My Mafia Boss- Season- 2 !! Part- 27
,,,সবাইকে বিদায় দিয়ে রুমে এলো রোয়েন আর রুহী।রুহী মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।কি বলবে বুঝতে পারছেনা। বাবার এমন পরিবর্তন মেনে নিতে ভীষন কষ্ট হচ্ছে ওর।রুহীর দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বোঝার চেষ্টা করছে রোয়েন।রুহীর থেকে চোখ সরিয়ে নেয় রোয়েন। আজমল খানের পরিবর্তন টা এতো সহজে মানা যায়না।রুহী ও পারছেনা।রুহীর কাছে এসে দাঁড়ালো রোয়েন।রোয়েনের নৈকট্য রুহীর চোখে পানি এনে দিয়েছে।এক হাতে রোয়েনের কালো পাঞ্জাবির কোনা খামচে ধরেছে রুহী।বাবার এমন পরিবর্তন কি করে?সত্যি বলতে খুশি হবো কি হবো না বুঝতে পারছিনা।কাঁপা গলায় বলে উঠে রুহী।হয়ত সে তার কৃতকর্মে অনুতপ্ত।রোয়েন বলে উঠে আচমকা।সত্যিই কি সে অনুতপ্ত? জ্বলজ্বল চোখে তাকায় রোয়েনপর দিকে।রুহীকে একটানে কোলে তুলে নেয় রোয়েন।এসব নিয়ে পরে কথা হবে।বলেই খাটের দিকে এগোতে থাকে রোয়েন।একটা কথা ছিলো।বলে উঠে রুহী।রুহীর দিকে রাগান্বিত চোখে তাকায় রোয়েন।You Know,I Don’t like disturbance in……..রুহী রোয়েনের গলা জড়িয়ে ওর গালে চুমো খেলো।চোখ বন্ধ করে মুচকি হাসে রোয়েন।রুহীকে খাটে শুইয়ে ওর ওপর নিজের সম্পূর্ণ ভর ছেড়ে দিলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,আহ ব্যাথ্যা পাচ্ছি আমি।কাতরিয়ে উঠে রুহী।ভ্রু কুঁচকালো রোয়েন,ব্যাথা পাচ্ছো? কি বুঝাতে চাইছো তুমি?রাগী গলায় বলে উঠে রোয়েন।প পেটে ব্যাথা পাচ্ছি।অসহায় ভাবে বলে উঠে রুহী।রোয়েন নিজের ভর হালকা করলো রুহীর ওপর থেকে।রুহীর কপালে ঠোঁট বুলিয়ে রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে উষ্ণ পরশ বুলিয়ে রুহীর গলায় মুখ ডুবালো রোয়েন।রুহীর ভিতর তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে।ভিতরে অজানা ঝড় শুরু হয়ে গেছে ওর।রোয়েন কে জোরে নিজের সাথে চেপে ধরলো রুহী।পরদিন সকালে রুহীকে জড়িয়ে ওর কপালে চুমো খেয়ে উঠে পড়ে রোয়েন।রুহী কিছুটা রোয়েনের কাছে ঘেষে নিজেকে আড়াল করে নিলো।রোয়েন রুহীর দিকে উঁবু হয়ে কিছু বলতে যাবে তখনই রুহী বলে উঠে আই লাভ ইউ।রোয়েন রুহীর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে রুহীর ঠোঁট শুষে নিতে শুরু করলো।কিছুক্ষন পর রুহীকে নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায় রোয়েন।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এসে চুল মুছতে থাকে রুহী।রোয়েন আড় চোখে দেখছে ওর বৌকে।রোয়েনের দিকে এক নজর তাকিয়ে হেসে দিলো রুহী।ফ্রেশ হওয়াটাতো বাহানা আপনার।বাথরুমে গিয়েই তো লুচুগিরি শুরু হয়ে যায় আপনার।বলেই লাল হয়ে গেলো রুহী।রুহীকে দেয়ালে চেপে ধরলো রোয়েন।কি করি বাথরুমে গিয়ে?বাঁকা হাসলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,ক কই কিছু না তো?আমি কি কিছু ব বলেছি?ভ ভুল শুনেছেন আ আপনি।কাঁপা কাঁপা গলায় কথা গুলো বলে চোখ খিচে বন্ধ করে নিলো রুহী।রোয়েন রুহীর কপালে ঠোঁট ছুইয়ে দিয়ে কোলে তুলে নিলো রুহীকে। সবসময়কার মতো রুহীকে নাস্তা করিয়ে দিয়ে নিজে নাস্তা করে বেরিয়ে পড়লো রোয়েন ওর কাজের জায়গায়।দলের লোকেরা রোয়েনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।সব ঠিক মতো চলছে তো?গম্ভীর গলায় বলে উঠে রোয়েন।জি স্যার,,,,,,,কিন্তু,,,,,,রফিক কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই ফোন বেজে উঠে রোয়েনের।
রফিকের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে ফোন কানে তুলল রোয়েন।
,,,,,,,,,,বন্ধুর পার্টিতে এসেছে আনাম।বিয়ের পার্টি।সকলেই ড্রিংকস হাতে এঞ্জয় করছে।আনাম বন্ধু রাব্বির সাথে কথা বলতে বলতে বিয়ের স্টেজে বসে থাকা রুমুকে দেখতে পেলো।বৌয়ের সাথে ছবি তুলছে রুমু।গাঢ়ো নীল বর্নের একটি লেহেঙ্গা পরেছে রুমু।আর সাথে মন কেড়ে নেয়া হাসি ওর মুখে।আনাম পলকহীন ভাবে রুমু কে দেখছে।মেয়েটা ওর ভালবাসা বুঝেনা।আনাম নিজেকে একটু আড়ালে নিয়ে এলো। রুমু যদি কিছু করে ফেলে নিজেকে এই ভেবেই।হঠাৎ স্টেজের দিকে চোখ পড়তেই রুমুকে আর দেখতে পেলো না আনাম।হন্য হয়ে খুঁজতে লাগলো আনাম রুমুকে।
রুহীর পাশে বসে আছে রোয়েন।হাত পা ঠান্ডা হয়ে আছে রুহীর।ডাক্তার রুহীর চেকআপ করছে।আসার সময় ডাক্তার কে নিয়ে এসেছে রোয়েন।যখন শুনেছিলো রুহী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।পাগলের মতো ছুটে এসেছে রোয়েন বৌটার কাছে।ডাক্তার কি হয়েছে ওর?কথা বলছেনা কেন রুহী?চেঁচিয়ে উঠে রোয়েন।স্যার কি ভাবে নেবেন আপনি জানিনা,তবে বলতেই হবে আফটার অল ইউ আর ড্যাড অফ দা চাইল্ড।হেসে বলল ডাক্তার।হোয়াট!!!!কি বললেন?শক খাওয়ার মতো বলে উঠে রোয়েন।ডাক্তারের কথা শুনে রুহী ও চোখ বড় বড় করে চেয়ে আছে।জি স্যার ওনি তিনমাসের প্রেগন্যান্ট আর এসময় টা ওনার সবচেয়ে বেশি কয়েরের প্রয়োজন।ডাক্তার বলে উঠলো।রুহীর মাথায় হাত রাখে রোয়েন।ডাক্তার চলে গেলো।রোয়েন রুহীর পাশে বসে রুহীর একহাত নিজের দুহাতের ভাজে নিয়ে রেখে রুহীর দিকে তাকায় রোয়েন।রুহী জ্বলজ্বলে চোখে রোয়েনের দিকে তাকিয়ে আছে।দুজনের মুখে কোন কথা নেই শুধু আছে সন্তুষ্টির,জীবনে নতুন অস্তিত্ব লাভের প্রশান্তির ছায়া।আজমল খান বেশ ভালো হয়ে গেছেন।হয়ত অনেক বেশি ভালবাসতে শুরু করেছেন আনিলা বেগমকে।প্রত্যেকদিনই ঘরে ফিরতে ছোটখাটো গিফট নিয়ে আসেন আনিলা বেগমের জন্য।ঘুরতে ও যান আনিলা বেগমকে নিয়ে।বেশ ভালো সময় কাঁটছে তাদের।তবে মাঝে মাঝে আজমল খান অনুভব করেন কেউ যেন তাদের ফলো করছে।রুমুকে দেখে থমকে যায় আনাম।পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যেতে চাইছে ওর।রুমু দেখনা চোখে যেন কি পড়েছে সাদমান বলে উঠে।কই দেখি তো?রুমু সাদমানের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে দেখার চেষ্টা করছে।আনাম রুমুর দিকে দ্রুত পদে এগিয়ে এসে রুমুর হাত ধরে টানতে টানতে ঘরে নিয়ে আসে।
,,,,,,,,,,বলেছিলাম না আমার সামনে না আসতে?কেন এলেন আমার সামনে?চেঁচিয়ে উঠে রুমু।আমি কাছে আসলে বিরক্ত লাগে?সাদমানকে কিস করতে খুব মজা লাগে তাইনা?কিন্তু ভুলে যেওনা তোমার আমার গম্ভীর সম্পর্কের কথা।চেঁচিয়ে বলতে থাকে আনাম।গভীর সম্পর্ক মানে কি বুঝাতে চাচ্ছেন আপনি?কোন সম্পর্ক নেই আপনার আর আমার মাঝে।আর যাকে ইচ্ছা কিস করবো যার সাথে ইচ্ছা থাকবো।তাতে আপনার কি?চিৎকার করে উঠে রুমু। আমার কি তাইনা?এতো সহজে ভুলে গেলে ঐরাতের কথা?ওহ সরি তুমি তো মাতাল ছিলা,এখন তো আর মাতাল না তুমি।রুমুর দিকে এগোতে এগোতে বলে উঠে আনাম।সামনে আসবেননা চিৎকার করে বলতে থাকে রুমু।ভেবেছিলাম আমার খারাপ দিকটা তোমায় দেখাবোনা কিন্তু এতো সহজে মানবেনা তুমি।রুমুকে খাটের ওপর ছুড়ে মারলো আনাম।রুমুকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওর ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরলো আনাম।আনামকে সরানোর জন্য ধাক্কাতে থাকে রুমু।কিন্তু প্রত্যেক ধাক্কায়
আনাম আরো জোরে জাপটে ধরছে রুমুকে।রুমুর চোখের কোনা বেয়ে একফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।আনাম তার ছোঁয়া হালকা করতেই রুমু ধাক্কা মারে আনামকে।একটু সরে এসে রুমু কে উপুড় করে শুইয়ে দেয় আনাম।রুমুর ওপর শুয়ে ওর পিঠের চেইন খুলে পিঠের কাপড় সরিয়ে দেয় আনাম।রুমুর পিঠে চুমুতে ভরিয়ে দিতে থাকে আনাম।কিছুক্ষণ পর রুমু নিজেকে আনামের কাছে সঁপে দেয়।রুমুকে নিজের করে নিতে থাকে আনাম ওর উষ্ণ ভালোবাসা দিয়ে।
হ্যালো মা!!রুহী বলছি।আনিলা বেগম মেয়ের কন্ঠ শুনে শোয়া থেকে উঠে বসে।রুহী ঠিক আছিস তুই?বলে উঠে আনিলা বেগম।জি মা।তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে।নাক টানতে টানতে বলতে থাকে রুহী।মেয়ের কান্নায় বুক কেঁপে উঠে আনিলা বেগমের।রুহী কাঁদছিস কেন মা?আনিলা বেগম উত্তেজিত হয়ে বলে উঠে।আমি মা হতে চলেছি মা।বলেই কেঁদে দিলো রুহী।মেয়ের কথা শুনে খুশিতে চোখের পানি আটকাতে পারলেননা আনিলা বেগম।সত্যি রুহী আজ খুব খুশি আমি।কাল আসছি তোর কাছে।বলে উঠে আনিলা বেগম।আমার চিন্তা করোনা মা আমি ঠিক আছি।রোয়েন বাবা থাকতে চিন্তা করতে হয়না আমার।চোখ মুছে বলে উঠে আনিলা বেগম।ফোন রেখে রোয়েনের পাশে এসে বসে রুহী।রুহীকে নিজের বাহুডোরে বন্দী করে নিলো রোয়েন।রুহী রোয়েনের দিকে মুচকি হেসে তাকালো।রুহীর রসালো ঠোঁট জোড়ায় ঠোঁট ডুবিয়ে শুয়ে পড়লো ওরা।আজ ওদের অপূর্ণ জীবন পূর্ণ হতে যাচ্ছে ছোট্ট নতুন অতিথি আসার মাধ্যমে।
চলবে