My Mafia Boss- Season- 2 !! Part- 41
জবার রুম থেকে চলে এলো রোয়েন।রফিক রোয়েনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।স্যার আপনার প্লান অনুযায়ী ভাবিরে তো নিয়ে আসলাম।কিন্তু এভাবে আনলেন যে?জিজ্ঞেস করে উঠে রফিক।উত্তর জলদি পেয়ে যাবি।আমার মেয়েটার খুব কষ্ট হচ্ছিলো।আমি চাইনি আরাবী ওর মায়ের কাছ থেকে দূরে থাক।আরাবী কে যতোটা ভালবাসি তার থেকে বেশি রুহীকে চাই আমি।সারাদিন সারারাত,সারাজীবন।একনাগাড়ে কথা গুলো বলল রোয়েন।আর সামনে আরো বড় কিছু ওয়েট করছে ওর জন্য।ততক্ষন পর্যন্ত জবা হয়ে থাক।বলেই বাঁকা হাসলো রোয়েন।তুই চলে যা।পরে কল দিবো তোকে।বলে উঠলো রোয়েন।
জি স্যার।রুম থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে বলল রফিক।
রোয়েনের সামনে বয়স্ক লোকটা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।রোয়েন এগিয়ে গিয়ে লোকটার বুকে পাড়াদিয়ে ধরলো।You bloody scoundrel.কি করে কারোর বাপ হতে পারিস তুই?হারামির বাচ্চা।আমাকে মা ছাড়া করেছিলি তুই।কতো মানুষকে এভাবে শেষ করেছিস তুই?আজমল খানকে ও সাহায্য করেছিলি আমার খালা রুবীনাকে মারতে।তার ও তো।ছোট্ট একটা মেয়ে ছিলো।বুঝলাম ঐ লোকের নিজের মেয়ের জন্য মায়া নাই তুই কি করে পারলি ঔ মাসুৃম বাচ্চা মেয়েটার সামনে ওর মাকে রেপ করতে?ঐ বাচ্চা মেয়ের জন্য তোর এতো মায়া হচ্ছে কেন রোয়েন?বলে উঠলেন জামাল সাহেব।তোর খালা যখন নেই ঐ মেয়ের সাথে তোর সম্পর্ক থাকার ও কথা।চিৎকার করে বললেন জামাল সাহেব।যাকে ঐ মেয়ে বলছিস She is my soul mate, my wife.আমার আরাবীর মা। চিৎকার করে বলল রোয়েন।লোকটা জামাল রোয়েনের পিতা ও তার মায়ের খুনি।কিছু বলতে পারছেনা জামাল।
গলা আটকে আসছে।মুখ থেকে গলগল করে রক্ত বেরুচ্ছে।জামালের শার্টের কলার ধরে উঠিয়ে নিলো রোয়েন।বাহিরে ওর কিছু বিদেশী কুকুর আছে যেগুলো একটা আস্ত জলজ্যান্ত মানুষকে খেয়ে নিতে পারে।রোয়েন ডোন্ট ডু দিস প্লিজ। আ’ম ইউর ড্যাড।রোয়েনের কানে কোন কথা যাচ্ছেনা ৬টা জাা্র্মানি শেফার্ড এর সামনে জামালকে ফেলে দিয়ে বড় খাঁচাটির দরজা অফ করে দিলো।কুকুর গুলির হিংস্রতা শুরু হয়ে গেলো।কামড়ে ছিড়ে ফেলতে লাগলো জামালের শরীরের একেকটি অংশ।
রোয়েন বেরিয়ে যেতেই রুম থেকে বেরিয়ে পড়লো রুহী।ঘোমটা খুলে লম্বা চুল গুলিকে হওয়ায় উড়িয়ে দিলো।মেয়েকে নিয়ে বসে পড়লো।মেয়েটা দেখতে পুরো পরীর মতো।কে বলবে এটা ওর মেয়ে?রোয়েনের মেয়ে হিসেবে ঠিক আছে।অনেক কিউট।মেয়েকে খাইয়ে পুরো ঘরে মেয়েকে নিয়ে ঘুরেছে। কাজের লোকগুলো তো রুহীকে দেখে ভীষন খুশি।প্লিজ তোমাদের স্যার আসলে বলো না যে জবা আমি।কাজের লোক গুলোকে বলল রুহী।জি ম্যাডাম বলে উঠলো।কাজের লোক গুলো।আমার আরাবী আমার মামনি।মা এসে গেছি,আর কখনো যাবোনাআমার মেয়েকে ছেড়ে।আমি তো আমার মেয়েটাকে অনেক ভালবাসি।তাই না আারাবী?মেয়েকে নিয়ে এভাবে দুষ্টমি
করছিলো রুহী।রোয়েন গাড়িতে বসে আছে সামনে ল্যাপটপ।হায়রে পাগল বাচ্চা মেয়ে!!!ও কি জানেনা বাসায় ক্যামেরা লাগানো?আরাবী আর রুহীকে একসাথে দেখে মন ভরে গেলো রোয়েনের।হঠাৎ কলিংবেলের শব্দ পেয়ে মেয়েকে নিয়ে রুমে চলে গেলো রুহী।কাজের লোক যেয়ে দরজা খুলে দিলো।রোয়েনের কালো শার্ট রক্তে ভিজে গায়ের সাথে লেগে আছে।হাত জোড়া ও রক্তে লাল।জবা কই?প্রশ্ন করলো রোয়েন।
স্যার ওনি রুমে আরাবীর সাথে।বলে উঠলো কাজের লোকটা।
ওকে।বলে রুমে চলে গেলো রোয়েন।গায়ের শার্ট খুলে বালতিতে ভিজিয়ে দিলো।নিজেকে ফ্রেশ করে নিলো রোয়েন।নিজের বাপের রক্ত।পচা রক্ত,নষ্ট রক্ত যা একজন কে নিমিষেই পশুতে পরিনত করবে।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এলো রোয়েন।কথা ছিলো জামাল সাহেবকে মেরে সুইসাইড করবে রোয়েন।তবে এখন ওর বাঁচার কারন আছে।রুহী আর আরাবী রোয়েনের একমাত্র বাঁচার কারন।তখনকার পরিস্থিতি এখনকার চেয়ে পুরো ভিন্ন কারন তখন সে একা ছিলো।বাঁচার কারন ছিলোনা তখন।
রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ে রোয়েন।দরজাটা হালকা খোলা রেখেছে যেন আরাবীকে রুহী দিয়ে যেতে পারে।আরাবীকে খাইয়ে রোয়েনের রুমের দিকে উঁকি দিলো রুহী।ঘুমোচ্ছে রোয়েন।রুহী আস্তে করে আরাবীকে রোয়েনের পাশে শুইয়ে দিলো।রোয়েনের সামনে এসে বসলো রুহী।গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন রোয়েন।রুহী রোয়েনের কপালে চুমু খেয়ে ওর ঠোঁট দিয়ে রোয়েনের ঠোঁটে ছুয়ালো এবং ধীরে ধীরে শুষে নিতে শুরু করলো। রোয়েনকে ঘুমের মাঝে কিছু করলে বুঝেনা তাই সেটার সুযোগ নিয়েছে রুহী। হঠাৎ রোয়েন নড়ে উঠায় সরে গেলো রুহী।রোয়েনের গায়ে চাদর টেনে বেরিয়ে এলো রুম থেকে।পাশের রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো রুহী।
রোয়েন চোখ খুলে রুহীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো রোয়েন।
আসলে জেগেছিলো রোয়েন তখন।অভিনয় করছিলো রুহীর মিষ্টি কিসের জন্য।ঠোঁটজোড়া কে একসাথে করে মুচকি হাসলো রোয়েন।এতো সফ্টলি কিস করছিলো রুহী।রোয়েন খুব কষ্টে নিজেকে সামলেছে।নিজের ও ইচ্ছে করছিলো প্রান ভরে বৌটাকে আদর দিতে।বর্তমানে এই ইচ্ছাটা দমন করতে হবে।রুহীকে ও এভাবে চায়না আরো কিউটলি নিজের করে চায় রুহীকে।ভাবতেই হাসলো রোয়েন।
এভাবেই আরাবীর সাথে রুহীর মিষ্টি সময় গুলো কেঁটে যাচ্ছিলো।রোয়েনের অনুপস্থিতিতে আরাবীকে নিয়ে নাচ গান করা,রোয়েনের রুমে এসে শুয়ে থাকা,রোয়েনের শার্ট থেকে ওর ঘ্রান নেয়া,আরাবীকে কবিতা শুনানো,নিজের মন মতো করে মেয়েকে সাজানো।আর রোয়েনের কাজ ছিলো ল্যাপটপে রুহীকে মন ভরে দেখা,আরাবীর সাথে রুহীর দুষ্টমি গুলো রোয়েনের মন প্রান ছুঁয়ে যেতো।খুব ইচ্ছে করতো রুহীকে একটু ছুঁয়ে দিতে,ভালবাসার সাগরে রুহীকে নিয়ে পাড়ি দিতে ইচ্ছে হতো রোয়েনের।
(আমার বাসায় অনেক মেহমান।তাই অল্প করে লিখে দিলাম।)