Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 50
বাসায় ফিরে সবার সাথে কথা বলতে বলতে বেশ রাত হয়ে যায়।হঠাৎ টনক নড়ে রুহীর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে।আজ তো জানে শেষ করে দিবে সে।কিছু না ভেবেই দৌড়ে রুমে চলে এলো রুহী।ফোন অন করেই দেখলো বেশ কয়েকটা মিসড কল উঠে আছে।সব গুলোই ভিডিও কলের।রুহী খাটে বসে রোয়েনকে ভিডিও কল দিতেই রিসিভ হলো।
রাগী চোখে তাকিয়ে আছে রোয়েন।কিছু বলছে ও না।রোয়েন কিছু না বললেই ভয় হয় রুহীর।লোকটা চুপ কেন?খুব রেগেছে??? হায় হায় এখনতো রাম ঝাড়া ঝাড়বে আমায় কথা গুলো ভাবতে ভাবতে রুহীর আত্মার পানি শুকিয়ে গেলো।কপাল বেয়ে ঘাম ঝড়ছে ওর।
কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে রোয়েন বলল কই ছিলে?
নিচে সবাই কথা বলছিলো।তাই আসতে পারছিলাম না।
বলেই মাথা নিচু করে নিলো রুহী।
রোয়েন ভাবছে রুহীকে যদি একটু ছুঁয়ে দিতে পারতো।রুহী???গম্ভীর গলায় ডাকলো রোয়েন।
রুহী মাথা তুলে তাকালো।এবার ও রোয়েনকে ভালো মতো দেখতে পেলো।খালি গায়ে বিছানায় আধশোয়া হয়ে আছে রোয়েন।বুকের পশম গুলোয় পানি চিকচিক করছে।ভীষন লোভ হয় রুহীর।
রুহীর তাকানো বুঝে শক্ত গলায় রোয়েন বলল আমার দিকে তাকাও।
রুহী রোয়েনের দিকে তাকায়।কাল থেকে রাতে ভিডি ও কল দিতে পারবোনা।বলে উঠলো রোয়েন।
রুহী হতভম্ব রোয়েনের কথায়।ক ক কেন?জিজ্ঞেস করো উঠলো রুহী।
কাল থেকে আমার ক্লাশ শুরু।রাতে আর কথা বলতে পারবোনা।তুমি ও তোমার পড়াশুনা করো ভালোমতো।যখনই সময় পাবো কল দিবো।বলে উঠলো রোয়েন।
রুহীর চোখজোড়া ভরে আসে।তারপর ও সামলিয়ে নিলো নিজেকে।আচ্ছা ঠিক আছে।তবে যখনই টাইম পাবে আমাকে কল দিবে দেখা করবে।
হুম,আমি করবো। বলে উঠলো রোয়েন।
সারারাত কথা বলে ভোর চারটায় বলে কয়ে কল কেঁটে দেয় রোয়েন।
সেদিনের পর থেকে সবকিছু কেমন পাল্টে যায়।রোয়েনের ক্লাশ শুরু হয় রাত আটটায় আর শেষ হয় রাত বারোটায়।সকালে কাজে থাকে ও।রুহীকে আর টাইম দিতে ও পারেনা রোয়েন।রুহী ভেবেছিলো হয়ত ক্লাশ থেকে ফিরে টায়ার্ড থাকে তাই কথা বলতে পারছেনা।মেনে নিলো রুহী রোয়েনের ব্যাস্ততাকে।কিন্তু খুব বেশি কষ্ট হতে থাকে রুহীর যখন রোয়েন ফেসবুকে ছবি আপলোড দেয় বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার।বেশ মেয়ে বন্ধু ও জুগিয়ে ফেলেছে রোয়েন।
রুহী মন খারাপ করে লাভ রিয়্যাক্ট দিয়ে যেত ছবিতে।রোয়েনের হয়ত এখন সময় হয়না রুহীর জন্য।বন্ধু আর পড়াশুনাই ওর জন্য এখন অনেক বেশি ইম্পরট্যান্ট।
সারাদিন সবার সামনে হেসে খেলে থাকলে ও রাতে রোয়েনের ফোনের অপেক্ষায় থাকে রুহী।কল দিলে কখনো বিজি আর কখনো অফ থাকে।
আর বাকি রাত টা চোখের পানি ফেলতে ফেলতেই কেঁটে যায় রুহীর।
একদিন সব সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কল এলো রোয়েনের।
রুহী দৌড়ে কল রিসিভ করলো।
হ্যালো(অপর পাশ থেকে বলল রোয়েন)
কান্না করে দেয় রুহী।তুমি না আমাকে সময় দাও?সব সময় তোমার বন্ধুদের।আমি তো থেকে ও নেই তোমার দুনিয়ায়।কেন রোয়েন?কেন এমন করছো?কাঁদতে কাঁদতে বলল রুহী।
রুহী তুমি জানো আমি প্রচুর বিজি কাজ আর পড়াশুনা নিয়ে।আর ফ্রেন্ডদের সাথে সময় কাঁটাতেই পারি।কারন ওদের সাথে পড়াশুনা করছি আমি।আর তোমাকে তো বললাম কল দিবো সময় ও দিবো।এই যে দিলাম আজ।
কিন্তু তুমি কেঁদে কেঁদে একগাদা শুনিয়ে দিলে আমায়।রাগী গলায় বলল রোয়েন।
আম সরি!!!!!কাঁদো গলায় বলে উঠে রুহী।
তোমাকে পরে কল করছি।বলেই কল কেঁটে দিলো রোয়েন।
১০মিনিট পর রুহী কল করে রোয়েনপর নম্বরে।কিন্তু ওয়েটিং পেলো রোয়েনকে।অনেক রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে রোয়েনের কিন্তু কল আসেনা ওর।সারারাত কেঁদে বুক ভাসায় রুহী।কিন্তু সেই কান্না রোয়েনের কান পর্যন্ত পৌছায়না আর। সবার আগে গল্প পড়তে আমাদের নীল ক্যাফের ভালোবাসা পেজের সাথেই থাকুন
রুহী কাউকে কিছু বলতে পারছেনা নিজের কষ্ট গুলো বুঝাতে পারছেনা।
রুহীর কষ্ট গুলো হয়ত রোয়েনের হৃদয় পর্যন্ত ও পৌছায়না।এভাবে অনেকদিন পার হয়ে গেলো। রোয়েন ৭-৮দিন পর কল দিয়ে একমিনিট কথা বলেই চলে যায়।
রুহী প্রায়ই রোয়েনের বাসায় যায়।তবে রোয়েনকে একা পায়না।সবসময় ওর কোন না কোন বন্ধু থাকেই।
রুহীর সাথে বেশি একটা কথা বলতে পারেনা রোয়েন।বন্ধুদের সাথে গ্রুপস্টাডিতে ব্যাস্ত থাকে।রুহী চুপচাপ কাঁদতে কাঁদতে ঘরে ফিরে আসে।
এভাবে আরো কয়েকদিন কেঁটে যায়।রুহী বিকেলে বলা নেই কওয়া নেই রোয়পনের বাসায় চলে আসে।গোসল থেকে বেরিয়ে এসে খাটে বসা রুহীকে দেখে খানিকটা হকচকিয়ে যায় রোয়েন।
তুমি?কখন এলে?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।
কেন আশা করোনি আমাকে?কাঁদো গলায় বলল রুহী।
মুখ শক্ত হয়ে আসে রোয়েনের।ত্যাড়া কথা বলোনা।জানতে চাইলাম কখন আসলে আর তুমি বলছো আমি আশা করিনি তোমাকে?রাগী গলায় বলল রোয়েন।সবার আগে গল্প পড়তে আমাদের নীল ক্যাফের ভালোবাসা পেজের সাথেই থাকুন
রুহী উঠে এসে রোয়েনকে জড়িয়ে কেঁদে দেয়।প্লিজ আমার এসব ভালো লাগছেনা।এতো অবহেলা নিতে পারছিনা আমি।কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকে রুহী।রোয়েন রুহীর মাথায় হাত রাখতেই কেউ একজন দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে।
রোয়েন?মেয়েলি কন্ঠে ডেকে উঠে কেউ।
রুহীকে ছেড়ে সামনে তাকায় রোয়েন।আরে রিমি কি খবর তোর?বলে উঠলো রোয়েন।
ভালো। তা কে ও?হেসে জিজ্ঞেস করলো রিমি।
আমার ফিয়্যান্সে রুহী।রুহী ও আমার কলেজ থেকে শুরু করে ভার্সিটির ফ্রেন্ড।বলে উঠে রোয়েন।
হায় রুহী!!!হাত বাড়ায় রিমি।
হ্যালো রিমির সাথে হাত মিলায় রুহী।
দোস্ত বৌ টা কিন্তু হেব্বি।বলে উঠে রিমি।
রোয়েন হেসে সায় দেয়।
রোয়েন জানিস তো বিয়ের পর আর ক্লাশ করতে পারিনি।আসলে সংসার নিয়ে ভীষন ব্যাস্ত ছিলাম।এখন তোর ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি আমি।তোর একটু হেল্প দরকার আমার।একনাগাড়ে বলল রিমি।
আচ্ছা।রুহী পাশের রুমে যাও।বলে উঠলো রোয়েন।
ও থাকুক রোয়েন।বলল রিমি।
না আপু আপনারা পড়ুন। আমি পাশের রুমে আছি।বলে মন খারাপ করে বেরিয়ে পড়লো রুহী।
সেূ্দিন রোয়েনের সাথে আর কথা হয়নি রুহীর।বেশ দেরি করেই ঘরে ফিরে যায় রুহী।
চলবে