My Mafia Boss- Season- 1 !! Part- 26
রোয়েনের নাস্তা দিয়ে চলে গেল ওয়ার্ড বয়।রুহী প্লেটের ওপরের প্লাস্টিক খুলে ডাস্টবিনে ফেলে রোয়েনের পাশে এসে বসলো।চামচে করে একটু খাবার তুলে রোয়েনের দিকে ধরলো রুহী” নিন “রোয়েন খাবারটুকু খেয়ে নিলো।রোয়েন ফোন বের করে ওর লোকদের কল করে।হ্যালো হাসপাতালে তোমার ম্যাডামের জন্য ভাত সবজি ডাল আর মুরগী আর কয়েকটি জামা নিয়ে এসো। ভালো হয় যেন।জি স্যার লোকটি জবাব দিলো।রোয়েন ফোন কেঁটে পাশের টেবিলের ওপর রাখলো।এ এ একটা ক ক কথা ব ব বলতে পারি??রুহী মাথা নিচু করে জিজ্ঞেস করলো। কি?রোয়েন ভ্রু কুঁচকে রুহীর দিকে তাকায়।অস্ট্রিয়া কি আপনি একা যাবেন?
কেন কি হয়েছে?রোয়েন মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করলো।
ন ন না ম ম মানে কি এমনি বলছিলাম মাথা নিচু করেই বলল রুহী।তোমাকে ও নিয়ে যাবো রোয়েন রাগী গলায় জবাব দিলো।আর শুনো ঠিক করে কথা বলো আমার সাথে।অমন তোঁতলাও কেন?ধমক দিয়ে বলল রোয়েন।
রুহী কিছু বলতে পারলো না।কারন বড্ড ভয় লাগে ওর রোয়েনের সাথে কথা বলতে।কখন রেগে যায় কিছু বুঝা যায়না।কিছুক্ষন পর দুজন লোক এসে খাবার আর জামা দিয়ে যায়।রুহী গোসল সেরে খেয়ে নেয়।ভীষন খিদে পেয়েছিলো ওর।খাবার সেড়ে রোয়েনের কাছে এসে দাঁড়ালো রুহী।খাটটা বেশ ছোট তবু ও রোয়েন একটু সরে গিয়ে রুহীর দিকে তাকিয়ে বলল শুয়ে পড়ো।আ আপনার সমস্যা হতে পারে নিচে তাকিয়ে বলল রুহী।সেটা তোমার বুঝতে হবেনা।যা বলছি করো ধমক দিয়ে উঠলো রোয়েন।রুহী কিছু না বলে রোয়েনের গা ঘেষে শুয়ে পড়লো।রোয়েন ওর মায়াবতীকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো।দীর্ঘ ১৫ দিন থাকার পর রিলিজ দেয়া হলো রোয়েনকে।রুহীকে নিয়ে ঘরে ফিরে এলো রোয়েন।রোয়েন ফ্রেশ হয়ে খাটে শুয়ে আছে।রুহী স্যুপ বানিয়ে নিয়ে এলো রোয়েনের জন্য।স্যুপের বাটি রোয়েনকে দিয়ে রুহী আস্তে করে বলল মামার সাথে অনেক দিন কথা হয়না।বলতে না করেছে কে একচামচ মুখে দিয়ে বলল রোয়েন।
না মানে নম্বর নেই তো।বলেই মাথা নামিয়ে নিলো রুহী।রোয়েন ফোন বের করে অাফজাল সাহেবের নম্বর বের করে দিলো।ধরো কথা বলো রুহীর হাতে ফোন দিলো রোয়েন।নাও কথা বলো (রোয়েন)।
রুহী মুচকি হেসে কানের সামনে ফোন ধরলো রিং হচ্ছে।রুহী!! পাশের রুমে গিয়ে কথা বলো রোয়েন এক নজর রুহীর দিকে তাকিয়ে বলল।
রুহী মুচকি হেসে পাশের রুমে চলে এলো।
হ্যালো (আনিলা)
মামী ভালো আছেন?(রুহী)
ওহ তুই!ফোন দিলি ক্যান?
মামার সাথে কথা ছিলো।
তোর মামা নাই।।
ওহ।রাখছি…… থামিয়ে দিলো আনিলা বেগম
বিয়ে করেছিস?
কিছুক্ষন চুপ থেকে রুহী জবাব দিলো”না”।
না মানে কি?বেশরমের মতো ঐ পোলার লগে থাকোছ।ছিহ নাক কাইটা ফেলছোস।
মামী যা ভাবছেন এমন কিছুই হয়নি শান্ত গলায় বলল রুহী।
বেশ্যা তুই ও তোর মার মতো।
রোয়েনের ফোন বেজে উঠে।কল রিসিভ করতেই অপর পাশের লোকটি বলে উঠে স্যার রুহান আসলাম রানারে মাইরা ফালাইছে।কিহ!!!!(রানা তো আমার ডান হাত ছিলো)কখন(রাগী গলায়)?ওর রুমে আইসা দেখি পইড়া রইছে।রোয়েন ফোন টিকে ছুড়ে মারলো।রাগে ফোঁসফোঁস করছে ও।চোখ লাল বর্ন ধারন করেছে ওর
মামী যা বলার আমাকে বলুন।মাকে কিছু বলবেন না চিৎকার করে বলল রুহী।
তোর তো সাহস কম হয়নি আমার সাথে চিৎকার করছিস?চিৎকার করে বলল আনিলা বেগম।
বেডার লগে থাকতে পারবি আর আমি কইলেই দোষ।
রাগের চোটে ফোন কেঁটে দেয় রুহী।ঠিকই তো বলছিলো মামী।রোয়েন ওকে এখন ও বিয়ে করেনি।বলেছিলো ১৮বছর হলে বিয়ে করবে কিন্তু এখন ও বিয়ে করেনি কেন?কি চায় সে?
রোয়েনের কাছে এসে দাঁড়ালো রুহী।রোয়েন পিছনে ফিরে কালো কোটটির কলার ঠিক করছে।এ এ একটা ক ক কথা ব বলতে প পারি?রোয়েনের জবাব না পেয়ে রুহী বলতে লাগলো আপনি তো বলেছিলেন আমার আঠারো বছর পূর্ন হলে বিয়ে করবেন।রোয়েন সামনে ফিরলো কি সমস্যা তোর?এত প্রশ্ন কেন তোর?কি চাস?ভালো খাবার? ভালো পোষাক? সুন্দর জীবন?সবই তো পাচ্ছিস তাহলে এতো প্রশ্ন কেন তোর?যেভাবে রাখছি থাক। আমার সময় হলে বিয়ে করবো নাহলে করবোনা চিৎকার করে বলছিলো রোয়েন।কথা শেষে রুহীকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বেরিয়ে পড়লো।
চোখের পানি বাঁধা মানলো না রুহীর।দুচোখ বেয়ে অঝোরে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগলো।এমন কি বলেছে ও যে এতো গুলো কথা শুনিয়ে দিলো।দেয়ালের সাথে ঘেঁষে নিচে বসে দুই হাঁটুর ওপর মুখ গুঁজে কাঁদতে লাগলো রুহী। রোয়েন গাড়িতে উঠে বসলো।ওর লাল চোখ জোড়া পানিতে ভরে গেছে। গাড়ি স্টার্ট দিলো রোয়েন।
কলিংবেল পেয়ে লোক গুলো দরজা খুলল রোয়েন এসেছে।স্যার!!! রোয়েন রক্তচক্ষু দিয়ে লোকগুলির দিকে তাকালো রানা কই?এই তো স্যার আসেন। রোয়েনকে রানার লাশের কাছে নিয়ে এলো লোকগুলি।লাশটিকে দেখে রোয়েনের মার কথা মনে পড়ে যায়।
৮ বছরের ছোট্ট একটি ছেলে মার লাশের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।চোখে অশ্রুর বদলে রয়েছে প্রচন্ড রাগ।মাকে যারা মেরেছে তাদের সবাইকে দেখে নিয়েছিলো ও।যখন লোকগুলো মাকে রেপ করে মেরে ফেলেছিলো।পাঁচ বছরের ছোট বোন রুহানী কে ও ওরা ছাড়েনি ধর্ষন করে মেরে ফেলেছিলো।২২ বছর ধরে প্রতিশোধের আগুন জ্বলছে রোয়েনের ভিতর।রানার লাশের সামনে রোয়েন বসে পড়লো।চোখ জোড়া জলে ভরে উঠেছে ওর। ভাইয়া ভাইয়া ডাকটি ওর কানের সামনে বাজছে।রোয়েন উঠে দাঁড়ালো জানাজার ব্যাবস্থা কর তোরা।জি স্যার লোক গুলো বলে উঠলো।রোয়েন বেরিয়ে পড়লো ঘরের উদ্দেশ্যে।রুমে আসতেই রুহীর দিকে চোখ পড়লো রোয়েনের।হাঁটুর মুখ গুঁজে কাঁদছে ওর মায়াবতী।
রুহী!!!রুহী!!!!!রোয়েনের ডাক শুনে মাথা তুলল রুহী।চোখ জোড়া লাল হয়ে আছে ওর।ইস্ত্রী করতে পারো(রোয়েন)? হ্যা সূচক ভাবে মাথা নাড়লো রুহী।সাদা একটি পাঞ্জাবি রুহীর হাতে ধরিয়ে দিলো রোয়েন।পাঞ্জাবী হাতে নিয়ে রোয়েনের দিকে অবাক চোখে তাকালো রুহী।কিযে খুশি লাগছে রুহীর বলে বুঝাতে পারবেনা ও।ওর সুইট কিউট তিতা করলাটা নামাজ পড়বে।দৌড়ে ইস্ত্রি নিয়ে বসে পড়লো রুহী।সুন্দর করে ইস্ত্রি করে পাঞ্জাবীটা রোয়েনের হাতে ধরিয়ে দিলো।জানাজা পড়তে যাচ্ছি আমি কঠিন গলায় বলল রোয়েন।রুহীর চোখে মুখে আতংক ফুটে উঠে ক ক কে মারা গ গেল?
চলবে
কালকের পর থেকে নিয়মিত গল্প দিতে পারবোনা পরীক্ষার জন্য।