতে যাও।পার্টি শেষে সবাই যখন টায়ার্ড হয়ে ঘুমিয়ে পড়বে তখন আমরা পালিয়ে যাবো।
-আচ্ছা ঠিক আছে।
.
.
রুহী ফোন কেঁটে রেডি হয়ে নেয়।পার্টিতে অনেক মানুষের আনাগোনা।রুহী একদম চুপচাপ বসে আছে এককোনায়।শামীম এসে এটা ওটা বলছে কিন্তু রুহী কিছু বলছেনা।হঠাৎ রুহী নিজের দিজন ক্লাসমেট রাফি আর নাহিনকে দেখতে পায়।ওরা রুহীর সাথে এসে গল্প করতে শুরু করে।রোয়েন খেয়াল করলো রুহীর সাথে দুটো ছেলে।ওদের হাসছে মজা করছে রুহী।রোয়েনের ভালো লাগছেনা।নিজের দুজন লোককে বলে ছেলে গুলো কে সরিয়ে নেয় রুহীর কাছ থেকে আর রোয়েন রুহীকে টেনে একটা রুমে এনে চেঁপে ধরে।রুহীর হাত জোড়া ওর পিঠের চেঁপে ধরে আছে রোয়েন এক হাতে।আরেক হাত রুহীর পাশে দেয়ালে রাখলো।
.
.
-এসব কি? ছাড়েন আমাকে।
-ওদের সাথে এতো কি কথা বলছিলে?এতো হাসাহাসি কেন?
-সেটা আপনাকে কৈফিয়ত দিবোনা আমি।রেগে যায় রুহী।
-ইউ হ্যাভ টু।কজ আই লাভ ইউ।
-কি আবোল তাবোল বকছেন।
.
.
রেগে যায় রুহী।রোয়েনকে ধাক্কা দিতে থাকে রুহী।রোয়েন আবার ওকে চেঁপে ধরে নিজের সাথে।
চলবে