Psycho is Back

Psycho is Back !! Part- 06

চোখে তীব্র মাত্রায় আলো পড়ায় ঘুমটা ভেঙে গেল আমার।।চোখ মেলে দেখি আমি খোলা আকাশের নিচে শুয়ে আছি।।ধীরে ধীরে উঠে বসলাম।।সারা শরীর অনেক ব্যথা করছে।।ভালো তরে করে তাকিয়ে দেখি আমি ছাদে।।পরক্ষণে কাল রাতের কথা মনে পড়ে গেল সব।। সাইকো শালাটা আমায় এখানে আটকে রেখে চলে গেছে।।বসে বসে সাইকোকে বকছি।।তখনি আমার কপালে কিছু একটা পরল ঠান্ডা ভারী তরল জাতীয়।। কাঁপলে হাত দিয়ে সামনে এনে দেখি পাখি শালা হাগু করে দিসে কঁপালে।।শালার পাখি আর জায়গা পেলিনা সব রেখে আমার কপালে।। মেজাজটা আরো খারাপ হলো।।
শালা আমার ভাগ্যটাই খারাপ এই জন্য তোরে ছাড়ুম না আমি।।হুহহহহ।। রাগে গজ গজ করতে করতে রুমে চলে আসলাম।।তারপর ওয়াশ রুমে ঢুকে গেলাম।। পানির নিচে দাঁড়িয়ে আছি পুরা শরীর জ্বলতেছে।। সাথে সারা শরীরের জায়গায় জায়গায় মশার কামড়ে ফুলে গেছে।। শালা কত বড় হেনস্ত ডা করলো আমারে।। এর শাস্তি তোরে রাতে দিমু আমি।।নয়তো আমার নাম কুহু না।।হুহহহহ!!
গোসল শেষে রেডি হয়ে নিচে নেমে আসলাম।।
খাবার টেবিলে নানু মা, আর সাইকো বসে খাচ্ছে আর গল্প করছে।। বাহ নাতিকে পেয়ে নাতনীকে ভুলে গেছে।।আমাকে নিচে নামতে দেখে নানু বলতে লাগে,,
—–আরে বুড়ি কই ছিলি? রুমেও পেলাম না।।আর তোর সারা শরীরে এমন ফোলা কেন? হাম হলো না তো??
নানুমার কথায় বিরক্ত লাগছে নাতিকে পেয়ে আমাকে ভুলেই গেল হুহ।।মুখ ভার করে উওর দিলাম,,
—-মশা কামড়িয়েছে।।
—-মশা আসলো কই থেকে? তুই রাতে কয়েল জালাস নাই।।
তখনি আমার মুখের কথা কেরে নিয়ে বলতে লাগে সাইকো টা,,
—–মশার সাথে ডেটে গিয়েছিল মনে হয়! বলে হেসে কুট কুট হচ্ছে।।
এর হাসি দেখে গা টা আরো জালা করছে।।মন তো চাইছে ওকে মৌমাছির কামোড় খাওয়াইতে।।
নানু মা হাসচ্ছেন।।
আমার রাগ আরো বাড়ছে।।তাই ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বের হয়ে গেলাম।।আর নানু মা চিল্লিয়ে বলে যাচ্ছে পিছন থেকে,,
—- বুড়ি কই যাস,, নাস্তাতো তো করে যা।।
আমি আর পিছনে তাকালাম না।।না তার ডাকে সারা দিলাম।।খাওয়া তোমার গুনধর নাতিকে বসিয়ে বসিয়ে।।আমি কে? আমি তো এখন পর হয়ে গেছি হুহ।।।
বের হয়ে কল দিলাম লিজাকে,,
—-আর কতখন?
—-এসে গেছি।।
—–তাহলে ফোনটা ধরলি কেন আর ২ টা টাকা কেটে নিলো।।
—–কি কিপটেরে তুই।।এভাবে তাকাছিস কেন? আচ্ছা সরি! কই যাচ্ছি আমরা তা তো বল।।
—-বলছি….!!সামনের বস্তিতে যাবো!
—–কিন্তু কেন?
—–হি হি হি হি হি।।
—–পাগলের মতো হাসচ্ছিস কেন? এই তোর মাথা ঠিক আছে তো??
—–হুম চল! গেলেই বুঝবি।।
রাতের বেলা🌌
ইউসুফ মাত্রই এসেছে বাহির থেকে।।
ময়মনসিংহ শহরটা আজকে ঘুরে দেখেছে।।সাথে সাথে তার বিদেশে থাকাকালীন তার কিছু বন্ধু হয়।।তার একজন ময়মনসিংহের মেয়রের ছেলে উদয়।।সেও এসেছে।।ভালই কেটেছে দিনটি তার।।এখন অনেক ক্লান্ত সে।।তাই বাহির থেকে এসেই বিছানায় গা এলিয় চোখ বন্ধ করে নেয়।।
কিছুক্ষন যাওয়ার পর উপলব্ধি করে তার শরীরে কিছু হাটছে।।প্রথমে গুরুত দিলনা সে পর মুহুর্তে মনে হচ্ছে কিছু কামড় দিচ্ছে।।এক দুইবার ইগনোর করার পর যেখন দেখলো নাহ ক্রমসেই বাড়ছে।।ততখনে দড়িয়ে হয়ে যায়।।সারা শরীর চুলকাতে শুরু করে সাথে কামরের।।দ্রুত বিছানা ত্যাগ করলো ইউসুফ।। চুলকাতে চুলকাতে খেয়াল করলো তার বিছানায় লাল পিঁপড়ে ভড়া।।সাথে সাথে দাদু বলে চিৎকার করতে লাগলো ইউসুফ।।
তখনি ইউসুফের দাদু দৌড়ে রুমে আসে,,,
—-কি হলো ইউসুফ।।
ইউসুফ রাগে বলতে লাগে,,
—-দেখ বিছানায় তাকিয়ে।।
—–হায় আল্লাহ এতো লাল পিঁপড়া কই থেকে আসলো।।আচ্ছা দাড়া দাদু ভাই বেড শীট চেন্জ করিয়ে দিচ্ছি।। তোর তো সারা শরীরে লাল করে ফেলেছে কামড়িয়ে তুই বরং গোসল করে নেয়।।
ইউসুফ রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে কেবিনেটের ভিতর থেকে তয়লা নিতে গেল।।তখনি শুনলো তার দাদুর বিড়বিড় করে কিছু কথা বলা,,
—-বুঝালাম কি হচ্ছে কাল আমার নানু ভাইকে মশা কামড়ে দিছে।।আজ আমার দাদু ভাইকে পিঁপড়া কামড়াচ্ছেম।কি হচ্ছে না জানি কার নজর লাগচ্ছে আমার নাতিদের।।
বেডশীট চেঞ্জ করে তিনিও চলে গেলেন।। আর ইউসুফ এখন বুঝতে পারছে এ আর কারো না বরং কুহুর কাজ।।রাগ উঠে গেল তার মাথায়।।এত টুকু মেয়ে তার সাথে পাঙ্গা নিচ্ছে।।এর বিহিত সে করেই ছাড়বে।।যেন পরবর্তীতে আর চোখ তোলার সাহস না পায়।।রাগে গজ গজ করতে করতে ওয়াশ রুমে চলে গেল সে।।
—–হে জানিস সবটা দেখছি আমি দরজার আড়াল থেকে।। বাঁদরের মতো লাফাচ্ছিল আর চুলকাচ্ছিল নিজের-শরীর।। আমার কলিজা আজকে ঠান্ডা হয়ে গেছে।। বইন তুই থাকলে দেখতে পাইতি।।
—–তুই পারিসও।। বেচারার কি হাল করেছিস না জানি।।
—–কোন বেচারা না বুঝলি।। পুরাই সাইকো।। জানলা কয়লা বানাইছে এই কয়দিনে।। আর তুই বেচারা কস।। যা তোর সাথে কথা কমু না।। রাখ ফোন।।
বলে কল কেটে দিলাম।।এহে কি দরদ সবার।।
সবাই সাইকেল পক্ষে কথা কয়।। হুহহহহ।।
দরজার উল্টোপাশে বসে ফোনে কথা বলছিলাম।।
তখনি হুট করে দরজা লাগানোর শব্দে পিছনে পিছনে পড়ে তাকাতেই চক্ষু আমার ছানাবড়া।।
সাইকো দরজা আটকিয়ে দরজার সাথে হেলে দাড়িয়ে আছে।।আর আমার দিকে ভয়ানক দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে।।
—-আপনি আমার রুমে কেন? আর দরজা লাগিয়ে ছেন কেন??কাঁপা কাঁপা কন্ঠে জিগাসাা করতে লাগলাম।।
তিনি আমার কথা উওর না দিয়ে বাঁকা হাসলেন।।আর আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলেন।।আমি তার এভাবে এগিয়ে আসতে দেখে খাটের একদম শেষ প্রান্তে চলে আসি।।আর উনি সাথে সাথে আমার হাতটি টান দিয়ে তার কাছে নিয়ে আসে।।তারপর খাট থেকে নামিয়ে আমাকে উল্টো দিক ঘুড়িয়ে তার বুকের সাথে আমার পিঠ চেপে ধরলেন।।ঘটনাটা মুহুর্তে হওয়াতে আমি কি বুঝে উঠার আগেই এমন হয়ে গেল।।আর আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে কাপতে লাগলাম।। আর উনি আমার কানের কাছে মুখ এনে বলতে লাগলেন,,
—-খুব সাহস তোর।। আমার সাথে পাঙ্গা নিতে আসিস।।তোর সাহসের তারিফ করতে হয়।। কিন্তু আমার যে এত সাহস পছন্দ না।।তুই ভুলে গেলি কি করে আমি তোকে ধরতে পারলে আমি কি করবো??
আমি কাঁদে দিলাম ভয়ে, সত্যই মজার ছলে ভুলেই গেছিলাম।। আমি একটা সাইকোর সাথে লেগেছি।।যে কিনা উঠতে বসতে বন্দুক আমার নাকের ডগায় ধরে রাখে।।আমি কাদঁতে কাঁদতে বললাম,,,
—-ভাইয়া প্লিজ ছেড়ে দেন।। আর করবো না আর আপনার সামনেও আসবো না।।ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলাম তাতে যেন কোনো কাজই হলো না উল্টো উনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলেন আর উনিও আমার উপর চড়ে বসলেন।।আমি তাকে সরাতে চাইছি তাই উনি আমার হাত দুটো বিছানার সাথে চেপে ধরে আর আমার বুকের ঠিক উপরে একটা কামড় বসিয়ে দিলেন জোড়ে।।আমার যেন বের হয়ে যাচ্ছে।।আমি চিল্লাতে লাগলাম।।আমার চিল্লানো শুনে আরো জোড়ে একি জায়গায় আবার কামোড় বসিয়ে দিলেন।।এদিকে ব্যথায় আমার জান যায় যায়।। কিছুক্ষণ পর তিনি আমাকে ছেড়ে উঠে পরলেন আর বলতে লাগলেন,,
—-নেক্সট টাইম আমার সাথে লাগতে আসার আগে আজকের রাতটা মনে করে নিস।।
বলে তিনি হন হন করে বের হয়ে গেলেন।।আমি এদিকে কামোড়ের জায়গায় হাত চেপে কাঁদতে লাগলাম।।খুব ব্যথা করছে।।মনে মনে পণ করলাম বেঁচে থাকলে কখনো তার মুখোমুখি হবে না।।আমি তো ভুলেই গিয়ে ছিলাম এ যে সাইকো।।
কাঁদতে কাঁদতে এক পর্যায় ঘুমিয়ে যাই।।
সকালে,,🌄
চলবে,,