My Mafia Boss Season 2

My Mafia Boss- Season- 2 !! Part- 24

,,,,ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে রুহী।লাল শাড়ীতে শোভিত সে।ভিজা চুল গুলো কাঁধের এক সাইডে পড়ে আছে।রোয়েন খাবার বেড়ে রুহীর দিকে তাকালো।আসো খেয়ে নাও।রোয়েন বলে উঠলো।রুহী আলতো পায়ে রোয়েনের পাশে এসে বসলো।রুহীর দিকে প্লেট এগিয়ে দিলো রোয়েন।খাবার সেড়ে হাত মুখ ধুয়ে নিলো দুজন।ফ্রেশ হয়ে রুহীকে বুকে টেনে নিয়ে শুয়ে পড়লো রোয়েন।বিকেলে রোয়েনের ডাকে ঘুমভাঙ্গে রুহীর।জলদি উঠে রেডি হয়ে নাও।গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো রোয়েন।কেন?প্রশ্ন করে উঠে রুহী।রুহীর দিকে চোখ রাঙ্গালো রোয়েন।এতো প্রশ্ন করো কেন?সবসময় এতো ধমক দেন কেন?কি মনে করেন?রাগ কি শুধু আপনারই আছে?রাগ আমার ও আছে?সুযোগ মতো সব পুষিয়ে দেবো।চিৎকার করে কথা গুলো বলে রোয়েনকে পাস করে ওয়াশরুমে হনহনিয়ে ঢুকে পড়লো রুহী।
,,,,,,,,,,,,,,,,কিছুক্ষন স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে ওয়াশরুমের দিকে তাকালো রোয়েন।চোখজোড়া রক্তলাল হয়ে আছে।রুহী ওর সাথে এভাবে কথা বলার সাহস পেলো কি করে?রাগে গা জ্বলছে রোয়েনের।ওয়াশরুমে ঢুকেই দরজা লাগিয়ে দিলো রুহী।হুহ সবসময় শুধু ধমক!!!কি মনে করে নিজেকে?কোন কথার জবাব তিনি দেবেননা।মামা বাড়ির অাবদার।হুহ বিড় বিড় করে বলতে থাকে রুহী।ওয়াশরুম থেকে চোখ সরিয়ে লাগেজ থেকে কালো শার্ট আর ব্লু ডেনিম প্যান্ট বের করে কাপড় পাল্টে নেয় রোয়েন।চুল গুলো আঁচড়ে নিয়ে ফোনে কথা বলায় ব্যাস্ত হয়ে পড়ে রোয়েন।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে রুহী।হলুদ বর্নের একটি শাড়ী পরেছে রুহী।ভিজা চুলগুলো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শুকাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে রুহী।দুজনের একজন ও তাকাচ্ছেনা একে অপরের দিকে।ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক আর চোখে কাজল লাগিয়ে নিলো রুহী।রুহীর দিকে একনজর তাকিয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো রোয়েন।রোয়েনের যাওয়ার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রুহী ও বেরিয়ে পড়লো।রোয়েনের পাশে এসে হাঁটতে শুরু করলো রুহী।ওদের জন্য একটা গাইড ঠিক করা হয়েছে।ছেলেটার নাম মাসুদ।২০, ২৫বছর হবে ছেলেটার।দুপাশে চা বাগান আর মাঝে রাস্তা সেই রাস্তা ধরেই হাঁটছে ওরা।স্যার এটা ফিনলের বাগান মাসুদ বড় পাহাড়টার দিকে ইশারা করে বলল।ফিনলে চা!!!কৌতহল আটকাতে না পেরে বলে উঠলো রুহী।রোয়েন রুহীর দিকে রাগী চোখে তাকাতেই চোখ নামিয়ে নিলো রুহী।কিছু মহিলা চাপাতা তুলছে।রুহী রোয়েনের দিকে একবার তাকিয়ে সেদিকে দৌড় দিলো।রুহী!!!!আজব মেয়ে তো!!!ঐদিকে কই গেলো?রোয়েন বিড়বিড় করে বলল।থাক স্যার ভাবি ছোট মানুষ।আনন্দ করতে দেন।মাসুদ হালকা হেসে বলল।রুহী সবার সাথে চা পাতা তুলতে লাগলো।একমহিলা রুহীর পিঠে বাস্কেট চাপিয়ে দিলো।রুহী খিলখিল করে হাসছে।বেশ জমে গেছে ওর উপজাতি মহিলাদের সাথে।রোয়েন ফোন বের করে রুহীর বেশ কয়েকটা ছবি তুলে নিলো।রুহী!!!নিচে নেমে এসো!!!চেঁচিয়ে উঠলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,রুহী হাত দেখিয়ে আসছি বলে ইশারা করলো।কিছুক্ষন পর রোয়েনের পাশে এসে দাঁড়ালো রুহী।রোয়েন হাত বাড়াতেই চোখ বুজে নিলো রুহী।রুহীর চুল থেকে একটা পাতা নিয়ে এলো রোয়েন।তোমাকে আমার কাছ থেকে ওদের সাথেই বেশি মানাচ্ছিলো।একদম উপজাতি লাগছো তুমি।দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।রুহী মুচকি হেসে রোয়েনের পাশে হাঁটতে লাগলো।স্যার কই যাবেন?মাসুদ বলে উঠলো।
আশেপাশে কোন ভালো জায়গা থাকলে বলো।গম্ভীর ভাবে বলল রোয়েন।স্যার বাইক্কা বিল আছে।পাশেই।খুব সুন্দর জায়গা।পাখির জন্য প্রসিদ্ধ বাইক্কা বিল।একনাগাড়ে বলে দম নিলো মাসুদ।রুহীর দিকে একনজর তাকিয়ে রোয়েন বলে উঠলো।হুম যাবো।রুহীকে নিয়ে বাইক্কা বিলে এসে পৌছালো রোয়েন।বিলের পানি অতোটা গভীর না তবে এর আসল সৌন্দর্য কিছু নীল বর্নের হাঁস।ঝাঁকে ঝাঁকে হাস গুলো পানি খাচ্ছে।রুহী দৌড়ে গেলো হাঁস গুলোর কাছে।রোয়েন ও রুহীর পিছু নিলো।রুহীর খিলখিল হাসি মন কেড়ে নেয়ার মতো।বেশ খানিকটা সময় কাঁটানোর পর রুহীকে নিয়ে রিসোর্টে ফিরে এলো রোয়েন।সারাদিন তেমন একটা কথা হয়নি ওদের।খাবার খেয়ে রোয়েন আধশোয়া হয়ে আছে।পাশে রুহী বালিশে মাথা রেখে অপর পাশ ফিরে শুয়ে আছে।বেশ শীত শীত পড়ছে।রুহী হাতের ওপর হাত রেখে ঘষছে।কুঁকড়ে যাচ্ছে রুহী শীতে।কিছুটা ছোট হয়ে এসেছে ও।রোয়েন কিছুটা এগিয়ে এসে রুহীর সাথে ঘেঁষে শুয়ে পড়লো।উউউ রোয়েনের ছোঁয়া পেয়ে রুহী রোয়েনের আরো কাছে ঘেঁষলো।রোয়েনের উলঙ্গ বুকের উষ্ণতা রুহীকে আরো কাছে টানছে।রোয়েন রুহীর দিকে তাকিয়ে আছে।বেচারী শীতে কাঁপছে।রোয়েনের তো সহ্য হচ্ছেনা।রুহীর গালে হাত লাগাতেই রুহী কেঁপে উঠলো।রুহীর গালে ঠোঁট ছোঁয়াতেই রুহী রোয়েনের বুকের মাঝে ঢুকে পড়লো।রুহীর নিশ্বাস রোয়েনের বুকের মাঝে লাগছে।রোয়েনের বুকে মুখ ঘষছে রুহী।রোয়েনের ভিতর ঝড় শুরু হয়ে গেছে।আর পারছেনা নিজেকে কন্ট্রোল করতে।বৌটাতো ওরই।রোয়েন রুহীর মাঝে নিজেকে হারাতে চাইছে।রুহীকে জোরে বুকের মাঝে জড়িয়ে নিলো রোয়েন।রুহীর কম্পন কিছুটা কমে এসেছে।রুহীর কপালে ঠোঁট ছোঁয়ালো রোয়েন। পিঠে খামচি দিয়ে রোয়েনকে মাতাল করে দিচ্ছে রুহী।রুহীর গালে ঠোঁট বুলিয়ে ওর গলায় মুখ ডুবালো রোয়েন।রোয়েনের প্রত্যেকটা ছোঁয়ায় রুহীর ভিতর অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে।রুহীর হাতের আঙ্গুল গুলো নিজের আঙ্গুলের ভাজে নিয়ে নিলো রোয়েন।রুহীর গলা থেকে সরে এসে রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।ভালোবাসার সাগরে পাড়ি দিয়েছে ওরা।ভালোবেসে একে অপরকে পরিপূর্ণ করে দিতে লাগলো ওরা।
,,,,,,,,,,,,,,,,,সিলেটে তিনদিন কাঁটানোর পর ঢাকায় ফিরে আসে রোয়েন আর রুহী।এয়ারপোর্টে আসার কিছুক্ষন পর রোয়েনের গাড়ি চলে আসে ওদের নিতে।আরো কয়েকদিন থাকার প্ল্যান ছিলো তবে রুহীর শরীর ভালো না থাকায় ফিরে এলো ওরা।গাড়িতে ঢুকে বসলো রোয়েন আর রুহী।রোয়েনের বাসার দিকে যেতে শুরু করলো ওরা।হঠাৎ ল্যাম্পোস্টের আলোয় কিছু একটা চোখে পড়লো রুহীর।রোয়েনের চোখ ও এড়ালো না মাতাল আনামের ওপর থেকে।গাড়ি থামিয়ে বেরিয়ে এলো রোয়েন।আনামের কাছে এগিয়ে এলো।বোতল হাতে রাস্তার কিনারে পড়ে আছে আনাম।রোয়েন আনামকে উঠিয়ে গাড়ির পিছনের সিটে বসিয়ে দিলো।ভাইয়ার কি হয়েছে?মাতাল আনামের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো রুহী।He is too much drunk রোয়েন বলে উঠলো।আনামকে নিয়ে বাসায় ফিরে এলো ওরা।রুহী আনামের পাশে বসে ভাইয়ের কপালে হাত রাখলো।রোয়েন ফোন বের করে আনিলা বেগমের নম্বরে কল দিলো।রুমের দিকেই আসছিলো আনিলা বেগম।রিংটোনের শব্দে দৌড়ে ফোনের কাছে এগিয়ে এলো আনিলা।রোয়েনের নম্বর দেখে ফোন রিসিভ করে কানে ধরলো ফোন।
,,,,,,,,,,,সোফায় বসে আছেন আজমল খান।কোন এক চিন্তায় বিভোর ওনি।স্যার এক লোক দিয়ে গেলো।বাসার কাজের মেয়ের কথায় ঘোর কাঁটলো আজমল খানের।মেয়েটির দিকে কামুকি ভাবে তাকিয়ে কাগজটি হাতে নিলো আজমল খান।খামটিকে নেড়ে কাগজটি বের করে আনলো আজমল খান।আনাম রাস্তায় পড়ে ছিলো?হকচকিয়ে উঠে আনিলা বেগম।জি মা।ওকে রাস্তাড কিনারায় পেলাম।ড্রাংক অবস্থায় পড়ে ছিলো।ওহ আচ,,,,,,,,হঠাৎ কারোর হাতের টানে ফোন নিচে পড়ে গেলো আনিলা বেগমের।
চলবে