My Mafia Boss- Season- 1 !! Part- 32
ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এলো রুহী।চুল গুলো কে মুছে পিঠের ওপর ছেড়ে দিয়ে নিচে নেমে এলো।রোয়েন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কার সাথে যেন কথা বলছে।একজন ফরেইনার লেডির সাথে কথা বলছে রোয়েন।মহিলাটি রোয়েনের সাথে হাত মিলিয়ে কোলাকুলি করে চলে গেল।রুহীর মাথা ঘুরে যাবার যোগাড়।চোখ জোড়া ভরে উঠেছে।মহিলা চলে যেতেই রোয়েন দরজা বন্ধ করে পিছে তাকালো।রুহী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে।রোয়েন আশেপাশে তাকিয়ে রুহীর আপাদমস্তক দেখে নিলো কোথা ও কেঁটে কুঁটে গিয়েছে নাকি? কিন্তু সবই ঠিক আছে। পাগল টা তাহলে কাঁদছে কেন?ভ্রু কুঁচকে রুহীর দিকে এগিয়ে এলো রোয়েন।কাঁদছো কেন? ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।রুহী ফুঁপাচ্ছে মাথা নিচু করে।রোয়েন এবার রুহীর গাল টেনে ধরলো। এই মেয়ে পাগলের মতো কাঁদছো কেন?রুহী কাঁদো কাঁদো গলায় বলল তেলাপোকা মাথা নিচু করলো।
রোয়েন হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারছেনা।চলো খেয়ে নিই গম্ভীর গলায় বলল রোয়েন।রুহীকে নিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসলো রোয়েন।রুহী দুহাতে চোখ মুচ্ছে।নাম মুখ চোখ লাল হয়ে গেছে একেবারে।আরো মায়া লাগাচ্ছে রুহী।রোয়েন রুহীর প্লেটে একটু খাবার তুলে দিলো।রুহী রোয়েনের দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে।ভাবছিলো মহিলা কে?এতো কোলাকুলি করছিলো কেন রোয়েন?খেতে খেতে রুহীর দিকে চোখ পড়লো রোয়েনের।কিহলো খাচ্ছো না কেন? ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
এইতো খা খাচ্ছি।রুহী মাথা নিচু করে খেতে শুরু করলো।দুজনে খাওয়া শেষ করে রুমে চলে এলো।রোয়েন রুহীকে বুকে নিয়ে শুয়ে আছে।রুহী গুটিসুটি মেরে রোয়েনের বুকের মাঝে ঘুমিয়ে গেছে।রাতে রুহী কে নিয়ে বেরিয়ে এলো রোয়েন।সাদা গোলটেবিলের পাশাপাশি দুটি চেয়োরে বসে পড়লো ওরা। রোয়েন একটি বোতল টেবিলের ওপর রেখে এর ঢাকনা খুলে নিলো।গ্লাসে একটু পানীয় ঢেলে চুমুক দিয়ে ফাউন্টেন টাকে দেখছে।রাতের হালকা আলোয় পানি গুলো কে আরো সুন্দর লাগছে।রুহী রোয়েনের গ্লাসটির দিকে চেয়ে আছে।রোয়েন গ্লাসে আরেক টু পানীয় ঢেলে এক ঢোকে খেয়ে নিলো।এ জিনিস টা কি??রুহী জিজ্ঞেস করে উঠলো।ওয়াইন ফাউন্টেন টার দিকে তাকিয়ে বলল রোয়েন।রুহী টিভিতে দেখেছিলো এগুলো খেয়ে মানুষ অনেক অদ্ভুত কাজ করে। কেমন করে করে কথা বলে। রুহীর তো ভীষন হাসি পায়।বোতল টিতে হাত দিতেই রোয়েন ওর হাতে বাড়ি দিলো।এটা খাওয়ার চেষ্টাও করবেনা।রুহী অসহায় ভাবে রোয়েনের দিকে তাকিয়ে হাত সরিয়ে নিলো।জানো ছোট থেকে এখানেই বড় হয়েছি এ বাড়িতে। আমার জন্ম হয়েছে এখানে।রুহীর একনজর তাকিয়ে বলল রোয়েন।এটা আপনার আসল বাড়ি?রুহী জিজ্ঞেস করলো। হুম বড় একটি নিশ্বাস ফেলল রোয়েন।রুহী উঠে দৌড়ে ফাউন্টেনের কাছে এলো।পানি গুলো কে ভীষন সুন্দর লাগছে।রুহী উৎসুক চোখে তাকিয়ে আছে।রোয়েন ও রুহীর পাশে এসে দাঁড়ালো।এটা কি জানো?রোয়েন বলে উঠলো।কি??? ফাউন্টেনের দিকে তাকিয়েই জিজ্ঞেস করলো রুহী।এটা ফাউন্টেন। অনেক সুন্দর মুচকি হেসে বলল রুহী।রাত বাড়ার সাথে সাথে শীত ও বাড়ছে।রুহী হাত দুটো ভাজ করে দাঁড়িয়ে আছে।রুহীর কাছে এসে দাঁড়ালো রোয়েন।রুহীর হাত ধরে ঘরে নিয়ে এলো।
ডিনার সেড়ে রোয়েন জ্যাকেট আর জিন্সপ্যান্ট পরে নিলো। রুহীর দিকে তাকিয়ে বলল কোথা ও যাবেনা।আমি এক্ষুনি চলে আসবো গম্ভীর গলায় বলল রোয়েন। মাথা ঝাঁকালো রুহী।রোয়েন বেরিয়ে গেল।রুহী নিচে নেমে এলো।টেবিলের ওপর বোতলটা রাখা আছে।বোতলের কাছে এগোলো রুহী।বোতল টি কাছে টেনে আনলো। একটু কি খাবো?ওনি রাগ করবেন তো।একটু খাই বুঝতে পারবেননা।রুহী বোতল টাকে উঁচু করে একটু খেতেই বিকৃত করলো মুখ।গন্ধ টা কি বাজে।আরেক ঢোক খেল রুহী।রোয়েন ল্যাপটপ অন করতেই ভীষন রকমের ঝটকা খেল।রুহী পাগলের মতো জোরে চিৎকার করে গান করছে আর নাচছে।ও আমার রোয়েন!! তিতা করলা তুই,,,,,,,,,কেন শুধু বকিস।তোর লাল লাল চোখ গুলো দেখলে মনে হয় ভ্যাম্পায়ার।কখনো কি মধু খাসনা????ও রোয়েন ও আমার রোয়েন…………. বলে চিৎকার করে গান করছে আর নাচছে রুহী।রোয়েন রাগে ফুঁসছে আজ এই মেয়ের খবর আছে।আমাকে এসব বলার সাহস কই পায় ও?গাড়ি ঘুরিয়ে বাসার দিকে রওনা হলো ও।কলিংবেল বাজতেই রুহী থেমে গেল। ঢলে ঢলে দরজার কাছে এসে দরজা খুলে দিলো।রোয়েন রক্তচক্ষু দিয়ে রুহীর দিকে তাকিয়ে আছে।রুহী রোয়েনের গলায় দুহাত রেখে বলতে লাগলো চিপস খাবো।চিপস এনে দাওনা?চকলেট গনে দাও?কোলে নাও। রোয়েনের বুঝতে দেরি হলো না যা না হওয়ার হয়ে গেছে।রুহী তুমি ঐটা খেয়েছো না ধমক দিয়ে বলল রোয়েন।কি খেয়েছি?আমি তো এখন তোমাকে খাবো বলে রোয়েনকে খাওয়ার চেষ্টা করতে লাগলো রুহী।রুহীকে সামলানোর চেষ্টা করছে রোয়েন।রুহী দেখো সার্ভেন্ট রা আছে উপরে চলো। রাগী গলায় বলল রোয়েন।কোলে নাও রোয়েনের গলা জড়িয়ে বলল রুহী।রোয়েন কোলে তুলে নিলো রুহীকে।উপরে চলে এলো ওরা।রুহীকে খাটে বসাতে রোয়েনের শার্টের কলার টেনে ধরলো চুমু দাও আমাকে।রোয়েন চোখ বড় করে ফেলল বিস্ময়ে।রুহী ওকে কিস করতে বলছে?ভাবতে লাগলো রোয়েন।রুহী দেখো তোমার মাথা ঠিক নেই শুয়ে পড়ো রাগী গলায় বলল রোয়েন। না আগে চুমু খেতে হবে।রুহী কথা শুনো শুয়ে পড়ো ধমক দিয়ে বলল রোয়েন।না আগে চুমু খাও।রোয়েন রুহীর কপালে চুমু দিতেই রুহী ওকে টেনে ধরে নিজের ঠোঁট রোয়েনের ঠোঁটে চেপে ধরলো।রোয়েন কে পাগলের মতো চুমু খাচ্ছে রুহী।রোয়েন ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো রুহীকে।খাটে শুয়ে রুহীকে বুকে টেনে নিলো।ধাক্কা মারলে কেন?রুহী অভিমান করে জিজ্ঞেস করলো।দেখো ভালো লাগছেনা আমার ঘুমাও।রাগী গলায় বলল রোয়েন।আপনি না একটা তিতা করলা কখনো ভালো করে কথা বলেননা শুধু বকা দেন ন্যাকা কান্না করছে রুহী।
রোয়েন রুহীকে বুকের সাথে জোরে চেপে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো।
চলবে